নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

থ্যাঙ্কসগিভিং লঙ উইকএ্যান্ড

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:০৩

নতুন ফসল তোলার পরে পারিবারিক ভাবে আনন্দ যোগাযোগ আহার সময় কাটানো যুগযুগ ধরে চলে আসছে। বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন এবং একক পরিবারের জীবনে থ্যাঙ্কসগিভিং সময়ে বাড়ি ফিরা মা বাবার সাথে কাটানোর একটা সুযোগ সবার। নবান্ন উৎসবের মতন এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পরিবারের মিলন শুধু নয়। পাড়া প্রতিবেশি। গ্রাম গুলোও মেতে উঠে একত্রে আনন্দে।
গ্রামীন পর্যায়ে এখনও সেই পরিবেশ দেশের জীবনযাত্রার মতন। পহেলা বৈশাখের মতন মেলা আনন্দ হুল্লেরে মাতে গ্রামবাসী এক হয়ে। গত কয়েক বছর ধরে আমার সুযোগ হয়েছিল তেমন সবার সাথে আনন্দে মেতে উঠার।
যার মাঠে যে ফসল ফলছে সবাই কিছু নিয়ে আসে। সবার সাথে ভাগাভাগি করে দেয়।
এছাড়া গ্রাণ্ডমা. মা. মাসিদের রেসিপি অনুসরণ করে বানানো হয় কেক, পাই, ছোট ছোট বাইটের কত রকম পিঠাপুলি। নানা ধরনের খাদ্য সম্ভার লম্বা টেবিল জুড়ে সাজিয়ে রাখা হয়। পুড়ানো হয় ভুট্টা মাংস। বারবিকিউর মনমাতানো ঘ্রাণ খাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। বড়রা বিয়ারের ক্যান বা ওয়াইনের গ্লাস হাতে হাসি আনন্দ থেকে সুখ দুঃখের গল্পে মাতেন। ছোটরা খেলা ধূলায় ছোটাছুটিতে ব্যাস্ত। অনেক দিন পর অনেকের সাথে দেখা শোনা। অনেকেই এখন গ্রামের সব মানুষ একে অপরকে চেনে না। বাইরে থাকার জন্য। গ্রামে নতুন মানুষ এসেছে অনেক পুরানো মানুষ এ জীবনের যাত্রা পথ থামিয়ে দিয়েছে। অনেকে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন বয়স্ক আবাসনে। তাদের বাড়িতে নতুন মানুষ এসেছে গ্রামে, যারা কিনেছে সেই প্রবীণদের বাড়ি। নতুন করে পরিচয় হয় একে অপরের সাথে। টিন এইজরা একটু আলাদা হয়ে যায় ছোট এবং বড়দের থেকে। কয়েক বছর এই গ্রামীন সংস্কৃতির অংশে যোগদান এবং দেখার আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ হয়েছে আমার।
মনে পরে যায় সেই ছোট বেলা দেখা লিটিল হাউস অন দ্যা প্রেইরি ছবিটা দেখে কি আনন্দ পেতাম। আগ্রহ নিয়ে দেখতাম অন্য সংস্কৃতির মানুষের জীবনযাত্রার গল্প।
হাসি আনন্দ সুখ দুঃখগুলো আমাদের মতনই তাদের জীবনে।
সেই জীবনযাত্রার ভিতরে ঢুকে যেতে পারব একদিন আমিও তাদের অংশ হবো এমনটা মনে হয়নি কখনো। অথচ জীবনের চলার বাঁকে বাঁকে কত বৈচিত্র দেখার থাকে।
তাদের সাথে একই রকম আনন্দে আমিও ফসল তোলার পর থ্যাঙ্কস গিভিংয়ের সময়ে, গাছের আপেলের পাই বা নিজের বাগানের কিছু ফল, সবজি তুলে নিয়ে যেতাম তাদের মাঝে।
