নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট্ট শহরের সাধারণ ছেলে । পড়তে ভালোবাসি, নতুন কে ভালোবাসি আর ভালোবাসি জ্ঞানচর্চা ।

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব

1 2 3 Start

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন কি যুবদের ধর্মীয় উন্মাদনার কারণ হতে পারে?

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫০


যৌনতা মানুষের খুবই, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চাহিদা। এটি একটি প্রাণীর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ এটি শুধু একজন মানুষ কে শুধু পরম সুখই অনুভব করায় না বরং এটি তার বংশ বিস্তার করে এবং পৃথিবীর বুকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা জীবনে মাত্র একবার সেক্স করার পর পরই মারা যায়। অর্থাৎ তারা তাদের DNA যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই বেচে ছিলো। তার জ্বিন ছড়িয়ে দেওয়ার পরেই পৃথিবীতে তার কাজ শেষ। মানুষের ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছানোর পর আমাদের DNA ও শরীর সকল ভাবে আমাদের সিগনাল দিতে থাকে যৌনতা করার জন্য। কিন্তু সময় ও প্রেক্ষাপটের কারণে অনেক সময় সেটা হয়ে ওঠে না।

যৌনতার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও ঘটেনা তখন কি হয়?
চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাদের বলে যে যৌনতা সময় মতো না হলে শারীরিক এবং মানসিক দুই ধরনের সমস্যাই হতে পারে। ইংরেজিতে মজা করে একটি কথা বলা হয় যে "বীর্য মাথায় আটকে গেছে"। কথাটির অর্থ হলো... অনেক ক্ষেত্রে যখন কেউ যৌনতা হীনতায় ভোগে তখন অনেক সময় এটি তার ব্যাবহার আচার, চিন্তা ভাবনা ও কাজে কর্মে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকরা বলেন যে... যৌনতা হীনতা (বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে) হতাশা, মানসিক ডিপ্রেশন, খিটখিটে মেজাজ, রাগ-ক্ষোভ, জীবনের প্রতি অবসাদ এবং সর্বোপরি সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশনের জন্ম দেয়।

এখন... এই সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন কি যুবকদের মাঝে ধর্মীও উন্মাদনার জন্ম দিতে পারে?
আসুন কিছু কেস স্টাডি করা যাক।
-----------
কেস-১: ২০০৯ সালের নিদাল হাসান নামের এক জঙ্গি আক্রমণকারী বন্দুক হামলায় ১৩ জন কে হত্যা করে এবং ৩২ জন কে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ইনভেস্টিগেশনে নিদাল হাসান সম্পর্কে একটি তথ্য আসে। নিদাল হাসান ইসলাম ধর্মীয় চরমপন্থি বিশ্বাস পোষণের সাথে সাথে একজন যৌন হতাসাগ্রস্থ ব্যাক্তি ছিলেন। তার বয়স হামলার সময় ৪০ বছর হলেও সে অবিবাহিত ছিলো। সে জানায় যে... তার মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করতে বা মেইনটেন করতে অসুবিধা হয়। মেয়েরা সাধারণত তাকে পছন্দ করেনা তার পার্সোনালিটির জন্য। এই নিয়ে সে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলো। নিদাল হাসান এটা নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিলো যে "এখনকার মেয়েরা অনুগত না এবং সে বিয়ে করার জন্য অনুগত ভালো কোনো ভালো মুসলিম মেয়ে খুঁজে পায় না" মূলত সে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলো।

