নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্লিপওয়াকিং সাদমান

সর্বদাই রক্ষণাত্মক আমি। জোনাল ডিফেন্ডিং আর পাশ কাটিয়ে যাওয়া উইংপ্লেতে বিস্বাসী। না ফুটবল না, জীবনের কথাই বলছি। ফুটবলইই তো জীবন, তাই।

স্লিপওয়াকিং সাদমান

স্লিপওয়াকিং সাদমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

Gary Neville : A Manchester United Legend

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৪

আজকের গল্পটা পরিপূর্ণ। গল্পের নায়ক গ্যারি নেভিল। হয়তো নামটাই যথেষ্ঠ তার পরিচয় দেওয়ার জন্য। A proud cadet of the 'Class Of 92', an outstanding part of infamous Fergie's Fledglings. তবে তার চেয়েও বড় পরিচয়, তিনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এর গ্যারি নেভিল!



ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল ম্যাজিকাল। ১৬ বছর বয়সে যখন স্কুল ছাড়েন তখন হাতে ছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ইউথ কন্ট্র্যাক্ট, আর পাশে ছিল স্যার এ্যলেক্স ফার্গুসনের মতো কোচ। আর হয়তো বেশি কিছু চাওয়ার ছিল না তার। প্রথম মৌসুমেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ইউথ সাইডকে এফএ কাপ জেতান, তাও ক্যাপ্টেন আর্মব্যান্ড পড়ে। ১৯৯২ এর সেপ্টম্বরে টর্পেডো মস্কো এর বিরুদ্ধে ইউএফা কাপের খেলায় অভিষিক্ত হন ইউনাইটেড সিনিওর দলে। দুই মৌসুম পরেই নিজেকে প্রমাণের এক দারুণ সুযোগ আসে যখন পল পার্কারের ইঞ্জুরি রাইট ব্যাকের যায়গাটা খালি করে দেয়। সুযোগটাকে একেবারেই বৃথা যেতে দেননি। পার্কারের রিটায়ারমেন্টের আগ পর্যন্ত রাইট ব্যাক পজিশনটা নিজের করে রাখেন, যদিও ড্যানিশ ইরউইনের কাছে কিছু সময়ের জন্য যায়গাটা নড়বড়ে হয়। তবে বেশিদিন আর তাকে কপ্রোমাইজ করতে হয়নি, ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে অনেকটা নিয়মিত করে নেন পজিশনটা।



দারুণ গতি, অসাধারণ সব স্লাইড ট্যাকেল আর ভালো পজিশনিং এর জন্য নজরটা তার দিকে সবসময়ই ছিল। তবে যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি নজর কাটে তা হলো ডেভিড ব্যাকহামের সাথে দারুণ বোঝাপড়া। ব্যাকহাম-নেভিল জুটি যতোটা ছিল চোখ ধাঁধানো ততোটাই ছিল ভয়ংকর। এই রাইট ফ্ল্যাংক থেকে অনবরত ক্রস আর কুইক কাউন্টার এ্যাটাক ছিল আতংক। তবে শুধু এটাকের কথা চিন্তা করলে হবে না, ডিফেন্সের কাজটাও সমান তালেই করে গেছেন।



২০০৩ সালে যখন ব্যাকহাম মাদ্রিদে পাড়ি জমান তখন ইউনাইটেড ফ্যান থেকে শুরু করে ইংলিশ মিডিয়া সবারই হাহাকার শুরু হয়ে যায়, সবাই ভেবেছিল এই রকম জুটি আর কখনোই আসবে না ওল্ড ট্রাফোর্ডে। তবে নাম্বার ৭ দের সাথে তার ডায়ানামিক জুটি শুধু যে ব্যাকহামেই সীমাবদ্ধ হবে তা ভুল প্রমাণ করেন খুব দ্রুতই। লিসবনের সেই ম্যাচে হারের পর নিজেই যেঁচে আনেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। বাকিটুকু শুধু ইউনাইটেড এর রেকর্ড টেবিলেই সোভা পায়। ব্যাকহামের সাথে যে জুটি গড়েছিলেন তা ছিল পিওর ক্লাস আর নিজেদের দীর্ঘ বোঝাপড়ার সমন্বয়। তবে এবারের জুটিটা ছিল আরো দুর্ধর্ষ, আরো ভয়ংকর! গতি আর চরম ফুটবল ইন্টেলিজেন্স এ সবাইকে অবাক করে দেয় এই জুটি। উল্লেখ্য ২০০৭ এ যখন রোনালদো লেফট উইং এ খেলা শুরু করে তখন ডিফেন্সেই বেশি নজর ছিল এই ইংলিশ ডিফেন্ডারের।



নিকি বাটের কাছ থেকে ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে সেই দায়িত্বও একজন লিডারের মতোই পালন করেছিলেন। আবার শেষ দুই মৌসুম নিজে থেকেই ক্যাপ্টেন্সী ছেড়ে দেন দলের স্বার্থেই।



ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এর হয়ে জেতেন ৮ টি প্রিমিয়ার লীগ টাইটেল, ৩ টি এফএ কাপ, ৩ টি কমিউনিটি শিল্ড কাপ, ২ টি লীগ কাপ, ২ টি চ্যাম্পিয়নস লীগ, একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ও একটি ক্লাব বিশ্বকাপ। প্রিমিয়ার লীগ বর্ষসেরা দলে ছিলেন ৫ বার, ছিলেন দশকের সেরা দলেও (১৯৯১-২০০১ )।



আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্যারি ততটা সফল ছিলেন না। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেন ৮৫ টি ম্যাচ। তবে বড় ট্রুনামেন্টের আগে ইঞ্জুরি আর কোচদের প্ল্যান এ তে খুব কমই ছিলেন তিনি।



গ্যারি নেভিলের ক্যারিয়ার পরিপূর্ণ। তিনি দলের জন্য খেলতেন, তিনি ইউনাইটেডের জন্য খেলতেন। He played for the glory of Manchester United! He is Gary Neville.



A captain, a leader, a team man, a legend, A part of Manchester United!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: ফুটবল এর ভক্ত হিসেবে গ্যারি নেভিল আমার অনেক প্রিয় খেলোয়ার।তাকে নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: সামহোয়ারইনে সচরাচর ফুটবল বিষয়ক লেখা দেখা যায়না। বিশ্বকাপ নিয়ে সস্তা কিছু মাতামাতি ছাড়া।

আমি নিজেও ফুটবল ফ্যান না। তবুও পোস্টটি ভালো লাগলো। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.