নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

চৈত্ররাতের শেষে শুভ হোক নববর্ষ

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৩৪



বাবা একটা কথা খুব বলতেন চৈত্রে রাইন্ধা বৈশাখে খাই। এটা বেশির ভাগ সময় যখন রোজা পরত এই সময়ে চৈত্র বৈশাখ মিলে, তখনই সম্ভব ছিল চৈত্রে রান্না করে বৈশাখের ভোরে সেহেরী খাওয়ার বেলায়। এবার তেমন রোজার দিন পরেছে।
আগের সময়ে, রান্না করে সাথে সাথেই খাওয়া হতো। পরের দিন খাওয়ার জন্য খাবার কিছু রাখা হতো না, থাকতও না। খুব পরিমিত ছিল তখন খাওয়া দাওয়া রান্নার আয়োজন, অবস্থাপন্ন গৃহস্থের ঘরেও। ভাজি, মাছ বা মাংস, ডাল। এর বেশি কিছু না। এখন তেমন না। অনেক রকম ভর্তা ভাজি, দেশি মাছ ভাজা, ভুনা, তরকারি । মাংস, বিরিয়ানি, শুটকি সব এক সাথে রান্না হয়। বিশেষ করে যারা বিদেশে থাকেন তেমন বাঙালির বাড়িতে আমি এই প্রথা অনেক দেখেছি। সব কিছু এক সাথে খাওয়া ঠিক কিনা পেটে সয় কিনা এত চিন্তা না করে সব এক সাথে রান্না খাওয়া হয়।
ভাত বেশি রান্না হয় বাঙালির ঘরে, বাঙালি অনেক বেশি ভাত খায়, খেতে পছন্দ করে। ভাত খেয়েই পেট ভরে বেশির ভাগ মানুষের। ঠেসে এক প্লেট ভাত খেয়ে আরো দুবারও নেয়া হয় ভাত। তরকারি তেমন একটা না থাকলেও ভাত মরিচ পোড়া বা ডাল নয় তো নুন হলেই ভাত খাওয়া চলে অনেক বাঙালির। আর খাওয়ার পরে বেশি ভাত থাকলে পানি দিয়ে রাখা হয় পরের দিন সকালে নাস্তায় খাওয়ার জন্য। এটাই বাঙালির পান্তা খাওয়া, জীবন ধারনের জন্য ছিল এক সময়। সেই সময়ে ভাত ছাড়া আর তেমন কিছু ছিল না। শখ করে নতুন ধান উঠার পরে পিঠা পুলি তৈরি হতো কখনো সখনো। তাও চাল কুটে গুড়ো তৈরি করে। এছাড়া ছিল মুড়ি, চিড়া বাঙালির খাবার। তবে মুড়ি চিড়া, খই খেয়ে বাঙালির ভাত খাওয়া পেট খুব একটা ভরে না। যদিও ভাতের বিকল্প খাবার বলা যায় কিন্তু তা হালকা ওজনদার খাদ্য। পেটে গেলে ভাড়ী হলেও চোখে, হালকাই লাগত এ খেয়ে কি পেট ভরে। ভেতো বাঙ্গালির অভ্যাস বেশি ভাত খাওয়া। পিঠা চিড়া যা তৈরি হতো তাও চাল এবং ধানের তৈরি আমাদের দেশে। ধান চালেরই ছড়াছড়ি বাঙালির খাদ্যে।

