নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাওয়া দাওয়া বিষয়ক

০২ রা মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৫০




এখন যত বিজ্ঞাপণ স্বাস্থ সচেতনতার গল্প সারা দিন সামনে চলে আসে দেখতে না চাইলেও জোড় করে ঢুকে পরে অনেক সময় মোবাইল, ল্যাপটপের স্ক্রীনে, চোখের দৃষ্টিতে।
কোন কিছু না ফেলানোর জন্য নতুন ভাবনা, পেঁয়াজ, রশুনের খোসা, মাছের আঁশ, এ্যাভাকোডার বিচি, কলা, আনারসের ছাল সব খাওয়া মারাত্মক ভালো শরীরের জন্য। মাঝের আঁশও গুড়া করে পানিতে ভিজিয়ে খেয়ে নিলে পাবেন মহা উপকার। সবই চা এখন। আসল চায়ের স্বাদ ভুলিয়ে দেয়। চাইনীজ গ্রীন টির বিশাল প্রভাব এখন।

অনেক উপজাতি পোকা খায়। অনেক প্রাকৃতিক পরিবেশে খাওয়া দাওয়ার অভাব বলে পোকা টোকা খেয়ে মানুষ জীবন ধারন করে। জানতাম। সেটা তাদের বেড়ে উঠার অভ্যাস।
কিন্তু সেই পোকার প্রোটিন খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে কেন মানুষকে তা বুঝলাম না।
কোভিডের আগে একদিন খবরে দেখলাম, এখানকার গ্রোসারী দোকানে এখন থেকে পাওয়া যাবে পোকার পাউডার। এইসব পোকা তেলাপোকা থেকে নানা ধরনের পোকা, পরিযায়ী মাকড়সা,হলুদ মেলওয়ার্ম এবং হাউস ক্রিকেট যাকে ঝিঝি পোকা বলি আমরা চিৎকার করে কান ঝালাপালা করে ফেলে। দেশে গরমকালে দেখতাম আলোর নিচে এসে জমা হতো দলে দলে। কুকুর খেয়ে ফেলত ধরে। এখন কুকুরের মতন আমাদেরও খেতে হবে।
মিহিন করে প্যাকেটে ভরে সাজিয়ে রাখা হবে সেলফে। ময়দা আটা, বেসন, বাদামের গুঁড়া, চালের গুঁড়া, ডালের গুঁড়ার সাথে আরো কত রকমের গুঁড়া যে সাজানো থাকে যার অনেক কিছু ছূঁয়ে দেখা হয় নাই কোন দিন। এখন পোকা গুঁড়াও সাজানো থাকবে সেলফে। খবরটা জেনেই বমি আসছিল আমার। ওয়াক থুই আমার মনে হয় খবরটা শুনে।
ছবিতে দেখছিলাম কিলবিল করে কোটি কোটি পোকা একে ওপরের গায়ে উঠছে। এগুলোর চাষ করে মহান দেশ চীন এবং সেখান থেকেই এই মহান প্রোটিন যুক্ত খাবার চলে আসবে আমাদের গ্রোসারীতে। কখনো কেক বানানোর মাঝে ময়দার সাথে মিশিয়ে নিবেন বা সালাদের ভিতর ছড়িয়ে দিবেন এই সব পোকার গুঁড়া প্রোটিনের জন্য। রেসিপিও জানিয়ে দিচ্ছিল খবরে কি ভাবে খেতে হবে।
এত এত মোরগ, হাঁস, গরু, ভেড়া, শুয়োর মাছ কত রকমের খাবার আছে, এছাড়া কত রকমের ফল, সবজী, শাক আছে, এসব খাবার পরেও কেনো পোকা আমাদের কিনে খেতে হবে এই সিদ্ধান্ত কারা নিলেন কেন অনুমতি দিলো বুঝলাম না। দয়া করে অবশ্য প্যাকেটে উপকরন লিখে দিবেন, যাতে ক্রেতার ইচ্ছা না হলে কিনবে না।
