নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি \'স্মৃতিকাতরতা \' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।

স্বপ্নবাজ সৌরভ

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......

স্বপ্নবাজ সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিন একটা করে গল্প হতে পারতো.......

১৫ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১৬



ঈদের নামাজ গুলো দাদা পড়াতেন।
আমাদের বৈঠকখানায় অনেক মানুষ আসতো। দাদা অসুস্থ হবার কারণে আমরা ঈদগাহতে নামাজ পড়া শুরু করি।

ঈদগাহতে আমার প্রথম ঈদের নামাজ।আমি কাতারে আব্বার পাশে দাঁড়িয়ে। কাতার সোজা করা হবে। মাইকে বললো , "বাচ্চাদের পিছে দেন। বাচ্চাদের পিছে দেন।"
আমি তো ছোট। বাচ্চাই বলা চলে। আমি কাঁদো কাঁদো চোখে আব্বার দিকে তাকালাম।
আব্বা বললেন, কোথাও যেতে হবে না।
অনেক বাচ্চারা পিছের কাতারে চলে গেল কিন্তু আমি আব্বার পাশেই ছিলাম।

ছোট বাচ্চারা জুম্মার নামাজ পড়তে যায়। মসজিদে হৈচৈ করে। নামাজের সামনে দিয়ে হাঁটাহাঁটি করে।
কোনদিন পাড়ার মুরুব্বীদের বুঝিয়ে বলতে শুনিনি। হুংকার দিয়েছে শুধু। ঠিক এমন যেন, বাপ মা মসজিদে নামাজ পড়তে পাঠিয়ে পাপ করেছে।

সেই হুংকার শুনতে শুনতে বাচ্চারা একদিন মসজিদে পা দেয়াই বন্ধ করে দিয়েছে। এমন অনেক আছে আমার পরিচিত। নামাজ ধর্ম নিয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তাদের মনে।



বেশ কিছুদিন আগে একটা ভিডিও দেখছিলাম। নামাজরত একটা বাচ্চাকে পা দিয়ে লাথি দিয়ে সরিয়ে দিতে। যিনি সরিয়ে দিলেন তাঁকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী বলেই মনে হলো।
তাৎক্ষণিক আমার মনে হলো, ছোটবেলায় কি তাঁর সাথে এমন আচরণ ই করা হয়েছিল?
কিভাবে সম্ভব এটা। ঐ লোকটার নিশ্চয়ই বাচ্চা আছে। আজান হলে নিশ্চয়ই মায়ের পাশে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ে। ঐ বাচ্চাকে তিনি আদর করেন? চুমু খান?

একবার রাসুল (সাঃ) তাঁর নাতি হাসান (রা.)-কে চুমু খেলেন। সে সময় তার কাছে আকরা বিন হারেস উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমি দশ সন্তানের জনক। কিন্তু আমি কখনও তাদের আদর করে চুমু খাইনি। তখন মহানবী (সাঃ) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হয় না’।


না, এটা কোন ধর্মীয় পোষ্ট না। ধর্ম কেন কোন কিছুই আর লিখতে ইচ্ছা হয় না। হাজার হাজার শব্দ ছন্দ খুঁজে ফেরে। বাক্যগুলো সংগঠিত হয়ে একেকর পর এক লাইন জোড়া দিতে পারতো। না, কোনটাই আর তেমন ইচ্ছা হয় না।
সব কিছু যেন স্থবির হয়ে আছে। বুকের একপাশে চাপ ধরে থাকে।


