![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ আমি মানুষের কথা বলি, দেশের কথা বলি। আমি যা বলি আর যা লিখি তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ধারনা।
বাংলাদেশে এখন এক আলোচিত নাম পিপার স্প্রে। যার প্রতিটা কনায় রয়েছে মৃত্যুর হাতচানি যা আমাদের মানুষের জানার বাহিরে। এই সকল পিপার স্প্রে নিক্ষেপ অপ্রত্যাশিত, অনভিপ্রেত ও মর্মবেদনাদায়ক। এতে আমরা খুবই মর্মাহত। তাই এ সকল ক্ষতি কর বস্তু হতে আমরা নিরাপত্তা চাই।
কারন এর অনেক ক্ষতি দিক অনেক। যথা-
পিপার স্প্রেতে আক্রান্তদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রয়োগে চোখ-মুখ ফুলে যায়, চোখে সাময়িক অন্ধত্ব নেমে আসে, শরীরে তীব্র জ্বালাপোড়া দেখা দেয়, শ্বাসপ্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটে, নাক দিয়ে তরল নির্গত হয় এবং মুখ দিয়ে কফ বের হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। পিপার স্প্রেকে প্রাণ ঘাতী মনে না করা হলেও বিরল ক্ষেত্রে এটিকে মারাত্মক দেখা গেছে এবং কিছু মৃত্যুর ক্ষেত্রে পিপার স্প্রে অন্যতম একটি কারণ হতে পারে, এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
করা হয়েছে। পিপার স্প্রের সক্রিয় উপাদান ক্যাপসাইসিন, যা মরিচসহ ক্যাপসিকাম গোত্রের ফলের নির্যাস থেকে প্রাপ্ত রাসায়নিক। আন্তর্জাতিক কেমিক্যাল অস্ত্র কনভেনশন অনুযায়ী আন্দোলন দমনে এ অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। ১৯৯৩ সালে ৮৮টি দেশের মতো বাংলাদেশও এ কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ। লসঅ্যাঞ্জেলস টাইমসের এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ১০০টি মৃত্যুর প্রধান কারণের মধ্যে পুলিশের পিপার স্প্রে ব্যবহার ছিল অন্যতম। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পিপার স্প্রের
প্রতিক্রিয়ায় দেহে ক্যান্সারও হতে পারে। উন্নত বিশ্বে ভয়াবহ এ অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘ।
আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত পিপার স্প্রে ব্যবহারে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। শ্বাসকষ্ট (অ্যাজমা)
রোগীদের জন্য এটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এটি চোখে লাগলে কর্নিয়ার ক্ষতি হতে পারে এবং ক্ষেত্র বিশেষে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কারণ ঘটাতে পারে।
©somewhere in net ltd.