শুধু ভাবলাম অনেক পড়ে এখন থেকে প্যাকেট কার্টে তুলতে হবে। কিছুর বিশ্বাস নাই। কি কিনতে, কি কিনে নিয়ে যাবো কে জানে একটু অসাবধান হলেই। কদিন আগে এমন ভুল হয়েছিল। বাটার কিনে আনলাম একটু দাম কম দেখে। এখন যেমন আকাশ ছোঁয়া দাম সব কিছুর তাই কমদাম দেখে হাত বাড়িয়ে তুলে আনলাম। কিন্তু কিছুতেই বাটারের আসল স্বাদ গন্ধ পাই না। দেখলাম দুধ থেকে নয় সবজী থেকে বানানো বাটার। জানতামই না এমন কিছু বাজারে এসেছে।
বাটারের বদলে মার্জারিন নামের তেলের এক পদার্থ অনেক দিন খেয়ে ছিলাম পরে বাদ দিয়ে বাটারে ফিরে গেলাম ভালো না লাগায় তখনই জানলাম এই মার্জারিন খুব খারাপ। তেমনি খারাপ সোয়য়া যার আবার ভীষণ রকম ব্যবহার হয়।
এখন বলছে সয়াবিন তেল যা নাকি ভীষণ ভালো ছিল ঘি, সরিষার তেলের বদলে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার শুরু হলো তা খাওয়াও নাকি বিষ খাওয়ার মতন।
অনেকদিন ধরে খেয়ে খেয়ে অভ্যস্থ হয়ে উঠার পর জানা যাবে সেটা ভালো না আগেরটাই ভালো ছিল, অথবা নতুন কিছু খেতে হবে। মানুষের নেশা ধরিয়ে দিল পপ খাইয়ে এখন বলছে খাবেনা সুগার আছে। অথচ অনেকেই আছে মদ খাবে না কিন্তু পপ না খেলে চলবে না মদের মতনই নেশা।
তবে বাইরে থেকে তৈরি খাবার কিনলে তার মাঝে যে এই পোকা গুঁড়া মিশিয়ে রান্না করবে না তার নিশ্চয়তা কি। সব সময় তো জিজ্ঞাসা করা হয় না। কি দিয়ে রান্না করছে। বাড়িতে যত পরিস্কার করে ধোয়াধুয়ি করে রান্না করি বা ভালো তেল মসলা জেনেশুনে ব্যবহার করি দোকানে কি তেমন ভাবে রান্না করে কখনো ভালো উপাদান দিয়ে। তারা তো সব সময় প্রেজেন্টশেনটা সুন্দর করে করবে। খাবার যা দিয়ে যে ভাবেই তৈরি করুক। কখনো জিজ্ঞেস করি না রেস্টুরেন্টে গেলে তুমি কোন তেল মসলা ব্যবহার করে আমার রান্না করবে? বা মাছ মাংস টাটকা কিনা। সুন্দর সাজিয়ে দেয় প্লেট সোনা মুখ করে খেয়ে ফেলি যেন এর চেয়ে স্বাস্থকর খাবার আর হয় না।
চীনা খাবার খাওয়ার পরে প্রায় সময় মাথা ঘুরত। এমএসজি ব্যবহার করে চাইনিজরা স্বাদের জন্য। যার জন্য শরীরে এই অনুভুতি হয়। বিদেশে এসে জানলাম এমএসজি ব্যাবহার করা নিষিদ্ধ। এমএসজি যা মারাত্মক ক্ষতির করে শরীরে। স্বাদ বাড়ানোর জন্য খাবারে এর ব্যবহার এতে থাকা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, মাথাব্যথা থেকে বুকে ব্যথার জন্য দায়ী করা হয়েছে। দেশে এক চাইনীজ দোকানে বলেছিলাম এমএসজি ছাড়া রান্না করতে বলল তাহলে কোন স্বাদ পাবেন না। না পাই ও ছাড়া রান্না করে আনেন। কিন্তু না তারা নিজেদের মতন সব মিশিয়ে রান্না করে নিয়ে আসল।
বিদেশে অবশ্য নিজের পছন্দে কিছু এক্সট্রা যোগ করতে বা বাদ দিতে নির্দেশনা দিলে তারা সে ভাবে করে দেয়।