আমি বাচ্চাদের খুব ভালোবাসি। খুউউব। আমার বাচ্চাটা যখন যখন অন্য ছেলেদের সাথে খেলতে থাকে, জোড়ে দৌড়াতে গেলেই বলে উঠি.. "নিহাল জোরে দৌড়াবা না। তোমার জোরে দৌড়ানো নিষেধ।"
ও চুপ করে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। আমার বুকটা ফেটে আসে তখন। ওর শেষ টেস্টের রিপোর্ট ভালো আসেনি। ভাল্ব আরেকটু ন্যারো হয়েছে। আরেকটা ভাল্বে একটু সমস্যা ধরা পড়েছে। ওর এখন যা পরিস্থিতি তাতে এই মুহূর্তের সে কেন শারীরিক জটিলতা অনুভব করে না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভাল্ব আরো ন্যারো হতে থাকবে। বেলুন সার্জারি নামক প্রক্রিয়ায় সরু ভাল্বটা প্রসারিত করা যেত কিন্ত সেই ভাল্বে লিকেজের কারণে সেটা আর সম্ভব নয়। যদিও সেটা স্থায়ী সমাধান নয়। আবার ছয় মাস পরে টেস্ট। ডাক্তার পর্যবেক্ষণ করবেন। শেষ মেষ সার্জারী ছাড়া উপায় নেই। কতদিন পর সার্জারী লাগে ঠিক নাই। ডাক্তার বলছে পাঁচ বছর। ও তো ছোট। মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়স।
ওকে নিয়ে প্রতিদিন একটা করে গল্প হতে পারতো। প্রতিদিন একটা করে গল্প তৈরী হয় ঠিকই। আমি লিখি না। লিখতে ইচ্ছা হয় না। ছবিও আর দেই না। ফেসবুক ছেড়েছি। কোথাও তেমন আর মন বসে না।




ছোটবেলায় যখন বৃষ্টি হতো তখন আমাদের খড়ের ঘরের চালা বেয়ে লাল পানি পড়তো। খড় ভেজা পানি। আমরা বলতাম 'লাল চা'।

জানালা খুললেই দাদার ঘর দেখা যেতো। দাদা জানালায় বসে থাকতেন, দাদা কে দেখা যেতো। দাদা কি খেতেন তাও দেখা যেতো। দাদার কাছে যারা আসতো তারা দাদার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতো। দাদা সব কিছু ডেকে দিতেন।
একদিন উঠোনে দাঁড়িয়ে দেখি দাদা কি যেন মুখে পুরে দিলেন। আমার বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হলো দাদা আমাকে না দিয়ে কিছু খাবেন। চোখ ভিজে উঠলো ভীষণ অভিমানে। লিচুতলায় দাঁড়িয়ে চোখ মুছলাম। ঘরে গিয়ে দেখলাম টেবিলের উপরে সরপোশে ঢাকা 'খাজা'।
না, দাদা আমার কথা ভোলেন নি। মনে হলো খাজাটা গোপন কুঠুরীতে রেখে দেই। সংরক্ষিত থাকুক।


আব্বা বাড়িতে চলে গেছেন। অনেকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ইম্প্রুভ করার তেমন কোন আশা নেই। নিজের বাড়িতে নিজের বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবেন।গত রোজার ঈদের পর বাড়ি গিয়েছিলেন। কয়েকদিন ছেলেটা দাদাকে কাছে পেল। ওর দাদা কাঁপা হাত দিয়ে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। দেখলাম ছেলেটার চোখ ছলছল করছে। ফিরে আসতে আসতে আমাকে বললো, "দাদার হাত 'ছোট বেবি'!"
ঠিকই তো , ছোট বেবিদের হাতে শক্তি থাকে না। দাদারো আর শক্তি নাই।

আমার আব্বার বয়স হয়েছে। অনেক বুড়ো হয়ে গেছেন। করোনাকালীন সময়ে বাড়িতে বসে ছিলাম। দুইবছর চাকুরী ছিলো না। বাবা যে কি জিনিস সেটা বুঝেছিলাম। শৈশবের বাবা আর এখনকার বাবা আমার কাছে একই মনে হয়েছে। শুধু পার্থক্যটা বয়সে।

করোনাকালীন সময়ে দিনের পুরোটা সময় ছেলেটা আমাকে পেয়েছিল। সকাল বেলা হাঁটতে বের হতাম কোলে নিয়ে। হাঁটাও শিখলো আমার হাত ধরে। যখন ও দৌড়তে শিখলো তখনো ওর অসুখটা ধরা পড়েনি। পুরো বাড়ি, পুকুর পাড়, মাঠ দৌড়ে বেড়াতো। কোন সমস্যাই হয়নি। আর এখন তো আর দৌড়াতেই দিই না।