কেস-২: ২০০৪ সালে মোহাম্মাদ বয়ুরি নামে একজন মরোক্কান বংশ ভুত আমেরিকান মুসলিম যুবক একজন ডাচ সিনেমা নির্মাতা থিও ভ্যান গঘ কে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করে কারণ সে ইসলামে নারীদের অবস্থান নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি মুভি তৈরি করেছিলো। পরবর্তীতে "দি মার্ডার অফ এমসটাড্যাম" বইতে মোহাম্মাদ বায়ুয়ি সম্পর্কে লেখা হয় যে। টিনেজ বয়স থেকেই তার কোনো বান্ধবী ছিলোনা। বহু চেষ্টার পরেও সে কোনো গার্ল ফ্রেন্ড বানাতে পারেনি এবং এই নিয়ে সে খুব ডিপ্রেশনে ছিলো। কিন্তু... যৌবনে পা দেওয়ার পর যখন সে জানতে পারে যে তার ছোট বোনের একটা বয় ফ্রেন্ড আছে তখন সে মানসিক ভাবে একেবারেই ভেঙ্গে পড়ে এবং নিজেকে নিজের কাছে মূল্যহীন ও বার্থ পুরুষ বলে মনে হয় এবং আরো ডিপ্রেশনে চলে যায়।
পরবর্তীতে সে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয় এবং সে চরমপন্থি ইসলামের দিকে চলে যায়। চরমপন্থি ইসলাম তার কাছে দিন দিন ভালোলাগাতে শুরু করে। সে বিশ্বাস করতো যে চরমপন্থি ইসলামের মাধ্যমে সমাজ কে শুধরানো সম্ভব এবং সমাজের সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব।সে চরমপন্থি ইসলামের মাধ্যমে এই সমাজ কে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলো।

কেস-৩: ২০১৬ বাংলাদেশে হলি আর্টিজেন হোটেলে হামলাকারী অধিকাংশই ছিলো যুবক বয়সী এবং অবিবাহিত (অনুমান করা যায় তাদের কোনো গার্ল ফ্রেন্ড ছিলোনা)।

কেস-৪: কিছুদিন আগে দেখলাম প্রথমা আলো ও বিভিন্ন খবরের সূত্র মতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অর্ধশতাধিক ইসলামি ধ্যান ধারণার যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা তথাকথিত "হিজরত" করতে গেছে এবং একই সাথে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে ইসলামি চরমপন্থি কোনো দেশে গেছে। এই যুবক গুলি খুবই অল্পবয়সী এবং অবিবাহিত (অনুমান করা যায় তাদেরো কোনো গার্ল ফ্রেন্ড নেই)।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা যদি বলিঃ আমার অধিকাংশ বন্ধু যাদের স্কুল লাইফে কোনো বান্ধবী ছিলোনা তারা সেই সময়ে ধর্ম নিয়ে খুব একটা চিন্তা ভাবনা করতো না। কিন্তু কলেজ ভার্সিটি লাইফ থেকে সেগুলোর শেষ পর্যায়ে এসেও যখন বেকারত্বের কারণে বিয়ে করতে পারেনি বা এমনকি কোনো রিলেশনও গড়ে তুলতে পারেনি তখন থেকে খেয়াল করতে লাগলাম তারা যেনো দিন দিন কেমন আরো বেশী ধর্মের প্রতি আসক্ত ও একই সাথে দিন দিন হিংস্র স্বভাবের হয়ে যেতে লাগলো। তখনি আমি কয়েক জনের ভিতর মৌলবাদি ও চরমপন্থি ইসলামের প্রভাব বিস্তার করতে দেখি। এর মধ্যে আবার আমার দুই এক জন বন্ধুর বিয়ে হয়ে গেলে তারা দেখি অনেকটা শান্ত স্বভাবের হয়ে যায় এবং সবকিছু বাদ দিয়ে সংসারে মনযোগী হয়। বাকিরা আজো সহিংস কোনো জড়িত না হলেও তারা মনে প্রাণে চরমপন্থি ইসলাম কে সাপোর্ট করে।
(বিঃদ্রঃ খেয়াল করবেন আমি এখানে চরমপন্থি ইসলাম বলেছি। সাধারণ শান্ত ও শ্নতির ধর্ম ইসলাম বলে আমরা যেটাকে চিনি সেটার কথা বলিনি।)

--------

এখন, যদিও সকল যুবকদের তাদের যৌন হতাশা কে তাদের চরমপন্থি আচরণের মূল কারণ হিসেবে বলা সম্ভব হচ্ছেনা কিন্তু তবুও আমার মনে হয় এটি তাদের চরিত্রের একটি বড় দিক। আপনি গত কয়েক বছরে যতগুলো জঙ্গি হামলার ঘটনা দেখবেন খেয়াল করে দেখবেন প্রতিটা ঘটনার হামলাকারীদের মধ্যে কিছু জিনিস খুবই কমন।

