নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলাপ ফোটানো ছেলেটি

০৭ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:২৩



শ্যামল বাংলা মাটির বুকে, সবুজ মাটির কাছে, জন্মে ছিল এক শিশু,
ইচ্ছা বাসা বাঁধে মনে, পাখির ডানামেলা আনন্দে, উড়বে মুক্ত জীবনান্দে।
তিন চৈত্র ১৩২৬; জন্ম সময় ছিল বেনিয়া বিদেশি শাসনের।
কাটফাটা খড়ার সাথে ছিল বিপ্লব, বিদ্রোহ, ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলন।
দুইশ বছরের ছিনিয়ে নেয়া অধিকার আদায়ের লক্ষে,
আপ্রাণ যুদ্ধ, অভিন্ন ভারতের মানুষ, পাঞ্জাব থেকে বাংলায়।
পাখির ডানায় উড়া কিশোর দেখেছিল,
এক সাথে গঙ্গা পদ্মা মেঘনা যমুনার বয়ে যাওয়া বঙ্গোপসাগরে।
ভাগ হয়ে যায় সাতচল্লিশে অখণ্ড ভুমি, সীমান্ত রেখা টেনে।
বঙ্গ ভঙ্গ হয় শতধা ছিন্ন, কত মতবাদে।
মানুষের ভূখণ্ড ভাগ হয় ধর্মের নামে।
চেনা মানুষ অচেনা। অজস্র কান্না মিশে মাটির বুকে, নদীর জলে।
শুষনে নিঃস্ব দেশ, ছেড়ে যায় বেনিয়ারা। সাথে উচ্ছেদের বীজ বপন করে যায়, ভূখণ্ড জুড়ে।
লণ্ডভণ্ড ধর্মের নামে ভাগ হওয়া দেশে, মানুষের অসুখি জীবন।
রক্তের হলি খেলায়, ছিন্ন হয় আত্মার বন্ধন।
ভিটে মাটি ছেড়ে চোখের জলে মানুষ, সীমান্ত পাড়ি দেয় জীবন বাঁচাতে ধর্মের কারণে।
সতের মার্চ উনিশ বিশে, জন্ম নেয়া সেই শিশু; যুবক সাতচল্লিশে।
হৃদয়ক্ষরণে অর্ন্তগত অনুধাবনে, হয় না উড়া মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে,
টুঙ্গি পাড়ায় জন্ম নেয়া শেখ মুজিবুর রহমান।
ঐতিহ্যের স্মৃতি, মানুষের শোকাতর সকরুণ কাহিনী কাঁদায়।
পাখির ডানায় আনন্দে উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন, হারায়, মানুষের কষ্ট, চিন্তায়।
বুকের ভিতর রক্ত ক্ষরন, এক দেশে দুই রকম শাসন!
অধিকার বঞ্চিত বাংলার জনগনের ভাবনায় তাঁর প্রাণ আকুল ।
মৃত্যু ভয়, প্রলোভন উপেক্ষা করে ঝাঁপিয়ে পরে আনন্দে, বাঙালি জাতির দুঃখ দূর করতে।
বাংলার মানুষের সুস্থ জীবন, মানবতার অধিকার আদায়ে, নিবেদিত যুবক।
শোষণের বিরুদ্ধে সাম্যের অধিকার আদায়ে আওয়াজ তুলে।
একা নয় পাখির ডানায় উড়াল দিতে হবে বাঙালি জাতি সাথে নিয়ে।
শাসকের আগুন দৃষ্টির মাঝে ,বারেবারে কারাবন্দি, ক্ষয় হয় জীবন সময় ।
পরিবার পায় না তাকে ভালোবাসায় কাছে। শিশুরা পায় না পিতার আদর ।
মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ, মানুষের পিতা। ভালোবাসার মানুষ; পিতা অগনিত জনতার।
দীর্ঘ সময় দীর্ঘ দাবী দাওয়া, মিথ্যা মামলা কারা ভোগ, ছয় দফা অনেক উত্থান পতন।
উনিশ'শ সত্তরে, জনগণের ভোটে জয়ি হয়েও শাসকের ষড়যন্ত্রের শিকার।
দিতে হয় স্বাধীনতার ডাক।
সাত মার্চ উনিশ একাত্তর। রেসকোর্স ময়দান।
লোকে লোকারণ্য জননেতার কবিতা শোনার অপেক্ষা।
সাতকোটি মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ। তর্জনি উঁচিয়ে মহা কব্য পড়া হলো,
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।
অনেক হয়েছে, নির্যাতন, অনেক নিষ্পেষণ। অনেক কথার অলোচনায়,অশ্ব ডিম্ব।
এবার ঝাঁপিয়ে পরো, যার যা আছে তাই নিয়ে। আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি।
ভূখণ্ড মুক্ত করতে নিজেরাই লড়ে যেও। বাংলায় বিজয় কেতন উড়িয়েই ঘরে ফিরো।
শব্দের ছন্দে নেচে উঠে সাতকোটি মানুষের মন। অধিকার আদায় করতে হবে।
পাখির ডানায় উড়ে, স্বাধীনতার স্বপ্নবোনা জয় বাংলা।
একটি সতেজ প্রাণবন্ত প্রাণ, বাঙালির প্রাণে বাজায় হেমিলোনের বাঁশি, জাগায় বাঙালি জাতি সত্তা।
বাঙালি পায় একজন নেতা, বাংলার বন্ধু; বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।
মোহনীয় সুরে, যে বীনা বাজায় নিজের জীবন বিপন্ন করেও মানুষের পাশে নিবেদিত।
মাথা উঁচু রাখা, নিজস্ব সত্তায় বাঁচার মর্ম বানী যার মন থেকে ছড়ায়,
পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে।
স্বাধীন দেশের স্বপ্ন আঁকে চোখ জুড়ে।
নিজস্ব ভূমি, নিজস্ব পতাকা, নিজস্ব পরিচয় চিনিয়ে দেওয়ার নাম
জাতির পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান।
দূরন্ত সাহস, মুক্তিযোদ্ধা ।
নারীর সম্ভ্রম, মুক্তিযুদ্ধ
দূর্দান্ত গেরিলা আক্রমণ স্বাধীনতা
অনেক রক্ত ঝরে মাটির বুকে একাত্তর জুড়ে, নদীর জল, লাল নয় মাসে।
প্রিয়জন হারানোর তীব্র কষ্ট ঘরে ঘরে।
অকাতরে বিজয় আনতে মুজিবের ডাকে, ছুটেছে মানুষ সচেতন মনে।
নতুন সূর্য জাগে, নতুন দেশের নামে, যুদ্ধ শেষে।
জয় বাংলা সংঙ্গীত প্রস্ফূটিত ফুল ঝরে, আকাশ বাতাস হাসে।
স্বাধীনতা এসেছে বাংলায়, টুঙ্গিপাড়ার পোলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে;
যার বুকে স্রোতস্বনী নদী বয় ভালোবাসায়, মানুষের জন্যে।
ধর্ম বড় নয় মানুষ বড়। আলিঙ্গেনে আদরে রাখে বুকের জমিনে।
মুজিবের প্রগাঢ় চেষ্টায় ষোল ডিসেম্বর উনিশ'শ একাত্তর
বাংলাদেশ নামে গোলাপ ফুটেছে, পৃথিবীর মানচিত্রে ।