এখন আর আগের মত সময় দিতে পারি না। সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরি। রাতে কোলে নিয়ে হাঁটতে বের হোই। ফাঁকা রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে বলি-
নিহাল দৌড়াবি।
ও বলে হ্যাঁ।
আমি বলি- বেশি জোড়ে দৌড়াবি না যেন।
ও বেশি জোড়ে দৌড়ায় না।

কিন্তু এমনটা আমি কখনোই কল্পনা করিনি। এতোকাল ভেবে এসেছি ও দৌড়াবে আর আমি ওকে ধরতেই পারবো না। দৌড়াতে দৌড়াতে থামবে, থেমে আবার বলবে- বাবা ধরো তো। তখন আমি আবার পিছু পিছু দৌড়াবো।
নাহ, এমন কিছুই হয়নি।

রাতের পর রাত ঘুম হয়না। ড্রয়িং রুমে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকি। মাঝে মাঝে আমাকে পাশে না পেয়ে ছেলেটা কেঁদে ওঠে। আমাকে আবার বেডরুমে আসতে হয়। আমাকে ডেকে বলে বাবা তুমি এখানে ঘুমাও। আমি আবার ওর পাশে শুয়ে পড়ি। ছেলেটা নিশ্চিতে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। আমার ঘুম আসেনা।

কিছুই আর ভালো লাগে না। বুকের বামপাশে চাপটা দিনকে দিন বাড়তে থাকে। আচমকা চোখ ঝাপসা লাগে। ভীষণ অসহায় একজন বাবা মনে হয় নিজেকে। কিছু ভালো না লাগলে আকাশের দিকে তাকাই। বারবার তাকাই। তিনি নিশ্চয়ই আমার বারবার আকাশের দিকে তাকানোটা লক্ষ্য করেন।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মনকে দুর্বল করবেন না, শক্ত করেন। নিহাল ঠিক হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
মাঝে মাঝে একেবারেই সহ্য করতে পারিনা । কি কলবো বুঝিও না
আপনি ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:০৯

রাসেল বলেছেন: I have no word. I am also a father. Just praying. everything will be solved in Sha Allah.

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: কী বলবো কী ভাবে বলবো তার কিছুই খুজে পাচ্ছি না । আসলে যাই বলি না কেন সেটা কোন ভাবেই আপনার মনের অবস্থাকে শান্তি দিতে পারবে বলে মনে হয় না । আমার পক্ষে আপনার কষ্ট অনুভব করা সম্ভবও না কখনও । তবে আমি জানি যে আপন মানুষের কিছু হলে মনের অবস্থা কেমন হয় !

কেবল দোয়া করি নিহালের জন্য । নিহাল নামটার সাথে আমার নিজেরও স্মৃতি জড়িয়ে আছে বড় ।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৪৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: দোয়া করবেন। আপাতত সামনের টেস্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এই রোগের চিকিৎসা হচ্ছে সার্জারী।
তবে মাঝে মাঝে আশা করতে মন চাই।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ছেলের জন্য কায়মনে দোয়া প্রার্থনা করছি। বড় কষ্টের ব্যাপার সান্তনা দেবার ভাষা নেই।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:০৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সহ্য করতে পারি না ভাই।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২১

শায়মা বলেছেন: নিহালের জন্য অনেক দোয়া ভাইয়া।

দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে।

অনেক ভালোবাসা তোমাদের জন্য।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ওর ভাল্বের রক্ত নালী সরু হয়ে যাচ্ছে। আরো একটু সরু হলে ওর শারিরীক জটিলতা শুরু হবে। বেলুন সার্জারী করে সাময়িক ভাবে সরুটা একটু ফোলানো যেতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না ভাল্বে লিকেজের জন্য।
তাই সার্জারী ছাড়া কোন রাস্তা নেই।
ডাক্তার ব্রিগেডিয়ার নূরুন্নাহার ফাতেমা নিহাল কে দেখছেন। ছয় মাস পর আবার টেস্ট করাতে বলছেন।

সার্জারীর কথা মনে হলেই বূকটা আটকে আসে আমার।

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিজের হাজারো কষ্ট সহ্য করা যায় কিন্তু সন্তানের কষ্ট সহ্য করা খুব কঠিন, যে কষ্টের সহজ সমাধান নাই। এই অনুভূতি অন্যকে বোঝানো কঠিন।

