নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি \'স্মৃতিকাতরতা \' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।

স্বপ্নবাজ সৌরভ

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......

স্বপ্নবাজ সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাবাতিয়ান লাল পাথর

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৬



আরব সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনের সময়কার কথা । সেই সময়টিতে ছিল নাবাতিয়ান নামক এক যাযাবর জাতির দৌরাত্ম্য। তবে ইতিহাসবিদদের কাছে নাবাতিয়ানদের সম্পর্কে খুব একটা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় না। ইতিহাসবিদদের মতে নাবাতিয়ানরা ছিলেন অসম্ভব সৃষ্টিশীল , প্রতিভাধর , কল্পনাশক্তির অধিকারী সেইসাথে পরিশ্রমী এক জাতি। তাদের হাতের কাজ ছিল অসামান্য এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা বিশাল পাথর খোদাই করে অনবদ্য স্থাপনা তৈরি করতে পারতো । তারা যাযাবরের মত ঘুরতে ঘুরতে তৎকালীন পেত্রা স্থানে বসবাস শুরু করে। বিশাল বিশলা পাথরে তাদের অনবদ্য শিল্প শৈলীর মাধ্যমে স্থাপনা তৈরী করতে থাকে। ধীরে ধীরে বিশাল বিশাল বেলে পাথরের পাহাড় কেটে বাড়িঘর বা প্রাসাদ তৈরি করতে থাকল তারা। এভাবে চলতে থাকলো তাদের সৃষ্টিশীল নির্মাণ শৈলী এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে পেত্রা হয়ে উঠল নাবাতিয়ান সাম্রাজ্যের রাজধানী ।



অসম্ভব সুন্দর নির্মাণশৈলী এবং অবস্থানগত যোগাযোগ সুবিধা জন্য পেত্রা খুব অল্প সময়ের মধ্যে অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী হয়ে ওঠে।
ইতিহাস বলে সেই পেত্রা নামক স্থানটি পরবর্তীতে পেত্রা নগরীতে রূপ নেয়। পৃথিবীর ইতিহাসে জন্ম নেয় এক শৈল্পিক সৃষ্টিশীল সভ্যতা।
নাবাতিয়ান এর মধ্যে ছিল শিল্প শৈলী , শিক্ষা , সাহিত্য , প্রকৌশল এমন কি জ্যোতির্বিজ্ঞানে দক্ষতা। এইসবের সমন্বয়ে তারা নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ , দক্ষ এবং উন্নত করতে লাগলো। আর কোন দেশ বা জাতি যখন উন্নতির দিকে ধাবমান হতে থাকবে তখন অন্য জাতির রোষানলে পড়তে হবে। নাবাতিয়ান সভ্যতা এর ব্যতিক্রম নয়।

ধীরে ধীরে নিজেদের আরো উন্নত করতে থাকে নাবাতিয়ানরা। পেত্রা নগরী কে রেখেছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। পেত্রার চারধারে ছিল উঁচু পাহাড় আর একটি অফুরন্ত ঝরণাধারা। আধুনিক নাগরিক সুবিধা ।ছিল নগর রক্ষক আর সেনবাহিনীর জন্য ব্যারাক।মরুভূমির উপর দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার প্রধান সব বাণিজ্যিক পথগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করত পেত্রা।



কি ছিল না পেত্রা নগরীতে ? তাদের সর্বোচ্চ স্থাপত্য মেধা কাজে লাগিয়ে ছিল তারা।
প্রাচীন এ নগর রাজ্যে ছয়তলা ভবন ছিল, যার ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান।বড় বড় মূর্তি স্থাপিত মন্দির, লাইব্রেরি , বাড়িঘর, ১০ থেকে ১৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ষ্টেডিয়াম , ৩০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন থিয়েটার ! পেত্রার বাইরের স্থাপত্য যেমন সুন্দর তেমনি অন্দরমহল ও ছিল নজরকাড়া।
একটি জিনিস স্পষ্ট যে , অন্য সভ্যতায় যখন ধর্মীয় স্থাপনা কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় সেখানে নাবাতিয়ান প্রাধান্য দিয়েছে শিক্ষা , সাহিত্য , বিনোদন কে।