কিছুদিন থেকে প্রাণী বাঁচাও তোড়জোড় চলছে। এক ধরনের মানুষ মাংসাসী না তৃণভুজি। আবার এক ধরণের মানুষ প্রাণী খায় মজা করে প্রাণী না হলে খাবারই হয় না তাদের। অনেকে আবার আগে খেত কিন্তু এখন প্রাণীর প্রতি দয়াশীল হয়ে খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তারা লতাপাতা সবজী খেয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীরা নানা উপাদান মিশিয়ে মাংসের মতন ননএনিমেল মাংস তৈরী করছে তৃণভূজিদের জন্য। দুধ তৈরি করছে। মাংসের রীতি মতন স্বাধ পাওয়া যাবে কিন্তু মাংস নয় একদমই।
মাংসের একটি কোষ নিয়ে তা থেকে প্রসেস করে মাংসের স্বাদের ভেজ মাংস উৎপাদন করা হয়েছে কারখানায়। গরু মুরগী ছাগল ভেড়া এইসব প্রাণী আর কসাইখানায় যাবে না। সাথে গরু পালনের জন্য যে বিশাল পানির প্রয়োজন হয় সেটাও বেঁচে যাবে। আমার মাথায় আসে না এটা কি ভাবে সম্ভব এই সব প্রাণী কসাইখানায় না গেলে এদের বংস বৃদ্ধি তো অনেক বেড়ে যাবে। তারা কি প্রয়োজনীয় পানি না খেয়ে বাঁচবে। আর যারা মাংস খেতে চায় না তাদের কেন মাংসের স্বাদের কারখানায় উৎপন্ন মাংস, দুধ খেতে হবে!

আমি বাইরে খেলে বাঙালি, ইণ্ডিয়ান দোকানে যাই না সাধারনত।
কয়েকদিন আগে কাছাকাছি ছিলাম, একজনের জন্য মিষ্টি কিনতে ঢুকেছিলাম বিখ্যাত বাংলাদেশি প্রিমিয়াম সুইটে। ঢুকে দেখলাম খাবারও আছে তাদের নানা ধরনের মিষ্টির সাথে। সর্ষে ইলিশ আছে দেখে টেক আউট নিয়ে চলে আসলাম। সারাদিনের ঘোরাফেরার পর বাড়ি ফিরতে আরো তিন চার ঘন্টা লাগবে তাই।
খেতে বসে দেখি চিকন একটা টুকরো দিয়েছে দাম বেশ ভালো নিয়েছে। কিন্তু মাছের আঁশ পরিস্কার করেনি। দোকানে বসে খেলে অবশ্যই দেখাতাম ডেকে। আর একদিন ওদিকে যাওয়া হলে জানিয়ে আসব ওদের রান্নার গুণাগুণ। মাছের আঁশসহ বাঙালি রান্না কল্পনা করা যায়। কত মানুষ খায় কেউ কি বলেনি কখনো।
নাকি আমিই প্রথম তাদের সর্ষে ইলিশের খদ্দের ছিলাম।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১০

কামাল১৮ বলেছেন: অভ্যাসের বাইরে খেলে প্রথম দিকে সমস্যা হতে পারে।আস্তে আস্তে ঠিকহয়ে যায়।এটা পরীক্ষিত।আমাদের পেটে যে বেকটেরিয়া আছে তারা প্রথম দিকে গ্রহন করতে চায় না।তাই এই সাময়িক সমস্যা।
খাদ্য ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন আসছে।

০২ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: সেটা ঠিক অভ্যাসের বাইরে কিছু খেতে প্রথম দিকে সমস্যা হতে পারে। আবার অরুচিও লাগে কিন্তু এক সময় অভ্যাস হয়েও যায়।
দেশের খাবারের সাথে বিদেশের খাবারের অনেক পার্থক্য অভ্যাস না থাকায় প্রথমে ভালোলাগত না পরে অভ্যাস হয়ে যায় এবং ভালোও লাগে।
তবে পোকা খাওয়া কাঁচা খাওয়া অনেক জাতির পছন্দ হলেও আমাদের পছন্দ হতে সময় লাগবে।

২| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: বিস্তারিত লিখিছেন তাই অনেক কিছু জানতে পারলাম।প্রিমিয়াম সুইট কয়েকটা আছে।সবগুলির মান এক না।

০২ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ একটা বিষয় লিখতে, অনেক কিছু মনে হয়ে গেলো।
মান সমান না হলেও শেষ পর্যন্ত ওরা একশত ভাগ পারফেক্ট হবে না কখনো।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

