![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ণাম রাজ আমি বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ি।
আফ্রিদি ও মেহজাবিন দু'জন দুই জগতের বাসিন্দা। একজন হলেন ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে আক্রমনাত্নক ব্যাটসম্যান, সেই সাথে স্পিনের ভঙ্গিতে ফাস্টবলতো আছেই। আর অন্যদিকে আরেকজন হলেন বাংলাদেশের লাক্স ফটো সুন্দরী, স্নিগ্ধ হাসি আর মিষ্টি চেহারা দিয়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন মিডিয়া জগত। সম্প্রতি আফ্রিদি একটি কাপড়ের শো-রুম উদ্বোধন করতে ঢাকায় আসেন আর সেখানে ফ্যাশন শোতে নেতৃত্ব দেন মেহজাবিন। এই ঘটনার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে বলছেন শুরু হচ্ছে আফ্রিদি-মেহজাবিন রসায়ন।
বেশ কিছুদিন থেকেই ফেসবুকে আলোচনায় ছিলেন মেহজাবিন। বিশেষ করে এত্তোগুলা পঁচা স্টাটাস দেয়ার পর থেকে। আফ্রিদি ও মেহজাবিনকে নিয়ে হালের সব জনপ্রিয় ব্লগাররাই আলোচনা সমালোচনায় মেতে উঠেছেন। তবে অধিকাংশ ব্লগাররাই নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে মেহজাবিন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। কেউ কেউ তার দেশ প্রেম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে বলছেন শুধু টাকা আর ক্যারিয়ারের জন্য সব বিসর্জন দেয়া ঠিক নয়। আর এমন সময় বিতর্ক চলছে যখন চায়ের দোকান থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত উত্তাল যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে। আর মেহজাবিন যেন আগুনে ঘি ঢাললেন।
ব্লগার নূরা পাগলা তার ওয়ালে লেখেন, [আমি রাজনীতি করি না যে- রাজনীতির খাতিরে আমাকে পাকিস্তানের সাথে কোন একটা সম্পর্ক মেনে চলতে হবে । আমি ব্যাবসাও করি না যে আমাকে - পাকিস্তানের সাথে ব্যাবসার জন্য একটা সম্পর্ক মেনে চলতে হবে । আমি খুবই সাধারণ একজন বাংলাদেশী নাগরিক আর পাকিস্তানকে ঘৃণা করার জন্য আমার মাত্র একটা শব্দই যথেষ্ট, তা হল "মুক্তিযুদ্ধ"; যারা মনে প্রানে পাকিস্তানকে ঘৃণা করে শুধু ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কৃত কর্মের জন্য।]
ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য্য তার ওয়ালে লেখেন, [শহীদ আফ্রিদির সাথে ক্যাট ওয়াক করার অন্তর্নিহিত সমস্যাটা কোথায়, সেটা অল্প বয়সে তুমি বুঝতে পারোনি। কিন্তু এই কাজটা তোমার ভবিষ্যতকে অন্ধকার করে দেবে।]
বাবু আহমেদ তার ওয়ালে লেখেন, [মেহজাবিন আর মেহেরজান এর মধ্যে কি কেউ কোন পার্থক্য খুইজা পান? আমি পাই না। অনেকেই হয়তো এই পাকি-পা'চাটা মানসিকতারে প্রোফেশনাল দিক দিয়া ট্যাকল দিতে চাইবেন কিন্তু না, পাকিদের জন্য প্রোফেশনাল অথবা পার্সোনাল সব ধরনের কর্মকান্ডই যে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এইটা কেউ বুঝে না। মডেলিং এর সাথে রাজনীতি দোচাবেন না কইতে আইলেই উষ্টা খাইবেন।]
তৈাসিফ হামিম তার ওয়ালে লেখেন, [শারজাহ বিমানবন্দরে ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি আর নাসির হোসেনের সাথে দেখা হইলে বাংলাদেশী তরুনী আফ্রিদির সাথেই ছুটে গিয়ে ছবি তুলে আসবে এবং ফেসবুকে জাহির করবে। আমেরিকায় এম এম করতে যাওয়া আপুটা শীতের হাত মোজা কেনে পাকিস্তানী, গ্লভস কেনে পাকিস্তানী, উঁচু বুট জুতা কেনে পাকিস্তানী, হিজাব কেনে পাকিস্তানী, বোরকা কেনে পাকিস্তানী। বাংলাদেশের জিনিসের সমাদর নাই, কোয়ালিটি খারাপ।]
অলড্রিন মারাকার লেখেন, [মেহাজাবিন কি করসে, সেটা নিয়ে বলার কিছু নাই। বিম্বোদের কাছে মনুষ্যত্ব আশা করাটাই বিরাট এক নির্বুদ্ধিতা।
আমার কথা হচ্ছে, আফ্রিদীর শোরুম বাংলাদেশের মাটিতে খোলার অনুমতি দিসে কোন……?]
জনপ্রিয় ফেসবুক পেইজ 'টিনের চালে কাক আমিত অবাক' তাদের স্টাটাসে লিখেছে, [ছাগুরকেল্লাতে দেখলাম আফ্রিদির দোকান থেকে জামা কাপড় কিনতে আহবান করছে। আর মেহজাবিনদের মতো মেয়েরা তো পারলে এখনই "আফ্রিদি ম্যারি মি" লিখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যেতে পারে কারন এরা মনে রাখেনা ৭১-এ কি হয়েছিল।]
©somewhere in net ltd.