নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিন নতুন কিছু

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৪১




আকাশ জুড়ে অনেক স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে আমাদের আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরে উন্নত করার জন্য। আরো তড়িত গতি দেওয়ার জন্য সারা পৃথিবীকে আর্ন্তজালে বেঁধে ফেলার জন্য বারোশর জায়গায় বারো হাজার স্যাটেলাইট স্থাপন করা হচ্ছে আকাশে। যাকে এখন থেকে মিলিয়ে ফেলব অতি সাধারন চোখে নক্ষত্র, গ্রহ, তারাপুঞ্জির সাথে। স্যাটেলাইটে তাকিয়ে থেকে তারা দেখছি ভেবে আনন্দিত হবো সাধারন। আর যারা আকাশ নিরীক্ষায় ব্যাস্ত তাদের জন্য ঝামেলা হলো চোখের সামনে ঝুলে থাকা স্যাটেলাইট পর্দা সরিয়ে পিছনের আসল গ্রহ নক্ষত্র খোঁজা কষ্টকর হবে।
একদিকে নানা রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ দুষণ মুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে অন্য দিকে গাড়ি কলকারখানা , গ্রীন হাউস ছাড়াও হাসপাতালে জীবন রক্ষার জন্য অপারেশনে ব্যবহার করা গ্যাস যা অ্যানেসথেসিয়া করা হয় রোগীকে রক্ষার জন্য অপারেশন রুমে। একজন রোগীকে যখন সাত ঘন্টা ধরে অপারশন করা হয় এবং তার উপর প্রয়োগ করা হয় অ্যানাস্থেশিক গ্যাস, একটা গাড়ি নর্থ কেইপ নরওয়ে থেকে যদি কেইপ টাউন সাউথ আফ্রিকায় একটানা ২১১ ঘন্টা ধরে ১৬৩০১ কিলোমিটার চলে তা হলে যে পরিমাণ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে অপারেশনরত রোগীকে দেয়া আনকনসাস করার ওষুধের প্রতিক্রিয়াও সে পরিমান পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
ভাবা যায় বিষয়টা! যে গ্যাস সাহায্য করে রোগীকে ভালো করতে, অপারেশন করতে তা এমন ক্ষতি কারক। সে গ্যাসের পাঁচ ভাগ রোগী অপারশনকালিন সময়ে শ্বাস গ্রহণের সময় গ্রহণ করে বাকি ৯৫ ভাগ মিশে যায় বাতাসে। এবং মিশে থাকে অনেক বছর পর্যন্ত। এই বিষয়টি অনেক ডাক্তারও জানেন না। খুব সাম্প্রতিক কিছু গবেষনায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। এবং পরিবেশে না ছেড়ে দিয়ে এখন রিসাইকেল করে ছেড়ে দেওয়া গ্যাস আবার ব্যবহারের প্রকল্প চালু করেছে কিছু হাসপাতাল।
এছাড়া নতুন গবেষনা বলছে, হাতে হাতে বহন করা মোবাইল ফোনও যথেষ্ট পরিমান উত্তপ্ত করছে পরিবেশ।
যত আধুনিকতার সহজ পথ আমাদের জীবন যাপন সহজ করছে তত কঠিনও করছে অন্যদিকে আমাদের অজান্তে আর সেটা আবিস্কার করেছে আরেকদল বিজ্ঞানী এবং সুধারানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু নতুন আবিস্কারের জিনিস ব্যবহার করে অনেকেই ততদিনে অনেক রকম রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে পরছেন। সাথে পরিবেশের কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে আমাদের বেশির ভাগ মানুষেরই ধারনা নাই। নতুন করে এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে।
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী গ্রেটা টুইনবার্গ বিশ্ব ব্যাপী কিশোর বয়সীদের মনে পরিবেশের নিয়ে ভাবার একটা প্রভাব তৈরি করেছে অথচ এই কিশোররা কি মোবাইল ব্যবহার ছেড়ে দিবে সহজে পরিবেশের কথা চিন্তা করে।
সিগারেট বিশাল এক ক্ষতিকারক প্রভাব রাখে মানুষের জীবনে। অথচ জেনে শুনে বিষ পান করার মতন সিগারেট পানে অভ্যস্ত হয়ে উঠে শিশু বয়সের পরই অনেকে। যত না খাওয়ার প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি কৌতুহল।