আমার বিশ্বাস এই রোগের ভালো চিকিৎসা আছে। আরেকটু বড় হলে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে চিকিৎসার মাধ্যমে। আপনার সন্তানের জন্য দোয়া রইল।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৫২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ওর ভাল্বের রক্ত নালী সরু হয়ে যাচ্ছে। আরো একটু সরু হলে ওর শারিরীক জটিলতা শুরু হবে। বেলুন সার্জারী করে সাময়িক ভাবে সরুটা একটু ফোলানো যেতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না ভাল্বে লিকেজের জন্য।
তাই সার্জারী ছাড়া কোন রাস্তা নেই।
ডাক্তার ব্রিগেডিয়ার নূরুন্নাহার ফাতেমা নিহাল কে দেখছেন। ছয় মাস পর আবার টেস্ট করাতে বলছেন।

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সন্তান অসুস্থ হলে বাবা মায়ের শান্তি থাকে না।
ভীষন কষ্ট হয়। আমার কন্যা আছে। আমি খুব ভাল করেই জানি ছেলে মেয়ে অসুস্থ হলে বাবা মায়ের কেমন লাগে।

আপনি সাহসী মানুষ। ভালো মানুষ। আপনার বিপদ আপদ কেটে যাবে।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:০৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি মোটেও সাহসী নই রাজীব ভাই। ভালো মানুষ সেতো দুরের কথা।
তবে ছেলে বড় হলে যদি কেউ তাকে জিজ্ঞেস করে,
স্বপ্নবাজ সৌরভ কেমন ছিলো?
তখন ও নিশ্চয়ই বলবে,
স্বপ্নবাজ সৌরভ আমার বাবা ছিল।


ভালো থাকুন রাজীব ভাই। ডেঙ্গু পরিস্থিতি খুব খারাপ।

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল। ধৈর্য্য ধরুন, ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আরো বেশী দোয়া করবেন।
দারুণ বুদ্ধিমান একটিভ আর স্মার্ট ছেলে।
তবে সমস্যা একটাই। আমার মত মন খারাপ হয়।

কারণ হৃদয়টা সম্ভবত আমারই।
ভালো থাকবেন।

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: সুস্বাস্থ্য কামনা করে অনেক অনেক দোয়া রইল

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনি কেমন আছেন এখন?

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: আপনার সুন্দর একটা মন আছে। আমি শ্রদ্ধা করি এই আবেগকে।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

আপনি আমাকে পড়েন সেটা জানি।
ভালো থাকবেন আপনি।
পোষ্টের কথা গুলো ব্লগে জানাবোনা ভেবেছিলাম।

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

করুণাধারা বলেছেন: যখন পড়লাম "নিহাল জোরে দৌড়াবানা, তোমার জোরে দৌড়ানো নিষেধ", পড়ে আমার মনে হল, ছোটবেলায় আমাকেও আমার মা বাবা এই কথা বলতেন। দৌড়ালেই আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেত। আমার শৈশব স্মৃতি বলতে নিয়মিত তর্জনীতে সুঁইয়ের খোঁচা দিয়ে রক্ত বের করে রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে আর ঔষধ, মা বাবার উৎকণ্ঠিত মুখ...

সেই দিনগুলো পার হয়ে এসেছি। ইনশাল্লাহ নিহালও সুস্থ হয়ে যাবে, আপনার আগে আগে দৌড়াবে। আন্তরিকভাবে ওর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।

কিন্তু নিহালের জন্য আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। আমার মনে হচ্ছে আপনি খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। পোস্ট দিয়েছেন ভোর চারটা ষোলতে। লিখছেন রাতের পর রাত ঘুম হয় না, বুকের বাম পাশে চাপ ধরে থাকে। এগুলো মোটেও ভালো কথা নয়। আপনি নিজেকে দেখানোর জন্য ডাক্তারের কাছে যান, সুস্থ থাকুন, প্লিজ।