(১) এরা সবাই অল্পবয়সী বা যুবক বয়সী
(২) এদের সকলেই পরিবার থেকে দূরে অথবা পরিবারের সাথে থাকলেও পরিবার থেকে একটা দূরত্বে থাকে অর্থাৎ এরা কি করে না করে পারিবার এগুলো সম্পর্কে কোনো খোজ জানেনা বা রাখেনা।
(৩) এরা একা থাকতে পছন্দ করে
(৪) একটা সময় পর্যন্ত এদের খুব বেশি কোনো বন্ধুবান্ধব থাকেনা। তবে কোনো দল বা সংগঠনে যোগ দেওয়ার পর একই মতাদর্শের বন্ধু তৈরি হয়। তখন এরা নিজস্ব মতাদর্শের বাইরে কারো সাথে মেশেনা বা বন্ধু হিসেবে নেয় না।
(৫) এরা অধিকাংশই অবিবাহিত
(৬) এদের কোনো গার্ল ফ্রেন্ড নেই এমনকি সাধারণ বান্ধবীও থাকেনা। এদের মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করতে, কথা বলতে এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অসুবিধা হয়।
(৭) এরা মেয়েদের প্রতি বিদ্বেষ পূর্ণ মনোভাব রাখে এবং সমাজে সকল কাজে মেয়েদের দোষারোপ করে।
(৮) এরা মেয়েদের সাথে সাথে এই সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থার উপরেও অতিরিক্ত ক্ষুব্ধ ও ক্ষিপ্ত।

এতোগুলো পয়েন্টের মধ্যে আমার কাছে যৌনতার দিক থেকে যে একটা অভাব, সেটাকে আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। কারণ.... সাধারণত, যাদের স্ত্রী আছে অথবা কোনো আপনজন আছে অথবা ভালবাসা পূর্ণ পরিবার আছে তারা কখনো তার স্ত্রী বা আপনজনদের রেখে জঙ্গি হামলা করতে যায় না। তারা কখনো এটা ভাবেনা যে আমার ভালোবাসার আপনজনদের রেখে একটা জঙ্গি হামলা করে এসে আবার তাদের সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করবো। যাদের স্ত্রী বা আপনজন আছে তারা সব সময় তাদের ভালোবাসার মানুষদের জন্য কি করবে বা কিভাবে তাদের সাথে সময় কাটাবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকে।

এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে... যারা বিবাহিত বা পরিবার, আপনজন আছে তারা কি চরমপন্থি হয় না?
হ্যাঁ... তারাও হতে পারে। কিন্তু চরমপন্থি আচরণে তাদের সংখ্যা খুবই যৎসামান্য। বিবাহিত বা পারিবারিক মানুষদের ধর্মীয় চরমপন্থা শুধুমাত্র ঐ ফেসবুকে একে ওকে গালি দিয়ে পোস্ট দেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তারা কখনো অস্ত্র হাতে তুলে নেয় না।

অস্ত্র হাতে নেওয়া অধিকাংশই অবিবাহিত যুবক। খেয়াল করে দেখবেন এইসব চরমপন্থি দলের যারা লিডার তারা কিন্তু বিবাহিত। শুধু বিবাহিত না... এদের এক এক জনের একাধিক স্ত্রী এবং অনেকের আবার নারী ঘটিত অনেক কেলেঙ্কারিও আছে। অথচ এদের যারা শিষ্য বা অন্ধ ভক্ত যারা এদের কথায় অস্ত্র হাতে যেকোনো হামলা করতে প্রস্তুত এরা অধিকাংশই অল্পবয়সী একা থাকা যুবক। এই নেতারা এইসব যুবকদের সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশনের সুযোগ নেয় এবং যুবকদের যৌন হতাশা ও ডিপ্রেশন কে কাজে লাগিয়ে এদের ব্রেন ওয়াশ করে। এদের বোঝানো হয় যে এদের জীবনে যত সমস্যা তার সবকিছুর কারণ এই সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থা। এই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারলে তাদের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং... এই সমাজ পরিবর্তন করতে গিয়ে তারা যদি মারাও যায় তাহলেও পরকালে তারা অনেক অনেক পুরুষকার পাবে যা । এভাবেই... এইসব যুবকেরা ব্রেইন ওয়াশ হয় জঙ্গি ও চরমপন্থি কাজের জন্য।

