![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম ধর্মের প্রতি কোন বিদ্বেষ আমার নাই। কিন্তু কোন মুসলিম যখন অন্য ধর্মের ( হিন্দু বা বৌদ্ধ ) ধর্মগ্রন্থে নবীর কথা, আল্লাহ রাসূলের কথা খুঁজে পায় বলে দাবী করে। তখন যে রাগটা উঠে ! ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়া তাদের মানায় যারা আমার মত কোন ধর্মই মানে না। কিন্তু যারা অন্তঃত একটা ধর্ম মানে তাদের অন্য ধর্মের মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়াটা মানায় না। এখন বেদ বা ত্রিপিটক বা পুরাণে কেউ ইসলাম খুঁজে পেলে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে না ? কখনো তো শুনলাম না কোরআনের মধ্যে কোন হিন্দু বা বৌদ্ধ ব্যক্তি নিজের ধর্ম খুঁজে পাইছে। কখনো তো শুনলাম না কোন মুসলমানকে অন্য ধর্মের মানুুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু নাস্তিকদেরই ধর্মানুভূূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় যাদের অধিকার আছে ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার। কিন্তু কোন ধার্মিককে ধর্মানুভূূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় না, যাদের অধিকার নাই ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার, তারপরও করে। এখন, কোন ধার্মিক অন্য ধর্মের মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করলে একজন নাস্তিক কেন সেটা কেয়ার করবে ? নাস্তিকেরও কি ধর্মানুভূতি আছে নাকি ? এই প্রশ্ন যদি কারোর মনে আসে তাহলে উত্তর হল, কোন এককালে আমি হিন্দু ছিলাম। কোন এককালে আমার ধর্মানুভূতি ছিল। তখনও মুসলমানদের এসব বাড়াবাড়ি দেখলে আমার পিত্তি জ্বলে যেত, প্রচন্ড রাগ উঠত। আজ হয়ত ধর্মানুভূতি নাই, এমনকি ঈশ্বরানুভূতিও নাই। তারপরও মুসলমানদের এই একটা জিনিস এখনও সহ্য করতে পারি না, নিজের ধর্মকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টা। প্রত্যেকটা ধর্মের মানুষের কাছে নিজের ধর্ম সঠিক। কিন্তু একমাত্র মুসসলমান বাদে অন্য কোন ধর্মের মানুষ এই কাজ করে না অর্থাৎ ভিন্ন ধর্মালম্বীর নিকট নিজের ধর্ম সঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করে না। শুধু মুুসলিমরা এই জঘণ্য কাজটা করে। নাস্তিকরাও ধাার্মিকদের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা করে ঈশ্বররের অনস্তিত্ব বা ধর্মের অসারতা, কিন্তু এটা আবার মহান কাজ। একটা ধর্মের মধ্যে থেকে অন্য ধর্মের অসারতা প্রমাণের চেষ্টা জঘণ্যতা। কিন্তু কোন ধর্মের মধ্যেই না থেকে সকল ধর্মের অসারতা প্রমাণের চেষ্টা হল মহানতা। বুঝাইতে পারছি ?
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২
জেন রসি বলেছেন: প্রতিটি ধর্মই বিশ্বাসের বলয়ে আবদ্ধ।এক অযৌক্তিক বিশ্বাস দিয়ে আরেক অযৌক্তিক বিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করলে সেটাও অযৌক্তিক হতে বাধ্য।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৬
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: হুম।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সমস্যাঃ হালি হালি সমস্যা
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫
দরবেশমুসাফির বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: প্রতিটি ধর্মই বিশ্বাসের বলয়ে আবদ্ধ।এক অযৌক্তিক বিশ্বাস দিয়ে আরেক অযৌক্তিক বিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করলে সেটাও অযৌক্তিক হতে বাধ্য।
সেক্ষেত্রে আপনাকে যুক্তি দিয়েই প্রমান করতে হবে যে ধর্মবিশ্বাস অযৌক্তিক।
আর আপনি যদি আপনার মতকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি নিজেও কিন্তু বিশ্বাসের বলয়ে আবদ্ধ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: এই হল ধর্মবিশ্বাস অযৌক্তিক হবার পক্ষে যুক্তি - ঈশ্বর তো সবকিছু সৃষ্টি করছে, তাই না ? যদি তাই হয়ে থাকে তবে স্থান এবং সময়ও ঈশ্বরই সৃষ্টি করছে। তো প্রশ্ন হল কোন স্থানে ঈশ্বর স্থানকে সৃষ্টি করল ? আর কোন সময়ে ঈশ্বর সময়কে সৃষ্টি করল ?'' সৃষ্টি করা তো একটা ঘটনা আর একটা ঘটনা তো অবশ্যই কোন স্থানে বা কোন নির্দিষ্ট সময়ে ঘটতে হবে। তাহলে ঈশ্বর যখন স্থান ও সময় সৃষ্টি করল, তখন সেই সৃষ্টির ঘটনাটা কোন স্থানে ঘটল, কোন সময়ে ঘটল ? Answer me. আপনি তো নিজেকে খুব যুক্তিবাদী মনে করেন, তাই না ? তো যুক্তিপূর্ণ একটা উত্তর দেন তো আমার প্রশ্নের। ঈশ্বর স্থানকে সৃষ্টি করল কোন স্থানে ? সময়কে সৃষ্টি করল কোন সময়ে ?
