নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ আমি মানুষের কথা বলি, দেশের কথা বলি। আমি যা বলি আর যা লিখি তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ধারনা।
আমরা সবাই জানি গত বৃহ:স্পতিবার বাংলার আকাশ থেকে মুচে গেল এক রাজাকারের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন বাংলাদেশ। আর সেই স্বাধীন বাংলা পাওয়ার জন্য জীবন দিয়েছে অনেক বীর শহীদ এবং তেমনি বাংলায় ইজ্জত হারাতে হয়েছে অসংখ্য মা-বোনদের । তার পরও কি আমরা পেয়েছি মুক্ত বাংলায় স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াতে। যখন রাস্তায় বের হই শুধু দেখতে পাই স্বাধীন বাংলার বিরুদী শক্তিদের। যাদের বাকশালী তান্ডবের জন্য যেমন আমরা পাচ্ছিনা সুখ তেমনি পাচ্ছি না জীবনের নিরাপত্তা।
সে রকম একজন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। আমরা তার রুহের আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি (মৃত ব্যাক্তির ভালো কামনা করলে নিজের ভালো হয়)। এমন ব্যক্তির জানাজা হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি মসজিদ তা হল বায়তুল মোকারম।
আমি চিন্তা করে পারছিনা কি করে সম্ভব। কোথায় থাকলো আমাদের বিভেক বুদ্ধি। আমরা কি ঠেকাতে পারি নি তা ? আমরা তরুন প্রয্যম্ম কি করছি। উদ্দিলিত রক্তের তেজের মাধ্যমে আমরা কেন পারিনি তাদের ঠেকাতে "?
আজ রাজাকারের ধ্বনিতে মুখরিত হল বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ মসজিদ বায়তুল মোকারম। আমরা শুধু তা তাকিয়ে দেখে গেলাম। কেন ? কেন?
তাদের মতে গোলাম আযম একজন ভাষা সৈনিক,
রাজাকার গোলাম আযম যদি একজন ভাষা সৈনিক হয় তাহলে কেন তিনি স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের বিরুধীতা করেছেন...? এতে তিনি নাকি বলেছেন-
"ভারতের সাহায্য নিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে চাই। কারন ভারত
আমাদেরকে স্বাধীন করার উদ্দেশে সাহায্য করেনি। তারা তাদের স্বার্থের
কারণে আমাদের সাহায্য করেছে।
তাদের স্বার্থ ছিল তিনটা :
প্রথমত, পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা ভারতকে সুযোগ দিয়েছে পাকিস্তানকে ভাগ করে দুর্বল করার। চিরদুশমন পাকিস্তানকে দুর্বল
করা গেল। দুইবার যুদ্ধ করে ভারত পরাজিত হয়েছে। এবার তারা তৃতীয়বার সুযোগ পেয়েছে তার প্রতিশোধ নেয়ার এবং তাকে ভাগ
করে দুর্বল করার।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল, যেহেতু বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে ভারতের
পেটের ভেতরে সে জন্য তারা বাংলাদেশকে আলাদা করতে পারলে আমাদের
ওপর তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে।
তৃতীয় স্বার্থ ছিল, তারা তাদের পণ্যের বাজারে পরিণত করবে এ অঞ্চলকে।
তারা তাদের সেই তিনটা স্বার্থর তিনটা স্বার্থই পূরণ হয়েছে।
আমরা এই আশঙ্কা করেই স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। আমাদের সেই আশঙ্কা দুর্ভাগ্যজনকভাব সে সত্যে পরিণত হয়েছে।" (লিঙ্ক- দৈনিক নয়া দিগন্ত )
আসলে আপনেরা কি তাই মনে করেন? আমার মনে হয় তিনি তার পিঠ বাঁচানোর জন্য তাই বলেছেন।
দয়াকরে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন। তা না হলে বাংলার মাটি থেকে একদিন আমাদের সকল চেতনা দুলিশাত করে দিয়ে তারা বিজয়ী হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.