অর্থনৈতিক অবস্থানে পরিবার সকালের নাস্তায়, পান্তা ভাত, রুটি, মুড়ি, চিড়া, খই খাবার খেত।
পরটা, রুটি, লুচি খাওয়াও পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থান এবং পেশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশগত অবস্থানের সাথে পরিবর্তন হয়ে ছিল।
সেই রান্না ভাত পানি দিয়ে রেখে, খাওয়াকে কারা যেন বানিয়ে দিল বাঙালির ঐতিহ্য বৈশাখের প্রথম দিনে, পহেলা বৈশাখের বিশেষ খাবার। যে কোন ভাবে বৈশাখের সকালে পান্তা ভাত খেয়ে বাঙালি হতে হবে। বুদ্ধিটা হুজুগে বাঙালিকে টার্গেট করে ব্যবসা করার জন্য বেশ ভালো ছিল।
আগের দিনে, প্রতিদিন এমন কি প্রতিবেলার খাবার সাথে সাথে রান্না করা হতো। বাঙালি গৃহিনীরা রান্না ঘরেই তাদের জীবনের অনেক সময় পার করেছেন। পরিবারের সকলের তিনবেলা খাবার যোগান দেওয়ার জন্য। একটু সমৃদ্ধ পরিবারে দিনে খাবার আবার পাঁচবেলা হতো।
তিনবেলা রান্না করা হতো কারণ মনে হয় গরমের দেশে খাবার রাখলে নষ্ট হয়ে যেত সেজন্য । সে যুগে তো আর ফ্রিজ ছিল না। আমার জীবনে আমি ফ্রিজ দেখেছি বেশ বড় হয়ে আমাদের বাড়িতে।
তবে আমার মা দুবেলার খাবার একবেলায় রান্না করতেন একটু বেলা করে। দুপুরের খাবার শেষ হয়ে যেত আর রাতের খাবার শুধু গরম দিয়ে বেড়ে দেয়া হতো রাতের খাবারের সময়। মা দুবেলা সময় নষ্ট করতেন না রান্না ঘরে। সারা জীবনই আমরা সকালে রুটি নাস্তা খেয়েছি।
শীতকালে বড়বড় মাছ ধরা পরত বীলে । রুই কাতল, চিতল, পাঙ্গাশ। এক একটা মাছ আমার সমান। বাবা মাছ আর আমার মাপ দিতেন দেখি কে লম্বাা তুমি না মাছ। সেই বিশাল বিশাল মাছগুলো মা কিছু রান্না করতেন আর কিছু পাঠিয়ে দিতেন পাড়া প্রতিবেশী আত্মিয়দের বাসায়। ঘরে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা প্রচুর। বড় বড় গামলা ভর্তি মাছ নিয়ে আমি পাড়ার অনেক বাসায় যেতাম। পিছনে কাকও উড়ত সাথে সেটা ভয়ের ছিল। তবে ব্যাপারটা উৎসব উৎসব লাগত।
এখন তেমন বড় মাছ দেখিনা। আগের স্বাদও মাছের মধ্যে পাই না। চাষের মাছে নানা রকম খাবার দেয়া হয় সেজন্য চাষের মাছ খেতেও ইচ্ছা করে না। তবে এখন আগের তুলনায় প্রচুর মাছ চাষ হয় দেশে।
একই অবস্থা হতো কোরবানীর ঈদের দিনও। প্রচুর মাংস বিতরন করা হতো বড় বড় ডেকচি, হাড়িতে যে পরিমান কিছু মাংস রান্না এবং জাল করে রাখা হতো নিজেদের জন্য। প্রতিদিন সেই মাংসর সঠিক গুণমান ঠিক রাখার জন্য মাকে অনেক বেশি কাজ করতে হতো, কয়েকবার গরম দিতে হতো ঠিকভাবে। বেশ কিছুদিন পর জাল দিতে দিতে মাংস ভেঙ্গে নরম হয়ে যেত পরে ভেজে ভেজে যে অদ্ভুত একটা ঘ্রাণ হতো মাংসের এবং খেতে দারুণ মজা তখন পরিমাণ কমে যেত। খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও মাংস শেষ। অথচ ঠিক কোরবানীর পরের এক দুদিন মাংস দেখলেই বিরক্ত লাগত, মাছ দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছা করত তখন।
আমাদের এমন ঐতিহ্য গুলো সময়ের সাথে প্রযুক্তির সুবিধায় এখন বদলে গেছে একেবারে। চৈত্রে রেঁধে বৈশাখে খাওয়ার চিন্তা নাই ডিসম্বরে রেঁধে জানুয়ারিতে খাচ্ছি কতদিন হিসাব থাকে না।