কিছুদিন আগে কাজের সময় ছেলেটা বসেছিল আমার সামনে, তার সামনে টেবিলে রাখা ইউএসবির মতন একটা কিছু। জিজ্ঞেস করলাম এটা কি? অমনি সে মুখে নিয়ে ভকভক হরে ধোঁয়া ছেড়ে দেখিয়ে দিল জিনিসটা কি। ভ্যাপ বা ই সিগারেট।
ভ্যাপার বড়দের সিগারেট পান করা থেকে বিরত করার জন্য নতুন আবিস্কার। অনেকে উপকার পাচ্ছে অনেকে সিগারেটের বিকল্প হিসাবে টেনে যাচ্ছে। এর মধ্যে বড়রা যত না ভ্যাপার টানছে কিশোর বয়সীরা তার চেয়ে বেশি টানা শুরু করে দিয়েছে। এতে তো কোন ক্ষতিকারক কিছু নেই। সিগারেটের মতন খারাপ না বিষয়টা। তাই এটা টানা যায় নিরাপদে ধোঁয়ার জন্য।
ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতন ভ্যাপিংয়ের মধ্যে নানা রকম সুগন্ধী লাগিয়ে বিক্রি করা শুরু করল। অথবা ভাপিংএর পাশাপাশি আপেল কমলা ল্যাভেন্ডারের মতন নানান সুগন্ধি জল পাশাপাশি বিক্রি করা শুরু করল। কিশোর বয়সীরা ঝাঁপিয়ে পরল ভ্যাপিংয়ে। এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হলো না। অথচ ফল হচ্ছে মারাত্মক। একজনের পর একজন ভয়ানক রকম ফুসফুসের অসুস্থতায় ভর্তি হতে থাকল হাসপাতালে। সুস্থ সবল কিশোর মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরল ভ্যাপিং করে। মরেও গেলো ঝটপট কয়েক জন।
একটা কিছু নতুন আবিস্কারের জিনিস বাজারে আসার পর তার ব্যবহার কতটা ক্ষতিকর তা জানা যায় ব্যবহারের পর। সিগারেটের মতন ভ্যাপিংয়ের সেকেণ্ডহ্যাণ্ড ধোঁয়া অন্যের জন্য ক্ষতিকর নয় ভেবে ঘরে বসেই ভ্যাপিং চলছে। ভ্যাপিং ডিভাইস আসতে না আসতে তার সাথে যুক্ত হয়েছে কতরকমের প্রযুক্তি ক্যামেরা, থেকে ফোনও একটা ছোট পেনে ব্যবহার করার সুযোগ হয়ে গেছে। নানা ঢঙ্গে ধুয়া ছাড়তে ছাড়তে অন্য কারো অজান্তে ছবি তুলেফেলার সুবিধাটাও সবার জন্য আনন্দদায়ক নয় বলে মনে করি।
এই সব পরীক্ষা নিরীক্ষার মাঝেই বেঁচে থাকা।




মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এখন যথেষ্ট অযথা প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। লেখাটি খুব ভাল লাগল!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০২

রোকসানা লেইস বলেছেন: পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির কল্যাণে তার পার্শ্বপতিক্রিয়া কিছু থাকবেই।
ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

রাােসল বলেছেন: Thanks for your daily required post.

