নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আই এ্যাম নেক্সট টু ইউ

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৯

আই এ্যাম নেক্স টু ইউ। আই এ্যাম আফটার ইউ। কথা গুলো এত সুন্দর এত অর্থবহ। এবং প্রতিটি ক্রাইসিসের সময়, প্রতিটি বিপর্যস্ত সময়ে জন্ম না নেয়া বসবাসের দেশে, এত মনোবল দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকে দেশের জনপ্রতিনিধি এত সাহস যোগায় এত আশ্বাস দিয়ে পাশে দাঁড়ায়। মনের সব সংশয়, ভয় জড়তা দ্বিধা সব কেটে যায়। ভরসা হয়ে একটা বিশাল পরিবার হয়ে উঠি যেন সারা দেশের মানুষ। দেশের প্রধান থেকে সবা জনপ্রতিনিধি যেন পরিবারের লোক। আশা ভরসা হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের বলে দেওয়া নিয়মগুলি শুনি পালন করি। আর সঠিক ভাবে বিপদ থেকে পরিত্রাণ হয়ে যায়।
যে দেশে নানা বর্ণের নানা ধর্মের মানুষ, নানান দেশ থেকে আসা কত রকম মানুষ বাস করে। সে দেশে সব সময় দেখি মানুষগুলো এক হয়ে পাশাপশি সহায়তার হাত বাড়িয়ে আপন হয়ে আছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষানা দিলেন প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব সরকারের। যারা কাজ করবে না তাদের চাকরি নিশ্চয়তা । তাদের ছাটাই করা হবে না। বাচ্চারা স্কুলে যাবে না অভিভাবক বাসায় থেকে বাচ্চা দেখা শোনা করবেন। তাদের মাস শেষে বাড়ি ভাড়া, বিল দেয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। প্রতিটি মানুষের এখন ঘরে থাকতে হবে। ঘরে থেকে যাদের কাজ করার সুবিধা আছে তারা শুধু কাজ করবেন। যারা কাজে যাবেন তারা দূরত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে কাজ করবেন।
গুপ্ত ঘাতক কোভিড ১৯ প্রতিহত করার জন্য সবাইকে দূরে থাকতে হবে। একজন থেকে আরেক জনে যেন কিছুতেই সংক্রামণ না হতে পারে তাই সব বন্ধ। শুধু খোলা থাকবে জরুরী প্রয়োজনের দোকান পাট।
সরকার নিজের মতন কোন সিদ্ধান্ত নিলেন না সমস্ত সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী তারা নিয়েছেন। সরকার দল বিরোধী দল সব দেশের প্রয়োজনে একই রকম সিদ্ধান্তে একমত। কারো কোন দ্বিমত নেই। এই বিপদ কাটানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কথা শোনা খুব জরুরী। এবং সে ভাবেই অন্য দেশের সাথে যোগা যোগ বন্ধ করা হলো। এবং দেশের মধ্যেও এই মূহুর্তে মানুষে মানুষে যোগাযোগ বন্ধ জরুরী। সে ভাবেই নির্দেশ দেওয়া হলো জনগণকে। দূরে থাকতে সব কিছু থেকে। বিনোদনের সময় পাওয়া যাবে এই বিপদ শেষ হলে। পার্ক, ধর্ম শালা সিনেমা, থিয়েটার রেস্টুরেন্ট বন্ধ। খুব প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ বাইরে না বের হন। খাবার কিনতে পারবে টেক আউট সিস্টেমে। অন লাইনে ওর্ডার করে।
এই প্রথম প্রিমিয়াম ডাগফোর্ডের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। প্রধানমন্ত্রী আর প্রিমিয়াম দুই রাজনীতির ভিন্নমত পোষন করলেও আজ মনে হলো দুজনেই একই কথা বলছেন। মানুষকে বাঁচাতে হবে। দেশকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য যা যা করণীয় তা ঠিক ভাবে পালন করতে হবে।