অনেকে ডিপ ফ্রিজে রান্না করে রাখেন এখন সময় এবং কাজ বাঁচানোর জন্য এবং অনেকদিন ধরে খান। তবে আমার কখনো এটা পছন্দ না। তবে প্রতিদিন রান্না ঘরে সময় নষ্টও করতে পারি না। সপ্তাহে দুদিন রান্না করলেই হয়। মাঝে মধ্যে কিছু খেতে ইচ্ছ হলে সাথে সাথে বানিয়ে নিতেও তেমন একটা সময় লাগে না।
অনেকে বলেন বিদেশে তো সব কিছু তৈরি পাওয়া যায় প্যাকেট কিনে আনলেই হয়। তবে অনেক বছরের বিদেশের জীবনে, প্যাকেট করা কাটা কিছু কখনো ব্যবহার করি নাই। কাঁচা শাক সবজি ফলমূল, মাছ মাংস সবই নিজে কেটে ধূয়ে নিচ্ছি। প্যাকেটে শাক সবজী দিনের পর দিন ভালো থাকছে কি ভাবে, নিশ্চয় কিছু মিশানো হয় ভালো থাকার জন্য এটা ভেবেই আমার গা গুলায়।
বিদেশীদের আমি দেখেছি তাদের আবিষ্কৃত ফ্রিজে তারা রান্না করা খাবার জমিয়ে রাখে না। প্রতিদিন আধঘন্টা সময় হলেই তাদের ঝটপট রান্না হয়ে যায় এবং টাটকা রান্না করা খাবার প্রতিদিনই তারা খায়, যারা বাড়িতে রান্না করে। আর যারা রান্না করতে পছন্দ করে না তারা ডিনার কিনে আনে দোকান থেকে। এখন তো দারুণ প্রচলন হয়েছে উবার ইটিং এর। আধঘন্টা আগে ওর্ডার করলে ঘরের সামনে খাবার চলে আসে খাওয়ার সময় মতন।
বিদেশি খাবার গুলো খুব অল্প পরিমানে রান্না করে একবেলায় খেয়ে শেষ করলেই মজা পাওয়া যায়। বাঙালি ডাল মাংস বা মাছের ঝোল দুচারদিন ফ্রিজে রেখে খাওয়া যায়। কিন্তু বিদেশি খাবারগুলোর কোন স্বাদ থাকে না ফ্রিজে রাখলে। এগুলো খেতে হয় চুলা বা ওভেন থেকে নামিয়ে আগুন গরম থাকতে সাথে সাথে তবেই মজা পাওয়া যায়।
আসলে যে কোন খাবারই টাটকা রান্না করে খাওয়ার মজা আলাদা। বেশি ভাতটুকু পান্তা না বানিয়ে হলুদ নুন কাঁচা মরিচে ভাজলে অনেক মজা লাগে। আর ফ্রাইড রাইস যেটা চাইনিজরা করে তার মধ্যে তো একটু করে সবজি মাছ, মাংস সব মিশিয়ে দিলে আরেকটু বেশি দামী হয়ে যায় স্বাদে গন্ধে গুণেমানে।
বাঙালি যেমন ভাত অনেক বেশি খেতে পছন্দ করে আর কোন দেশিরা এমন বেশি ভাত খায় না। বিদেশে এসে দেখলাম ভাতের পরিমাণ এত্তটুকুন, মাংস, সবজী প্লেট ভর্তি। প্রথম প্রথম আমারও মনে হতো এই ভাত খেয়ে খিদা মিটল না। এখন বেশ কিছুদিন ভাত না খেলেও কিছু যায় আসে না, অভ্যাস। আমাদের খাওয়ার সিস্টেমটাই এমন ভাত বেশি খাওয়াই লাগে। আমরা পাঁচরকমের ভর্তা দুই রকমের সবজী তারপর তিন রকমের মাছ এরপর মাংস এবং ডাল সব একবারে খাই। সব কিছু দিয়ে খেতে গেলে ভাত অনেকটাই খাওয়া লাগে। যা আমাদের পেটটা মোটা করে সবার আগে। আর গরিব জনগণ ভাতের সাথে আর কিছু পায় না শুধু ভাতের উপর নির্ভর করে। ভাত খেয়েই পেট ভরায়।
বিদেশিদের তরকারি এমন ভাবে তৈরি হয় সেটা ভাত ছাড়াও খাওয়া যায়।
ভাত শুধু বাঙালিরা খায় না পৃথিবীর সব দেশের মানুষই কমবেশি ভাত খায়। ম্যাক্সিকানরা টেকোর ভিতর আর সব কিছু দেয়ার সাথে ভাতও যেন পুর হিসাবে দিয়ে দেয়।
