![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ বলে ভুল করলেও নিজেকে মানুষই বলব আমি।
ছবি - বেতফল (মাধ্যম - গুগল)
ছোটবেলার যে ফলটাকে এখনো সবচেয়ে বেশি মিস করি সেটি হচ্ছে বেতফল। নদীর পাশেই বেতের মস্তবড় এক ঝাড় ছিল। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে বেতগাছে যখন ফল আসতো তখন থেকেই কিশোর চোখ চকচক করতে থাকতো, কখন খাওয়ার সময় হবে! এরপর চৈত্র-বৈশাখ মাসে বেতের তীক্ষ্ণ কাঁটার আঁচড় উপেক্ষা করে পাকা বেতফল পেড়ে এনে তার খোসা ছাড়িয়ে লবন মরিচের গুড়ো দিয়ে ধুমসে চলতো খাওয়া। উফস্! সেকথা মনে হলে আজো জিভে জল আসে।
শহরের অনেকেই হয়তো বেতফল চেনেন না। কারণ, বেত জংলা ও ভেজা জমিতে জন্মায়। শহরে যা দুর্লভ। এজন্য শহরে বেতগাছ বেশি দেখা যায় না।
বেতগাছের ফলকে বেতফল বলা হয়। অঞ্চলভেদে এই ফল বেত্থুল, বেন্তুল, বেত্তুন, বেথুন, বেথুল, বেতগুলা, বেতগুটি, বেত্তুইন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। বেতগাছ চিকন, লম্বা, কাঁটাময় ও খুবই শক্ত। এটি জঙ্গলাকীর্ন কাঁটাঝোপ আকারে জন্মে।
বেতগাছ বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, জাভা ও সুমাত্রা অঞ্চলের উদ্ভিদ।
বেতফল গোলাকার বা একটু লম্বাটে গোলাকার, ছোট ও কষযুক্ত টকমিষ্টি। এর খোসা শক্ত হলেও ভেতরটা অ শটা নরম। বীজ শক্ত। কাঁচা অবস্থায় এই ফল সবুজ ও পাকলে সবুজাভ ঘিয়ে বা সাদা রঙের হয়। এটি থোকায় থোকায় ফলে থাকে।
বেতগাছ থেকে নানারকম আসবাব তৈরি করা হয়। গৃহস্থালীর নানা সরঞ্জাম ছাড়াও সুদৃশ্য চেয়ার-টেবিল, খাটসহ আরও অনেক ধরনের আসবাবপত্র তৈরি হয় বেতগাছ থেকে।
একসময় শিক্ষকগণ অবাধ্য ছাত্রদের বশে রাখতে বেতের লাঠি হাতে ক্লাশরুমে যেতেন। বর্তমানে শিক্ষদের হাতে বেত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাক- সে ভিন্ন কথা।
দুঃখের বিষয় যেটা সেটা হচ্ছে-বেতগাছ দিন দিন দুর্লভ হয়ে বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। সেইসাথে পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং উপাদেয় একটি দেশী ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের শিশুরা।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২২
মির্জা রাসেল বলেছেন: ধন্যবাদ.। মনে করিয়ে দিলেন একটুকু শৈশব স্মৃতি।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫০
বিজন রয় বলেছেন: বেতফল খাওয়া যায় শুনেছি, কিন্তু খাইনি।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বেত গাছ দেখেছি সিলেটে থাকার কারণে। ফল দেখি নাই। বেতফল যে খাওয়া যায় সেটা আজকেই জানলাম। আপনাকে ধন্যবাদ বেতফলের ছবি দেওয়ার জন্য।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
সুমন কর বলেছেন: খু্ব ছোটবেলা, খেয়েছিলাম। আপনার পোস্ট আর ছবি দেখে মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬
তানজির খান বলেছেন: আমিও খেয়েছি ছোটবেলা। টকটক লাগে।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: বেশ কয়েকবার খেয়েছি, খুব মজা। অনেক বড় থোকায় থোকায় ফল হয়। এখন গ্রামেও ফলটা খুব দুর্লভ।
মনে করিয়ে দেয়ার জন্য মাইনাস!
মিস করছি খুব।
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩
তাসলিমা আক্তার বলেছেন: আহা ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। আমাদের স্কুলের সামনে আচারওলার কাছে পাওয়া যেত। এখন খেতে ইচ্ছে করে কিন্তু পাইনা।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৩
রিমঝিম স্বপ্ন বলেছেন: আঁশফলের মত দেখতে।
বেতফলের ছবি আপনার পোষ্টে দেখলাম প্রথম, আর খাওয়া ত দূরে থাক।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
উল্টা দূরবীন বলেছেন: বেতফল একবার খাইছিলাম জীবনে। সেই ছোটবেলায়। এখন আর স্বাদ মনে নাই।
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আমি গ্রামে থাকি এখন আমি খেতে পারি এই ফলটি।
১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
সজিব্90 বলেছেন: ছোট বেলায় খেয়েছিলাম, অনেক দিন পর দেখা মাত্র ই জিবে পানি এসে গেল, ভুলেই গিয়েছিলাম এই ফলের কথা, ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ।
১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: খাই নাই কখনও
১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: এখনও কি ডেউয়া, গাব, চালতা এগুলি পাওয়া যায় নাকি বাংগালী এখন শুধু স্ট্রবেরী, ব্লুবেরী, পারসিমন এগুলো খায়।
১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
জুন বলেছেন: কলাবাগান১ এর সাথে আমি আরেকটি ফলের নাম যোগ করতে চাই তা হলো বৈচি। ছোটবেলায় স্কুলের সামনে বিভিন্ন আচারের সাথে এসব ফল নিয়ে বসে থাকতো দোকানীরা।
১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২
অলোক সাহা বলেছেন: আমার সুনামগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে এখনো পাওয়া যায়। ছোটবেলায় অনেক পছন্দের ছিল।
১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আমরা এইটাকে বেত্তুন বলি। খেতে হয় কষ্ট করে, আবার সংগ্রহ করতে তার চেয়েও বেশি কষ্ট।
১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই ফলটা ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। এখন তো চোখেই দেখি না।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ইস্ দিলেনতো সেই ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে --- কত যে প্রিয় তা বলার অপেক্ষাই রাখে না --- আমিও খুবই মিস করি --------