আবার প্রশ্ন আসে যে তাহলে, এরা বিয়ে করেনা কেনো বা গার্ল ফ্রেন্ড বানায়না কেনো?
দেখুন... বিয়ে করা খুবই সহজ কোনো বিষয় না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় যেহেতু পুরুষরা কর্তা বা পরিবারের পরিচালক তাই বিয়ে করার আগে তাদের নিজেদের অন্তত দুইজন মানুষের পরিচালনা খরচ উপার্জন করার সক্ষমতা অর্জন না করে বিয়ে করা সম্ভব হয় না। বেকার ছেলেদের কাছে কেউ মেয়ে দেয় না এমনকি বেকার ছেলেরা নিজেরাও বিয়ে করতে চায় না, বিয়ের পর সংসার চালাতে পারবেনা বা স্ত্রী কে সন্তুষ্ট রাখতে পারবেনা এই ভয়তে। আর বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সাথে মাত্রারিক্ত জনসংখ্যার কারণে চাকরি এখন সোনার হরিণ। আমার নিজের বন্ধুরাই একই সাথে পাশ করে ৮০% বন্ধু আজো বছরের পর বছর বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খুঁজে বিয়ে করতে করতে তাদের বয়সের সীমানা পার হয়ে যাবে।

অন্যদিকে, আধুনিক সমাজে মেয়ে বন্ধু বা গার্ল ফ্রেন্ড বানানোও সহজ কোনো বিষয় না। সেখানেও একজন পুরুষের স্ট্যাটাস, চেহারা, পার্সোনালিটি, কথা বলার ক্ষমতা ইত্যাদি সবকিছুই বিচার করে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গী হিসেবে পছন্দ করে। সুতরাং... সেখানেও ছেলেদের জন্য অতিমাত্রায় কম্পিটিশন। অর্থাৎ সঙ্গী খোজার সব জায়গাতেই... অন্য পুরুষদের ঠেলে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করা খুবই জটিল একটা বিষয়।

আমি আর্টিকেল পড়ার সময় আমেরিকার কিছু রিসার্চ সেন্টার থেকে কিছু রিপোর্ট আমার চোখে পড়ে যেখানে বলা হচ্ছে। আধুনিক সমাজ কে টিভি বা মিডিয়াতে যেমন অতিরিক্ত হাইপার সেক্সুয়াল দেখানো হয় আসলে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। আমেরিকার মতো দেশেও যারা নিয়মিত সেক্স করে তাদের তুলনায় যারা সেক্স পাচ্ছেনা বা যৌনতা হীনতায় ভুগছেন তাদের সংখ্যা বেশী। আমেরিকাতে এখন সেক্স হীন একা জীবনযাপন কারী মানুষের সংখ্যা বেশী... নিয়মিত সেক্স করছেন তাদের চাইতে এবং এই অসমতাও মানুষের মধ্যে ডিপ্রেশন ও হতাশার জন্ম দিচ্ছে। একটা হেলদি সেক্স লাইফ মেইন্টেন করা খুবই কঠিন কাজ আজকের সমাজে। সেখানে আমাদের বাংলাদেশর মতো দেশ বা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশের যুবকদের কি অবস্থা হয় আপনারা কল্পনা করতে পারেন। হয়তো এজন্যই আমরা এইসব গরীব দেশ থেকে অধিকাংশ জঙ্গি বের হতে দেখি।

শেষকথা... দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি যা বললাম পুরোটাই ছিলো আমার নিজস্ব রিসার্চ ও মতামত। আমি কোনোভাবেই ১০০% গ্যরান্টি সাথে যৌন হতাশাই যে যুবকদের মাঝে চরমপন্থি ভাবনা বা জঙ্গিবাদী হওয়ার কারণ অথবা একমাত্র কারণ... তা বলছি না। তবে আমি মনে করি আমার প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন এবং ক্রিমিনাল সাইকোলজিস্ট বা যারা অপরাধীদের মনোবিজ্ঞান নিয়ে যারা গবেষণা ও পড়াশোনা করেন তাদের এই বিষয়টি আরো গবেষণা করা উচিৎ।

আমি শুধু এখানে একে একে দুই আর দুয়ে দুয়ে চার করেছি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রেখেই সবার সামনে যে "সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন কি যুবদের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনার কারণ হতে পারে?"

