নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
শীতে খেয়ে আরাম। সেই সাথে পিঠাপুলির সময়। সেইদিন ব্লগার শাহ আজিজ চিতই পিঠা পোস্ট করেছেন। রসে ডোবানো চিতই। রাতে ভিজিয়ে রাখা হবে সকালে হবে মোমের মতো মোলায়েম , নরম। দুধ /রস চিতই আমার সবচেয়ে পছন্দের পিঠা। এই পিঠা খেতাম ঠান্ডা রসে হাত হাত দিয়ে। ব্লগার শাহ আজিজ হয়তো চামচ দিয়ে খাচ্ছেন , তিনি যেভাবেই খান না কেন এটা নিশ্চিত তিনি বারে বারে খাচ্ছেন। ঘুরে ফিরে খাচ্ছেন। উনার ফ্রিজে রাখা আছে।
আমি তো বলেই ফেলেছি , উনি বেহেশতে আছেন।
গতকাল ব্লগার রাজীব নূরের বাসায় শীতের পিঠা তৈরি হয়েছে । বিবিখানা, দুধ চিতই আর ভাপা। ৭ কেজি চালের গুড়া। তিনটা নারকেল। দশ কেজি দুধ। আসল খেজুরের গুড়। গুড় এসেছে বগুড়া থেকে। বিরাট আয়োজন।
আজ হয়তো রাজীব ভাই পিঠা খেয়ে পোস্ট দিবেন।
ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতেও বিরাট আয়োজন চলতো। এমনিতে বাড়িতে ছিল ২৫ জন মানুষ এরপর ঢাকা থেকে ছোটফুফুরা বেড়াতে গেলে হুলুস্থূল শুরু হয়ে যেতো। বিশাল দুই হাড়িতে পিঠা ভেজানো হতো। দুই রকম ছাচের পিঠা। গোল আর লম্বা পিঠা। আমরা খেতাম রাতে আর সকালে। মাথা পিছু ১০ টা করে হলেও ৩০০ টা পিঠা। পাশের বাড়ি গুলোতে দেয়া হতো। আমরা খেতাম ১০ টার উপরে।
আমাদের ৮০ টা নারিকেল গাছ ছিল। তাই নারিকেল নিয়ে চিন্তা ছিল না। বরং আমরা নারিকেল কুড়িয়ে দাদি আর বড়ফুফুর কাছে জমা দিতাম। সেটা বিক্রি করেও গুড় কেনা হতো। সব কিছুর ভেতর একটা উৎকণ্ঠা কাজ করতো।
কিছুদিন আগে মাইদুল ভাইভাপা পিঠা নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন। উনার পিঠা গুলো বেশ লোভনীয় ছিল। রাস্তার পাশে ভাপা পিঠা বিক্রি হয়। কাপের পিরিচ দিয়ে পাতলা পাতলা পিঠা , ভেতর পুর দেয়ার জায়গা নেই। চালের গুঁড়া , নারিকেল আর সামান্য গুড় মিশিয়ে দেদারসে বিক্রি চলেছে। আমি দেখি ,খাইনা। ভাপা পিঠা হবে পুরু , বাটি সাইজের , মাঝে পুরে থাকবে ভরপুর। নারিকেল আর গুড়ের কমতি থাকবে না।
আমার ছোট শ্যালিকা বেশ ভালো ভাপা পিঠা বানায়। পারফেক্ট ভাপা পিঠা বানানো বেশ কঠিন কাজ বলেই মনে হয়।
এই পোস্ট পিঠার পোস্ট নয়। অনেকদিন শব্দজট পোস্ট করি না। আজ পিঠাপুলির উছিলায় খাদ্যজট পোস্ট করলাম। শব্দজটে বেশ কিছু ব্লগারের আগ্রহ দেখে আমার ভালো লাগে। তাই শব্দজট জাতীয় পোস্ট করতে উৎসাহ পাই।
আজকের শব্দজট শুধু মাত্র খাবার নিয়ে। অতি পরিচিত সব খাবার। খেতে খেতে খেলতে থাকুন। বিজয়ীদের কে নিয়ে একদিন সন্ধ্যায় ষ্টার কাবাবে কাবাব আর ঝালফ্রাই খাবো। ধরে নেয়া যেতে পারে এটা প্রতিযোগিতার একটা পুরষ্কার। যদি উনারা কিছু না মনে করেন।
অনেকদিন ব্লগার গোফরান কে পাচ্ছিনা। শব্দজট না মিললেও মন্তব্যে এসে আগ্রহ দেখাতেন। ভালো আছেন নিশ্চয় ?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বিবিখানা পিঠা কি কেকের মত Bake করতে হয় ?
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সময় যে নেই হাতে
কেমনে বসি শব্দের সাথে
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
একটু সময় বের করুন। সহজ এবং মজাদার।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আমাদের পিঠা এখনও ফ্রিজে আছে । গত দুই দিন সুগার বেশি এসেছে । বাকিটুকু কাল খেয়ে ফিনিশিং দেব ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
রয়ে সয়ে খান আর কি।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার জন্য খুব কঠিন ধাঁধা এটা। তারপরও চেষ্টা করলাম।
১। পুরি আর পুদিং
২। ক্ষীরসাগর
৩। উপর নীচ - রস
৯। উপর নিচ- পাঁপড়
১০। পাশাপাশি - গুড়
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
২ আর ৩ ভুল হয়েছে সাচু ভাই। মিষ্টির নামের অংশ তিন অক্ষরের হবে। সময় পেলে চেষ্টা করুন। বাঁকী গুলো কঠিন নয়।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: পিঠা পোস্ট পড়েই মজা নিচ্ছি।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হা হা হা।
আরেকটা পিঠা আর শীতের পোস্ট রেডি আছে ! কি করবো ভাবছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল সারা সুরভি আর ভাবী পিঠা বানিয়েছে।
রাতে আমি ফারাজাকে ঘুম পাড়িয়েছি। দোকান থেকে আমি চাল গুড়ো করে এনেছি। নারকেল কোরায়ে দিয়েছি।
সকালে নাস্তা করেছি পিঠা দিয়ে। চিতই পিঠা গুলো ফুলে ঢোল হয়ে ছিলো। দুপুরে ভাত খাবো না। এই মাত্র বিবিখানা পিঠা খেলাম। এটা আমাদের বিক্রমপুর অঞ্চলের পিঠা। অত্যাধিক স্বাদ। চমৎকার ডেলিসাস। না খেলে এর স্বাদ টা বুঝবেন না।