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বিভিন্ন ওয়াজে প্রায়ই দেখাযায় হিন্দু মুর্তি নিয়ে হাসি-কৌতুক কুটমন্তব্য। এসব জাকিরনায়েককেও বলতে দেখাযায়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: হুম, জাকির নায়েককে নিয়েও একটা পোষ্ট দিব।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮
দরবেশমুসাফির বলেছেন: সৃষ্টি করা তো একটা ঘটনা আর একটা ঘটনা তো অবশ্যই কোন স্থানে বা কোন নির্দিষ্ট সময়ে ঘটতে হবে। তাহলে ঈশ্বর যখন স্থান ও সময় সৃষ্টি করল, তখন সেই সৃষ্টির ঘটনাটা কোন স্থানে ঘটল, কোন সময়ে ঘটল ? Answer me.
ঈশ্বর এর আগে কিছুই ছিল না। তিনিই অস্তিত্ব। তিনিই তার অস্তিত্ব থেকে স্থান ও সময়ের অস্তিত্ব তৈরি করেছেন। সময় আর স্থান ২ তাই তারি সৃষ্টি।
ঈশ্বরকে মানুষ পুরোপুরি বুঝতে পারবে এটা আশা করা, তেলাপোকা মানুষকে পুরোপুরি বুঝতে পারবে এটা আশা করার চেয়েও বড় মূর্খতা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: ঈশ্বরের আগে কিছু ছিল না। কিছু না থাকুক, কোন বস্তু না থাকুক। আগে জিনিসটা তো ছিল। এ থেকেই কি ঈশ্বরের অস্তিত্বের পূর্বে সময়ের অস্তিত্ব প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে না ? আচ্ছা বাদ দেন। তিনিই যদি তার অস্তিত্ব থেকে স্থান ও সময়ের অস্তিত্ব তৈরি করে থাকেন। তাহলেও প্রশ্নটা থেকেই যায়, তিনি নিজের অস্তিত্ব থেকে স্থান ও সময়ের অস্তিত্ব তৈরী করলেন, ভাল কথা। কিন্তু এই তৈরীর ঘটনাটা কোন স্থানে ও কোন সময়ে ঘটল ? তাছাড়া ঈশ্বর হোক আর যাই হোক, যে কোন কিছুর অস্তিত্ব একটা স্থানে ও একটা সময়ে থাকে। স্থান ও সময় সৃষ্টির আগে তার নিজের অস্তিত্ব কোন স্থানে ও কোন সময়ে ছিল ? নাকি ''তাঁর অস্তিত্বের জন্য স্থান ও সময়ের প্রয়োজন নাই ?'' - এটা আবার বলে বইসেন না। তাহলে চরম অবৈজ্ঞানিক কথা হবে।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাংলাদেশে ১০% নাস্তিক আছে কিনা সন্দেহ। তবে প্রচুর ইসলামবিদ্ধেষী হিন্দু নাস্তিক আছে। এদের কাজ হলো ইসলাম নিয়ে চুলকানি করা। যাবতীয় সমস্যা ইসলাম নিয়ে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: আমি জানতাম, কোন না কোন ছাগল আমাকে ভুল বুঝবেই। ছদ্মবেশী নাস্তিক ভাববেই, ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু মনে করবেই। তাই আমি পোষ্টেই বলে দিয়েছিলাম যে, ''কোন ধার্মিক অন্য ধর্মের মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করলে একজন নাস্তিক কেন সেটা কেয়ার করবে ? নাস্তিকেরও কি ধর্মানুভূতি আছে নাকি ? এই প্রশ্ন যদি কারোর মনে আসে তাহলে উত্তর হল, কোন এককালে আমি হিন্দু ছিলাম। কোন এককালে আমার ধর্মানুভূতি ছিল। তখনও মুসলমানদের এসব বাড়াবাড়ি দেখলে আমার পিত্তি জ্বলে যেত, প্রচন্ড রাগ উঠত। আজ হয়ত ধর্মানুভূতি নাই, এমনকি ঈশ্বরানুভূতিও নাই। তারপরও মুসলমানদের এই একটা জিনিস এখনও সহ্য করতে পারি না, নিজের ধর্মকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টা।''
এই বাক্যগুলো দেখার পরও যদি কেউ ভুল বুঝে তাহলে আর কিই বা বলার আছে ?