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগল ।

যৌনহীনতা বা যৌন সম্পর্কহীনতার কারণে হতাশা বা খিটখিটে মেজাজ কী কেবল পুরুষদের ওপর প্রভাব ফেলে ? আমি ব্যক্তিজীবনে দেখেছি নারীদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয় । তবে এতটা সহিংস পর্যায়ে হয়তো সে যাচ্ছে না কোন না কোন সামাজিক ও মানসিক অনুষঙ্গের প্রক্রিয়ায় । কিন্তু এই অনুষঙ্গ যদি বিলুপ্ত হয় তবে মনে হয় নারীরাও এমন হতাশা থেকে ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠবে !!

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার লেখায় 'রতিমতি পুরুষ হাতির' উদাহরণ না থাকায়, লেখাটা পরিপুর্ণতা পায়নি। আপনি কিসব রিসার্চ করেছেন বলেছেন, এই রিসার্চের করার পুর্বে পড়ালেখার সময় কি নিয়ে রিসার্চ করে সার্টিফিকেট পেয়েছেন?

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৪

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব বলেছেন: আমি জাস্ট একটা মতামত দিয়েছি। আমি বেশ কয়েকটি আর্টিকেল পড়েছি এই বিষয়টা নিয়ে কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এগুলো যথেষ্ট নয়, আরো রিসার্চ প্রয়োজন। সেটাই বলেছি এখানে। আপনি কি সার্টিফিকেট ছাড়া কারো মতামত গ্রহণ করেন না?

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

অপ্‌সরা বলেছেন: জঙ্গী মানেই মেন্টাল।

আর মেন্টালদের গার্লফ্রেন্ড বা বউ থাকবে তাই কি হয় নাকি??

কাজেই সেই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়।

মেন্টালগুলাই ধর্মান্ধ হয়ে সহিংসতা করে।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হতে পারে না। কারো বান্ধবী বা সঙ্গী না থাকলেই সে সহিংস হয়ে উঠবে এমন উদাহরণ খুবই নগন্য। আমেরিকাতে প্রায় সময় স্কুলে গুলি করে যারা বা্চ্চাদের মারে তারা কেউ সেক্সুয়াল ফ্রাস্টেশনে ভুগছিল বলে জানা যায় না। তবে তারা মেন্টালি ডিস্টার্বড ছিল...

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৫

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব বলেছেন: অবশ্যই ব্যাতিক্রম উদাহরণ না আর আমি সেটা বলছিও না। তবে অধিকাংশ এক্সট্রিমিস্টদের মধ্যে কিছু জিনিষ কমন পাওয়া যায়। আমি সেটাই পয়েন্ট আউট করার চেষ্টা করেছি।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে তো?

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

বিটপি বলেছেন: বিশাল গো বেশনা থেকে কি জিনিস বের হইল আল্লাহ মালুম!

সন্ত্রাসী হামলা তো তরুণেরাই করবে - যাদের কোন পিছুটান নেই, পরিবার নিয়ে কোন চিন্তা নেই, চিন্তা ভাবনায় পরিপক্কতা নেই। এর সাথে সেক্সুয়াল ফ্রাস্টেশনের কি সম্পর্ক? গার্লফ্রেন্ড থাকলেই বুঝি আর জঙ্গী হবেনা?