আরো ছিল প্রায় ১০,০০০ স্কয়ার ফিট আয়তনের একটি বিচারালয়। এ বিচারালয়ে ছিল বিচারকের বসার স্থান, যুক্তিতর্ক উপস্থানের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের জন্য নির্ধারিত স্থান। তারমানে আজকের দিনের বিচারালয়ের মত। বাদী/বিবাদীর জন্য আলাদা আলাদা স্থান , বিচার দর্শনার্থীদের জন্য বসার স্থান ।



তারা গুহার মধ্যে স্মৃতিস্তম্ভগুলো স্থাপন করে ছিল।গুহার পাশেই সবচেয়ে বিখ্যাত ‘খাজনেত ফিরাউন’ নামের মন্দির। মন্দিরটি ফারাওদের ধনভাণ্ডার নামেও পরিচিত । সর্বোপরি বিশালতা , স্থাপত্য-ভাস্কর্য এবং শিল্পশৈলীর ছোঁয়ায় বিখ্যাত এই নগরী তথা নাবাতিয়ান সভ্যতা । পেত্রার মসলা ছিল পৃথিবী বিখ্যাত। পেত্রা থেকে গ্রীস , চীন ও ইজিপ্টে মসলা রপ্তানি করা হত।এতে নাবাতিয়ানরা অর্থনৈতিকভাবে আরো সমৃদ্ধ হতে থাকে। ধনী হয়ে উঠা নাবাতিয়ানরা নগরীকে গড়ে তুলতো সৃষ্টিশীলতায়। অর্থ কাজে লাগানোর শৈল্পিক ব্যবহার তারা জানতো। তারা উপভোগ করতো সাহিত্য , ক্রীড়া , বিনোদন। ভালোবাসত প্রফুল্লতা। কথার ছিল সুরক্ষায়। আস্থা ছিল বিচার ব্যবস্থায়।

নাবতিয়ানরা মরুভূমির মধ্যে কৃত্রিমভাবে জলের ব্যবস্থা করেছিল। জল সংরক্ষণ করার জন্য বাঁধ তৈরি করেছিল । পেত্রা নগরীর এমন অভূতপূর্ব উন্নতি রোমান সম্রাটদের চোখ এড়ায়নি। তৎকালীন মহাশক্তিধর রোমান সম্রাটদের প্রতিহত করার ক্ষমতা নাবতিয়ানদের ছিল না । সেই সুযোগে ১০৬ খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট ট্রোজান পেত্রা দখল করে ।



ধীরে ধীরে নাবতিয়ান এর সাথে মিশে যেতে থাকে রোমান শৈলী। নাবতিয়ানরা নিজস্বতা হারায়। নাবতিয়ানদের ধর্ম নিয়ে কোথাও খুব বেশি চর্চা পরিলক্ষিত হয় না। ধারণা করা হয় এরা ‘দুশরা’ নামক এক দেবতা / দেবী ‘আল উজা’র পূজা করত। পরবর্তীতে পেগান ধর্ম গ্রহণ করে।রোমান সম্রাটদের হাত ধরে পেত্রায় খ্রিস্টধর্মের প্রবেশ ঘটে। মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয় চার্চ।



রোমান অধীনস্থতায় কমতে থাকে উন্নতির ধারা। রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে পেত্রার অবনতি ঘটতে থাকে। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে রোমানদের সমুদ্রপথে বাণিজ্য করাকে দায়ী করা হয়। কালের বিবর্তনে পেত্রার অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়তে থাকে।হুমকির মুখে পরে নাবতিয়ান সভ্যতার শৈল্পিকতা। ধ্বংসের ধাক্কাটা দেয় এক ভয়াবহ ভুমিকম্প। ভেঙে পড়ে শহরের ঘরবাড়ি, চার্চ, মন্দির। ভেঙে পড়ে জল সরবরাহ ব্যবস্থা। স্তব্ধ হয়ে পড়ে পেত্রা। নাবতিয়ান সভ্যতার শৈল্পিকতা , সৃষ্টিশীলতা , শিল্পশৈলী , অনন্য স্থাপত্যকলা , অনিন্দ্য পেত্রা নগরী অবশেষে ঠাঁয় নেয় ইতিহাসের পাতায়।

