নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
১।
জয়নালের ঘুম আসছে না। বজলুকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেয়াটা ঠিক হয় নি। মনের খচখচানি যাচ্ছে না। শোবার মতো কোনো জায়গা পেল কি-না কে জানো ছোটখাট মানুষ বেশি জায়গার তো দরকার নেই। দুহাত জায়গা হলেই হয়। এই দুহাত জায়গাই বা কে কাকে দেয়। এই দুনিয়া খুবই কঠিন। দুই সুতা জায়গাও কেউ কাউকে ছাড়ে না। মায়া মহত বলেও কিছু নেই। অবশ্যি মায়া মহত না থাকার কারণ আছে। কেয়ামত এসে যাচ্ছে, কেয়ামত যত নজদিক হয় মায়া মহব্ৰত ততই দূরে চলে যায়। আল্লাহ পাক মায়া মহত উঠিয়ে নেন। দোষের ভাগি হয় মানুষ। অথচ বেচারা মানুষের কোনো দোষই নেই।
--গৌরীপুর জংশন
২।
তিথির কী হয়েছে সে নিজেও জানে না। সে শুধু জানে যে তার হাঁটতে ভাল লাগে। মতিঝিল থেকে টিপু সুলতান রোড, সেখান থেকে গেণ্ডরিয়া। গেণ্ডারিয়া থেকে সূত্রপুর। এত ভাল লাগে কেন হাঁটতে? শুধু মাঝে মাঝে হঠাৎ মেঘে মেঘে আকাশ যখন কালো হয়ে যায়, যখন চক্রাকারে আকাশে সোনালি ডানার চিল উড়তে থাকে। তখন কেন জানি সব ছেড়েছুড়ে ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। এমন কোনো ঘর যে ঘরে দুবাহু বাড়িয়ে কেউ-একজন অপেক্ষা করে আছে। যে ঘরে পা দেয়া মাত্র বলবে মেঘলা দিনে কোথায় কোথায় ঘুরছিলে বল তো? তিথি হাসবে। সেই মানুষটা কোমল অথচ রাগী গলায় বলবে, হাসবে না তো। হাসির কোনো ব্যাপার না। দেখ না। কেমন ঝড় শুরু হল। এই দিনে কেউ বাইরে থাকে? তিথি বলবে, হোক ঝড়; এস না। আমরা খানিকক্ষণ ভিজি।
তুমি কী পাগল হলে তিথি?
হ্যাঁ পাগল হয়েছি। এস তো।
তিথি সেই মানুষটাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবে। লোকটি যতই রাগ করবে সে ততই মজা পাবে। কিন্তু তিথির জন্যে তেমন কেউ অপেক্ষা করে নেই, কোনোদিন করবেও না। তার জন্যে অপেক্ষা করবে বিশাল আকাশ। যে আকাশ সবার জন্যেই অপেক্ষা কবে। আবার কারো জন্যেই করে না।
--- জনম জনম
৩।
হাঁটতে হাঁটতে হাসান আকাশের দিকে তাকাল। আকাশে মেঘ জমতে শুরু করেছে। কে জানে আজও হয়তো বৃষ্টি হবে।
হাসানের ইচ্ছা করছে কোনো জনমানব শূন্য দ্বীপে নতুন কোনো প্রজেক্ট শুরু করতে। দ্বীপটার নাম দেয়া যাক মায়া দ্বীপ। সেই দ্বীপে শুধুই কদম গাছ থাকবে। বর্ষায় ফুটবে কদম ফুল।
কোনো এক আষাঢ় সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে। হাসান বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কদম বনে ঘুরে বেড়াবে। সে খুঁজে বেড়াবে তার প্রিয় মুখদের। যেহেতু দ্বীপের নাম মায়াদ্বীপ কাজেই খুঁজলেই সব প্রিয়জনদের সেখানে পাওয়া যাবে। তাদের খুব কাছে যাওয়া যাবে না। কিন্তু তাদের পায়ের শব্দ পাওয়া যাবে। প্রিয় পদরেখা দেখা যাবে। শোনা যাবে তাদের চাপা হাসি। হাসান যখন ডাকবে— বাবা অন্তু তুমি কোথায় গো? তখন কোনো কদম গাছের আড়াল থেকে অন্তু বলবে, আমি এখানে।