বেকার যুবকেরা তাদের সেক্সুয়াল ফ্রাস্টেশন কাটানোর জন্য কি করবে? গার্লফ্রেন্ড যোগাড় করবে? এতই সহজ? কোন গার্লফ্রেন্ড তাকে বিনা দায়িত্বে সেক্স করতে দেবে? এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে, যেসব কন্যাদায়গ্রস্ত ফ্যামিলির মেয়ে বিয়ে করা এই শর্তে যে স্বনির্ভর হবার আগে সে বউকে বাড়িতে নেবেনা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৬

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব বলেছেন: লেখাটা পোরেননি বোঝা গেলো। শুধু টাইটেল পড়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়, লেখাটা আরেকবার পড়েন তারপর কথা বলেন।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:




আমার মনে হয় বিষয়টা ঠিক না ।

পোষ্টে উল্লেখিত বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোতে তরুণদের কথা বলা হয়েছে যারা বিভিন্ন জঙ্গি হামলা বা চরমপন্থি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত। বলা হয়েছে তাদের লাভলাইফ নেই, ফ্রাস্ট্রেশন থেকে জড়িত হচ্ছে।

তাহলে সেই সময়ের সেই কোন কাল থেকে দেখা কমিউনিস্ট পার্টির আন্দোলন থেকে শুরু করে যেকোন আন্দোলনেই তরুণ সমাজ ছাত্রদের সবচেয়ে বেশি ইনভল্ভমেন্ট দেখা যায় ।
তাদের মেজরিটি অবিবাহিত বা সম্পর্কের মাঝে ছিলো না যেহেতু বয়স কম বা রাজনীতির করছে ।
তাহলে তাদেরকেও কি বলবো লাভলাইফ নেই বলে সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন থেকে ইনভল্ভ হয়েছে ???

অবশ্যই না ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৮

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব বলেছেন: সেক্সই ই যে একমাত্র উদ্দিপক তা তো বলি নাই। টাকা, ক্ষমতা এগুলোও বড় উদ্দিপক। সবাই যে একই লক্ষ নিয়ে কাজ করবে তা তো বলিনাই। আমি অল্প বয়সী যুবকদের পিছনে উদ্দিপক কি থাকে সেটার কথা বলেছি।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




সোনাগাজী বলেছেন:

আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে তো?


হা হা হা……
কি ? আছে ?
না থাকলেও এখন হ্যাঁ বলতে হবে ।
নইলে কিন্তু জঙ্গি হবার চান্স থেকে যায় :)

একজন তরুণের ওয়াইফ বা গার্লফ্রেন্ড থাকা না থাকার সাথে জঙ্গি হবার কোন যুক্তিযুক্ত কারন খুঁজে পেলাম না ।
গার্লফ্রেন্ড থাকা মানেই সেক্সচুয়ালি একটিভ রিলেশনশিপ থাকবেই নট অলওয়েজ ।



০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০

মোঃ মেহেদী হাসান সজীব বলেছেন: তার আগে আপনি একটা প্রশ্নের উত্তর দেন তো.
সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন বলতে আপনি কি বোঝেন?

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জঙ্গিদের তো বউ থাকার কথা ৪ টা। তারপরও ফ্রাসট্রেশন কেন? আইসিস জঙ্গিরা তো গণিমতের মাল হিসাবে ফ্রি দাসীও পায় শোনা যায়। তারপরও ফ্রাসট্রেশন থাকলে তো সমস্যা।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

কামাল৮০ বলেছেন: ইসলাম ধর্মের যে সব জঙ্গী তারা আদর্শ মেনেই জঙ্গী।ইসলামে দুটি দিকই স্পষ্ট।একটা হলো তার জঙ্গী দিক অন্যটি হলো তার মধ্য পন্থার দিক।
নবী ইসলাম প্রচার করেন ২৩ বছর।১৩ বছর মক্কায় ১০ বছর মদিন।মক্কায় যখন ইসলাম প্রচার করেন তখন তার প্রতিপক্ষ ছিল তার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।তিনি প্রচার করেন তোমার ধর্ম তোমার আমার ধর্ম আমার।মক্কায় নাজিলকৃত সূরা গুলো অনেক মানবিক।
যখন অবস্থা চরম আঁকার ধারন করে বিশেষ কিছু কারনে তখন মক্কার গন্যমান্য লোকেরা সিধান্তনেয় নবীকে মেরে ফেলতে হবে।তখন আবুতালেব নবীকে ডেকে বলে,ভাতিজা তোমাকে আমি আর রক্ষা করতে পারবো না।তুমি পালিয়ে যায়।বিস্তারিত লিখাআছে সিরাত গ্রন্থে।সব সিরাত গ্রন্থেই এই কাহিনী পাবেন।
মদিনায় শক্তিশালী হবার পর প্রচার করেন, ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম বাকি সব মিথা। এবং সারা দুনিয়ায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জিহাদ ফরজ করা হলো।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১১