সাময়িক ভাবে স্থবির করে দিয়ে যুদ্ধ করতে হবে গুপ্ত ঘাতক ভাইরাসের সাথে। মানুষে মানুষে দেখা না হলে এক জনের থেকে আর এক জনে ছড়াবে না। এ ভাবেই তার বিনাশ করতে হবে। তাই সাময়িক ভাবে অন্য দেশে থেকে মানুষ আসা যাওয়া বন্ধ। যারা এ মূহুর্তে দেশের বাইরে আছেন তাদের ফিরে আসার আহ্বান করা হলো। যারা অসুস্থ তারা যেন প্লেনে আর সাধারনের সাথে না উঠেন। আবার তারা যেন নিরাশ না হন। তাদের ফিরিয়ে আনার এবং চিকিৎসার দায় ভাড়ও সরকারের।
একটি দেশের জনগণের দায়িত্ব নিজের করে নিয়ে সবাইকে এক সাথে নিয়ে এগিয়ে চলাই সরকারের কাজ।
সাধারন মানুষরাও নিজে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেন নিজের দায়িত্বে। প্রাইভেট কোম্পানীও মানুষের অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। ফ্রি আনলিমিটেড ইন্টারনেট, লঙ ডিন্টেন্স ফোন কল থেকে ঘরে বসে বিনোদন টিভি দেখার জন্য ফ্রি অনেক চ্যানেল দিচ্ছে ক্যাবল কোম্পানিগুলো ।
এই শিক্ষাই এদেশ মানুষকে দেয় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এই ভয়াবহ সময়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার চিকিৎসা সেবায় নিয়জিত মানুষরা। দিনের ষোল থেকে আঠারো ঘণ্টা নিজের জীবনের রিস্ক নিয়ে তারা রোগীদের পাশে থাকছেন। তাদের সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী তাদের কাজের জন্য। আর আহ্বান জানালেন সবাইকে এক হয়ে নিয়মগুলো পালন করে সহায়তা করতে। তীর হারা যুদ্ধ সময়টাকে পারি দিতে। সরকার দেশের প্রতিটি জনগন যারা দেশে এবং বিদেশে আছে সবার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে । তৈরি হচ্ছে আরো বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলে অর্থনীতির উপর বিশাল ধাক্কা কি ভাবে সামলানো যায় কি ভাবে সচল রাখা যায় দেশের কার্যক্রম সব কিছু নিয়ে সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।
দেশের মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে। মুগ্ধ হয়ে যাই এদেশের নিয়মকানুন দেখে। আর সাথে কাতর হই বাংলাদেশের নিয়মগুলো দেখে। উৎকণ্ঠিত হই এই মূহুর্তে মানুষের অসচেতন ব্যববহার দেখে। স্কুল ছুটি দেওয়া হলো আইসোলেট হয়ে থাকার জন্য আর মানুষ সমুদ্র দর্শণে চলে গেছে! কি আনন্দ!
দেশের আত্মিয় স্বজন, বন্ধু পরিচিত এবং সব মানুষের জন্য উৎকণ্ঠিত হই কিছু অনিয়ম অদূরদর্শি মন্ত্রী ব্যবস্থাপকদের অব্যবস্থার কাজকারবার দেখে। কিছু অসচেতন ধার্মিকের হুঙ্কার ধর্মশালা বন্ধ ঘোষানা দিলে রাস্তায় প্রতিবাদের ঝড় তুলবে। যাদের কারণে অনেক সাধারনের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পরবে। সাধারন মানুষ এবং অসচেতন মানুষকে রক্ষা করার কোন দায় সরকারের বা আমলাদের নেই।
এদেশে থেকে আমিও শিখে গেছি আই এ্যাম নেক্সট টু ইউ। আই এ্যাম আফটার ইউ। একা একা বাঁচা নয় সবাইকে সাহায্য করে সাথে নিয়েই বাঁচা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশের সকল মানুষ ইবনে বতুতা, যে জীবনে ঢাকা’র বাইরে কোথাও যায়নি তার সিভিতে লেখা থাকে শখ: ভ্রমণ। বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে যখন ক্রান্তিকাল চলছে - তখন ইটালী ফেরত আদম একদল চলে গেছেন সাজেক, বান্দরবান, রাঙামাটি, কক্সবাজার! আর তাদের মন্ত্রী কেমন হতে হবে? যেমনটি দেখছেন তেমটি হওয়া উচিত। মন্ত্রী তো এই দেশের সন্তান। চাঁদ রিপাবলিক বা ঘানা থেকে তো আসেন নি।