জাপানীরা যে শুষি বানায় তাতে যে পরিমান ভাত থাকে বাঙালিরা ভাবতেই পারবে না এই পরিমান ভাত খেয়ে দিন কাটবে। আমি তো চারটার পর পাঁচটা শুষি খেয়ে উঠতে পারিনা কিন্তু দিন খুব ভালো কেটে যায়। কারন এমন সব উপাদানের সমন্বয় থাকে যা পরিপূর্ণ অনুপূরণ হয় শরীরের। চাইনিজরা মনে হয় আমাদের মতন একটু বেশি ভাত খাওয়া পছন্দ করে। ওদের দোকানে গেলে ভাতের পরিমান যত পাওয়া যায় আর কোন দোকানে ততটা পাওয়া যায় না।বাংলাদেশের পশ্চিম দিকের মানুষ নানা ধরনের রুটি খেতে পছন্দ করে সেই রুটি হয়ে যায় পাউরুটি বা আরো নানা ধরনের গম, ভূট্টা, যবের বানানো রুটি কেক, বেগল আরো কত কিছু ইউরোপ আমেরিকায়। আবহাওয়া জলবায়ুর পরিবেশের সাথেই খাদ্য খাবারের সম্পর্ক, মানুষের জীবন ধারনের প্রয়োজন মিটে।
বিদেশিরা আমাদের খাবার কতটুকু গ্রহণ করেছে জানি না। আমরা কিন্তু সব দেশের খাবারই গ্রহণ করেছি, ঝাঁপিয়ে পরে খাই। এবং সব কিছুই মিলে মিশে গেছে আমাদের জীবনে এখন পান্তাভাতের সাথে। নানা দেশের নানা ধরনের খাবারের দোকানের প্রাচুর্য এখন শুধু ঢাকায় নয় বিভিন্ন শহর দখল করেছে।
রোজার সময়ে সেহেরী খেতেও মানুষ এখন রেস্টুরেন্টে যায়। আমার ছোটবেলায় আমাদের শহরে কখনো কোন রেস্টুেরেন্টে গিয়ে ভাত খেয়েছি বলে মনে পরে না। ঢাকায় আসার পর খেয়েছি শখে এবং প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে।
আজ চৈত্র সংক্রান্তি। অবশ্য সঠিক জানি না হিসাবটা কি। বাংলা বর্ষের হিসাব আবার পরিবর্তন করা হয়েছে ইংরেজি তারিখের সাথে মিল রাখার জন্য। বাংলার কোন মাস ছিল বত্রিশ দিনে, কোন মাস ত্রিশ বা উনত্রিশ দিনে। ইংরেজিরও তেমন মাসের হিসাব আছে সব মাসে সমান দিন থাকে না। ইংরেজিতে তা পরিবর্তন করা হয়নি কিন্তু বাংলা মাস আগের ক্যালেন্ডার হিসাব থেকে, পরিবর্তিত হয়েছে। যারা বাংলা মাসের হিসাবে চলেন তারা আবার দেশের হিসাবের বাইরে নিজেদের মতন হিসাব করে দিন পালন করেন।
পরিবেশ জলবায়ুর করণে দারুণ খরা গরমের চৈত্র সময়ে দেহে তিতা, ঠাণ্ডা সরবারহ করা হতো আগের সময়ে, সুস্থ থাকার জন্য পরিবেশ চিন্তা করে। অথচ এটা ধর্ম ভিত্তিক হয়ে গেছে এখন জলবায়ুর প্রভাব ভুলে।
ভালো হোক পহেলা বৈশাখ হালখাতার হিসাব এখন উঠে গেছে যদিও। ইলিশ খাওয়াও কোন জরুরী বিষয় না নববর্ষে। আমাদের বাড়িতে পান্তা নয়, ভালো খাবার রান্না হতো নববর্ষের দিনে। আর আগের দিন খুব পরিচ্ছন্ন করা হতো বাড়িঘর সব ধূয়ে মুছে। এখন আমরা প্রতিদিনই এত পরিচ্ছন্ন থাকি, আলাদা করে একদিন পরিচ্ছন্ন করার কোন প্রয়োজন পরে না।
বিদেশে দুবার আমি রাতে ভাতে পানি দিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু পান্তা হয়নি, পানি ভাত হয়েছে আবহাওয়া সহায়ক না পান্তা ভাতের জন্য। দেশের গরমে যে পচে যাওয়ার মতন একটা ঘ্রাণ হয় ভাতে যেটা পান্তার আসল ঘ্রাণ সেটা পাইনি। আর কখনো চেষ্টা করি নাই। করবও না কারণ পান্তা আমার প্রিয় খাবারও না। রমনার মাঠে এমন গরম ভাতে পানি ঢেলে পান্তা বানানো হয় । কয়েকবার আমন্ত্রণ পেলেও কখনও আমার সেই পান্তা খেতে ইচ্ছে হয়নি খাইনি। মানুষদের দেখেছি পান্তা খেয়ে নববর্ষের সুখ উপভোগ করতে।
ইলিশ খাওয়া হোক বা না হোক। সবার জীবনে নববর্ষ সুন্দরের বার্তা নিয়ে আসুক রাত পোহালে। অনেকে আবার জানেন না, বাংলা নববর্ষ সূর্য বর্ষ। সূর্য জাগার সাথে নববর্ষ শুরু হয় তাই রাত বারোটায় পটকা ফুটিয়ে নববর্ষ পালনের কোন যুক্তি নেই। ঘুম থেকে উঠে শুভ নববর্ষ বলে সুন্দর ভাবে দিন শুরু করলেই হবে।
কৃষ্ণচুড়া বৈশাখের ফুল। ছবিটা আমি এঁকেছিলাম বেশ আগে।



মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



রান্নার ১ বছর পর খাওয়া

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: B-) একদিন পরই যখন পরের বছর হয়ে যায় তখন খাওয়াই যায়।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



নববর্ষের শুভেচ্ছা

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর কোন ভাষা কোন সংস্কৃতিই স্বাতন্ত্র নয়।
সম্রাট আকবর দেখেছিলেন ইসলামি ক্যালেন্ডার দিয়ে দেশ পরিচালনা সম্ভব নয়। কৃষকের কৃষিকাজও সম্ভব নয়।
তখন উনি ভারতীয় গনকদের সাহায্যে ইসলামি ক্যালেন্ডার ও পুর্ব ভারত, বাংলা অঞ্চলের পঞ্জিকাকে সমন্নয় করে ফসলি ক্যালেন্ডার তথা বাংলা ক্যালেন্ডাররের প্রচলন করেন।
নববর্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: "সংস্কৃতিই স্বাতন্ত্র নয়" বলেছেন আপনি। হবে প্রত্যেক জাতীর সংস্কৃতিই স্বাতন্ত্র অন্যদের চেয়ে।
আর সেজন্যই দেশ জলবায়ুর অবস্থানের জন্যই খাজনা আদায়ের সুবিধা অনুযায়ী, বৈশাখে নতুন বৎসর গননা শুরু করেন আকবর। বাঙালির বর্ষ গননা প্রচলন আকবরই করেন প্রয়োজনে।

শুভ নববর্ষ হাসান কালবৈশাখী


৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:২৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শুভ নববর্ষ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভ নববর্ষ মোহাম্মদ গোফরান

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:২৭

গরল বলেছেন: বাংলা মাস শুরু হয় সূর্যাস্তের সাথে সাথে, আর সেহরী সূর্যাস্তের আগেই শেষ করতে হয়। অতএব চৈত্রে রান্না করে বৈশাখে খাওয়া সম্ভব না। শুধুমাত্র মজা করলাম, শুভ নববর্ষ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: মজাটা ভালো হয়েছে।
চন্দ্র বৎসরগুলে সূর্যাস্তের পরই শুরু হয় চন্দ্র জাগলে। আর সমস্যা চন্দ্রমাসে শীত গ্রীষ্ম সব এলোমেলো হিসাব। দশদিন করে কমতে কমতে বছর জুড়ে ঘুরতে থাকে ।
শুভেচ্ছা শুভ নববর্ষ গড়ল।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবাইকে বাংলা নতুন বর্ষের আন্তরিক
শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন নতুন
বছরে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও নূর মোহাম্মদ নূরু

