![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশেষত্বহীন একটা মানুষ। স্রোতের বিপরীতে চলাই যার অভ্যাস। ভালো মানুষ হওয়ার কঠিন চেষ্টায় ব্রত! প্রতিনিয়ত নিজেকে ভেঙেচুরে আবার নতুন করে গড়ি । মানুষের উপকার করতে ভালবাসি। এই একটা কাজেই মনের শান্তি খুঁজে পাই। আগেই বলেছি আমি বিশেষত্বহীন তাই নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর তেমন কিছু খুজেঁ পাচ্ছিনা।
অসহায় মানুষদের নিয়ে সব সময় ভাবি,সবসময়ই ইচ্ছে হয় তাদের জন্য কিছু একটা করি । যাদের ঘামের উপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের অর্থনীতি, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমরা দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছি । অথচ তাদেরকে চাষা বলে গালি দিতে দ্বিধা করছি না ।
এখন জ্যৈষ্ঠ মাস । চারিদিকে ধান কাটার হিড়িক পড়েছে । চলাফেরার পথে একটু আশেপাশে তাকালেই বুঝতে পারবেন কৃষক ভাইদের কষ্ট, প্রচণ্ড তাপ-দাহে পুড়ে যাচ্ছে কিন্তু কাজ থামছে না । যেসব কৃষকদের অবস্থা ভালো না তারা কাজের জন্য আলাদা লোক নিতে পারছে না, কৃষক ভাই ধান কিংবা গম কাটছে আর তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েরা ধানের আঁটি মাঠায় নিয়ে এসে বাড়িতে রাখছে । আর সেই ধান সিদ্ধ করতে গিয়ে মায়েদের কি অবস্থা হচ্ছে তা না হয় নাই বললাম ।
কিন্তু ফলাফল কি ?? এক মণ ধান বেচে যখন এক কেজি মাছ আর তাকে সুসজ্জিত করার কিছু তেল, মশলাই কিনতে পারলো না তখন এই পরিশ্রমের দামটা কোথায় ?
সরকার কি করছে সেটা জানিনা । কিন্তু আমরা কি করতে পারলাম তাদের জন্য ! অথচ রিকশাওয়ালাটা যখন ৫ টা টাকা বেশি চায় তখন এ মেজাজটা চড়ক গাছে উঠে যায়, কাজের বুয়াটা কে মাস শেষে ৫০ টা টাকা দিতে সামর্থ্য থাকে না ।
উপদেশ দিতে যাবো না, আমরা সবাই বুঝি প্রচণ্ড গরমে রিকশা চালানোর কষ্ট , চুলার পাশে বসে থাকার যন্ত্রণা , কিংবা সূর্যটাকে পিঠে নিয়ে ধান কাটার কষ্ট ।
শুধু আমাদের ইচ্ছের অভাব, আসুন তাদের নিয়ে একটু ভাবি । তাদের জন্য একটু কিছু করি, তাদের প্রতি করুণা নয় বরং তাদের ন্যায্য হিস্যাটা বুঝিয়ে দেই ।
আসুন আজ থেকে একটা প্রতিজ্ঞা করি , কখনো দুর্বলের উপর অত্যাচার নয়, বরং তাদেরকে ভালবাসতে শিখবো , রিকশাওয়ালাটাকে ২ টা টাকা বেশি দিব ।
আসুন ভালোবেসে একটু পাশে দাঁড়াই , একটু হাতটা বাড়াই ।
২৫ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২০
মাহবুবুর রহমান শিমুল বলেছেন: আসলেই তাই । গরিব, দুখীদের অসহায়ত্ব দশা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ তাদেরকে শিক্ষিত করে তোলা । এবং সেই পথটি আগে নিশ্চিত করতে হবে । ধন্যবাদ ভাই রাসেল আহমেদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
রাসেল আহমেদ মাসুম বলেছেন: খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য শুধু একটাই মু্ক্তির উপায় আছে, আর তা হচ্ছে তাদের ছেলে- মেয়েদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং' মেধা যার চাকরি তার 'এই স্লোগানে কোটা সিস্টেমকে দু'পা দিয়ে লাথি মেরে মেধাবীদেরকে চাকরির যোগ্য আসনে বসানো। এ দেশে আজ পর্যন্ত কৃষক -শ্রমিকের নায্য হিস্যা পা্ওয়ার ইতিহাস নেই। তাদেরকে দু'টাকা ধরিয়ে দিলে মনে হয় তেমন কোনো লাভ হবে না, তবে দিলে ক্ষতি নেই। তারা চা সিগারেট বিড়ি খেয়েই টাকাগুলো শেষ করে দেবে কারণ অত্যন্ত সুকৗশলে তাদেরকে অসচেতন করে রাখা হয়েছে। তাই আমি মনে করি, গরিব মানুষের একমাত্র সম্পদ হচ্ছে ,পড়াশুনা করা,। এই পড়াশুনা ছাড়া সমাজের বৈষম্য কোনোদিনও দূর হওয়া সম্ভব নয়। ঘুষ, কোটা, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি অসভ্য বর্বরদের নীতি সমাজ থেকে দূর করে যোগ্য মেধাবীদেরকে দেশের সকল কর্মক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।এই দু'টি কাজ করতে পারলেই দেশ থেকে সব বৈষম্য দূর করা সম্ভব বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।