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাই
যারা সেক্সুয়াল হতাশায় আছে, তাদের জলদি সেক্সের ব্যবস্থা করে দেন।
এতে, তাদের আর আপনার দুই পক্ষেরই উদ্দেশ্য সাধন হবে।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: শিরোনাম দেখে ভাবলাম আপনি জানতে চেয়েছেন। বিস্তারিত পড়ে বুঝলাম আপনি নিশ্চৎ হয়েই এত বিশাল গবেষণা করেছেন । আমি আর কি জবাব দেবো। উপরে দেখলাম অপ্‌সরা বলেছেন: জঙ্গী মানেই মেন্টাল।

আর মেন্টালদের গার্লফ্রেন্ড বা বউ থাকবে তাই কি হয় নাকি??

কাজেই সেই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়।

মেন্টালগুলাই ধর্মান্ধ হয়ে সহিংসতা করে।


আপনার বিশাল গবেষণার এটাই উত্তম জবাব।

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:১৯

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শিহান ছোট বেলা থেকেই ডানপিটে। চাপে পড়ে স্কুলে যেতে হয়েছে মাঝে মাঝে, কিন্তু পড়াশোনা ভালো লাগেনি কোনো কালে। বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াত, মার্বেল ডাংগুলি খেলেই পার করে দিত সারা দিন। পড়ার কথা উঠলেই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আসত।

তারপরও অনেকে বলত, স্কুল পালালেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না হে! তাদের দিকে করুণার হাসি হাসত শিহান। বিজ্ঞানের প্রতি ছিল তার খুব ঝোঁক, কিন্তু স্কুলে পঠিত বিজ্ঞান না। স্কুলেই যদি বিজ্ঞান হত, তাহলে কি নিউটন আপেল গাছের নীচে বসে থাকতেন আর এডিসন গোলাবাড়িতে ডিমে তা দিতেন? তো শিহানকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত। কিন্তু সেই শিহানই যে এত যুগ অন্তকারী আবিষ্কার করে ফেলবে আর সবার মুখ স্তব্ধ করে দিবে, কে জানত! নীচে শিহানের একটি মহা আবিষ্কার তুলে ধরা হলো:

একদিন শিহান তাদের পুকুরে মাছের পোনার ঝাঁকের দিকে তাকিয়ে ছিল। এমন সময় দেখল, তার খালাতো বোন শাহানা পুকুর পাড় ধরে হেঁটে বাড়ির ভেতর যাচ্ছে। শাহানা কিছু দিন আগে চুলে বব কাট দিয়েছে। খোলা চুলে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল তাকে, শিহান মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল। এরপর শাহানা যতবারই বাড়িতে আসত, পুকুর পাড়ে পোনাকে খাবার দিতে দিতে তার চুলের দিকে তাকিয়ে থাকত শিহান। কয়েক মাস পর শিহান তার প্রথম মহা আবিষ্কারটি করল: মেয়েদের মাথার চুলের সাইজ বৃদ্ধি পুকুরে তেলাপিয়া মাছের সাইজ বৃদ্ধির সমানুপাতিক (directly proportional), একটা বাড়লে আরেকটা বাড়ে।

গাণিতিকভাবে,
h=k*t, যেখানে h = মেয়েদের চুলের সাইজ t = তেলাপিয়া মাছের সাইজ k = সমানুপাতিক ধ্রুবক।

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

কিশোর পথিক বলেছেন: খোড়া যুক্তিগুলোর উৎস কোথায়!

১৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: জঙ্গিরা মূলত ধর্মের সন্ত্রাস।

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৪

দংশন বলেছেন: আমার উপরের মন্তব্যটা মুছে দিয়েন দয়া করে। কারণ এর মাধ্যমে অনেকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে যা কখনই আমার কাম্য নয়। আমি বিশ্বাস করি সব ধর্মেই শক্তিশালী ও কিছু দূর্বল দিক আছে এই দূর্বল দিকগুলা কে কিভাবে মোকাবেলা করবে সেটাই আসল পরীক্ষা। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.