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
জেন রসি বলেছেন: @দরবেশমুসাফির
মানুষ যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে ধর্মবিশ্বাসী হয়না।ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের সম্পর্ক থাকে। যখন ব্রুনকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তখন কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সেটাকে সমর্থন করেছিল। কারন ব্রুন কি বলেছে সেটাকে তারা যৌক্তিক ভাবে বিশ্লেষণ না করে ধর্মীয় বিশ্বাসটাকেই আঁকড়ে ছিল।ব্লগার সুশান্ত কিছু প্রশ্ন রেখেছেন। এখন সব ধর্মই পরম সত্যের কথা বলেছে। তার মানে একটি ধর্ম সঠিক হলে বাকি সব মিথ্যা। তারপরও যে যার যার ধর্মে বিশ্বাসী হচ্ছে বিশ্বাস নিয়েই। কেউ কিন্তু যৌক্তিক ভাবে বিশ্লেষণ করে ধর্ম বেছে নিচ্ছে না। এখন প্রস্ন হচ্ছে আমি কোন ধর্মের বিশ্বাসকে যৌক্তিক মনে করব?কারন এক ধর্মের বিশ্বাস অপর ধর্মের সাথে দান্দিক অবস্থানে আছে। সেই বিশ্লেষণ করতে হলে আমাকে কিংবা আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞানের আশ্রয় নিতে হবে। সামাজিক বিবর্তনের ধারাগুলো দিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে। আর তা করতে গেলেই বিশ্বাসের সাথে যুক্তির সংঘর্ষ অনিবার্য। তাই বলেছি যৌক্তিক ভাবে বিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করা যায় কিন্তু অযৌক্তিক বিশ্বাস দিয়ে বিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করলে সেটাও অযৌক্তিক হবে।
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮
দরবেশমুসাফির বলেছেন: ''তাঁর অস্তিত্বের জন্য স্থান ও সময়ের প্রয়োজন নাই ?'' - এটা আবার বলে বইসেন না। তাহলে চরম অবৈজ্ঞানিক কথা হবে।
যেখানে বিজ্ঞান স্থান ও সময়ের শুরু কখন সেটাই এখনও নির্দিষ্ট করতে পারে নি সেখানে বিজ্ঞান দিয়ে অস্তিত্বের শুরু ব্যাখ্যা করা যা্বে কিভাবে ?
বিজ্ঞান দিয়ে আপনি যাই প্রমান করুন না কেন। এক পর্যায় এ আপনাকে প্রবাবিলিটির উপরি নির্ভর করতে হবে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: বিজ্ঞান এখন কোন প্রশ্নের উত্তর বলতে না পারলেও এক হাজার বছর পর পারবে। সমস্যা আছে ? বিজ্ঞানের আপাত ব্যার্থতার সুযোগে ঐ ব্যর্থ হওয়া জায়গাগুলা আপনি ঈশ্বর দিয়ে পূরণ করবেন নাকি? অপেক্ষা করেন যৌক্তিক ব্যাখ্যার জন্য। এতই যদি বিশ্বাস করতে হয় তো মনের মধ্যে এই বিশ্বাস স্থাপন করেন যে কোন কিছুই মানব বুদ্ধির অগম্য নয়। আজ কোন সমস্যার সমাধান মানবমস্তিস্ক না পারলে ১০০ বছর পর পারবে। দরকার হলে আমৃত্যু অপেক্ষা করে যাব উপযুক্ত যৌক্তিক ব্যাখ্যার জন্য কিন্তু কিছুতেই ব্যাখ্যাহীন কোন কিছু ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ঈশ্বর প্রসঙ্গ টেনে আনব না অর্থাৎ ব্যাখ্যাহীন কোন কিছুকে অনন্তকালের জন্য ব্যাখ্যাহীন করে রাখব না। ঈশ্বর টেনে আনা মানেই হল যার ব্যাখ্যা বর্তমানে নাই ( ভবিষ্যতে পাবার সম্ভাবনা আছে ) তাকে পারমানেন্টলি ব্যখ্যাহীন করে রাখা। আর এটা আমি হতে দিতে পারি না। যতক্ষণ প্রাণ আছে ততক্ষণ সকল প্রাকৃতিক ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে যাব। - এই প্রতিজ্ঞা করতে পারবেন ? পারলে ভাল। না পারলে আর কি ?