শুভকামনা রইল



১৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ওর বুকের সমস্যা জটিল।
ঔষধে কাজ হবে না। একটু বড় হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সার্জারি করতে।
সার্জারীর কথা ডাক্তার সহজ ভাবেই বলে ফেলেন।


আপনি ভালো থাকবেন। আমার মানসিক আর শারীরিক সমস্যা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

সোহানী বলেছেন: সৈারভ, মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। আমি জানি না কি বলা উচিত, খুব ইচ্ছে নিহালকে নিয়ে হাত ধরে নদীর পাড়ে হাটতে।

পৃথিবীর সব বাচ্চাগুলো অনেক অনেক ভালো থাকুক। খুব ভালো থাকুক নিহাল।

আমি কি ওকে ছোট্ট একটা খেলনা পাঠাতে পারি? তোমার এড্রেসটা আমাকে পাঠাও,
[email protected]

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
দেশে আসলে জানাবেন। আপনার কাছে নিয়ে যাবো।
ও দারুণ কিছু ভাবতে পারে। গাছ কাটা হবে শুনলে মন খারাপ করে।
বাড়ির জন্য মন খারাপ করে। পুকুর পাড়, মাঠ, রাস্তা ফেলে আসা সব কিছুই ওকে ভাবায়।

খেলনার কথা ওকে জানাই নি। পেলে অবশ্যই খুশি হবে।
থ্যাংকিও দেবে।


ভালো থাকবেন সোহানী আপু।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১৩

চারাগাছ বলেছেন: আপনি নিজেও চেকআপ করান। মন শক্ত করুন।
সার্জারী যদি করতেই হয় তবে মানসিক এবং আর্থিক ভাবে প্রস্তুতি নেন।
দেখলেন তো কত সহজে বলে ফেললাম।

আপনার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম কি বলা যাবে?

২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার দাদাও স্থানীয় মাসজিদ এবং ঈদগাহে যথাক্রমে জুম্মা এবং ঈদের জামাত ও জানাযায় ইমামতি করতেন। আমি অবশ্য আমার দাদাকে দেখিনি। আমার জন্মের আগেই তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন।

আজকাল নিহালের মত রোগীর হার্টের রোগের সার্জারী প্রায় শতভাগ সফল হয়। ইন শা আল্লাহ,সার্জারীর পর নিহালও শতভাগ নিরাময় লাভ করবে। মন শক্ত করুন, আপনি একজন ভালো ডাক্তারেরই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। ব্রিগেডিয়ার নূরুন্নাহার ফাতেমা এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কোন রকমের সাহায্য সহযোগিতা কিংবা পরামর্শের প্রয়োজন থাকলে ব্লগে ছোট্ট একটা পোস্ট দিয়ে জানান। আমি নিশ্চিত, সে ক্ষেত্রে অনেকেই স্বেচ্ছায় আপনার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবেন। আল্লাহ ভরসা।

করুণাধারা'র মন্তব্যটা থেকে সাহস নিন, তার পরামর্শটা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিন।

আপনার বাবার জন্য দোয়া এবং শুভকামনা....



২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আগামী মাসের শুরুতে বাবুর টেস্ট।
দোয়া করবেন। খুব অস্থির লাগছে।

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩৪

চারাগাছ বলেছেন:
আপনাকে খুঁজেছি।

২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি আছি।

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০২

মিরোরডডল বলেছেন:




জানি ইভান ভালো নেই।
বাবুটা এখন কেমন আছে?
আই উইশ বাবু এবং তারা দাদাভাই, দুজনেই যেনো সুস্থ হয়ে উঠে।
ভালো থাকবে ইভান।


২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে নিশ্চয়ই ! কি বলেন ?

১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




কি হয়েছে ইভান? এতো চুপচাপ কেনো?
আর ইউ ওকে?

বাবুটা ভালো আছে?
শুনেছিলাম বাবুর মা অসুস্থ, এখন কেমন আছে?


২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি ঠিক আছি।
সামনের মাসের শুরুতে বাবুর টেষ্ট।

১৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:




কেমন আছে ইভান।
কতদিন দেখিনা!!!!!



২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি ঠিক আছি। ভালো থাকবেন।
মিরোর আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.