নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তির মন্দির সোপানতলে

২৬ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৪৪

পঁচিশে মার্চ ১৯৭১ এর রাত্রি যারা দেখেছেন তারা জানেন সে সময়টা কেমন ছিল। হঠাৎ করে নেমে এসেছিল এক কঠিন অবস্থা মানুষের জীবনে। কিছু একটা ঘটবে আশঙ্কা ছিল মনে কিন্তু এতটা রক্তপাত এতটা ভয়ঙ্ককর হয়ে উঠবে অবস্থা কারো কল্পনায় ছিল না। সবার অপেক্ষা ছিল নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা দেওয়া হবে। কিন্তু ধুরন্ধর অমানুষ পশ্চিম পাকিস্থানের শাসক গোষ্টি পূর্ব বাংলার বাঙালিদের মানুষ মনে করত না। তাদের প্রয়োজন ছিল শুধু অর্থনৈতিক প্রয়োজনে ভূখণ্ড ব্যবহার। নির্বাচিত শেখ মুজিবর রহমানকে দেশের নেতা মেনে নেয়ার কোন মানসিকতা ছিল না পশ্চিম পাকিস্থানিদের মধ্যে। তারা কথা বলার নামে কালক্ষেপন করে সৈন্য এনে ভর্তি করছিল পূর্ব বাংলায়। নৌবহরে করে যেমন সৈন্যরা আসছিল। প্রতিদিনের যাত্রীদের আসা বন্ধ করে প্লেনে সাধারন পোষাকে বোঝাই করে সৈন্যদের পাঠাচ্ছিল ইয়াহিয়া, ভুট্টোরা। নিজেদের শলা পরামর্শ ছিল গোপনে। বাঙালিরা এতটা নৃশংসতা আন্দাজও করতে পারে নাই। নব্বই হাজার সৈন্য বাংলাদেশে চলে এসেছিল, পঁচিশে মাছের আগে। পাকিস্থানিদের যুদ্ধের প্রস্তুতি সব ছিল, বাঙালির অগোচরে।
ছাব্বিশে মার্চ রাত্রের অতর্কিত আক্রমণের ধ্বংস যজ্ঞের পর প্রাথমিক ভয়ে জীবন বাঁচাতে মানুষ পালাতে শুরু করে। কিন্তু কোথায় যাবে কোথায় নিরাপত্তা তাও জানা ছিল না প্রথম অবস্থায়।
বাকি নয় মাস মানুষের জীবনে যে ভয়াবহ সময় গেছে কোন কিছুর সাথে তার তুলনা হয় না। হঠাৎ আসা এই অবস্থার সাথে কি করা দরকার কি করা উচিত সাধারন মানুষ বুঝে উঠতে পারেনি প্রাথম অবস্থায়। কি হতে যাচ্ছে আগামী সময়ে। কিছু রাজনৈতিক সচেতন মানুষের পক্ষে হয় তো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু বেশির ভাগ মানুষের অপেক্ষা ছিল সব ঠিক হয়ে যাবে।
সাতকোটি মানুষ পরিস্থিতির শিকার হয়ে সেই মতন অবস্থার মোকাবেলা করছেন বাকি সময়ে। মার খেতে খেতে প্রতিবাদী হয়ে যেমন যুদ্ধের অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন সাধারন মানুষ। তেমনি সৈনিকরাও বুঝে উঠেন নাই অনেকে কি হতে যাচ্ছে কি হবে। কি করা প্রয়োজন। সব মানুষের ভাবনা ধারনা এক রকম নয়। কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সাঠিক মূহুর্তে। কেউ সময় নিয়ে বুঝতে পারেন পরিস্থিতি।
অনেকে প্রশ্ন তুলেন, অনেকেই কেন মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। অনেকের সে সুযোগ ছিল না। অনেকে সব হারিয়ে যুদ্ধে চলে গেছেন। অনেকে সব হারিয়ে দিশাহারা হয়ে গেছেন।
আগের মানুষের জীবন যাপনের সাথে ভাবনা চিন্তাও ছিল বর্তমান সময়ের চেয়ে অনেক ভিন্ন। আজকের ছোটরা যতটা সচেতন পঞ্চাশ বছর আগে অনেক বড় মানুষকেও ছোট হয়ে থাকতে হতো অভিভাবকের কাছে, পরিবারের মুরব্বীদের কাছে। নিজের ইচ্ছায় কিছু করার সুযোগ ছিল না সহজে। সামাজিকতা ছিল অনেক ভিন্ন আজকের অবস্থা থেকে।
সেই সময়কে ধারন করার জন্য টাইম মেশিনে চড়ে যদি পিছনে ভ্রমণ করার সুযোগ থাকত তবে হয় তো সেই আর্থ সামাজিক অবস্থা জীবন যাপন বোঝার চেষ্টা করলে অনেকটা অর্থবহ হবে। অনেক প্রশ্নের উত্তর হয় তো নিজের মনে পেতে পারেন অনেকে। কিন্তু নিজের অবস্থানে থেকে পঞ্চাশ বছর আগে কি হয়েছে কি হয়নি, কেন হয়নি, চুলচেরা হিসাব করা এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা সহজ কিন্তু সে সময়কে উপলব্ধি করতে পারলে তখনকার পরিস্থিতি উপলব্ধি করা সহজ হবে।