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাসাল

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: প্রযুক্তি নিয়েও আপনি লিখেন। খুব ভালো।
এরকম পোষ্ট আরো দিবেন বোন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: অন্যরকম কিছু মনে বাসা বাঁধলে সেটা নিয়ে লিখে ফেলি। তেমন সাড়া মনে জাগলে লিখে ফেলব।

শুভেচ্ছা জেনো

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশের মানুষরে ছবি তোলার যে আশক্তি তা ভয়ঙ্কর বলা চলে। ঢাকা বিমান বন্দর থেকে যে কোনো রুটে বিমান ছেড়ে যায় তাতে ২য় বিমান বন্দর পর্যন্ত প্রচুর বাঙ্গালী থাকেন, যাদের বিমানে বসে অন্যতম কাজ হয় ক্রু’দের ছবি তুলে নেওয়ার মতো বাজে একটি কাজ। এছাড়া সেলফির নামে পেছনে / আসে পাশে বসে থাকা কোনো নারী যাত্রীর ছবি তুলে নেওয়া। সেলফোনে ক্যামেরা থাকার কারণে মানুষ যা করছে তা বলাল ভাষা নেই।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: না জানিয়ে অন্যের ছবি তোলা এটা অপরাধ কিন্তু কোথাও কোথাও এটা আনন্দের ব্যাপার।
বাংলাদেশে অনেকে বিষয়টা জানেও না মনে হয়। কারণ শিক্ষা ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোতে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। যার ছবি তুলছে সেও সচেতন নয়। আবার যিনি ছবি তুলে তিনি নিজের ভাবনায় বিভোর।
বিমানে ক্রুর ছবি তোলার চেয়েও ভয়াবহ গোপন ছবি তুলে জনসম্মুখে প্রচার করে। মানুষের এই সব অনৈতিকতা দেখলে শুধু রাগই হয়। প্রতিকারের কিছু ব্যবস্থা এখনও বাংলাদেশে তেমন গড়ে উঠেনি।


৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: Bertrand Russell তার conquest of Happiness বইতে লিখছেন industrial Revolution হবার পর মানুষ উদ্ভাবিত যন্ত্র সাধারন এক ঘেয়ে কাজের ভার নেবে আর মানুষ তত নিজেকে মানবিক কাজে নিয়োজিত করবে “To do the Human thing” । কিন্তু এখন কি হল? মানুষ সব কায়িক শ্রম বিসর্জন তো দিলই, মানুষ জন্মের সব থেকে বড় স্বার্থকতা নিজ সন্তানের মুখ দেখতে পাওয়া নিজ স্ত্রীর গর্ভ থেকে বের হয়ে আসার পর। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় আগামী ৩০/৪০ বছর পর নাকি সেটাও থাকবে না। নিজের মস্তিস্ক মানুষ আজকে কম্পুটার নামক যন্ত্রের কাছে ইজারা দিল। বিশ্বে আজকে কম্পুটার, সুপার কম্পুটারের জয় জয়কার। চিত্রকলা থেকে শুরু করে কবিতা সব কম্পুটার করছে।

সেদিন বোধ হয় আর বেশী দূরে নয় যেদিন মানুষ বুজবে এই সব আবিস্কার আমাদের উন্নতির দিকে না নিয়ে ব্যাক টু দ্যা ফিউচার আদিম গুহায় ফেরত নিয়ে যাচ্ছে।

পোষ্টে +++

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: সাইন্স ফিকসন গুলো পরলে আগে খুব আজগুবী লাগত। তখনো ছবি তত দেখার সুযোগ হয়নি কিন্তু এখন যে সব ছবি দেখছি সাইন্স ফিকসন আর সাইফাইর মানুষের জীবন যাপনও তেমনি ভাবে বদলে যাচ্ছে। ঠেকানো যাবে না।
মানুষের ভুল গুলো জন্মের আগেই শুধরে দেওয়ার ব্যবস্থা এসে গেছে। অনেক বাবা মা এখন সে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তবে ভুলগুলো মারাত্মক জীনবাহি রোগের ব্যাপারেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এখন পর্যন্ত।
সেটা যখন নিখুঁত মানুষ জন্মদানে আগ্রহি হয়ে উঠবে এবং সুযোগটা সহজলভ্য হবে তখন অনেকটা নিজের ইচ্ছে মতন মানুষ বানানো হবে।
হয়তো সবটাই মেশিনের দখলে চলে যাবে। মানুষ হয়তো স্টার ওয়ারের মতন আবেগ শূন্য কাটকাট ভাবেই কথা বলবে আগামীতে।
শুভেচ্ছা জানবেন


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.