সাত মার্চের রেসকোর্স ময়দান: ছবি অনলাইন

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:১৭

বিটপি বলেছেন: কেবল গোলাপ নয়, আমাদের বুকে রক্ত রংয়ের যত ফুল ফোটে - সব ফোটানোর মালি হচ্ছেন এই অতুলনীয় কারিগর। আমাদের আগের প্রজন্ম খুব ভাগ্যবান যে এরকম একজন নেতা পেয়েছিল।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ বিটিপি।
গোলাপ একটা প্রতিক মাত্র কবিতার জন্য । বাংলাদেশ নামের দেশটার জন্ম হতো না এই নায়ক এ দেশে না জন্মালে।
শুধু আগের প্রজন্ম নয় বাংলাদেশের সব মানুষই ভাগ্যবান এমন একজন নেতা আমাদের আছেন।
তবে অনেকেই মূল্যায়ন করতে চায় না এদেশের আলো, বাতাস. স্বাধীনতা উপভোগ করেও।
যেমন আগের প্রজন্মর হাতেই নিদারুন মৃত্যু বরণও করতে হয়েছে তাঁকে। বড় হতভাগা জাতি।
ইতিহাস ঠিক ভাবে জানলে সবার মনেই ঠাই পাবেন।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন আবেগময় কবিতা।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতাটা ভালো লেগেছে।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.