বিটপি বলেছেন: বয়লার মুরগির দাম এখন ২৩০ টাকা কেজি। কোন সন্দেহ নেই বছর দুয়েকের মধ্যে তা ৫০০ টাকা ছাড়াবে। এই বছরের মধ্যে গরুর মাংসের কেজি হাজার টাকার কাছাকাছি যাবে। ডিম এখনও সাধ্যের মধ্য আছে - কতদিন থাকবে, তা বলা যাচ্ছেনা। খাল্বিল শুকিয়ে মাছ এখন মায়ানমার থেকে ইমপোর্ট করে খাওয়া লাগে।

আমাদের দেশে জনসংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়েছে। এই বিপুল জনসংখ্যার প্রোটিনের চাহিদা মিটানোর বিকল্প উপায় কি আছে বলুন! ইন্ডিয়ানরা ডালের বড়া খেয়ে চাহিদা মেটায়। আমাদের দেশে তো এত ডালও হয়না। সত্যিকারের প্রোটিনের ঘাটতি যখন হবে, তখন পোকামাকড় খাওয়া ছাড়া আমাদের কি আর কোন উপায় থাকবে?

০২ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: আসলে সমস্যার বিষয় বলেছেন। খাদ্যের দাম সবজায়গায় অসম্ভব রকম বেড়েছে।
১০০/ ২০০ টাকায় আস্ত মুরগী পাওয়ার কথা অথচ কেজি হিসাব করলে তো একটা মুরগী কেনা অনেকের জন্য কষ্টকর।
বয়লারের মুরগীও প্রথম দিকে বাংলাদেশের মানুষ খেতে পছন্দ করত না। ডিমও দেশি খুঁজতো। আমিও ফার্মের মুরগীর ডিম খেতে পারতাম না দেশে, প্রথমে আসার পর। কেমন গন্ধ লাগত।
আসলে প্রথম শুরুর সময়ে ইঞ্জেকশন এন্টিবায়টিকের পরিমান বেশি ছিল মনে হয় প্রাণীগুলোর উপর।
কিন্তু বিদেশে পরিমাণটা কম রাখার চেষ্টা করে এখন আরো কম করেছে। আবার অর্গানিক বীঠ চিকেন ডিম, পাওয়া যায় দাম দিয়ে কিনতে পারলে খাওয়া যায়।
দেশে মনে হয় সবজি ফসল উৎপাদন বেড়েছে। মাছ অনেকে পুকুরে চাষ করে। তবে প্রবাহমান নদী খাল ভরাট করে বা দুষিত করে আসলেই সমস্যা তৈরি করছে। এই দিকে মনোযোগ দেয়া দরকার। জনসাধারন থেকে প্রত্যেক নেতা কর্মি এবং সরকারী অফিসারদের।
ভাবিষ্যত খারাপ হবে না তা হলে।
পোকা খাওয়ার কথা কি সবাই ভাবতে পারবে।
মশার উৎপাদন ছাড়া পোকাও তো বাংলাদেশে নাই তেমন। চীনাদের মতন চাষ শুরু করতে হবে।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: ডাইজেসটিভ বিস্কিটে এই হলুদ পোকার গুড়া মেশানো থাকে এটা আমি শিউর । স্বাদের জন্য বেশ আদর করে খেতাম , এখন বাদ দিচ্ছি । দেশি বেকারির বিস্কিটে এসব মিশ্রন থাকে না , ওটা সেফ , ওটাই খাব ।

০২ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: এইরে সেরেছে :) অনেকদিন ধরে হলুদ মেলওয়ার্ম খেয়ে ফেলেছেন তাহলে।
দেশে এসব নাই কিনতু ক্যামিকেল মিশিয়ে ভেজাল করে কি যে অবস্থা করে এও তো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
মাঝে বেশ শুনছিলাম ধরাধরি হচ্ছিল ভেজাল। এখন অনেকদিন কিছু শুনছি না।
সবাই ভালো হয়ে গেছে নাকি এ্যাকশন হচ্ছে না কোনটা জানি না। যারা ভালো কাজ করে তাদের তো আবার থাকতে দেয় না পজিশনে।
আসলে বিশ্বাস করে সেফ মনে করে খেলে কিছু হবে না।
মানুষের শরীর আসলে সয়ে নিতে পারে সব কিছু। কিন্তু মনের সীমানাটা সহজে সরতে চায় না।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আমিতো ভাবছি বাসায় হাস মুরগী খাশি পালবো । অন্তত পরিবারের প্রটিনের চাহিদা তো পুরন হবে। আর যদি সামান্য জায়গা ম্যানেজ করতে পারি সবজিটাও লাগিয়ে ফেলবো আর বাব দাদা থেকে পাওয়া জমিতে ধান সরিষা ডাল হয় ওতেই চালিয়ে নেব !!