কিছু দিন আগে এক মেসোর কাছে গল্প শুনেছিলাম। নেত্রকোনায় তাদের ভালো অবস্থা ছিল, প্রতাপ, প্রতিপত্তি, সমৃদ্ধি সুখি পরিবার এবং শহরের মানুষের সাথে সুন্দর সম্পর্ক। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে হিন্দু পরিবার ঠিক কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। সবাই বলছে পালিয়ে যান। কিন্তু সব কিছু রেখে পালিয়ে যাবেন কোথায়। কি ভাবে হবে জীবন যাপন। সব ভেবে দিশাহারা অবস্থা উনার তখন।
যুবতি স্ত্রীসহ বোন, কিশোরী মেয়েরা, জোয়ান ছেলে, আত্মিয় পরিজনে ভরপুর এত বড় বাড়ির এত মানুষ, সব ফেলে ছেড়ে বা সাথে নিয়ে কোথায় পালাবেন, কোথায় লুকাবেন। ভয়াবহ এক অবস্থা।
একটি নৌকায় পরিবারের ঘনিষ্ট কয়েকজনকে নিয়ে নদীতে নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঠিকানা বিহীন সে ঘোরা ফেরা, ভেসে বেড়ানো।
নদীতেও ঘুরে মিলিটারিদের গামবোট তখন লুকিয়ে থাকতে হয় নৌকা নিয়ে কোন হুগলার বনে, ঘাস, গাছের আড়ালে। এই ভাবে আতংক নিয়ে কতদিন পালিয়ে বাঁচা যায়। একা নন পুরো পরিবার সাথে, আছেন মহিলা উঠতি বয়সি মেয়েরা। রান্না খাওয়া ঘুম প্রাকৃতিক কাজ নৌকার মাঝে, কোন ব্যবস্থা নেই। অস্বাভাবিক জীবনযাপন।
এক সময় মাঝি বলে আর কতদিন এভাবে নদীতে ভাসবেন তারচেয়ে ওপাড়ে চলে যান। ওপাড় মানে নদীর ওপাড়, নদীর দুপাড়েই তো মিলিটারি এসে গেছে নামলেই ধরা পরার ভয়।
না এই ওপাড় নদীর পাড় নয় সীমান্তের ওপাড়, ভারতে চলে যান। নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে যেতে হবে। এটা কি কথা বলো মাঝি। এখন অনেকেই যাচ্ছে আমি অনেককে পাড় করে দিয়েছি আগে, আপনারাও চলে যান।
চোখের জলে দেশ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নৌকা ভেসে চলল ভারতের সীমানা অভিমুখে। দেশের মাঝে সব জায়গায় আতংক ততদিনে কোথাও নিরাপত্ত নেই। এমন অবস্থায় সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশে নিরাপত্তার খোঁজে যেতে হলো।
কয়েকদিন ধরে নৌকায় ঘোরাফেরা পালিয়ে থাকা জীবন, ঠিক মতন খাওয়া ঘুম নেই, সবাই ক্লান্ত অবসন্ন। সাথে জীবনের নিরাপত্তার অভাব যে কোন সময়, ধরা পরার ভয়ে সবার অবস্থা শোচনীয় ভাবে পাজলড হয়ে আছে।
এক সময় নৌকা যখন ভারতের সীমানার কাছাকাছি পৌঁছেছে। মাঝি হাত তুলে দেখাচ্ছে ঐ যে সীমানা ভারতের। এখানে আর কোন ভয় নেই।
নৌকার ভিতর লুকিয়ে থাকা সব মানুষ বেরিয়ে আসে সূর্যের আলোয়, জীবনের আলোয়। সবুজের মধ্যে লাল সূর্য তার মাঝে সোনালী বাংলাদেশের পতাকা পতপত করে উড়ছে। সাথে ভারতের পতাকাও উড়ছে এক সাথে। অনেক মানুষ পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই হাত বাড়িয়ে দেখাচ্ছে জয়বাংলার মানুষ এসেছে। জয় বাংলা ধ্বনী নিয়ে সবাই ডাকছে তাদের। এ কদিনের ভয় আতংক সব যেন নিমিশে শেষ হয়ে গেল। নৌকার মধ্যে থেকেও তারা জয় বাংলা বলে প্রতি উত্তর দিতে লাগল। ছেলেরা যেন সাঁতার দিয়ে চলে যেতে চায় এখন পাড়ে তারা ঝাঁপিয়ে নেমে পরল নদীর জলে।
কি অস্বাভাবিক অবস্থায় তারা কাটিয়েছে এ কদিন চারপাশে মৃত্যু গোলার শব্দ আগুনের লেলিহান শিখা। জলে নামতেও ভয় লাগত বৈঠার মাঝে লেগে যেত মানুষের বয়ে যাওয়া দেহ। মানুষের শব ভাসছে খড়খুটার মতন নদীর মাঝে। এমন অবস্থা কেউ আগে কখনও দেখেনি। কদিন তারা কাটিয়েছে এক বিভীষিকা জীবন। এখনও কেমন হবে জীবন সেটা অজানা। কিন্তু তারপরও নিরাপত্তা যেন জীবনের।
আনন্দে চোখে জল এসে গেল। অচেনা মানুষরা প্রাণের উচ্ছাসে স্বাগত জানাচ্ছে তাদের। চোখে জল মুখে হাসি নিয়ে নৌকা থেকে নেমে আসে সবাই বিনা বিসা পাসপোর্টে পা রাখে অন্য দেশের মাটিতে অথচ তাদের বরণ করা হয় যেন তারা অতিথি।
সাতকোটি মানুষের ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন সেই সময়ের। একটা ঘটনার একটু উল্লেখ করলাম।



মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেই দিনগুলোকে কিভাবে আমরা ভুলে গেলাম? আমাদের বর্তমান কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে আমরা এই দিনগুলিকে শুধু অনুষ্ঠান সর্বস্ব বানিয়ে ফেলেছি। প্রকৃত চেতনা আমাদের থেকে হারিয়ে গেছে। হারিয়ে না গেলে এত বৈষম্য থাকতো না।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর সুন্দর মন্তব্য।
বিভিন্ন ভাগ ছিল মানুষের মধ্যে যুদ্ধের সময়। সময়ের সাথে পরিস্কার হয় অনেকের কর্মকাণ্ড। জাতীর পিতাকে হত্যা করে, ৭৫ পরবর্তি সময়ে অনেক বেশি দন্তবিকাশ করে তারা জাতীকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছে আসল ইতিহাস। গত কিছু বছর প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় কিছুটা প্রতিষ্ঠা পেলেও ভণ্ডদের কাজকারবার দলে ঢুকে সুবিধা নিয়ে এবং বিপরীত ভাবনার মানুষরা সব আসল চেষ্টাকে হাস্যকর বানিয়ে সাধারনকে বুঝিয়ে নষ্ট করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে অবিরত।
জাতীয় ভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করার জন্য শিক্ষা দেয়া জরুরী।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১১

ছদকার ছাগল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের আসল চেতনা হাইজ্যাক হয়ে গেছে সেই কবে। এখন শুধু চেতনার ব্যবসা চলে।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: আসল চেতনা হাইজ্যাক করার চেষ্টা চলেছে অবিরত কিন্তু এখনও আসল মানুষের বুকে বসবাস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
বীজ বুনতে হবে নতুন প্রজন্মের মনে।
অনেক ধন্যবাদ ছদকার ছাগল সঠিক বিষয়টা ধরেছেন।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:১১