দেশের মানুষ যতো চেঁচামেচি করুক এই দেশের জনগণ যেমন ঠিক তেমিন এই দেশর নেতানেত্রী - এক বিন্দু ১৯-২০ পার্থক্য নেই।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: যা বলেছেন আমিও ভাবছিলাম বাংলাদেশের মানুষ এত ভ্রমাণ বিলাশী হলো কবে থেকে। ওরা ভাবছে উন্নত বিশ্বে হয়েছে আমরা ভালো আছি াামাদের কিছু হবে না। কিন্তু কতটা ঝুঁতিতে আছে সেটা জানে না। নিজেদের অবহেলায় অনেক মানুষকে বিপদে ফেলবে।
ইতালি ফেরত লোকজনের খবর দেখে স্ট্যাটাস লিখেছিলাম একটা সেটা শেয়ার করি

সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন বিষয়টা বিদেশের বাড়িতে যে ভাবে সম্ভব। বাংলাদেশে কিছুতেই সম্ভব না। ইতালি থেকে ফিরে গিয়ে এইসব মানুষ সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকবে বলে হাজী ক্যম্পে না যাওয়ার জন্য দেশের নিয়ম অমান্য করে হৈ চৈ করছে। এরা দেশের সব মানুষের কথা তো ভাবছেই না নিজের পরিবারের লোকদের কথাও ভাবছে না। এরা নিজেদের শরীরে ভাইরাস নিয়ে দেশে ফিরে নাই কি ভাবে নিশ্চিন্ত । বিদেশে থেকেও কোন রকম মানসিক উন্নতি এদের হয়নি।
ইতালিতে তো ঘর থেকে রাস্তায় বের হলে ফাইন করছে। সেই ভয়ে দেশে পালিয়ে দেশের নিয়মের উপর মাতব্বরি করছে। এই সব লোকদের চীনে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। ঘাড় ধরে নিয়ে আটকে রাখবে। তখন বুঝবে কত ধানে কত চাল।
বাংলাদেশে এখনো করোনার প্রাদুরভাব হয়নি । হলে কিছুতেই সামলানো যাবে না। এখনই বাইরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া খুব জরুরী
অনেকেই আশা করে আছে গরমের জন্য বাংলাদেশে করোনা কিছু করতে পারবে না। ধারনাটা ঠিক নয়।গরমে এই ভাইরাস ভালোভাবেই টিকতে পারে। আর এর স্বভাব হচ্ছে নিজেকে পরিবর্তন করা। গবেষকরা হিমশিম খাচ্ছে এই ভাইরাসের চরিত্র বুঝতে।
তারপরও আশা করছি তারা ভেকসিন তৈরি করবে দ্রুত। ততদিন সবাই ভালো থাকুন।
শুনলাম বিদেশ ফেরতরা দেশে গ্রামে গজ্ঞেও বেড়াতে যাচ্ছে মোটর সাইকেলে চড়ে সারা এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। আর আত্মিয় স্বজন বড় খুশি তাদের পেয়ে।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের দেশে যারা এখন পার্লামেন্টে আছে, এদের সঠিক স্হান হতে পারতো জেল; এদের বেশীরভাগ প্রতারক, চাঁদাবাজ, দখলদার, জালিয়াৎ

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক বলেছেন । এরা নিজেদের সেইফ ভাবছে। তবে এখন কেউ আর অন্য দেশে যেতে পারবে না এটা মন্দের ভালো। নিজ দেশে মহামারী উপভোগ করবে জন সাধারনের সাথে।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোবাসা নিবেন ।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ। সাবধানে থাকুন সতকৃ থাকুন
শুভেচ্ছা

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। উহানে করোনা আক্রান্ত রোগীর ৩৮ শতাংশই এ গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। আর অন্যদিকে, ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী বি গ্রুপের এবং ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী ও গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। সবচেয়ে কম রোগী (১০ শতাংশ) এবি গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। আর তুলনামূলক কম ব্যক্তি বহন করছেন ও গ্রুপের রক্ত।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: এতে কি প্রমাণ হলো ? সুখ পাওয়ার মতন কিছু তো আমি দেখছি না।
পরিবারে দেশে সব রক্তের লোকজন আছেন। এবং সবাই আক্রান্ত হতে পারেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.