গত বছর এই আনন্দ স্থগিত হলো করোনার জন্য। এ বছর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে যেতে থেমে গেলো আবার অনুষ্ঠান আনন্দ। একদম কমে যাওয়া করোনা পরিস্থিতি বেশ বেড়েছে । কিছু প্রভিন্স যেখানের মানুষ রক্ষণশীল তারা নিজের রোগ, মৃত্যু ডেকে আনছে, বিজ্ঞান এবং চিকিৎসকের কথা না শুনে।
যে দেশ ভ্যাকসিন নিয়ে বসে আছে, যে দেশের আশি ভাগ মানুষের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে অথচ বিশ ভাগ মানুষ ভ্যাকসিন নেয় নাই। এই ভ্যাকসিন না নেয়া মানুষ বেশির ভাগ বিজ্ঞান মানে না। এরা আদিম ভাবনার যুগে থাকে। মজার বিষয় এরা অধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিন্তু প্রযুক্তির যত রকম ভুল খবর গুলো ছড়ায়, এরা সে সব বেশি দেখে এবং বিশ্বাস করে। তারা ভ্যাকসিন বিরুদ্ধ মানুষ। বিশাল দেশটার বেশির ভাগ প্রভিন্স টেরিটরির মানুষ যখন ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক সুস্থ স্বাভাবিক মুক্ত জীবনে ফিরে যাচ্ছে, সে সময় মাঝ খানের দুটো প্রভিন্সের হাসপাতালের আইসিইউতে উপচে উঠছে অনেক করোনা রোগী।এক দেশের অন্য প্রভিন্সগুলোর দিকে চোখ মেলে, দেখে শুনেও তারা শিক্ষা নেয় না। তারা ভ্যাকসিন নিলে প্রতিক্রিয়ায় মরে যাবে এই ভয়ে ভ্যাকসিন এড়িয়ে চলে কিন্তু করোনাকে আহ্বান করে।
কাল দূরে বসে খবরে দেখছিলাম কি ভীষণ ভাবে ভাগাভাগি হয়ে গেছে মানুষের পরিবারের মাঝেও । পরিবারেও এখন সবাই এক সাথে আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভয় পাচ্ছে। এক পরিবারের যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে তারা এক সাথে বসে থ্যাঙ্কস গিভিং ডিনার করবে। স্বাভাবিক আনন্দ করবে। কিন্তু যারা ভ্যাকসিন নেয় নাই তাদেরকে পরিবারের মধ্যেও ডাকা হচ্ছে না।
একই অবস্থা তাদের হোটেল রেস্টুরেন্টে যাওয়ার মধ্যেও সীমাবদ্ধতা । ভ্যাকসিন নেয়ার কার্ড না থাকলেও তারা ঢুকতে পারবে না খাবার খেতে। করোনা যেন একদল মানুষকে ধীরে ধীরে এক ঘরে করে ফেলছে। চাকরির ক্ষেত্রে, ভ্রমণের ক্ষেত্রেও অনেক বাঁধা নিষেধের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
ফসল তোলার পর এই নবান্ন উৎসবটা ধর্মের চেয়ে বেশি সামাজিক অনুষ্ঠান মনে হয় আমার কাছে। আমরাও পরিবারের সবাই মিলে ভোজন সারি উৎসবের ছুটি পেয়ে সবাই এক সাথে হই প্রতিবছর। নানা রকম খাদ্য সম্ভারে সাজাই টেবিল।
গতবার হলো না এবারও হলো না। বাড়িতে নাই আমি এবার । শরতের রঙিন মেহদি রাঙ্গা পাতাগুলো উঠানময় উড়ছে আপন মনে। তার উপর হেঁটে যাচ্ছে দল বেঁধে তিতির। প্রতিবারের দেখা চেনা দৃশ্য ভাসছে চোখের সামনে। সাথে বাগানের শেষ ফসলগুলোর কথাও ভাবছি। বেরিয়ে পরার আগে যাদের তুলতে পারিনি। আপন মনে তারা গাছে সঠিক আকৃতি পেয়েছে নিশ্চয়ই এতদিনে। বলে এসেছিলাম প্রতিবেশিকে তুলে নিতে। তারা হয় তো দেখা শোনা করবে ততদিন বাড়ি আমি ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত।
সবার থ্যাঙ্কস গিভিং আনন্দময় হোক।


