নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ আমি মানুষের কথা বলি, দেশের কথা বলি। আমি যা বলি আর যা লিখি তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ধারনা।
দুনিয়াতে মানুষের হাতে মানুষ হত্যা বড়ই বেদনা দায়ক। পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, ফ্যাসিবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ইত্যাকার বহুতর মতবাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে আধুনিক পৃথিবীতে। গত প্রায় দুই শতাব্দীকাল ব্যাপী চলছে কথিত গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের জয়জয়কার। যুলুম ও অত্যাচারের ষ্টীম রোলার চালানো হচ্ছে বিশ্বব্যাপী মূলতঃ ঐ তিনটি গালভরা আদর্শের নাম নিয়েই। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে কেবল বিংশ শতাব্দীতেই সংঘটিত প্রধান তিনটি যুদ্ধে পৃথিবীতে কত বনু আদমকে হত্যা করা হয়েছে, তার একটা হিসাব আমরা তুলে ধরার প্রয়াস পাব। তবে এ হিসাব পূর্ণাঙ্গ কি-না সন্দেহ রয়েছে। বরং প্রকৃত হিসাব নিঃসন্দেহে এর চাইতে অনেক বেশী হবে। যুগে যুগে মানুষ তার বিবেক বুদ্ধিকে ক্ষয় করে পশুর সমতুল্য হয়ে যাচ্ছে, যায় প্রমান দেখা যায় বিংশ শতাব্দির মহাযুদ্ধ গুলোর মাধ্যেমে । যার ফল আজো বয়ে বেড়াতে হয় জাপানের মত ঐ সকল জায়গায়। যা ইতিহাস হয়ে থাকবে যুগ যুগান্তর। এমনি কিছু যুদ্ধের বিবরন তুলে ধরা হল -
১. ১ম মহাযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) : মোট নিহতের সংখ্যা ৭৩ লাখ ৩৮ হাযার। তন্মধ্যে (১) রাশিয়ায় ১৭ লাখ (২) জার্মানীতে ১৬ লাখ (৩) ফ্রান্সে ১৩ লাখ ৭০ হাযার (৪) ইটালীতে ৪ লাখ ৬০ হাযার (৫) অষ্ট্রিয়ায় ৮ লাখ (৬) গ্রেট বৃটেনে ৭ লাখ (৭) তুরষ্কে ২ লাখ ৫০ হাযার (৮) বেলজিয়ামে ১ লাখ ২ হাযার (৯) বুলগেরিয়ায় ১ লাখ (১০) রুমানিয়ায় ১ লাখ (১১) সার্বিয়া-মন্টিনিগ্রোতে ১ লাখ (১২) আমেরিকায় ৫০ হাযার। সর্বমোট ৭৩ লাখ ৩৮ হাযার।
তাছাড়া যুদ্ধে আহত, পঙ্গু, বন্দী ও নিখোঁজদের তালিকা উপরোক্ত তালিকার বাইরে রয়েছে। অন্য এক হিসাবে নিহত ৯০ লাখ, আহত ২ কোটি ২০ লাখ এবং নিখোঁজ হয়েছিল প্রায় ১ কোটি মানুষ।
২. ২য় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৪১-১৯৪৫) : মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। তন্মধ্যে একা সোভিয়েট ইউনিয়ন প্রায় ৮৯ লাখ সৈন্য হারায় বলে মস্কো থেকে এএফপি পরিবেশিত ২০০৭ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যায়। এ সময় জাপানের হিরোশিমাতে নিক্ষিপ্ত এটমবোমায় তাৎক্ষণিক ভাবে নিহত হয় ১ লাখ ৩৮ হাযার ৬৬১ জন এবং ১৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ধ্বংসস্তূপ ও ছাইয়ে পরিণত হয়। আমেরিকার ‘লিটল বয়’ নামক এই বোমাটি নিক্ষিপ্ত হয় ১৯৪৫ সালের ৬ই আগষ্ট সকাল সোয়া ৮-টায়। এর তিনদিন পরে ৯ই আগষ্ট বুধবার দ্বিতীয় বোমাটি নিক্ষিপ্ত হয় জাপানের নাগাসাকি শহরে। যাতে সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করে আড়াই লাখ বনু আদম।
উভয় বোমার তেজষ্ক্রিয়তার ফলে ক্যান্সার ইত্যাদির মত দুরারোগ্য ব্যধিতে আজও সেখানকার মানুষ মরছে। বংশপরিক্রমায় জাপানীরা বহন করে চলেছে এসব দুরারোগ্য ব্যাধি। হিরোশিমা মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান ১৯৪৯ সালের ২০শে আগষ্ট এক ঘোষণায় বলেন, ১৯৪৫ সালে ৬ আগষ্টের দিনে বোমা হামলায় মৃত্যু বরণকারীর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ১০ হাযার থেকে ৪০ হাযারের মধ্যে’। এছাড়াও বর্তমানে সেখানে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের অধিকাংশ হচ্ছে পঙ্গু ও প্রতিবন্ধী। মূল ধ্বংসস্থলে আজও কোন ঘাস পর্যন্ত জন্মায়না বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশ।
৩. ভিয়েতনাম যুদ্ধ (১৯৫৫-১৯৭৩) : আগ্রাসী মার্কিন শক্তির বিরুদ্ধে আক্রান্ত ভিয়েতনামীরা দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ এই যুদ্ধ করে। এতে এককভাবে আমেরিকা ৩৬ লাখ ৭২ হাযার মানুষকে হত্যা করে ও ১৬ লাখ মানুষকে পঙ্গু করে এবং ৯ লাখ শিশু ইয়াতীম হয়।[12]
এতদ্ব্যতীত বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, সোমালিয়া, সার্বিয়া, কসোভো, সূদান, শ্রীলংকা, কাশ্মীর, নেপাল, ইরাক, আফগানিস্তান ও অন্যান্য দেশ সমূহে এইসব কথিত গণতন্ত্রী ও মানবাধিকারবাদী সাম্রাজ্যবাদীরা নিত্যদিন নানা অজুহাতে যে কত মানুষের রক্ত ঝরাচ্ছে, তার হিসাব কে রাখে?
জন ডেভেনপোর্ট তার An Apology for Muhammad and Koran বইয়ে কেবলমাত্র খৃষ্টান ধর্মীয় আদালতের নির্দেশে খৃষ্টান নাগরিকদের নিহতের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ বলেছেন। স্পেন সরকার ৩ লাখ ৪০ হাযার খৃষ্টানকে হত্যা করে। যার মধ্যে ৩২ হাযার লোককে তারা জীবন্ত পুড়িয়ে মারে।
এছাড়াও রয়েছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় এডলফ হিটলার কর্তৃক জার্মানীতে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে ৬০ লাখ ইহুদীকে হত্যা করার মর্মান্তিক বিভীষিকা এবং অন্যান্য নৃশংস হত্যার কাহিনী।
এই সকল হত্যা কান্ড আজো বিশ্বের মাঝে বিরাজ মান আছে। কখন পাবে মানুষ মানুষের হাত থেকে শান্তি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
বাতাস০০০১ বলেছেন: ভাই আপনি বললেন মানুষ শান্তির দিকে এগুচ্ছে। বাট কিভাবে? যদি একটু জানাতেন.....
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৫
খেলাঘর বলেছেন:
মানুষ শান্তির দিকে এগুচ্ছে।