নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ যতদিন থাকবে বাংলাদেশ ততদিন থাকবে সংস্কৃতি আর সুন্দর ঘিরে থাকবে

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫



এক উত্তাল সময় জনগণের জীবন যাপন ব্যাহত। অস্থির ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইল। ভূমিতে রক্তের ধারা, বাতাসে লেলিহান শিখা, ধোঁয়া। জ্বলন্ত অগ্নি যেন চারপাশ। বিয়াল্লিশ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশে এক অস্থির উন্মাদনা।

ষোলকোটি মানুষের মাঝে কতজনা স্বশিক্ষিত মানুষ,

কতজনা আত্ম অহমিকায় ভরপুর শিক্ষিত, কতজনা সুচিন্তত গবেষক।

কতজনা বই পড়া শিক্ষিত

কতজনা শুধুই সার্টিফিকেট পাওয়া জ্ঞানী?

নিরক্ষর, দরিদ্র হতদরিদ্রর সংখ্যা কত?

রাজনীতির সাথে জড়িত কতজন মানষ। কতজন সঠিক, সত্য অনুসারী রাজনীতিবীদ। কতজন সুযোগের পদলেহী। কতজন ব্যবহৃত মানুষ রাজনীতির যাঁতাকলে।

কতজন ধর্ম বিষয়ে সঠিক জানে। কতজন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে

ধর্ম কতজন সচেতন ভাবে নিজের মনে অনুসরন করে

শিক্ষিত জনগণের কত অংশ দেশের জন্য ভাবে।

দরিদ্র জনগন কতজনা সচেতন দেশে নিয়ে।

কতজনা সত্যিকারের দেশ গড়তে চায়।



ভোট আসে ভোট যায় দুই প্রধান দল আর শরিক দলগুলো ঘুরে ফিরে আসে এর বাইরে আর কি হতে পারে? নষ্টরা কেন সুযোগ পায়।



এই সব বিষয় গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষন করে কোন রাজনীতিবীদ। কোন দেশের মানুষ। এই ভাগগুলো অনুধাবন করলে বোঝা যায় ছোট একটা দেশের অসংখ্য মানুষ অনেক ভাগে বিভিক্ত। তবে নিরপেক্ষ শান্তিতে কাটাতে চাওয়া বড় একটা অংশ।



স্যান্ডউইচের মাঝখানে চিরে চ্যাপ্টা হচ্ছে তারাই হলো সুস্বাদু জনগণ। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবহার করে যাচ্ছে এই জনগণ পুর তাদের স্যান্ডউইচে। জনগণ মাঝে পরে হচ্ছে চ্যাপ্টা। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শ্বাস। বুক পিঠ দেয়ালে, অন্ধকার চারপাশ।



হঠাৎ করে বিয়াল্লিশ বছর পরে জনমত তৈরী হলো কি কারণে?



এই চিরে চ্যাপ্টা জনগনের একটা মত আছে তারা স্বস্থিতে থাকতে চায়। তারা আপন মনে আলোর খেলা দেখতে চায় দীঘির জলে। হাসনুহেনার গন্ধে মাতাল হতে চায় নিজের ভুবনে। তারা বাঁশি বাজাতে চায় মধ্য দুপুরে। তাদের এই অনুভুতি কারো জন্য ক্ষতিকর নয়। তার শান্তি ও স্বস্থির জীবনে প্রেম ভালোবাসায় পরিবারের সাথে নিশ্চিন্ত জীবন চায়।

সত্য এবং সুন্দরের জন্য মেধাবী চিন্তার জনগণ সুস্থ স্বাভাবিকতার পক্ষে শান্তির আয়োজনে পথে নামে নিঃস্বার্থ দেশের ভালোবাসায়। জনগণ এই মানুষগুলোর মাঝে আলোর স্ফূলিঙ্গ দেখে। এই মানুষগুলোর চাওয়া তাদের প্রাণের আপন মনে করে যোগ দেয় গণজাগরণে। পরিনত হয় শাহবাগ গণ জোয়ার গণ আন্দোলন, জাগরণ ছড়ায় একটি চত্বর থেকে সারাদেশ।

মনের ভিতর জমে থাকা ক্ষোভ, দুর্বিসহ অসহায় অবস্থার শিকার হয়ে তারা বাঁচতে চায় না আর। তাই তারা পথে নামে যারা স্বশিক্ষিত যারা অনুভব করে এখন সময় নিজেদের প্রতিবাদ জানানোর তাদের সমর্থনে।

এই স্বল্প কিছু স্বশিক্ষিত মেধাবীর সচেতন বক্তব্যকে হাস্যকর করে তুলতে চায় পুরো সচেতনতায় অসাধু কৃচক্রী। তারা মূর্খর মতন আচরণ করে নৃশংসতায়। এরা জ্ঞানপাপী এরা ভয়াবহ। এদের সংখ্যা কম তবে এদের সম্পদ এবং র্দূবুদ্ধি অনেক বেশী। অন্যপক্ষের শুধুই ভালোবাসায় দীপ্ত এক বিশাল হৃদয়।