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
দরবেশমুসাফির বলেছেন: জেন রসি বলেছেন:
মানুষ যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে ধর্মবিশ্বাসী হয়ন
আমি যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে ধর্মবিশ্বাসী হয়েছি। আপনি কি ভেবেছিলেন আমিও তাদের একজন জাদেরকে তথাকথিত ধর্মগুরুরা ( ধর্ম বাবসাইরা) যা বলে তাই অন্ধের মত বিশ্বাস করে? এটা ভেবে থাকলে ভুল ভেবেছেন।
যখন ব্রুনকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তখন কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সেটাকে সমর্থন করেছিল। কারন ব্রুন কি বলেছে সেটাকে তারা যৌক্তিক ভাবে বিশ্লেষণ না করে ধর্মীয় বিশ্বাসটাকেই আঁকড়ে ছিল।
তারা তাদের ধর্মবিশ্বাস নয় আঁকড়ে ছিল তাদের ধর্মগুরুদের । ধর্মগুরুরা ( ধর্ম বাবসাইরা) তাদের যা গিলিয়েছে তারা তাই গিলেছে। একবারও তারা তাদের ধর্মগ্রন্থ নিজেরা পড়েনি। খুব সম্ভবত আপনিও পড়েন নি।
এখন প্রস্ন হচ্ছে আমি কোন ধর্মের বিশ্বাসকে যৌক্তিক মনে করব?কারন এক ধর্মের বিশ্বাস অপর ধর্মের সাথে দান্দিক অবস্থানে আছে।
এই অবস্থান মানুষ তৈরি করেছে ধর্ম নয়। এবাপারে আমি আমার এই পোস্টে বিস্তারিত লিখেছি ।চাইলে দেখতে পারেনঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/DarvishMusafir/30061317
১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
দরবেশমুসাফির বলেছেন: এতই যদি বিশ্বাস করতে হয় তো মনের মধ্যে এই বিশ্বাস স্থাপন করেন যে কোন কিছুই মানব বুদ্ধির অগম্য নয়।
কিভাবে প্রমান করবেন যে কোন কিছুই মানব বুদ্ধির অগম্য নয়??
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: বিজ্ঞানের বর্তমান সাফল্যই তার প্র্রমাণ।
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮
দরবেশমুসাফির বলেছেন: বিজ্ঞানের সাফল্য আপেক্ষিক। যা এখন সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে তাই ১০০ বছর পড় বারথতায় রুপ নিতে পারে।
যেমনঃ চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান এর স্থান ও সময় এর ধারনা, ইথারের ধারনা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: আপনি যেটাকে ব্যর্থতা মনে করছেন সেটাও সাফল্য। কোন চিরায়ত ধারণা ভুল প্রমাণিত হওয়ার মানেই হল আমরা সঠিকটা জানতে পারলাম। যেমন, মাইকেলসন মর্লির পরীক্ষা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে ইথার নাই। এটা সাফল্য ছাড়া কি ? কোন তত্ত্বের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য করা পরীক্ষা হল ঐ তত্ত্বের জীবন মরণ পরীক্ষা। কোন তত্ত্ব যতবার এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে সঠিক প্রমাণিত হয় ততবার নতুন করে বেঁচে উঠে, এটা ঐ তত্ত্বটার সাফল্য ( বিজ্ঞানেরও সাফল্য )। আবার কোন একবার ভুল প্রমাণিত হলে সেটাও বিজ্ঞানের সাফল্য। বিজ্ঞানের অপব্যবহার ( যেমন, পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো ) আছে কিন্তু কোন ব্যর্থতা নাই। বিজ্ঞান আজ কোন প্রাকৃৃতিক ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে একশ বছর পর বা একহাজার বছর পর সফল হবে। ঐটা কোন ব্যাপার না। কিন্তু বিজ্ঞান ব্যাখ্যা দিতে পারছে না বলে যদি ঈশ্বর দিয়ে ব্যাখ্যা করি। তাহলে অনন্তকালেও সঠিক ব্যাখ্যা মিলবে না। প্রকৃতিকে জানা ও বুঝার জন্য বৈজ্ঞানিক পন্থাই সর্বোৎকৃষ্ট উপায়।
১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