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


হ্যাপী থ্যাংকস-গিভিং; সেখানে তো অনেক আগে হয়, এবার ১১ই অক্টোবরে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার ধারনা ঠিক না এ সময়েই হয় অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের সোমবার। সেটা যে তারিখই পরুক।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেকে বাড়ী ছেড়ে চলে গেছেন বয়স্ক আবাসনে। তাদের বাড়ীতে এসেছে নতুন মানুষ...." - এ লাইনটা পড়ে বুকটা হু হু করে উঠলো। আজকের দিনে হয়তো এটাই নির্মম বাস্তবতা। এত মায়া দিয়ে গড়া সংসার, বাড়ীঘর... সব ছেড়ে চলে যেতে হবে অচেনা জায়গায়, অজানা পরিবেশে, পরের উপর নির্ভরতায়। শেষ বয়সটাতে এসে আপনজনের পরশ বঞ্চিত, দরদ বঞ্চিত হয়ে জীবনের দিগন্ত পাড়ি দেয়ার প্রহর গোণা! কি নিষ্ঠুর একটা পরিস্থিতি, তা সে যতই কমফোর্ট দিক না কেন!!! আসল কমফোর্ট যোন তো মানুষের হৃদয়টা। এ বয়সে নাতি নাতনিদের ছুঁয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, তাদের ছুটোছুটি দেখতে ইচ্ছে করে, মা-বাবার শাসন থেকে তাদেরকে আগলে রেখে তাদের মনের ইচ্ছেগুলো পূরণ করার সাধ হয়। "বিজ্ঞান আমাদেরকে দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ"। যান্ত্রিক এ যুগে আমরা যন্ত্রের কাছে বড় অসহায়!

আমাদের 'নবান্ন' আর আপনাদের (মানে ওদের) 'থ্যাঙ্কস-গিভিং'-- পোস্ট পড়ে মনে হলো দুটো একই জিনিস। দুটোর উদ্দেশ্য-বিধেয় একই। ভালো লাগল এমন সাযুজ্য দেখে। ওদের গ্রামীন সংস্কৃতিতে অংশ নিয়ে আপনার অতীত অভিজ্ঞতার কথা এখানে পরিবেশন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশাকরি আগামী বছর নাগাদ করোনা চিরতরে নির্বাসিত হবে এবং তখন আবার আনন্দের সাথে আপনি ওদের নবান্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন।

উন্নয়নের শীর্ষে থাকা দেশটিতেও আমাদের অনেক গ্রামীন জনপদের মত এতটা প্রকট ভ্যাক্সিনবিরোধী মতবাদের লোক আছে, এ কথাটা ভাবতেও মনে বিস্ময় জাগে!

সুন্দর পোস্টে প্রথম 'লাইক'টি রেখে গেলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য এবং গভীর উপলব্ধির প্রকাশ করেছেন খায়রুল আহসান।
এবং লাইক দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে পরিবারের জন্য আমাদের অনুভতি খুব অন্য রকম। আন্তরিক।
কিন্তু নবান্ন আর থ্যাঙ্কস গিভিং এর মধ্যে যেমন পার্থক্য পেলেন না, ঠিক সেরকম তাদের মাঝেও পরিবারের বন্ধন এবং আন্তরিকতা একই রকম। বরং অনেক ক্ষেত্রে আমার মনে হয় আমাদের চেয়ে বেশিই।
কাছে থেকে তাদের পারিবারিক জীবন দেখার মাঝে আমি যতটুকু উপলব্ধি করে পেয়েছি।
উদাহরণ দিয়ে লিখতে গেলে বিশাল একটা লেখা হয়ে যাবে। অন্য কোন সময় লিখব আশা করি।
বয়স্কদের জোড় করে কেউ বয়স্ক আবাসনে ঢেলে দেয় না। তারা নিজেরা অনেক সময় বুঝতে পারেন চলা ফেরা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আর বয়স্ক আবাসনটা আসলে আমাদের দেশের ধারনার বাইরে খুব অন্য রকম কিছু । যেখানে ডাক্তার নার্স প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেবকের সেবা পাওয়ার সুযোগ থাকে। যা বাড়ির মানুষের পক্ষে অনেক সময় করা সম্ভব হয়ে উঠে না। কেউ কাউকে উপেক্ষা করে না। বরং পরিবারিক ব্যস্ততা চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন। কেন তারা এই সুবিধা বেছে নেয়। এবং সবাই স্বয়ং সম্পন্ন থাকতে চায় কারো উপর নির্ভর না করে।
হ্যাঁ করোনা পালাবে শেষ পর্যন্ত আবার জমবে মেলা আনন্দ উৎসব। মানুষ মানুষ ছাড়া একা থাকতে পারে না।
মানবিক একটা দেশে সব মানুষের অধিকার দেয়া হয় যে যেমন থাকতে চায় তাই যারা রক্ষনশীল থাকতে চায় তাদের নিজের মতন থাকতে দেওয়াই নিয়ম। কারো ব্যাক্তিগত ইচ্ছার উপর জোড় করার অধিকার নাই।
তারা নিজেরাই ধরা পরবে নিজেদের জালে। তখন ফিরে আসবে হয়তো। করোনার জন্য সব দেশের উপর দিয়ে বিশাল ঝড় বয়ে গেছে। তাই কিছু মানুষের জন্য আবার সব জায়গায় ছড়াক এটা কেউ চাইছে না।
শুভেচ্ছা থাকল। ভালো থাকুন অনেক।