০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: দারুণ ভালো আইডিয়া।
অল্প কিছু হাঁস, মুরগী, ছাগল পাললে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ফেলা যায়। আপনি বেশ স্বনির্ভর হয়ে যাবেন খাদ্যের ন্য কারো উপর ভরষা করা লাগবে না।
আর পুকুর থাকলে মাছও চাষ করা যায়।
এখন তো ঢাকার বাড়িগুলোও ছাদ বাগান থেকে বেশ ভালো উৎপাদন পায় মানুষ। অনেকে ব্যবসাও করে নিজেদের সবজীর।
অর্গানিক খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়।
অল্প করে হলেও শুরু করে দিন।

৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই বিশ্বে চায়নারা সবচেয়ে ভয়ংকর জাতি। পোকার পাউডার শুনলেই বমি লাগে

০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৩৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমাদের বমি লাগলে কি হবে।
অনেক মানুষ মজা করে খায়। আমাদের দেশের উপজাতিদের মধ্যেও এমন খাদ্যভাস আছে।
এমন খাওয়া দাওয়া মানুষ প্রয়োজনেই খেতে শুরু হয়েছে।

৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পছন্দের খাবারের কথা কিছু বলুন। আপনি কেমন রান্না করেন সেটা বলুন। আর লেখাতে বেশ কিছু বানান ভুল আছে।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪১

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমার পছন্দের খাবার আমার ব্যাক্তিগত বিষয়। ব্লগে তা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি।

বাংলা কঠিন ভাষা আর ক্রমাগত পরিবর্তনশীল বানান। আমার অনেক ভুল হয় বানান বাংলা বানান ঠিক করার সফ্টওয়ার পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
প্রুফ দেখার লোক থাকলে বানান ভুল হতো না।
লেখা দেয়াটাই জরুরী মনে করি ভাবনা প্রকাশের জন্য।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ২:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




আপু পোষ্টের ছবি দেখেই পালাচ্ছিলাম।

কোভিডের আগে একদিন খবরে দেখলাম, এখানকার গ্রোসারী দোকানে এখন থেকে পাওয়া যাবে পোকার পাউডার। এইসব পোকা তেলাপোকা থেকে নানা ধরনের পোকা, পরিযায়ী মাকড়সা,হলুদ মেলওয়ার্ম এবং হাউস ক্রিকেট যাকে ঝিঝি পোকা বলি আমরা চিৎকার করে কান ঝালাপালা করে ফেলে।
তবে বাইরে থেকে তৈরি খাবার কিনলে তার মাঝে যে এই পোকা গুঁড়া মিশিয়ে রান্না করবে না তার নিশ্চয়তা কি।


এটা পড়ার পর মনে হচ্ছে আমার বাবু হবে।
গা গুলাচ্ছে, বমি আসছে :)
এ কি জানালে আপু!

০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:০৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমাদের এমন গা গুলালে কি হবে যারা খায় তারা খুব মজা করে খায়। চাক্ষুস কিছু প্রমাণও আছে আমার :)
এই সব প্রোটিন বিজ্ঞানী নাক বোঁচারা কি না কে জানে। তারা তো এখন সারা বিশ্বে বসবাস করে। এবং ভালো পোষ্টেও থাকে। অনেক দেশে এখন পোকার পাউডার গ্রোসারীর সেলফে রাখার অনুমোদন আছে । কেনা কাটার সময় সাবধান।

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ২:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:



কিন্তু মাছের আঁশ পরিস্কার করেনি। দোকানে বসে খেলে অবশ্যই দেখাতাম ডেকে। আর একদিন ওদিকে যাওয়া হলে জানিয়ে আসব ওদের রান্নার গুণাগুণ। মাছের আঁশসহ বাঙালি রান্না কল্পনা করা যায়। কত মানুষ খায় কেউ কি বলেনি কখনো।

এই অংশটুকু পড়ে মনে একটু স্বস্তি পেলাম।
যাক আমি তাহলে একা না :)

০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: যাক বমি আটকিয়ে বাবু প্রসব করার মতন শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছো লেখার এটা জেনে বেশ আনন্দ পেলাম।

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য। পোকা খেতে কি পছন্দ করবে রাজীব?