কালের গহবরে আর সভ্যতার বিবর্তনে চাপা পড়া এই অজানা সভ্যতাকে অনেক বছর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে উম্মোচন করেন সুইস পরিব্রাজক জোহান লুইডইগ বুর্কহার্ট।


১৮১২ খ্রিস্টাব্দে তিনি পড়ি জমান জর্ডানের উদ্দেশ্যে। সেই বছরই ঘুরতে ঘুরতে একদিন মরুভূমির মধ্যে এক প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষের সামনে এসে থমকে দাঁড়ান জোহান। শহরটির স্থাপত্য-ভাস্কর্য শিল্পশৈলী দেখে মুগ্ধ হন জোহান।অভিজ্ঞ ঐতিহাসিক বুঝে গেলেন তিনি দাঁড়িয়ে আছেন আশ্চর্য অপুরূপ এক শহরের ধ্বংসাবশেষের সামন। যে শহরে ছিল শিক্ষা , সাহিত্য , শিল্প শৈলী , আর অনন্য সৃষ্টিশীলতা।


শহরটার নাম - পেত্রা। পেত্রা’ শব্দের অর্থ হল পাথর। নাবাতিয়ান সভ্যতার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি লাল পাথরের শহর পেত্রা। লাল পাথর দিয়ে তৈরি বলেই হয়তো এই শহরটির নাম করা হয় পেত্রা। তবে পর্যটকরা ভালোবেসে এই শহরকে ‘রেড রোজ সিটি’ নামেও ডাকে। তবে যে নামেই ডাকুক না কেন , তিলে তিলে গড়ে ওঠা এই অপরূপ মানব সভ্যতা আজও সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যেন লাল পাথর হয়ে। নাবাতিয়ান লাল পাথর।



১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে পেত্রাকে। এ ঘোষণায় পেত্রাকে বলা হয় “মানব সভ্যতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলোর একটি”। এছাড়াও ২০০৭-এ পৃথিবীর নতুন সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পেত্রা।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
তথ্য সূত্রঃ
The "Lost City"

Petra

unesco

The PETRA PROJECT

**রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে মাত্র দুইশত বছরের মাথায় পেত্রা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধিভুক্ত হয়।বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ইতিহাস পরে একদিন বলা যাবে। এইধরনের পোস্ট এটাই প্রথম। এর আগে কখনো লেখা হয়নি। বিশেষ ধন্যবাদ এবং অনুপ্রেরণায় -- প্রিয় ব্লগার শের শায়েরী ভাই।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৯

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:

এ ধরনের পোষ্ট বরাবরই উপভোগ্য হয়। শের শায়েরী ভাইয়ের পোষ্টের জন্য তাই অপেক্ষা করি।
আপনার লেখাটিও সুন্দর হয়েছে। তবে, শুরুতে বর্তমান পেত্রার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে আর একটু
বিস্তারিত হলে আমার মনে হয় আরও নিখুত হতো-

শুভকামনা ভাই, এ রকম আরও পোষ্ট আশা করছি-

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

আপনাদের পরামর্শ ভীষণ কাম্য প্রিয় ব্লগার।
পরবর্তীতে পরিপূর্ন করার চেষ্টা থাকবে এবং আরো বেশি সময় দেব লেখার পিছে , তথ্য সংগহের পিছে। কারণ ইতিহাস তো তথ্য নির্ভর , স্থান নির্ভর দিন নির্ভর , সাল নির্ভর ।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুরু হিসাবে চমৎকার হয়েছে। চলতে থাকুক আপনার অনুসন্ধান আর সেইসাথে সমৃদ্ধ করতে থাকুন সামু'র সংগ্রহশালা। তবে পরেরবার খেয়াল করে আরো বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবেন।

পেট্রা ভ্রমন আমার অনেকদিনের পুরানো স্বপ্ন। তবে এর সাথে আমি মিশরকে যোগ করায় বিভিন্ন কারনে হয়ে উঠছে না। আমার মিশর-জর্ডান যাত্রা একদিন হবেই ইনশাআল্লাহ......যদি বেচে থাকি।

আপনার আরো পোষ্ট পড়ার / দেখার অপেক্ষায় রইলাম। :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় ব্লগার ,
আপনার পরামর্শ /মতামত পেয়ে ভালো লাগলো।অনুপ্রেরণা পেলাম। পরবর্তীতে আরো ভালো লেখার চেষ্টা থাকবে।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পাঠ আর লাইকে কৃতজ্ঞতা। :)
আপনার পেট্রা ভ্রমণের পুরানো স্বপ্ন টা পূরণ হোক। শুভকামনা রইল।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