ই তাদেরও

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: এই বিষয়ে আগেও ধারনা ছিলো। আপনি সুন্দর করে লিখেছেন।
হ্যাপী থ্যাংকস-গিভিং।

১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন।

হ্যাপী থ্যাঙ্কসগিভিং

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এখনো ফেরেননি!! সেই যে বেড়িয়েছেন- জার্মানের যে গল্প শুনলাম গত পোষ্টে!!!

বেঁচে থাকলে অনেকবার থ্যাঙ্কস গিভিং এর আনন্দ উদযাপন করা যাবে। সুস্থ্যভাবে ফিরে আসুন ভাল থাকুন।
ওহ লেখাটা চমৎকার হয়েছে- আমার এমন উৎসবে ছুটে যেতে মন চায় ভীষণ

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন।
আপনি আগের লেখাটাও মনে রেখেছেন দেখছি। খুবই আনন্দিত হলাম এই আন্তরিকতায়।
জার্মানের গল্প পুরো হয়নি বলা কেবল দিয়েছিলাম ছোঁয়া।
আর্ধেক জার্মান জুড়ে ঘুরে ফিরেছিলাম যে বাড়িতে সেটা ইউরোপে । সেখানে কদিন কাটিয়ে চলে এসেছি আবার বাড়ি। এখন আছি দেশের বাড়ি। বাড়ি ফেরা আরো দেরি আছে।

বাড়ির অভাব নেই। এছাড়া আত্মিয় স্বজন বন্ধু বান্ধব এত দেশে এত ডাকে, সবার বাড়িতে দুদিন করে থাকলে সারা বছর জুড়ে ঘুরতে পারব। তবে ঘোরার মজা নিজের মতন আমার কাছে কারো উপর বার্ডেন না হয়ে।

বেঁচে থাকলে অনেকবার থ্যাঙ্কস গিভিং এর আনন্দ উদযাপন করা যাবে। সুস্থ্যভাবে ফিরে আসুন ভাল থাকুন। খুব সঠিক সুন্দর কথা। ধন্যবাদ আবারও সুন্দর প্রার্থনার জন্য।
চলে আসুন একবার উৎসব ফিরে আসবে আবার আমাদের।
শুভেচ্ছা ভালো থাকুন।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তরে আপনিও খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করলেন ওখানকার পরিস্থিতি ও নিয়মগুলো, যার ফলে বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝতে আমার সুবিধে হলো, বিশেষ করে বয়স্ক আবাসন কেন্দ্রের ব্যাপারটি। টিকা নিতে অসম্মতদের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনের ব্যাপারটাও বুঝলাম। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকুন, শুভকামনা....

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ।
আবার ফিরে এসে সুন্দর ভাবে আপনার অনুভুতি জানিয়ে যাওয়ার জন্য।
উদরতার বিষয়গুলা মানবতার বিষয়গুলো এত সুন্দর ভাবে দেশের আইনে আছে। সহজ ভাবেই শিখে নেয়া যায়। পালন করতেও ভালোলাগে যদি ওপেন মাইণ্ডেড মানুষ হন।
শুভেচ্ছা রইল

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: থ্যাংস্ক গিভিং উৎসবটা আমার বেশ পছন্দ । কিভাবে পরিবার পাড়া প্রতিবেশি সবার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে পালন করা যায়! দেখতে বেশ চমৎকার লাগে ।
করোনার কারণে অনেক কিছু সীমিত হয়ে গেছে । এমন কি এই উৎসবও !


