![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাক এগেইন!
¤বর্তমান যুগে আলেম ওলামাদের প্রতি সাধারণ মানুষের যে শুধু খারাপ ধারণা ও সম্পর্কহীনতা তাই ই নয়,বরং তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য যে কোন প্রকারের ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়। ধর্মের দিক দিয়ে এধরণের কার্যকলাপ নিতান্তই আশংকাজনক! এতে কোন সন্দেহ নেই যে পৃথিবীতে যে কোন দলেই ভাল মন্দের সংমিশ্রন দেখা যায়,সুতরাং ওলামাদের মধ্যেও ভাল মন্দ উভয় ধরণের মানুষ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে আবার লক্ষণীয় দুটি বিষয় রয়েছে,
প্রথমতঃ যতক্ষণ পর্যন্ত কোন আলেমকে সঠিকভাবে খারাপ আলেম বলে না জানা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত তার সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা উচিত নয়। কারণ আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
"যে বিষয়ে তোমার প্রকৃত তথ্য জানা নাই সে বিষয়ে তুমি কোন মন্তব্য করিও না। নিশ্চয় কর্ণ,চক্ষু এবং অন্তর সবকিছুই জিজ্ঞাসিত হবে।"
তাই শুধু নিকৃষ্ট আলেম হতে পারে এই সন্দেহে তার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করা অনেক বড় অন্যায়। রাসূল (সাঃ) এই ব্যাপারে এতো বেশী সাবধানতা অবলম্বন করতেন যে,ইহুদী সম্প্রদায় তাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিষয়বস্তু আরবিতে বর্ণনা করলে রাসূল সাঃ বলতেন যে,তোমরা এগুলোকে সত্য বা মিথ্যা কিছুই বলোনা,বরং এইভাবে বলো যে,আল্লাহ তাআলা যা কিছু অবতীর্ণ করেছেন আমরা তার উপর ঈমান এনেছি। অর্থাত্ প্রকৃত সত্য না জেনে কাফেদের বর্ণনাকেও সত্য বা মিথ্যা আখ্যায়িত করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বর্তমান যুগে আমরা এই পর্যায়ে পৌছেছি যে,আমাদের মতের বিপরীত কোন হক্কানী আলেমও মন্তব্য করলে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তার উপর আক্রমণ চালিয়ে বসি।
দ্বিতীয়তঃ হক্কানী ওলামায়ে কেরামগণও কোন নবী রসূল নন যে তারা একেবারে নিষ্পাপ হবেন,বরং তারাও তো মানুষ।ভুল ত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক। তবে তাদের ভুলত্রুটি আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত,আল্লাহ্ পাক তাদেরকে শাস্তিও দিতে পারেন,ক্ষমাও করতে পারেন। এক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ্ ক্ষমার আশাই প্রবল,কারণ মেহেরবান মনিব নিজের ঐ গোলামের অপরাধ ক্ষমাই করে থাকেন যে গোলাম নিজের সব কিছু ত্যাগ করে মনিবের সেবায় লেগে থাকে,অথচ মহাপ্রভু আল্লাহর সমতুল্য দয়াময় আর কে হতে পারে? কাজেই তার দরবারে ক্ষমার প্রত্যাশাই করা যায় বেশি। হ্যাঁ বিচারের খাতিরে কোন কোন ক্ষেত্রে শাস্তি হওয়াটা স্বাভাবিক।
সুতরাং এসব কারণে জনসাধারণের মনে আলেমদের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে আলেমদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করা মানুষের জন্য দ্বীন ধ্বংস করারই কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং যারা এসব করে তাদের পরিণাম অতি ভয়াবহ! এসম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছেঃ
"তিন ব্যক্তিকে সম্মান করা আল্লাহ তাআলাকে সম্মান করার সমতুল্য! প্রথম,বৃদ্ধ মুসলমান,দ্বিতীয় কুরআনের ঐ বাহক যিনি উহাতে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করেন না,তৃতীয় ন্যায় বিচারক শাসনকর্তা।" (তারগীব)
অন্য এক হাদিসে আছে,
"যে ব্যক্তি বড়দের সম্মান করে না,ছোটকে স্নেহ করেনা এবং আলেমের তাজীম করেনা সে আমার উম্মতভুক্ত নয়।"(তারগীব)
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত আছে,
"তিন ব্যক্তিকে একমাত্র মুনাফিক ই অসম্মান প্রদর্শন করতে পারে,১.বৃদ্ধ মুসলমানকে ২.আলেমকে ৩.ন্যায় পরায়ণ শাসনকর্তাকে।"(তারগীব)
একটি হাদিসে রাসূল সাঃ বলেন,
"আমার উম্মতের উপর তিনটি বিষয়ে আমি সবচেয়ে বেশি ভীত,প্রথমতঃ তাদের পার্থিব উন্নতি এতো বেশী হবে যে একে অপরের প্রতি হিংসা করতে থাকবে। দ্বিতীয়তঃ কুরআন শরীফের চর্চা এতো বেশি হবে যে প্রত্যেকেই উহার নিগুঢ় অর্থ বুঝবার জন্য উঠে পড়ে লাগবে। অথচ কুরআনের এমন অনেক অর্থ রয়েছে যেগুলো একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা এবং বিজ্ঞ ওলামারাও এক্ষেত্রে বলে থাকেন যে,যা কিছু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে আমরা তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করি। তৃতীয়তঃ আলেম ওলামাদের হক নষ্ট করা হবে এবং তাদের সাথে যেমন তেমন ব্যবহার করা হবে।"
বর্তমান যুগে ওলামা এবং দ্বীন সম্পর্কে যেসব উক্তি করা হয়,'ফতোয়ায়ে আলমগীরী' গ্রন্থে এগুলোর অধিকাংশকেই কুফরি কালামের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে,কিন্তু অজ্ঞতার দরুন মানুষ ঐ সব ব্যাপারে একেবারেই বেখবর। সুতরাং সকলেরই খুব সংযমের সাথে মুখ চালনা করা উচিত।¤
আল্লাহ আমাদের মানা ও বুঝার তৌফিক দান করুন!
(আলোচ্য লেখাটি শায়খুল হাদিস যাকারিয়া কান্ধলবী (রহঃ) প্রণীত ফাজায়িল ই আমাল গ্রন্থের ফাজায়িল ই তাবলীগ অংশ থেকে সংগৃহীত)
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
ত্রিভুবন বলেছেন: বর্তমানে আলিমদের নিয়ে তামাশা করাটা অনেক বেড়ে গিয়েছে,স্পষ্ট করে বলতে গেলে মুক্তমনের একটি ব্লগ আর এই সামু।অপ্রয়োজনীয়ভাবে নির্দয় তামাসা করাটা যে কতো বিকৃত চিন্তার মানুষদের হয়,সেটা এখানে এলেই বোঝা যায়।