ময়ূরী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন,
শুভ কামনা রইলো।।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। ব্লগে স্বাগতম জানাই। আপনার ব্লগ যাত্রা শুভ হোক , সমৃদ্ধ হোক। শুভকামনা রইল।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: একদিন এসব জাগায় যাবো। নিজের চোখে সব দেখে আসবো।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:


আমার যাওয়া হবে না। :(
ভালো থাকবেন রাজীব ভাই। মন্তব্যে ভালো লাগা।
আপনার ইচ্ছা পূরণ হোক। নাবাতিয়ান লাল পাথর দেখা দিক।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লিখা পেত্রা নগরী নিয়ে । পড়ে অনেক কিছু জানলাম নাবাতিয়ান জাতি ও সাম্রাজ্য সম্পর্কে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ নিন। পাঠ আর মন্তব্যে প্রেরণা পাই। ভালো থাকবেন। পেত্রা নিয়ে আমার আরো জানার ইচ্ছা। অনেক পড়তে হবে। ভালো থাকবেন।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: কি দারুন লিখনশৈলী। মনে হল চোখের সামনে ভেসে উঠছে সব। অবশ্য এনিয়ে কারো দ্বিমত নেই যে আপনি একজন শক্তিমান শব্দ ব্যাবহারী।

পেত্রা নিয়ে কিছু পড়া ছিল। নাবাতিয়ান দের সন্মন্ধ্যে ভাষা ভাষা। আজকে সেই ভাষা ভাষা জ্ঞান কে শক্ত ভিত দিলেন। আমাকে লজ্জায় ফেলে দিলেন সৌরভ ভাই অনুপ্রেরনায় আমার নাম দিয়ে, আমি তো এখান ওখান থেকে জোড়া তালি দিয়ে পোষ্ট দেই মাত্র। দেখুন এই টাইপের প্রথম পোষ্ট ই কত দারুন উপস্থাপনা, আর দু একটা লিখলে হাত খোলতাই হয়ে গেলে সামু একজন শক্তিশালী ইতিহাস ভিত্তিক লেখক পাবে যাদের মুল অনুপ্রেরনা প্রয়াত ইমন ভাই।

অভিনন্দন জানুন। আরো এই টাইপের পোষ্ট দিন আপনার কবিতা এবং অন্যান্য টাইপের পোষ্টের পাশাপাশি। আর পোষ্টে আমার নাম উল্লেখ্য করায় কৃতজ্ঞতা জানুন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

প্রথমেই প্রিয় ইমন জুবায়ের ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। উনাকে খুব মিস করি।

একসময় উনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকতাম। আর এখন যেমন আপনার ব্লগের অপেক্ষায় থাকি। তাই অনুপ্রেরণায় আপনার নাম দিয়ে ভুল করিনি। এইসময়ে আরো একজন আছেন - রূপম রিজওয়ান , উনার পোস্ট গুলো অনবদ্য। । ইতিহাস , উপকথা নিয়ে আমার প্রচন্ড আগ্রহ থাকলেও লিখতে সাহস পাই না। । আপনাদের মন্তব্য আর মতামত সাহস যোগাবে ।

ভালো থাকবেন অনেক। শক্তিশালী ব্লগারদের লেখনীতে ব্লগ সমৃদ্ধ হোক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

নতুন বলেছেন: পেট্রা আর ডেড সী দেখার ইচ্ছা আছে। :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ইচ্ছা পূরণ হোক !! শুভকামনা।
পাঠ ও মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।
ভালো থাকবেন।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শের শায়রী ভাইয়ের লিঙ্ক ধরে এলাম ; চমৎকার লেখা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ বুবু !! :)
পাঠ আর মন্তব্যে অনুপ্রেরণা কুড়িয়ে নিলাম।
প্রিয় শের শায়রী ভাইয়ের জন্য অনেক ভালোবাসা।

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখে লগ ইন না করে পারলাম না!
দুর্দান্ত পোস্ট!
:) :) :)
অনেক অনেক শুভকামনা!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

