![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে জাতির মাঝে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসেছিলেন, সে জাতির কিছু বৈশিষ্ট্যঃ
১। অবস্থান ছিল এরাবিয়ান উপদ্বীপে
২। আপাদমস্তক ডুবে ছিল শিরক ও মূর্তিপুজায়
৩। নিমজ্জিত ছিল অজ্ঞতা ও কুসংস্কারে
৪। লিপ্ত ছিল জুয়া ও মদের নেশায়
৫। আর নির্লজ্জ অশ্লীলতা ও ব্যভিচারে
উপরে উল্লেখিত বৈশিষ্টগুলো ছিল জাহিলিয়াত (অন্ধকার যুগের) যুগের বৈশিষ্ট্য। এই রকম একটি পরিবেশে রাসুলুল্লাহ (সা) আল্লাহ্র একাত্মবাদের প্রচার শুরু করেন। এরপর ১৪৩৪ বছর পার হয়ে গেছে। এখন আপনার চারপাশে লক্ষ্য করুন। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশকে বেছে নেই। শুধুমাত্র ভৌগলিক অবস্থান বাদ দিলে বাকি সবগুলো বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিদ্যমান। কবর, মাজার ও পীর পুজা করছে মুসলিম নামধারীরা। বাকিরা প্রিয় নায়ক/গায়িকা/খেলোয়াড়/ সাহিত্যিক/শিল্পীদের পুজা করছে। তরুণ প্রজন্ম কফ সিরাপ, ইয়াবা আর শীশা খেয়ে নেশায় বুদ। তাবিজ, কবজ, পানি পড়া, কোয়ান্টাম, হস্তরেখা এর ব্যবসা রমরমা। বেশিরভাগ পরিবার অবৈধ প্রাচুর্যে নির্লজ্জের মত গা ভাসিয়েছে। আর্ট আর কালচারের মোড়কে অশ্লীলতা শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। এদিকে ব্যভিচার ও ব্যভিচারিণীদের প্রমোশন হয়েছে। তাদের বলা হয় 'সেলিব্রেটি'। আমাদের সন্তানটা বড় হয়ে তাদের মত হওয়ার স্বপ্ন দেখে আর আমরা সোনামুখ করে সেই স্বপ্নের চারা গাছে সার দেই, পানি দেই!
দুঃসংবাদ হচ্ছে, আর কোন নবী-রসূল আসবেন না আমাদের পথ দেখানোর জন্য। সুসংবাদ হচ্ছে, এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য যা কিছু করনীয়, সেই ম্যানুয়েল বা গাইডেন্স বইটি অবিকৃত অবস্থায় আমাদের কাছে আছে। রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে কুরআনের প্রথম যে আয়াতটি নাযিল হয় তা হল, "পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন"। [৯৬:১] চলুন, আমরাও পড়ে দেখি, আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে কি কি করতে বলেছেন আর কি কি করতে নিষেধ করেছেন এবং শুধুমাত্র এই Do & Don't গুলোর উপর নিজের ও নিজ পরিবারের জীবন সাজাই। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবার আর কোন শর্টকাট রাস্তা নাই!
২| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
বাধা মানিনা বলেছেন: নবী-রাসুল গন আর আসবেন না। কিন্তু নায়েবে রাসুল বা রাসুলের উপরসূরী বা প্রতিনিধীগন কাল কেয়ামত পর্যন্ত যুগে যুগে সময়ের প্রয়োজনে এই পৃথিবীতে আসবেন। তাদের আগমনের ব্যাপারে পবিত্র কোরনআন শরীফেও উল্লেখ আছে। সম্পূর্ণটুকু না জেনেই নিজের ধ্যান-ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করার মানসে পীর-মাসায়েখদের ব্যাপারে নেগেটিভ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৪
দোদূল্যমান বলেছেন: @ বাধা মানিনা
আপনারা কি এমন কিছু জানেন যে, সালাফে সালেহীনদের মধ্যে কেউ কবরকে পাকা করেছেন বা তাকে চুনকাম করেছেন বা তার উপর ঘর তৈরী করেছেন? অথবা কোন মানুষের কাছে আশা-আকাঙ্খা পেশ করেছেন? অথবা কোন মাজার বা দরগাহের উসীলা করেছেন? আর মহাজ্ঞানী বাদশাহ আল্লাহ তা'আলা থেকে তাঁরা উদাসীন থেকেছেন?
সাহাবায়ে কেরাম বা তাবেঈন বা তাবে-তাবেঈন বা অনুসরনীয় ইমামদের (রাঃ) কেউ কি নবী (সাঃ)-এর কবরের কাছে দন্ডায়মান হয়ে কোন প্রয়োজন পূরনের জন্য বা বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য তাঁদের কাছে প্রার্থনা করেছেন?
৪| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৩
এক মুসাফির বলেছেন: হুম অবশ্যই জানা আছে।তর্কের জন্য নয় জানার জন্য আলোচনা করা প্রয়োজন।আসুন আলাপ করি সরাসরি। ইনশেআল্লাহ আশা করি আপনার ভুল ভাংবে যদি আল্লাহ দয়া করেন।
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
দোদূল্যমান বলেছেন: @এক মুসাফিরঃ
আমি আপনার আলোচনা বা যুক্তি-তর্ক পড়ার জন্য অপেক্ষা করছি। একটু সময় করে আপনার বক্তব্যটা এখানে লিখে যান।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
এক মুসাফির বলেছেন: রাসুল আর আসবেন না কিন্তু রাসুলের ( সাঃ )যোগ্য নায়েব আসবেন যুগে-যুগে।আর তাই পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ঘোষনা দিয়েছেন-হে ঈমানদারগন তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আর সত্যবাদীদের সাথী হও।আমার নবীজি( সাঃ ) বলছেন-যে যুগের ঈমাম না চিনে ম্বত্যুবরন করবে তার ম্ৃত্যুটা হবে অন্ধকারে।
কুরআনে-হাদিসের নির্দেশনা পালনে আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।