সহজ মানুষ সুন্দর মানুষ সরাসরি চলে। আর র্দূবিত্তেরা গুপ্ত হত্যা, সুচিন্তিত ভয়াবহ পরিকল্পনায় নিজেদের ক্ষমতা এবং লোভের শিখরে চড়ে বসে অন্ধকারের পথ ধরে। এই অন্ধকারের কীটদের মুখোশের মুখ চেনা দায়। সাধারন মানুষ বিশ্বাসে ধোঁকা খায় এদর আপাত দৃষ্টের মিষ্টি কথা ও ব্যবহারে, টাকার খেলায় দেখতে পায় না ভীতরে কি ভয়ংকর মুখ। আর এই ধোকার পথে নিজেদের সমৃদ্ধ করে চলে এই সব সুযোগ সন্ধানী এবং ক্ষতি করে দেশের জনগণের গোটা জাতির।

এই আলোর যাত্রা সাধারন তোমাদের জন্য শুরু হয়েছে এই আলোর যাত্রায় সামিল হয়ে অন্ধকার রুখে দাও। চিরদিনের জন্য আলো জ্বালাও।

অকারণ নয় বিয়াল্লিশ বছর পর এই জাগরণ। এই সচেতনতা ছিল বিয়াল্লিশ বছর ধরে বুকের গহীনে। ইচ্ছার প্রকাশ করতে দেয়া হয়নি, টুটি চেপে রাখা হয়েছে বারে বারে। আজও তারা মেতেছে ধ্বংস যজ্ঞে বাঁধা দেয়ার জন্য নিজেদের বাঁচানোর জন্য।

তারা পরীক্ষা করে নিয়েছে পুলিশের শক্তি। মানুষের অবস্থান। প্রতি ঘাটে রেখেছে নিজেদের চড়,পক্ষের মানুষ। তারা ছড়িয়ে আছে জালের মতন দেশ জুড়ে। তবে দু চার জন অনুসারী ছাড়া সম্পদের লোভ দেখিয়ে করছে ব্যবহার সাধারন মূর্খ দরিদ্র এবং লোভীদের। এই কুচক্রিদের চক্র বাস্তবায়নে মরছে ব্যবহৃতরা। ওরা বসবে মসনদে বদলে দিবে বাংলার পতাকা। নাম দেশের, চির চেনা জীবন যাপন। যদি এই হয় মনোবাঞ্চা, যদি ভালোবাসো বদলে ফেলতে জীবন যাপন; হে মানুষ। আর কোন পহেলা বৈশাখ নয় আর কোন বাংলায় কথা বলা নয়, নিজেস্ব চলন নয়, সংস্কৃতির চর্চা নয়। সুন্দর সুস্থ জীবন নয় শুধুই তাবেদারী ভয় আর শংকায় থাকার জীবন যদি বেছে নিতে চাও তবে তাদের সব মেনে চুপ করে থাকো। আর অল্প কিছু সুচিন্তিত মেধাবী মানুষ যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে তোমাদের কথা ভাবে একটি সুন্দর দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য লড়ে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দাও তাদের রক্তের হোলি খেলায়। কবর খুঁড়ো তাদের জন্য ভালোবাসায়।

আর প্রস্তুত হও নিজেদের অপমৃত্যুর, মুখ বেঁধে রাখার অপ সংস্কৃতির জীবনে ডুবে যাবার জন্য।



আর নয় তো তুলে নাও সত্যের হাতিয়ার, আলোকের সন্ধানে, জীবনের প্রয়োজনে। চিনে গেছো তোমরা ইতমধ্যে সব মুখোশের মুখ আর সুযোগ সন্ধানীদের।নষ্টরা নষ্টই থাকবে চিরকাল তাদের প্রতি কোন দয়া নয় নষ্টদের বীজ নির্বংশ করে দাও। গড়ে তুলো তোমাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন ভুবন। তোমরা সংখ্যায় অনেক শুধু তোমরা একটু সচেতন হও হাতে হাত ধরে দাঁড়াও অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অসত্য আর অবমাননার বিপক্ষে। স্থাপন করো এক সুন্দর বহতা জীবন ভালোবাসায় বাঁচার সম্মানের আবাস ভূমি।বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন মানুষ যতদিন থাকবে ততদিন ভালোবাসা থাকবে বাংলাদেশ এবং সংস্কৃতির জন্য। বিয়াল্লিশ বছরেও যারা বাংলাদেশকে নিজের আপন দেশ মনে করে নাই তাদের বিতারিত করো এবার এই মাটি থেকে।

আগামী প্রজন্মের জন্য এক সুন্দর আবাস হোক বাংলাদেশ্



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগামী প্রজন্মের জন্য এক সুন্দর আবাস হোক বাংলাদেশ...

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দরের প্রত্যাসায় ........শুভেচ্ছা হাসান মাহবুব

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

আমিনুর রহমান বলেছেন: এই আলোর যাত্রা সাধারন তোমাদের জন্য শুরু হয়েছে এই আলোর যাত্রায় সামিল হয়ে অন্ধকার রুখে দাও। চিরদিনের জন্য আলো জ্বালাও।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: তা না করলে অন্ধকার ঘিরে ধরবে কত জনমের জন্য কে জানে।
খুব সচেতনতা দরকার।
অনেক শুভকামনা থাকল আমিনুর রহমান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.