হাসান আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশে বৃষ্টি ও মেঘমালা।
--- বৃষ্টি ও মেঘমালা
৪।
লেখকরা কল্পনা করতে খুব ভালোবাসেন। আমার কল্পনা করতে ভালো লাগছে–হাসপাতালের জানালা থেকে যে মেঘটা দেখা যাচ্ছে সেই মেঘই এক সময় ঢেকে দিয়েছিল তিতলী এবং শওকতকে।
মানুষের কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুব একটা হয় না। কল্পনা করতে ভালো লাগে। হাসানের অসুখ সেরে গেছে। সে শুরু করেছে আনন্দময় একটা জীবন। বুড়িগঙ্গায় নৌকায় করে ঘুরতে গিয়েছে। নদীতে খুব ঢেউ উঠেছে। চিত্ৰলেখা ভয় পেয়ে বলছে, এ কোথায় নিয়ে এলে? আমি তো সাঁতার জানি না। নৌকা এমন দুলছে কেন? নৌকার মাঝি হাসিমুখে বলছে, টাইট হইয়া বহেন আফা, আমি আছি কোনো চিন্তা নেই।
খুব সহজে কল্পনা করা যায়, তারেক ঘর গোছাতে গিয়ে হঠাৎ ড্রয়ারে খুঁজে পেয়েছে রীনার লেখা চিঠি-চিঠিটা খুব ছোট্ট। রীনা লিখেছে, ‘তুমি কোনোদিন জানবে না, আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।’ চিঠি পড়েই তারেক বের হলো। যে করেই হোক রাগ ভাঙিয়ে রীনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয় না। বাস্তবের রীনা ফিরে আসে না। বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গার জলের ওপর চিত্রলেখার দেখা হয় না। তবে বাস্তবেও সুন্দর সুন্দর কিছু ব্যাপার ঘটে। যেমন–লিটনের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়। লিটন তার বন্ধু হাসানের পাঠানো দুটো নাম থেকে একটি নাম তার মেয়ের জন্যে রাখে। দুটি নামের কোনোটাই তার পছন্দ না–তিতলী, চিত্রলেখা । তারপরেও সে মৃত বন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মেয়ের নাম রাখল–চিত্রলেখা ।
জীবন বয়ে চলবে। আবার এক নতুন গল্প শুরু হবে নতুন চিত্ৰলেখাকে নিয়ে। কোনো এক লেখক লিখবেন নতুন গল্প, আশা ও আনন্দের অপূর্ব কোনো সঙ্গীত।
--- মেঘ বলেছে যাব যাব
৫।
বাবা রাগ করে উঠে চলে গেছেন। তারপর অনেকদিন তার সঙ্গে আমার দেখা হয় নি। যেসব জায়গায় তাকে সাধারণত পাওয়া যায় তার কোনোটিতেই তিনি নেই। কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, হাইকোর্টের মাজার, হন্টন পীরের দরবার।
এক বর্ষায় আবার তার সঙ্গে দেখা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বেঞ্চিতে জবুথবু হয়ে বসে আছেন। আমি পাশে বসলাম। নরম গলায় বললাম, কেমন আছ বাবা? তিনি নিচু গলায় বললেন, প্রচণ্ড ক্ষিধে লেগেছে, কিছু খাওয়া তো।
আমি বার্গার কিনে নিয়ে এলাম। তিনি আগ্রহের সঙ্গে বার্গারে কয়েকটা কামড় দিয়ে বার্গার আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন। কোমল গলায় বললেন, জিনিসটা ভালো বানিয়েছে— এক কামড় খেয়ে দেখ।
এই সময় বর্ষার ভেজা ঠাণ্ডা হাওয়া আমাদের ওপর দিয়ে বয়ে চলে গেল। বাবা বিড়বিড় করে বললেন, আহারে, কী মিঠা লিলুয়া বাতাস!