এই ভ্যাকসিন না নেওয়ার দলে আমার কাছের মানুষও রয়েছে । আমি কত ভাবে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন লাভ হয় নি । তারা নেবে না মানে নেবেই না । শেষে বিরক্ত হয়ে বলেছি যদি কিছু হয় আমি জীবনেও যাবো না ।

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধর্মের সাথে রিলেটেড হলেও বেশি সামাজিক উৎসব মনে হয় আমার। সামাজিক উৎসবের মধ্যে থ্যাঙ্কস গিভিংটা শ্রেষ্ঠ, সবার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে আমারও খুব পছন্দ।
দু বছর আগে দেখেছিলাম কিছু মানুষ নিজের উদ্যেগে স্বেচ্ছাসেবা মূলক থ্যাঙ্কস গিভিং পার্টির আয়োজন করেছে।
যাদের কেউ নেই একা মানুষ তারা এক সাথে হয়ে উৎসবের ডিনার করবে।
নিজের বাড়িতে অচেনা একা মানুষদের আমন্ত্রণ করে এক সাথে পালন করছে, থ্যাঙ্কস গিভিং ।
কিছু মানুষের এইরকম উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার চেয়েও বেশি কিছু দাবী রাখে।

করোনা শেষ হলেই ফিরব আমরা আবার আগের মতন যোগাযোগে আশা করি।

আমারও কিছু চেনা মানুষ আছে ভ্যাকসিন বিরোধী। এদের বলে লাভ নাই আসলে। তবে সরকার থেকে যে নিয়ম গুলো করছে তার ফলে এরা নিজেরা সমস্যায় পরবে।
ধন্যবাদ অপু তানভীর সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভেচ্ছা রইল

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা খুব সাধারন ভাবে পালন করেছি।একটা টার্কি এনে প্রথমে বেক করেছি ও পরে গ্রিল করে সাথে আলুর ভর্তার মতো বানিয়ে নিজেরা এবং বন্ধু বান্ধবদের বাসায় দিয়েছি।বাসার সামনে কিছু ডেকরেশন করে কোন মতে উৎযাপন করা।

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: সবার সাথে মিলে মিশে খাওয়া দাওয়া করেছেন এইটাও মন্দ নাএমন পরিস্থিতিতে।
বেশ উৎসব উৎসব হলো কিছু মানুষ মিলে।
আসলে অনেকদিন একা থেকে আমরা অসামাজিক হয়ে যাচ্ছি।
ভালো থাকবেন কামাল ১৮

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,





উৎসবের স্মৃতিচারণ।

এই করোনা আমাদের অসামাজিক করে তুলেছে, অবরোধ দিয়েছে হাসি- আনন্দে, বিশ্বকে গড়ে তুলেছে এক বিশাল কারাগারের আদলে.......

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস
করোনা আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিলেও অনেক কিছু শিখিয়েছেও।
বাহুল্য বর্জিত জীবনে যে আমরা চলতে পারি এই উপলব্ধটিাও বেশ ভালো তার মধ্যে।

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:১০

গরল বলেছেন: আপনার থ্যাংকস গিভিং এর বর্ণনা কি সিনেমা থেকে নেওয়া? আমিতো দেখেছি সবাই একটা টার্কি বেক করে ডিনারের আয়োজন করে। যদিও মাত্র তিন বার দেখলাম তবে আপনার বড়্ণনার সাথে শহরের কালচারে এটা যায় না, হয়ত কোন ফার্ম-হাউস বা বনেদি কোন পরিবারে এরকম হয়ে থাকে।

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ গাড়ল অনেক দিন পর পুরানো লেখা খুঁজে পড়েছেন এটা ভালোলাগল।
না কোন সিনেমার গল্প লিখি নাই।
আমি ছোট একটা শহরে থাকি সেখানে এমনই সবাই এক সাথে আনন্দ উৎসব করেন এটাই ঐতিহ্য। তবে গত দু বছর সব থেমে আছে। আবার আগের মতন জমজমাট হবে কিনা বুঝতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.