এই অনেক ধন্যবাদ দিন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যে। আপনার পোষ্টের বিশেষ ভক্ত আমি। ভালো থাকবেন।

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫০

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভাল লাগলো, খুবই ভাল। এই রকম পোষ্ট আরও চাই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

অনুপ্রেরণার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ভালো থাকবেন অনেক।

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,




ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে এটা আপনার প্রথম লেখা বলেই সম্ভবত আপনার কবিতার মতো তরঙ্গায়িত হয়নি। তবে আশাবাদী, আগামীতে আরও ঝরঝরে লেখা পাবো।
ঐতিহাসিক লেখাগুলোতে সন-তারিখ, স্থানের অবস্থান উল্লেখ থাকলে অতীতের সাথে মিশে যাবার আমেজ পাওয়া যায়। সময় নিয়ে তথ্যগুলো বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে ঝালাই করে নেবেন। তারপরে পাথর খুঁড়ে যেমন পেত্রা নগরী গড়ে উঠেছে শৈল্পিক ভাবে তেমনি কাহিনী খুঁড়ে খুঁড়ে গড়ে তুলবেন লেখার কারূকাজময় শরীর।

শুভেচ্ছান্তে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

আহমেদ জী এস স্যার ,

লেখা কেন জানি আমার কাছেও খুব একটা ভালো লাগেনি। বেশ কয়েকবার চোখ বুলিয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম ইতিহাসটা গল্পের মত বয়ে যাক। লেখায় ঘাটতি টা কোথায় এটা আমি নিজে ধরতে না পারলেও আপনাদের চোখে ঠিকই ধরা পড়েছে এবং আনন্দের বিষয় যে সেই মোতাবেক আপনি আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। ব্লগে এটাই কাম্য। অনেক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
এইধরণের পোস্ট আমার এটাই প্রথম , পরবর্তীতে পরিপূর্ন করার চেষ্টা থাকবে এবং আরো বেশি সময় দেব লেখার পিছে , তথ্য সংগহের পিছে। কারণ ইতিহাস তো তথ্য নির্ভর , দিন নির্ভর , সাল নির্ভর । ভালো থাকবেন স্যার।
পোস্টটিকে লাইক নিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত করতে ভোলেননি !! কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি কিভাবে ? :)

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখাটিও সুন্দর হয়েছে।
বেশ তথ্য সমৃদ্ধ লেখা পেত্রা নগরী নিয়ে। ছবিগুলিও খুব সুন্দর হয়েছে।
শের শায়েরী ভাইয়ের পোষ্টের মতো আপনার কাছ থেকেও এইধরণের পোষ্ট পাবার আশায় থাকবো।
শুভ কামনা রইলো।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

এই ধরণের পোস্ট দেয়ার চেষ্টা থাকবে প্রিয় নীল আকাশ ভাই। আপনার মন্তব্য স্পৃহা বাড়ায়। ভুল - ভাল সংশোধন আর পরামর্শের জন্য আপনার যে আছেন এটাই বিশাল সাহস আমার। ভালো থাকবেন।

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
লিখতে থাকুন। সাথেই আছি।
শুভকামনা রইলো।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি না লিখলেও আপনি আমার সাথেই থাকবেন প্রিয় ভাই , আমি জানি !! :)
ভালো থাকবেন। একদিন বেনাপোল এক্সপ্রেস হয়তো আপনার বাড়ির সামনে থামবে।

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কোথায়? কারোই মন্তব্যের উত্তর দেন নি!!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

এই যে আছি তো ! নিন এবার মন্তব্য গুলা পড়ুন।
অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই। :)

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
জানলাম। বুঝলাম।

ভালো থাকুন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

করুণাধারা বলেছেন: ইতিহাস নিয়ে আপনার প্রথম পোস্ট, কিন্তু রাশিয়ান গল্পের মতোই মনকাড়া হয়েছে। লিখতে থাকুন আরো এমন লেখা, কিন্তু রাশিয়ান গল্প বলা বাদ দেবেন না।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ইতিহাস নিয়ে খুব বেশি লেখা হবে না। আর রাশিয়ান শৈশব কোনভাবেই ছাড়ার নয় !! :)
মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা। ভালো থাকবেন।
রাশিয়ান শৈশব নিয়ে আসবো শীঘ্রই । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.