---লিলুয়া বাতাস
একজন জাদুকরের কয়েকটি মন্ত্র (পর্ব -১)
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি আসলে কোন সিরিয়াল মেনটেইন করিনি। তবে সিরিয়ালের প্রথম অংশ মানে গৌরীপুর জংশন আমার এই পোষ্টের সব থেকে প্রিয় বই। এই বইয়ের আরো কিছু অংশ আগামীতে পোস্ট করবো। ধন্যবাদ ভালো আপনাকে।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখানে পোষ্ট করা প্যারাগ্রাফগুলো আপনার লেখা, নাকি হুমায়ুন আহমেদের লেখা?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এক লাইন আমার না।
এটা লেখার একটা কারণ আছে। ব্লগে হাবিজাবি অনেক কিছুই পোস্ট করি। মাঝে মাঝে হুমাযুন আহমদের বইয়ের পছন্দের অংশ গুলো টুকে রাখতে ইচ্ছা হয়। কয়েক বছর আগে যখন হুমায়ুন আহমেদের বই পড়তাম তখন সেই বইয়ের পছন্দের অংশটুকু টুকে রাখতাম আমার নোটবুকে। এখন আর হাতে লেখা হয় না , ব্লগটাকেই সংগ্রহশালা বানাচ্ছি। বলতে পারেন নিজের জন্যেই। এখানে মন্তব্য আসে , দুয়েকটা কথা বার্তার হয়... ভালোই লাগে।
অবসরে চোখ বোলানো যায়।
ভালো থাকবেন স্যার। অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার প্রয়াস
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। আগামীতে অন্যভাবে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের জাদুকরী পর্বটি। হঠাৎ করে বিশেষ একটি অংশ তুলে ধরায় একটু অসুবিধা হয়েছে ঠিকই কিন্তু মোটের উপর ভালো লেগেছে। এমন শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা প্রিয় সৌরভ ভাইকে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আগামীতে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করবো। অনেক বাকি আছে জাদুকরের ঝুলিতে।
ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকবেন।
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: আমিও একজন হুপা মানে হুমায়ুন পাঠক।
+++
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
একসময় উনার লেখা পছন্দের লাইন গুলো নোট বুকে টুকে রাখতাম। আর এখন ব্লগে রাখছি। ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।
তুলনা হয় না।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আসলেই , জাদুকরের কোন তুলনা নেই ! ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
ইসিয়াক বলেছেন: গৌরীপুর জংশন আমার খুব প্রিয় উপন্যাস। এর জন্য একটা কারণও আছে অবশ্য ।
সালটা ঠিক মনে নেই বন্ধুদের সাথে বইমেলাতে গেলাম। একবন্ধু বলল “হুমায়ুন আহমেদের বই কিনবি।
হুমায়ুন আহমেদ অটোগ্রাফ দিচ্ছে” ।
বই কিনলাম। হুমায়ুন আহমেদ স্যার আমায় জিজ্ঞেস করলেন কি নাম। আমি নাম বললাম।
উনি লিখলেন।” অপূর্ব তুমি আমার শুভেচ্ছা নাও”। আমার ডাক নাম অপূর্ব।
বইটা অনেকদিন আমার কাছেই ছিলো। এক বান্ধবী বইটা পড়তে নিয়ে আর ফেরত দেয়নি ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
গৌরীপুর জংশন আমারো ভীষণ খুব প্রিয় উপন্যাস!
বই কাউকে পড়তে দেয়া ঠিক না। হুমায়ুন আহমেদ মোটামুটি ১০০ টা বই হাওয়া হয়ে গেছে আমার।
ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই।
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো উদ্যোগ । সফলকাম হোন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আসলে এই পোস্টটা নিজের জন্যেই বলতে পারেন। ইচ্ছে হলে চোখ বোলাতে পারবো। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।
ভালো থাকবেন।
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ স্যার বাংলা সাহিত্যে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী লেখক। তাঁর লেখাগুলোর অংশবিশেষ পোস্ট না দিয়ে আপনার নিজের মৌলিক লেখা পোস্ট দিন। হুমায়ূন স্যারের খুব কম লেখাই আছে, যা পাঠকরা পড়েননি।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
মন্তব্যে এবং পরামর্শে অনেক ধন্যবাদ স্যার। আসলে এই পোস্টটা নিজের জন্যেই বলতে পারেন। ইচ্ছে হলে চোখ বোলাতে পারবো। একসময় উনার লেখা পছন্দের লাইন গুলো নোট বুকে টুকে রাখতাম। আর এখন ব্লগে রাখছি।
ভালো থাকবেন।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৮
হাবিব বলেছেন: জাস্ট গ্রেট .........
