নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুত এক বিচ্ছিন্নতা

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫১


পৃথিবীতে প্রতিদিন কিছু মানুষ মারা যায়। কিছু মানুষের জন্ম হয়। জন্ম এবং মৃত্যুর সাথে জড়িত মানুষের আনন্দ বেদনা। মৃত মানুষদের অনেক সম্মানে ভালোবাসায় সমাধীস্থ করে মানুষ । শেষবার দেখতে আসে অসংখ্য প্রিয়জন, শেষ বিদায়ের আগে। ঠিক জন্ম হওয়ার পর মানুষের সমাগম ঘটে শিশুটিকে ঘিরে।
অথচ এ সময় মানুষের এই আগমন বা বিদায়ের সময়টা হয়ে পরেছে বড় করুণ। বাচ্চা জন্ম হচ্ছে একা অবস্থায়। অনেক বাচ্চা জন্ম নিচ্ছে বাড়িতে। যে বিষয়টা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
হাসপাতালগুলো সার্জারি করা আপাতত স্তগিত করেছে। সব হাসপাতালেই রোগী দেখা কমে গেছে। ডাক্তারের ক্লিনিক গুলো প্রতিদিন যেমন জমজমাট থাকতো, এখন সেখানে কোন রোগী আসছে না। ডাক্তার টেলিফোনে রোগীর সাথে কথা বলে সাজেশস দিচ্ছেন প্রয়োজনে প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিচ্ছেন ফার্মাসিতে।
রেগুলার অনেক চেকাপ রোগ সারানো এখন বন্ধ আছে। কোভিড ১৯ ছাড়াও সাধারন ভাবে এখন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। এই পরিমানটা আরো বেড়ে যাবে স্বাস্থ্য সেবা আগের মতন না পাওয়ার জন্য।
চিকিৎসক, নার্স সংকট প্রবল। কোন দেশই চীনের মতন চল্লিশ হাজার ডাক্তার এক সাথে এক জায়গায় করতে পারবে না মনে হয়। কারো এত ডাক্তার নেই। এই সময়ে অনেক ডাক্তারও মারা যাচ্ছেন। ইতালীতে ষাটজন ডাক্তার মারা গেছেন।
প্রতিটি দেশেই এই সংকট হচ্ছে তবে বাংলাদেশে আতংক বেশি ছড়িয়েছে প্রয়োজনের চেয়ে অকারণ।
হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে রোগী নিচ্ছে না। সাধারন সমস্যা দেখা গেলেও রোগী কোভিড ১৯ আক্রান্ত মনে করে হাসপাতাল রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে। স্বজনরা বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটাছুটি করছেন।
জন্ম, মৃত্যু, বিয়ের সময়গুলোতে মানুষের সমাগমে আনন্দপূর্ণ থাকতো, এখন এত নিরব একাকী হয়ে গেছে জন্ম, মৃত্যু এবং বিয়েও।
এ সময়ে এখানে বিয়ে হয় প্রচুর। এবং বিয়ের আয়োজনের পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে করতে হয়। এক বছর আগে থেকে সিদ্ধান্ত না নিলে জায়গাও পাওয়া যায় না।
গতমাসে একটি বিয়ে হলো যা আগে থেকে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু লক ডাউন হওয়ার পর ভেন্যু বাদদিয়ে নিজের বাড়িতে বিয়ে করেন দম্পত্তি । বন্ধুরা যাদের আসতে বারাণ করা হয় তারা তবু এসে যায়। রাস্তায় লাইন দিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে, গাড়িতে বসেই হর্ণ বাজিয়ে হাততালি উইস করে আনন্দে সামিল হয় বিয়ের। দম্পত্তি ফাঁকা রাস্তার উপর নাচে। এ ভাবে বিয়ে হবে কেউ ভাবেনি কোনদিন।
ফিউনারেল থেকে একা একা সমাধীতে চলে যাচ্ছে মৃত দেহগুলো। পরিবারের লোকজনও কাছে থাকতে পারছে না। সাধারন মৃত্যুতেও মানুষ সাথে কাউকে পাচ্ছেন না।
এ সময়ে যে বাচ্চাগুলো ঘরে আছে তারা যেন সাবধানে থাকে। হঠাৎ পরে গিয়ে বা কোন ভাবেই যেন কোন দূর্ঘটনা না ঘটে। জরুরী বিভাগে গিজগিজ করতে দেখেছি মানুষদের কারো মাথা ফেটেছে, পা ভেঙ্গেছে, হাত ভেঙ্গেছে, দাঁত পরে গেছে। এখন তাদের জন্যও ভয়ানক রকম সমস্যা হবে সেবা পেতে।
খুব মন খারাপ হচ্ছে সেই সব স্পেশাল চাইল্ডদের কথা ভেবে। যাদের অনেকে বাইরের পৃথিবীরর মাঝে ব্যস্ততায় ভালো থাকে তাদের সামলানো অনেক কঠিন মা বাবা বা সেবিকাদের জন্য এ মূহুর্তে।

তারপরও আর কিছুদিন মানুষ এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য সময়টাকে দ্রুত করে তুলক।
সবার সহযোগীতা প্রয়োজন এই দূরে থাকার কাজটি করার জন্য।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: এমন অনেক খবর দেখছি। আজকাল পত্রিকা মিডিয়া ছাড়াও ব্যাক্তিগত সূত্রে অনেক খবর মানুষের নজরে এসে যায়।
ডাক্তাররাও অপরাগ তাদের যদি পর্যপ্ত পিপিই থাকলে তারা নির্ভয়ে রোগী দেখতে পারতেন। সর্বপরি তারও তো মানুষ

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





- - - - - - - শুধুই অপেক্ষা। আর কিছুই করার নেই।।


০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: অপেক্ষার কাল খুব কম হতো । মানুষও অনেক কম আক্রান্ত হতো যদি সব মানুষ কিছুদিনের জন্য দূরত্বটা বজায় রাখত।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্তির অধীর অপেক্ষায় সবাই।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: কিছু বিবেচনাহীন মানুষের কারণে সবদেশেই সময়টা বেড়ে চলেছে।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই দুসময় কেটে যাবে।
সুসময় আসছে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: রাতের পরে দিন আসার মতন যে কোন দুঃসময় সরে যাবে এক সময়। পৃথিবীর মানুষকে কিছু বাড়তি জ্ঞান দিয়ে যাবে।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মানুষ প্রাণী হিসেবে জ্ঞানী তবে সব সময় সে অজ্ঞানের কাজ করে মাঝে মাঝে জ্ঞানের কথা বলে মাত্র। আমরা এর বাইরে নই। আমরা করোনাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবো তা একমাত্র সময় বলে দিতে পারবে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: কিছু মানুষ সময়ের আগে চলেন তারাই প্রকৃত জ্ঞানী। কিন্তু নানা কুসংস্কারে আটকে থাকা মানুষরা তাদের কথা না শুনে বরং তাদেরকেই পিছনে টেনে রাখতে চায়।
আশা করি এই বন্দি অবস্থার উন্নতি হবে দ্রুত।

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সত্যি সঙ্গবদ্ধ হয়ে দূরে থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.