নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
অপরাধী হয়ে জীবনটাই শেষ করে দেবো
চোয়াল শক্ত হতে হতে চোয়াল চূর্ন হয়ে যাবে!
অপরাধের ভারে সর্বদা পিঠ টান করা কোমড় একদিন নুয়ে পড়বে,
যে পেশীর কথা আমি বার বার বলি
অনবরত রক্ত ক্ষরণ হয় ভেতরে ভেতরে,
সমূদ্র স্রোতের ন্যায় বহমান আমার রক্ত শিরা
প্রতিশোধের আগুনে টগবগ করে ফুটবে বলে,
শেষমেষ হাতিয়ার শুন্য আমার জীর্ন দুহাত ক্রমশই
ঘুনে খাওয়া পলেস্তারার মত খসে পড়বে!
আমি বলছি না, যে এখানেই শেষ!
তবু আমি বলছিনা এখানেই শেষ।
বলছি না বিদ্রোহীচেতা মনের কবর সুনিশ্চিত!
শুধু স্ফুলিঙ্গ উসকে দিয়ে দাবানল করো ,
বলেছি তো,
এইটি দেশলাইয়ে কাঠি আর বারুদের আলতো ছোঁয়া
ওতেই হবে!
দেখো আমি জেগে উঠবো। অপরাধী হয়ে আর কত দিন?
আমি ভয় পাচ্ছি কমরেড
অনবরত দেরী হয়ে যাওয়ার মত ভয় পাচ্ছি
যে আগুন জ্বলবো জ্বলবো করেও জ্বলছে না, সেই আগুনে
উষ্ণতা চাওয়াও পাপ !
আমাদের শেষ হাতিয়ার ওরা হাতিয়ে নেবে বলে দিয়েছে
হাতের আঙ্গুল গুলো তীক্ষ্ন ধারালো ছুড়িতে খন্ডিত করবে
দু আঙ্গুলে কলম ধরা শিশু কালের অভ্যাস!
ঐ আঙ্গুল গুলো রাখবে না আর!
যদি আচমকা জল স্রোতে দেশলাইয়ের কাঠি গুলো
অনায়াসে ভিজে যায়...তখন!
আমি বলছি না হবে, আমি বরং আশা করতে ভালোবাসি
কবির হাত কখনো শিকলে বাঁধা থাকেনি,
কবির ছিন্ন ভিন্ন হাতের দিকে তাকিয়ে
কবি এ কথাই বলেছিলো!
ভেবে দেখেছেন কমরেড,
নিজেদের সভ্যর মিথ্যে চাদরে ঢেকে, আদিমতা কে বর্বর বলি
কতটা নিষ্ঠুর আর পাশবিক হতে পারি আমরা!
কি ভাবছেন কমরেড?
রাত্রির অন্ধকারে, গ্রাম দেশে শুকনো পাতায়
যে আগুন জ্বালাবো বলে
রক্ত ঝরিয়েছি কলমে, হাতিয়ার শূন্য হাতে
গেয়ে চলেছি বিপ্লব, সংগ্রামীচেতা বিদ্রোহী মনে
বজ্রাঘাত করি আরেকবার,
আরেকবার বিপ্লবী কন্ঠে স্ফুলিঙ্গ হয়ে ছুটুক
রোশের দামামা ।
দাবানল ছুটবে, আগুনের তেজ বাতাস গরম
হওয়ার আগেই নিভে যাবে না।
হয়ত কিছুই হবে না!
আমি বরং আশা করতে ভালোবাসি।
ছোট্ট একটা বিস্ফোরন,
দেশলাইয়ের শরীরে আলতো একটু
বারুদের ছোঁয়া।
ব্যস , এটুকুই যথেষ্ট!
------------------------------
এই লেখাটি প্রায় প্রতিবছর একবার পোস্ট করা হয়। জেলখানার কবি নাজিম হিকমতের প্রতি। ১৫ জানুয়ারি কবির জন্মদিন ছিল। কবি অধিকাংশ কবিতা লিখেছেন জেলে বসে। তাঁর কবিতা আজও দুনিয়া জুড়ে মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠে বিপ্লব ও মুক্তির গান হয়ে উচ্চারিত হয়। ১৯৫০ সালে নাজিম হিকমত পাবলো নেরুদার সাথে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৩ সালের ৩ জুন মস্কোতে কবি মারা যান।
তার মৃত্যুর সাথে সাথে কি আগুন নিভে গিয়েছে ?
উত্তর হচ্ছে , 'না ! '
ছবি: ইন্টারনেট
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: নাজিম হিকমত তো তুর্কী কবি ছিলেন। ওনার জেলে যাওয়ার কারন কি? আতাতুর্কের আমলে সক্রিয় থেকে রাশিয়ায় মারা যাওয়ারই বা কি কারন? উনি কি এন্টি সেকুলার মুভমেন্টের অংশ ছিলেন, সৈয়দ নূরসির মতো?
টুকটাক স্লিপ অফ পেন ছাড়া অনুবাদ ভালো হয়েছে। আপনার করা?
জন্মদিনের শুভেচ্ছা মৃত্যুঞ্জয়ী কবির প্রতি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
শাসকশ্রেণির মতে তাঁর কবিতা সামরিক বাহিনীতে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ হচ্ছে তাঁর কবিতা মিলিটারি ক্যাডেটরা পড়ছে এবং বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। বিচারে তাঁর ২৮ বছর জেল হয়।
তুরস্কে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে হিকমত মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীলরা তার পিছু ছাড়ছিল না। তাঁকে দুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
এটা অনুবাদ নয়। আমার নিজেরই লেখা।
স্লিপ অফ পেন গুলো একটু ধরিয়ে দিয়েন। আমার জন্য ভালো হবে।
মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন। অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চমৎকার।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: তাহলে, ব্যাপারটা দাঁড়ালো যে - ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া সবাই প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে যায় দিনশেষে। আপনার কবিতাটি সুন্দর। মানসম্মত এবং অর্থবহ লেখা দিন কে দিন কমে যাচ্ছে ব্লগে। লেখার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ। : )
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
নাজিম হিকমাত ঐ মানুষটা যে ৫৬ বছর জেলে থেকেছে কেবলআনুষের জন্য কথা বলার কারণে। আমার বিদেশি কবিদের মধ্যে নাজিম হিকমাত অন্যতম। কবিদের জীবনে কষ্ট আসবেই, যেমনটা এসেছিল আমাদের নজরুলের জীবনে।
জন্মদিনে নাজিম হিকমতের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: শুভ জন্মদিন