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ধন্যবাদ হাবিব ভাই। শুভেচ্ছা।
১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১৭
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: প্রিয় লেখককে নিয়ে লেখা। আগামীকাল পড়ে মন্তব্য জানাবো। এখন ঘুমাই। শুভ রাত্রি ভাইয়া...
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
প্রিয় লেখক কে নিয়ে নয় , আসলে প্রিয় লেখকেরই লেখা।
ধন্যবাদ ভাই। শুভ সকাল।
১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাদুকরি মন্ত্রই বটে...
আহা
কত হৃদয় যে উতল হয়েছে
স্বপ্নে ভেসেছে
হিমু হয়েছে কে তার খবর রাাখে...?
প্রিয় মানুষের প্রিয় কথাইতো সবচে যাদুকরি মন্ত্র
+++++
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্যে সীমাহীন ভালো লাগা রইলো প্রিয় বিদ্রোহী ভালোবাসা !
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩১
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: হুমায়ূনের লেখার মধ্যে এক ধরণের ম্যাজিক আছে। যা পাঠককে আকর্ষণ করে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। এই জাদুকরের কোন তুলনা নেই ! মন্ত্রমুগ্ধ আমরা।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: ৪ নাম্বারটা মাথা নষ্ট করে দেয়! কীভাবে লিখে এত দারুন দারুন লাইনগুলি?
বাংলা সাহিত্যে কী আরেকটা হুমায়ূন আহমেদ আর কখনই আসবে?
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয় না।জীবন বয়ে চলবে। কোনো এক লেখক লিখবেন নতুন গল্প, আশা ও আনন্দের অপূর্ব কোনো সঙ্গীত।
-- নাহ ! আর কেউ লিখবে না প্রিয় নীল আকাশ ভাই।
ভালো থাকবেন আপনি। অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: ভালো লাগা জানবেন ভাই
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ নিন।
১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ, ভেবেছিলাম আপনার লেখা এটা। এখন দেখি এইটা হুমায়ূন আহমেদেররই লেখা। বইয়ের অংশ....
আপনার এখান থেকে দুইটা বই পড়া হয়েছে।
গৌরীপুর জংশন এবং মেঘ বলেছে যাব যাব।
মেঘ বলেছে যাব যাব আমার খুব প্রিয় একটা বই। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের মধ্যে এইটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় বই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। গৌরীপুর জংশন অসাধারণ একটা বই।
ভালো থাকবেন।
১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
নিভৃতা বলেছেন: আমিও এক সময় ভালো লাগা লাইনগুলো ডায়রির পাতায় টুকে রাখতাম। এখন আর রাখা হয় না। বইই পড়তে পারি না, লাইন টোকা তো দূরের কথা।
ভালো লাগলো খুব লেখাগুলো।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমাদের মত অভ্যাস হয়তো অনেকের ছিল। সেই অভ্যাসের প্রতিফলন এই পোস্ট। ভালো থাকবেন। মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা। ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: এখানে আপনি যে সিরিয়াল দিয়েছেন (গৌরীপুর জংশন-লিলুয়া বাতাস) সেভাবেই হুমায়ুনের লেখার গ্রাফ নিচের দিকে গেছিলো। গৌরীপুর জংশন, তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে, অনীল বাগচির একদিন, তোমাকে, দরজার ওপাশে, বৃহন্নলা, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, আমার আপন আধার, ময়ুরাক্ষী, নির্বাসন, সূর্যের দিন, ইরিণা, মে ফ্লাওয়ার, হোটেল গ্রেভারইন, আয়নাঘর বা আরো আরো বইগুলোর পাশে শেষ দিকের বইগুলো রাখাটা খুবই বৈশাদৃশ্য তৈরী করে। কেবল মধ্যাহ্ন বা জোৎস্না ও জননীর গল্পই পুরোনো ধারাগুলোকে মনে করিয়ে দেয়।
এতকিছুর পরও তিনি আমার পছন্দের লেখক, প্রিয় মানুষ। এ দেশের মধ্যবৃত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি তাঁর চেয়ে ভালোভাবে কোনো সাহিত্যিকই বুঝতে পারেনি।
ভাল্লাগলো। লেখাটি। ভালো থাকবেন।