দরবেশমুসাফির বলেছেন: বিজ্ঞান আজ কোন প্রাকৃৃতিক ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে একশ বছর পর বা একহাজার বছর পর সফল হবে।
বিজ্ঞান এখন ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করতে পারছেনা । হয় তো বা ভবিষ্যতে পারবে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৬
সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: বিজ্ঞান এটা বলেনি যে ঈশ্বর নাই। বিজ্ঞান এটা বলছে যে মহাবিশ্ব সৃৃষ্টি হবার জন্য ঈশ্বর থাকার কোন প্রয়োজন নাই। অর্থাৎ ঈশ্বরকে টেনে না এনেও মহাবিশ্বের উৎপত্তি, জীবের উৎপত্তি,মানুষের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করা সম্ভব। বিজ্ঞান ঈশ্বর বিরোধী নয়, ঈশ্বরের বিকল্প। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে ঈশ্বর আছে। যতক্ষণ পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তার অস্তিত্ব মানা যায় না; এমনকি গাণিতিকভাবে প্রমাণিত হলেও না। এই যে স্ট্রিং থিওরী, এটা গাণিতিকভাবে প্রমাণিত হলেও পরীক্ষার মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করা যায় না বিধায় অনেক বিজ্ঞানীই এটাকে মানে না। কিছু বিজ্ঞানী এইজন্য মানে কারণ এর পিছনে শক্ত গাণিতিক ভিত্তি আছে। কিন্তু ঈশ্বরের পিছনে তো তাও নাই। তাহলে ? এটা কিভাবে মানা যায় ? এখন আপনি হয়ত বলবেন আমি কেন আমার বাবা মাকে বাবা মা মানি ? কি গাণিতিক প্রমাণ আছে যে তারা আমার বাবা মা ? ডি এন এ টেস্টও তো আমি করি নাই। কোন যুতসই প্রমাণ নাই যে, যাদের আমি বাবা-মা বলে জেনে আসছি তারা সত্যিই আমার বাবা মা কিনা। এই প্রশ্ন করলে উত্তর আমি এভাবে দিব, ''তারা আমার জন্মদানকারী পিতা মাতা কিনা সেই প্রমাণ হয়ত নাই, কিন্তু পালনককারী পিতামাতা এর তো প্রমাণ আছে। এখনও আমি বাপের হোটেলেই খাই। যেহেতু তারা আমাকে লালন পালন করছে, এটাই যথেষ্ট কারণ তাদের বাবা - মা মেনে নেয়ার জন্য।'' যাকগে, ঈশ্বর থাকলে তাঁকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হতেই হবে। পরীক্ষাই হল বিজ্ঞানের প্রাণ। যত বড় ধারণাই হোক, যত মজবুত গাণিতিক ভিত্তিই থাকুক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত না হলে ওটি শুধুই দর্শন, বিজ্ঞান না। যদি কোনদিন ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয় তখন নাহয় বিশ্বাস কইরেন ঈশ্বরে। যদ্দিন প্রমাণিত হচ্ছে না তদ্দিন .............. আপনার ইচ্ছা। আবারও বলছি, ''বিজ্ঞান ঈশ্বর বিরোধী নয়, ঈশ্বরের বিকল্প।''
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭
দরবেশমুসাফির বলেছেন: কখনো তো শুনলাম না কোরআনের মধ্যে কোন হিন্দু বা বৌদ্ধ ব্যক্তি নিজের ধর্ম খুঁজে পাইছ
ভাই কুরআনে সুরা তীন এ মহামতি বুদ্ধর কথা সাঙ্কেতিক ভাবে দেয়া আছে(আমি ১০০% শিউর না তবে সম্ভাবনা অনেক বেশি।)
বিস্তারিত জানতে আমার এই পোস্টটা পড়তে পারেনঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/DarvishMusafir/30061317
কিন্তু একমাত্র মুসসলমান বাদে অন্য কোন ধর্মের মানুষ এই কাজ করে না অর্থাৎ ভিন্ন ধর্মালম্বীর নিকট নিজের ধর্ম সঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করে না। শুধু মুুসলিমরা এই জঘণ্য কাজটা করে
আমি একজন মুসলিম কিন্তু আমার একটা পোস্টে আমি মুসলিমদের কুরআন, হিন্দুদের উপানিশা, ক্রিশ্চানদের বাইবেল কে একা কয়েকজন নাস্তিকের বিপক্ষে ডিফেনড করে গেছি।
দেখতে চাইলে এখানে যেতে পারেনঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/DarvishMusafir/30064184