নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা করবেন তা বুঝে শুনে করবে, অহেতুক নিজের প্রশংসা করবেন না।

বাতাস০০০১

আমি একজন সাধারন মানুষ আমি মানুষের কথা বলি, দেশের কথা বলি। আমি যা বলি আর যা লিখি তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ধারনা।

বাতাস০০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেরোইন যেভাবে কেড়ে নিল এক উচ্ছ্বল তরুনীর জীবন .....

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪৫

মাত্র ২৬ বছর বয়সেই নিভে গেল লিনি নামের যুক্তরাজ্যের উচ্ছ্বল
মেধাবী এই কলেজ পড়ুয়া সুন্দরী তরুনীর জীবন প্রদীপ। লিনি বাঁচতে চেয়েছিল। হেরোইনের মরন ছোবল থেকে রক্ষার জন্য
একটি নিরাময় কেন্দ্রেও ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি। হেরোইন তাকে বাঁচতে দিলনা। আসক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেষ
পর্যন্ত হার মানে লিনি।
১৮ বছর বয়সে হেরোইনের সংস্পর্শে আসে লিনি। এক
পর্যায়ে নেশা এমন অবস্থায় গড়ায় যে নিজের দেহ বিক্রি করতে শুরু করে সে নেশার টাকা যোগাড় করতে।
পরিবারের চেষ্টায় লিনি মাদক নিরময় কেন্দ্রে ভর্তি হয়। সে নিজেও এ জগৎ থেকে ফিরে আসতে চেয়েছিল। বাঁচার স্বপ্নও তার মধ্যে তীব্র আকারে জেগে উঠেছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তের
লড়াইয়ে লিনি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি।
বাসায় থাকা অবস্থায় একদিন প্রচন্ড নেশা চেপে বসায় সে বাইরে বের হয় এবং হেরোইন ও কোকেন যোগাড় করে বেডরুমে বসে তা সেবন করে। সে রাতেই লিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে । কারণ ওভার ডোজ। বেশ কিছুদিন বিরতির পর হঠাৎ করে অধিক মাত্রায় একই সাথে হেরোইন এবং কোকেন সেবনের ফলে মৃত্যু হয় তার।
লিনির বয়স তখন ১৮। কলেজে পড়ছে। এসময় তার সাথে পরিচয় হয় এক লোকের। সেই তাকে হেরোইনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। সেই শুরু। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে নেশার
মাত্রা। উচ্ছন্নে যায় কলেজের লেখাপড়া। লিনি কলেজে পড়ার
পাশপাশি হেয়ারড্রেসার হিসেবে কাজ করত। তাও
বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি এক পর্যায়ে নেশা এমন তীব্র
আকার ধারন করে যে দিনে ছয় ব্যাগ হেরোইন নিতে হত ইনজেকশনের মাধ্যমে। সাথে চলত প্রচুর কোকেন
সেবন । বিপুল পরিমান এ নেশার অর্থ জোগাড় করতে শেষ পর্যন্ত
লিনি দেহ বিক্রির কাজে জড়ায় নিজেকে। লিনির মৃত্যুর কিছুদিন
আগে তার বয়ফ্রেন্ডেরও মৃত্যু হয় হেরোইন আসক্তির কারনে।
লিনির মা এবং বোনেরা জানায় তার ছেলে বন্ধুর মৃত্যুর পর
লিনি মাঝে মাঝে পরিবার। থেকে উধাও হয়ে যেত।
প্রথমে কয়েক দিনের জন্য সে বাইরে থাকত।পরে কয়েক সপ্তাহের জন্য উধাও হয়ে যেত। কোথায়যেত তা কাউকে বলতনা সে। কিছুদিন আগে জেরেমি কাইলি শো নামের একটি টিভি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে লিনি তার নেশারকথা স্বীকার করে এবং এ জীবন থেকে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করে। এরপর ওই অনুষ্ঠানের পরিচালকের পরামর্শ মতে গত বছরমে মাসে একটি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হয় লিনি। ১২ সপ্তাহের কোর্স শেষ করে। কিন্তু পরে আবার একদিন অ্যালকোহল সেবন করায় তাকে দ্বিতীয় কোর্সের আওতায় নেয়া হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর লিনি পরিবারের সাথে বাসায় ছিল। টেলিভিশন অনুষ্টানে লিনি সব বামে লিনির মা এবং বোনেরা বলেন, লিনি সন্ধ্যায় জানায় সে মাদক নিরাময় সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবে।
তবে অনুষ্ঠানে হাজিরা দিয়ে সে আবার চলে আসবে বলে জানায়। কথা অনুযায়ী সে চলেও আসে। কিন্তু এর কয়েক
ঘন্টা পরেই বেডরুমে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তদন্তে ধরা পড়ে মৃত্যুর আগে লিনি অতি মাত্রায় হেরোইন এবং কোকেন সেবন করেছে। লিনি ছিলো সম্ভ্রান্ত সচ্ছল একটি পরিবারের মেয়ে। পরিবারে তেমন কোন সমস্যা ছিলনা। এরকম
পরিবারের একটি মেয়ের এভাবে হেরোইনের নেশায় জড়িয়ে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জীবন প্রদীপ এবং এমন মিস্টি চেহারা এবং প্রাণবন্ত একটি মেয়ে তলে তলে এভাবে নেশার
কবলে পড়ে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেনা তারা কেউ। সবাই তাকে খুব মিস করছে।
লিনির বোন মিলানি জানান, লিনি শেষ মুহুর্তে জ্বলে উঠেছিল।
আমি ঠিক ভাবছিলাম সে তার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পেরেছে। সত্যিই আমরা ভাবছিলাম লিনি আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। লিনি ছিল খুবই হাসি খুসী এবং প্রানবন্ত। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম লিনি আবার সামনের দিকে অগ্রসর হবে অতীত
ভুলে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে মুহুর্তের প্রেরনায় তার মধ্যে নেশার
উন্মত্ততা চেপে বসে এবং এটাই তাকে শেষ করে দিয়েছে।
লিনির মা পামেলা জনসন জানান, আমিও সত্যিই ভেবেছি লিনি আমাদের মাঝে আবার ফিরে এসেছে ঠিক আগের মত। সেও আশাবাদি ছিল। সে নেশা ছেড়ে দিয়েছিল। আবার কলেজে যাওয়া শুরুকরেছিল। সে আমাকে বলেছিল নেশার জীবনে সে আসলে কোন সুখ পায়নি। কিন্তু হঠাৎ করে কি থেকে কি হয়ে গেল আমরা কেউ বুঝতে পারিনি। হয়ত তার প্রতি আমাদের আরো যত্নবান এবং সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। মিলানী জানান, লিনির
জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে কেউ যদি মাদকের পথে পা না বাড়ায় এবং মাদক জগত থেকে ফিরে আসতে পারে সেটাই হবে তার সবচেয়ে বড় পাওয়া।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.