শায়মা বলেছেন: এখনকার প্রজন্ম জানেনা কত কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো এ স্বাধীনতা।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রজন্মকে শুধু স্বাধীনতা দিবসের খেলাধুলা গান অনুষ্ঠান না বুঝিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলো বলতে হবে। যা তাদের মনের ভিতর গেঁথে যাবে। তবে কখনই ভুলবে না তারা কি ভাবে এই দেশটা পাওয়া হয়েছে, কত রক্ত এবং মানুষের জীবনের বিনিময়ে।
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা শায়মা

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটি হৃদয় স্পর্শ করলো।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৫৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুর্নীতি মুক্ত একটি সমাজ বানাতে হবে। যেখানে মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কোটি টাকা বিদেশে পাচার হবে না। যেখানে স্বাধীনতার স্বপক্ষের আওয়াজ দিয়েে মানুষের উপরে নির্যাতন হবে না। যেখানে পকেটে ইয়াবা গুজে দিয়ে কাউকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে না। যেখানে কোন অফিস থেকে ফাইল ছাড়াতে ঘুষ দিতে হবে না। যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জিনিসপত্রর দাম বাড়বে না। যেখানে চিকিতসার নামে মানুষ মেরে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিবে না। যেখানে মিথ্যা ক্রস ফায়ারে মানুষ মারবে না।
এতক্ষন যা বললাম, সেই কাজগুলি শেখ হাসিনা করে না।

বাংলাদেশে এক লাখেরও বেশি কোটিপতি বেড়েছে! করোনায় চাকুরী নেই, ব্যবসা নেই, রোজগার নেই কিন্তু কোটিপতি বাড়লো কিভাবে? এরা আসলে সরকারী সম্পদ, সরকারী বাজেটের কাজ না করে টাকা তুলিয়ে নিচ্ছে। ধনী হচ্ছে। নব্য ধনী।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: শেখ হাসিনার একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব না।
সিস্টেম বদলাতে হবে। সিন্ডিকেট নামের একটা জোট সব জায়গা দখল করে আছে । নতুন তরুন চাকরী পেলে সঠিক ভাবে কাজ করতে চায় কিন্তু ঘাড়ের বসে থাকা প্রবীন অনেকে ঘুস ছাড়া ফাইল ছাড়েন না। আজকাল হাতেহাতে ঘুস লেনদেন হয় না। এমন ভাবে অর্থ লেনদেন হয় যার হিসাব থাকে না ধরা যায় না কি ভাবে অর্থ লুটপাট হচ্ছে। এই সব মানুষের জন্য নাজেহাল হয় সত লোকরাও এক সময় তারাও শিখে নেয় সিস্টেম সিন্ডিকেটের।
এই সব অসৎ ব্যাক্তিদের থেকে উদ্ধারের একটা পথ খুঁজে পেলে উল্লেখিত বিষয়গুলো কার্যকরী হবে অনেক কিছুই সুন্দর হবে, আশা রাখি।
শুভেচ্ছা জেনো

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:২৫

জগতারন বলেছেন:
লিখাটি জেনারালাইজড হয়েছে।
জানাশোনা একটি পরিবারের ঘটনা চক্র বর্ননা করে লিখলে লিখাটি আরও গ্রহন যোগ্যতা পেতো।
তারপরও লেখিকার দেখা বাস্তব বিগত যাবিত জীবন বর্ননা ভালো লেগেছে আমার।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:১৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখাটা জানাশোনা পরিবারের কাছ থেকেই শোনা গল্প বলা যায় তাদের পরিবারের ইউনিক ঘটনা। বিভিন্ন মানুষের ঘটনা ভিন্নরকম।
বর্তমান সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে শোনার জানার ইচ্ছা মানুষের কমে গেছে। অনেকের কাছে বিষয়টা হাস্যকর এটা খুব আশ্চর্যের বিষয়। বিষয়টা জাতীর মধ্যে জাগাতে হবে। যেন প্রতিটি নাগরিক প্রাণ দিয়ে অনুভব করেন স্বাধীনতার পিছনের ইতিহাস হৃদয়ে ধারন করেন।
ধন্যবাদ জগতারন লেখাটি পড়ার জন্য এবং তবু ভালোলাগার জন্য।