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৩৪

সোবুজ বলেছেন: পশ্চিম বাংলার সাথে আমাদের একদিন আগেপরে আছে।এটা কেন, আমি জানি না।লেখার সবই প্রায় পুরনো জানা কথা নতুন করে জানা।ভাল লাগলো স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।ভুলেই গিয়েছিলাম একদিন বাংগালী ছিলাম একটা গান আছে।নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: পশ্চিম বাংলা এবং আমাদের দেশের সনাতন ধর্ম অবলম্বনকারী সবারই অসুবিধা হয় নিয়ম পুজা তিথি পালনে। তারা নিজেদের পঞ্জিকা অনুসরন করেন।
আসলে অনেক হিসাব নিকাশ করে যে বাংলা বর্ষ গননা শুরু হয়েছিল ইংরেজি বৎসরের সাথে তার হিসাব বদলে যেত প্রতি বছর। যেমন চাঁদের মাস বদলে যায়।
কখনও এপ্রিলের চৌদ্দ তারিখ, নববর্ষ হলে অন্য বছর এপ্রিলের পনের বা ষাল তারিখে চলে যেত আগের হিসাব অনুযায়ী। এখন প্রতিবছর এপ্রিলের চৌদ্দ তারিখ নববর্ষ শুরু হয়। এজন্য নতুন করে কিছু কাটছাট করা হয়েছে যা ইংরেজি মাসের সাথে একটা হিসাবে থাকে কিন্তু তিথি নক্ষত্রের হিসাব ঠিক থাকে না। তাই তাদের হিসাবটা আগের মতনই তারা করেন। আশা করি কিছুটা বুঝতে পেরেছেন।
শুভেচ্ছা শুভ নববর্ষ সোবুজ

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ আপনি দেখি ছবিও আকেন বেশ!
দারুন লিখেছেন অনেক স্মৃতি মিলে যায়। :)

*শেষ দিকে এসে একটুখানি এলোমেলো হয়ে গেছে সম্ভবত। শুভ নববর্ষ! ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২১

রোকসানা লেইস বলেছেন: এই আঁকি কখনও ইচ্ছে হলে নিজের গতিতে।
স্মৃতিগুলো একরকম হওয়ারই কথা বৈচিত্র খুব বেশি ছিল না যে।

তাই? হতে পারে ইচ্ছে হলো যা যা মনে আসল সবই দিয়ে দিয়েছি একটানে।

অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম আমার পাতায়। :D
শুভ নববর্ষ শেরজা তপন

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০৪

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: শুভ নববর্ষ।
আজকেরএকটি ভালো কাজ -
রোজা মানি তবে পাপেড/মুখোশ/মূর্তিতে মঙ্গোল .
[সাপ মরবে লাঠি ভাঙবে না,শ্লো পয়জন থিওরি ] তাই :-
রমজান মাস হওয়ায় এবারের পয়লা বৈশাখের সকালে পান্তা-ইলিশের আয়োজন হয়নি। তবে পুরোনো গ্লানি, হতাশা আর মলিনতাকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় নতুন বছর ১৪২৯-কে বরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হচ্ছে আজ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভ নববর্ষ প্রতিদিন বাংলা
বাংলাদেশের সব মানুষ কি রোজা রাখে নাকি এখন ভিন্ন ধর্মের মানুষ, বিদেশি, বাচচা অসুস্থ এমন কি মহিলা যাদের রোজা রাখতে হবে না ধর্ম অনুযায়ী তারা ইচ্ছে করলে খেতে পারবে না।
যত্তসব আজগুবী নিয়ম।
যাক রোজার নামে মঙ্গল শোভা যাত্রা যে বাদ হয়নি। উৎপেতে আছে অনেকে সংস্কৃতি উঠিয়ে দেয়ার।
শুভ নববর্ষ প্রতিদিন বাংলা

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুভ নববর্ষ। ভাত সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। পশ্চিমের লোকদের খাওয়া সম্পর্কেও অনেক কিছু জানলাম। প্রচ্ছদের ছবিটা সুন্দর হয়েছে। আপনার নাতি/ নাতনীর আঁকা সম্ভবত।

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভ নববর্ষ সাড়ে চুয়াত্তর ।
ভাত একটা বড় বিষয় বাঙালির জন্য। ভাত সহজ এবং উৎপাদন হয় ভালো এই দেশে, আবহাওয়ার কারনে মানুষ এমন খাবারের উপর নির্ভরশীল ।
অন্যান্যদের প্রসঙ্গ আনলাম যেন আমরা জানি এবং নিজেদের পরিবর্তন করি। যেহেতু এখন নানা দেশের খাবার ঢুকে গেছে আমাদের ভিতর। ভাত বেশি পরিমাণে খাওয়াটা খুব ভালো নয় স্বাস্থের জন্য।

শেষ পর্যন্ত পড়েন নাই বোঝা গেল। নাতি নাতনী কোথায় পেলেন কেন টেনে আনলেন ।
আপনার সময় আছে তো আরেকবার পড়েন।

