![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
গুলশানের ঘটনাতে হতাহত দের সকলকে যেন আল্লাহ্ মাফ করে দেন। বিশেষ করে যে দুজন পুলিশ অফিসার দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিলেন তাঁদের পরিবার কে যেন আল্লাহ্ এই বিপদে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দেন। যেসকল নিরাপরাধ মানুষ এর ভুক্তভোগী আল্লাহ্ তাঁদের হেফাজত করুন।
রমজান মাসে এসকল রক্তপাতের ঘটনার সুত্রপাত করে যারা নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করছে তাদের ডেকে আনা সকল বিপর্যয় থেকে আল্লাহ্ ইসলাম কে হেফাজত করুন।
এই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে -
একটি সম্ভাবনাময় জাতীকে কীভাবে ধীরে ধীরে বিষ দিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বাংলাদেশ।
পাঁচ শ্রেণীর মানবকুল রয়েছে দেশটিতে যারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে এই ধ্বংসকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে-
১। অর্ধ কিংবা অশিক্ষিত ক্ষমতা লিপ্সু দুর্নীতিবাজ অযোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
২। শিক্ষিত অন্ধ দলানুরাগি বিবেক বন্ধক রাখা শ্রেণী। প্রথম সারির রাজনৈতিক দের সকল কুকর্ম সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে এরা বৈধতা দেয় এবং বড় বড় কলাম/ফেসবুকে লিখে তাঁদের মিথ্যচার গুলোকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এঁদের জুড়ি মেলা ভার।
৩। সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, যারা নিজেদের পকেট পুরতে মাকেও অন্যের কাছে বিক্রয় করতে পিছপা হবে না। দেশ তো পরের কথা।
৪। এক নব্য জ্ঞানী শিক্ষিত শ্রেণী, যারা কসম করে নেমেছে ব্লগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে বাংলাদেশ থেকে (৯২% মুসলিমের দেশ) হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর অনুসারীদের অর্থাৎ আমাদের মুসলমানদের বুঝিয়ে ছাড়বে তিনি খুব খারাপ (নাউজুবিল্লাহ) ছিলেন এবং তাঁর অনুসারী হওয়ার মানেই নিজেদের বিশাল জ্ঞানের (!!!) থেকে বঞ্চিত করা। যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সম্পর্কে সামান্য খারাপ কথা বলতে সত্যিকারের জ্ঞানী কোন মানুষ অদ্যপরযন্ত পারে নাই এবং কেয়ামত পর্যন্ত পারবেও না।
৫। শিক্ষিত চতুর, স্বার্থপর শ্রেণী। এরা শুধু নিজের কথাই ভাবে এবং দিনশেষ কত টাকা আয় হল এটাই এঁদের দেখার বিষয়। নিজেদের ভদ্র দাবিকারি এই শ্রেণীর এমন উদাসীনতা যেকোনো দেশের বারোটা বাজানোর জন্য একাই যথেষ্ট।
মিথ্যাবাদি রাখালের পরিণতি সবাই আমরা জানলেও ১, ২, ৩ এবং ৪ শ্রেণীর লোকদের মিথ্যাকে প্রতিনিয়ত আমরা প্রশ্রয় দিয়েছি গত ৭/৮ বছর যাবত। আমার সামরিক জ্ঞান শূন্যের কাছা কাছি এর পরেও সমসাময়িক ঘটনা যদি বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব দেশের এই পরিস্থিতি খুব সুন্দর একটি শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে যদিও তা দমনের জন্য তেমন কোন শৃঙ্খলা চোখে পরে নি-
১। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড (সরকারী কিংবা বেসরকারি)
২। ব্লগার হত্যা
৩। তনু হত্যার মত আলোচিত এবং স্পর্শ কাতর হত্যা
এতো কিছুতেও টনক না নড়াতে
৪। হিন্দু পুরহিত কিংবা অন্য ধর্মের মানুষদের হত্যা
৫। বাবুল আক্তারের মত একজন পুলিশ অফিসারের স্ত্রী হত্যা এবং এটা নিয়েও নাটক সৃষ্টি
এই ঘটনা গুলোর ব্যাপারে সরকারের সকল মহলের বক্তব্য প্রায় একইরকম ছিল এবং এই গৎবাঁধা কথাই বাঙ্গালিও বিশ্বাস করে গেছে।
এর পরেও যেহেতু বাঙালি নাকে সরিষার তেল দেয়া বন্ধ করে নি কিংবা বশ্যতা স্বীকারে প্রস্তুত নয় সেহেতু নতুন কিছু করতে হবে আর তা হল গুলশানের ঘটনা। হতাহতের সঠিক খবর মিডিয়া গুলো না জানাতে পারলেও তাঁদের এই ঘটনা লাইভ দেখানো দেখে মনেহচ্ছে তাঁরা যেন এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিল!! টি আর পি বাড়ানোর জন্য এরা যেকোনো কিছু করতে পারে। অমানুষদের তালিকাতেও এঁদের নাম রাখা অনুচিত। যেখানে পৃথিবীর সকল দেশের এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক দের শুধু প্রেস ব্রিফিং দেয় সেখানে আমাদের দেশে এঁদের লাইভ দেখাতেই হবে।
একের পর এক অঘটন এবং নতুন এক অঘটন দিয়ে পূর্বের টিকে ধামাচাপা দেয়া আর কতদিন চলবে? ওহে শিক্ষিত সামাজিক শ্রেণীর বাংলাদেশী তোমারা তো পড়েছ "নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না" (বহুদিন যাবত এই কথা নিয়ে লিখেছিও), এই পড়া থেকে কি কিছু শিখেছ নাকি পরীক্ষার খাতা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ?
এখনো সময় আছে ১, ২, ৩ কিংবা ৪ শ্রেণীর অমানুষ গুলোকে থামাও, তা না হলে ওরা এই সোনার বাংলার তাম্র রূপ দিয়ে ওদের সেকেন্ড হোমে পাড়ি জমাবে। কিন্তু তোমাকে আমাকে এই বাংলার মাটিতেই থাকতে হবে।
পরিশেষে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের কাছে একটাই চাওয়া, ইয়া আল্লাহ্ অন্তত এই রমযানের উছিলাতে আমাদের দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী ৫ নম্বর শ্রেণীর মানুষ গুলোর বিবেক কে জাগ্রত করে দেন যেন তাঁরা বাংলার খেটে খাওয়া মানুষদের সাথে নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারে। আমীন। রিশেষে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের কাছে একটাই চাওয়া, ইয়া আল্লাহ্ অন্তত এই রমযানের উছিলাতে আমাদের দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী ৫ নম্বর শ্রেণীর মানুষ গুলোর বিবেক কে জাগ্রত করে দেন যেন তাঁরা বাংলার খেটে খাওয়া মানুষদের সাথে নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারে। আমীন।
©somewhere in net ltd.