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫০

সোবুজ বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে আমার।তখন মাত্র কলেজের পড়া শুনা শেষ করেছি।থানা থেকে কিছু রাইফেল নিয়ে গড়ে তুললাম মুক্তাঞ্চল।সেই যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লাম আজ পর্যন্ত আর বেরিয়ে আসতে পারলাম না।
পড়তে পড়তে অনেক কথা মনে পড়ে গেল। চোখে জল চলে আসাতে আর লেখতে পারলাম না।কতো বার যে মৃত্যর হাত থেকে বেঁচে আসছি তার হিসাব নেই।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:২৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: খুব ভালোলাগল জেনে।
শেয়ার করুন আপনার ঘটনাগুলো। প্রতিদিনের গল্প কেমন কেটেছে, কেমন কঠিন ছিল কেমন অর্জন ছিল ভয় আতংক আর সাহসিকতার যাপিত জীবনের কথা।
"সেই যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লাম আজ পর্যন্ত আর বেরিয়ে আসতে পারলাম না।" যারা জড়িয়ে যায় তারা জড়িয়েই থাকে বেরুনো হয় না।
কাল একটা ভিডিও দেখছিলাম শহীদ আলতাফ মাহমুদ এর স্ত্রী এবং মেয়ের কথা। আমার চোখ ভিজে আপন মনে জল গড়াচ্ছিল। কথা বন্ধ হয়ে গেল। এই অনুভব কেন আজকের প্রজন্ম পাবে না।
আমাদের চেষ্টা করতে হবে তাদের দেশ প্রীতি জাগানোর জন্য।
অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে সোবুজ

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:১৪

শায়মা বলেছেন: স্বাধীনতা দিবসের গান কবিতার মূল্যও কম নয় কিন্তু এখন কি সেসবও শেখানো হয়?

এখন শিখছে সবুজ লাল পোশাক ও সেলফি।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: যখন অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারে গান কবিতা তখন অবশ্যই তার মূল্য অনেক। কিন্তু সবাই সেজেগুজে অনুষ্ঠান করতে যায় অথচ কেন কি করছে সেটাই জানে না ।
অনেক স্কুলে শুনেছি শিক্ষকরা ঠিক মতন শিক্ষা দিতেন না দেশের ইতিহাস এমন কি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াও বন্ধ হয়েছিল। বিকৃত করার কত প্রচেষ্টা হয়েছে।
শাহিস সামাদ যিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেই অল্প বয়সে ট্রাকে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতেন গান গেয়ে। কিছুদিন আগে একটা অনলাইন অনুষ্ঠানে সরাসরি উনার কথা এবং মুক্তিযুদ্ধের গান শুনলাম। এ গান গুলো কোথাও কখনো শুনিনি। অনেকে তাদের নাম না দিয়ে গাইছেন। অথচ আর্কাইভে সংরক্ষণ হচ্ছে না গানগুলো মুক্তিযুদ্ধ সময়ের গান হিসাবে।
লাল সবুজ ড্রেসটা খুব জরুরী সেলফির জন্য। অথচ মুক্তিযোদ্ধাদের কোন ড্রেস ছিল না পায়ে জুতা ছিল না কতজনার। আহা এমন গল্প কবে জানবে প্রজন্ম।
তোমার ক্লাসের বাচ্চাদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে নিয়ে যাও একদিন।
ধন্যবাদ শায়মা ফিরে আসার জন্য

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৩৭

এইচ তালুকদার বলেছেন: অসাধারন লেখাটির জন্য ধন্যবাদ

৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এইচ তালুকদার

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার হয়েছে লেখাটি।

৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবা সৈয়দ মশিউর রহমান
যুদ্ধের সময়ের এই ঘটনাগুলো আরো বেশি আলোচনা দরকার। আরো বেশি জানা দরকার নতুন প্রজন্মের একটা দেশের জন্মের ইতিহাস।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি সময় করে আপনার এই পোস্টে একটি বিশেষ মন্তব্য করবো। শুভ কামনা রইলো।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ
অবশ্যই অপেক্ষায় রইলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.