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: বোন লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে। কোনো ভান নেই। ভনিতা নেই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর নববর্ষের শুভেচ্ছা জেনো।
ভান ভনিতা করে আমি কখনই লিখি না। যেমনটা দেখি যেমনটা অনুভব করি।

১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে শেষ প্যারাটা পড়া হয় নাই। বাকি অংশ মনোযোগ দিয়ে পড়েছিলাম। তবে ছবিটা দেখে মনে হয়েছিল যে বাচ্চাদের আঁকা।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: বুঝতে পেরেছি তো।
ছবি আঁকা শুরুর শিশু বয়সের ছবি। নিজের চেষ্টায় করি যেমনটা পারি। শুভেচ্ছা রইল

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নাতি/নাতনী টানাটা ঠিক হয় নাই। এই জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনি আমার চেয়ে বয়সে সম্ভবত বেশ বড় তাই ভেবেছিলাম আপনার নাতি/ নাতনী আছে।

১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর।
ব্লগটা আমার, পরিবারের সদস্যদের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। বয়স বা লিঙ্গর পার্থক্যও, আমাদের ব্লগে করা উচিত না।
আপনার নাম সাড়ে চুয়াত্তর, এর পেছনে আপনি কে কোথায় থাকেন কি করেন কোন লিঙ্গ। এ সব নিয়ে ভাবনা এবং বেশি কিছু জানার চেষ্টা করি না।
যা লিখবেন এবং মন্তব্য করবেন তাতেই মিলবে আপনার পরিচয়। সেভাবেই চিনব আপনাকে।
ব্লগে আমরা যারা লিখি সবারই এই চর্চা করা দরকার মনে করি। না হলে হলুদ সংবাদিকের মতন অন্যদের জীবন কাহিনী হয়ে যাবে গুরুত্বপূর্ণ লেখার চেয়ে বেশি।
শুভেচ্ছা জানবেন

১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:১৬

শায়মা বলেছেন: পান্তাভাত খাওয়া আমার খুবই পছন্দের খানা।

ইলিশমাছের ঝোল বা গরুর মাংস আর পেঁয়াজ মরিচ পোড়া আহা ইয়াম্মী ইয়াম্মী! :)

২৫ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকলাম। তাই প্রতি উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।

গরমের সময় পান্তা খেতে ভালোই লাগে। বাঙালির প্রিয় খাদ্য পান্তা।
শুভেচ্ছা প্রিয় শায়মা

১৭| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দেশে আম কাঁঠাল জাম আনারস অর্থাৎ ফলের সিজন শুরু হয়েছে। যদিও আবহাওয়া এখন দেশে বেড়াবার পক্ষে না। ফলের সিজনকে খুব সম্ভব বাংলাদেশে মধুমাস বলা হয়। মধু মাসের শুভেচ্ছা নিবেন।

১৮| ৩১ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: মনে হচ্ছে মধু মাসের আমন্ত্রণ দিলেন ঠাকুরমাহমুদ।
আগের দিনের কথা মনে পরে গেল। আমাদের দেশি কিছু ফল তার মাঝেই কত মধু মিশানো ছিল।
এখন কত্ত রকমের ফল অথচ খেতে ভয় লাগে কি জানি কি বিষ মিশানো আছে তাতে।
গত বছর একটা বিশাল পেপে দেখে আমার মেয়ে পছন্দ করে কিনল আমি বলছিলাম এত বিশাল বড় পেপে আমি কখনো কিনব না । কেমন যেন ফলের চেয়ে সার ভর্তি মনে হয়। পেপেটা আমরা খেতে পারিনি। স্বাদহীন এবং নষ্ট হয়ে গেল কাটার সাথে সাথে।
আমাদের বাড়িতে একটা মাত্র পেপে গাছছিল সারা বছর ফল হত। এখনও তার স্বাদ মুখে লেগে আছে। এমন আর পাইনা কোথাও।
দেশে নিজের বাগান আছে যাদের তারাই মজা করে ফল খেতে পারে এখন বিশ্বাস নিয়ে। দেশে কেনা ফল খাওয়ার উপর কোন আকর্ষণ আমার নাই।
বিদেশে অবশ্য সব ধরনের ফল পাওয়া যায়। শুধু জাম আর বরইটা তেমন পাই না। এবং কত ফার্টিলাইজারের ফল সেটা দেখে আপনি কিনতে পারেন দামের তারতম্য অনুসারে।
অনেক শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.