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৫২

সোহানী বলেছেন: বলো কি প্রিমিয়ামের এ হাল!! এখনই গুগুল রিভিউ দাও। ছবি আছে? তাহলে তা পোস্ট করো। এতো বড় বাটপার এরা.........

আমি প্রায় কিনি সেখান থেকে। বিশেষ করে রসমলাই। আমার মেয়ের পছন্দ। কিন্তু মিস্টি ছাড়া আর কিছু ট্রাই করিনি। আরকরবো না ভবিষ্যতে।

তুমি কি চায়না টাউনে গেছো? সেখানে সব ধরনের পোকা মাকড় পাবা...........হাহাহাহা

সেদিন আমার মেয়ে একটা ভিডিও দেখাচ্ছিল, কিভাবে পোকাদের রান্না করতে হয়। হাহাহাহাহা। আমি দেখে খাওয়া বন্ধ।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাঙালি ইণ্ডিয়ান দোকানের সবচেয়ে বড় সমস্যা অপরিস্কার।
আমি এই প্রথম খাবার কিনলাম। সময় বাঁচানোর জন্য। যেহেতু মিষ্টি কিনতে ঢুকেছিলাম তাই।
অনেক আগে খুব শনপাপড়ি খেতে ইচ্ছা করছিল। কিনতে গিয়ে দেখি মেয়াদ উত্তির্ণ প্যাকেট সাজিয়ে রেখেছে।।ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছিলাম তখন। দোকান বহাল তবিয়তে চলছে।
নিজেই সব মিষ্টি বানিয়ে ফেলি খেতে ইচ্ছা করলে এমন কি শনপাপড়িও বানাতে শিখে ফেলেছি।
তারপর থেকে আর কখনো ঢুকিনি ঐ শাখার দোকানে। এটা অন্য ছিল আর যাবোনা কিছু কিনতে।
বাঙালি গ্রোসারী এবং রেস্টুরেস্টগুলো বাঙালিরাই টিকিয়ে রাখে। অসম্ভব অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং ভীষণ দাম। আমি সচরাচর ঢুকি না। একবার একজন বলেছিলেন বিরিয়ানির প্যাকেটে তেলাপোকা পেয়েছিলেন। বাঙালি বলে মাফ করে দিয়েছেন। কমপ্লেইন না করে।
আমি মনে হয় সাত বছর আগে একবার খুব প্রচলিত পিয়াজু আর সিঙ্গারায় কামড় দিয়ে ফেলে দিয়েছিলাম পচা বাসী গন্ধ পাওয়ার জন্য। আমি নিজে কখনো যাই না কিন্তু একজন আমাকে খাওয়াবেনই তাই নিয়ে গিয়েছিলেন, বাঙালিপাড়ার দোকানে।
মানুষের রুচি ভিন্ন আমি যখন বাসী গন্ধ পেলাম তখন অনেকেই প্রাণ ভরে খাচ্ছিলেন সেখানে বসে।
ইণ্ডিয়ান দামী এক রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পর আমি তিনদিন বিছানায় ছিলাম। তাই যথা সম্ভব এই সব বাইরের খাওয়া এড়িয়ে চলি।
ঐ খাওয়ার ছবি তুলি নাই ।
গুগল রিভিউ দিয়ে কিছু হবে না। আমার আগে বহু মানুষ খেয়েছেন যাদের কাছে কিছু মনে হয় নাই।
এক সময় একটি চাইনিজ দোকান ছিল মনোপলি ব্যবসা ছিল কয়েকটি শাখার। সবজীর প্যাকেটে তেলাপোকা পাওয়ার একটা অভিযোগে সব শাখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
অথচ কিছুদিন আগে দুধের প্যাকেটে ইঁদুরের লেজ পাওয়ার অভিযোগের পরও সেই কোম্পানির দুধের প্যাকেট গ্রোসারী দোকানে আসা একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি।
যারা এখন নিয়ম রক্ষা করছে তাদের মধ্যেও অনেক আছে ছাড় দেয়ার মতন এখন, নিয়ম বদলে যাচ্ছে খারাপের দিকে পছন্দ করি না ব্যাপারটা। কিন্তু বদলাচ্ছে নতুন মানুষের কারণে। নিজেদের দেখে শোনে সচেতন হয়ে চলতে হবে।



১৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:০২

শায়মা বলেছেন: হায় হায় বাংলাদেশে এই সব পোকা মাকড়ের খানা পিনা না এলেই বাঁচি। :(


অবশ্য এমন শুরু হলে ভালোই হবে অটো পেস্ট কন্ট্রোল। সবার আগে ধরে ধরে মশা মাছির স্যুপ বানানো হোক।

১৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৩০

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাংলাদেশে প্রচুর চাইনীজ আসা যাওয়া করে এখন, তারা যে আনে না এমনটা বলা যায় না। হয় তো দোকানে নাই কিন্তু তাদের নিজের সুটকেসে থাকতে পারে।
বাংলাদেশের উপজাতিরাও কিন্তু পোকা খায় ।
ভালোই হবে পোকার স্যুপ মন্দ হবে না।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ভাল একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন ।
উল্লেখ্য ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে মোট জনসংখ্যা হবে ৯০০ কোটি। আবাদযোগ্য ভূমি কমছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতায় সৃষ্ট খরায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। ফলে ভবিষ্যতের খাদ্য চাহিদা পূরণে পোকা-মাকড়ই
একমাত্র অবলম্বন হবে বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদরা। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে নেদারল্যান্ডসের
ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্বের ইমেরিটাস অধ্যাপক আর্নল্ড ভ্যান হুইস বলেন, ‘পৃথিবী ভালো
রাখার জন্য খাদ্য হিসাবে মাংসের চেয়ে পোকা-মাকড় ৮ গুণ বেশি উপকারী।’ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি
সংস্থার (এফএও) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের দু’শ কোটি মানুষ খাবারের অংশ হিসাবে পোকা-মাকড় খেয়ে থাকেন।
পৃথিবীতে খাওয়া যায় এমন এক হাজার ৯০০ প্রজাতির পোকা-মাকড় আছে।
এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা যায় যে মাঝে মাঝে পঙ্গপালের আক্রমনে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে লক্ষ
লক্ষ হেক্টর জমির ফসলের হানি হয়।তাই এই পঙ্গপালকে ধরে ফ্রাই করে খেলে মানুষের খাদ্য চাহিদার অনেকটাই
পুরণ হতে পারে । ফ্রাই করা পঙ্গপাল দেখতে খুব একটা খারাপ না , বমি বমি ভাব নাও আসতে পারে , মনে
হতে পারে যেন তেলে ভাজা ফ্রাইড চিংড়ি মাছ ।


শুভেচ্ছা রইল

১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:৫৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল মন্তব্য ধন্যবাদ অসংখ্য। আসলে জমির পরিমাণ কমছে মানুষের বসবাস এবং অন্যান্য ব্যবহারের জন্য। সাথে পানির নিচেও চলে যাচ্ছে অনেক জমি।
ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। বড় হচ্ছে মানব গোষ্টি।
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যৎ দ্রষ্ঠা। ভবিষ্যতে কি হবে হতে পারে তার চিন্তা তারা আগে আগে করেন যখন সাধারন মানুষ তাতক্ষনিক জীবন যাপন করছেন শুধু। ভোগ এবং অপভোগে নষ্টও করছেন অনেক বেশি সম্পদ একা।
তবে যে অল্প কিছু পরিবেশবাদী এবং বিজ্ঞানী, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজের কথা না ভেবে ভাবছেন মানুষের কথা। তাদের জন্যই আগামী প্রজন্ম হয়তো খাদ্যের অভাবে পরবে না। পানির উপর ভাসমান ফসল ফলানো বা টায়ার খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা বেশ ভালো চালু হয়েছে। অল্প সময়ে এবং অল্প জমিতে বেশি ফসল তোলাও বিজ্ঞানীদের আবিস্কার চালু প্রোগরাম এখন। বাংলাদেশেও মানুষ ব্যবহার করছেন।
পোকা থেকে যে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় সেটা যেমন অনেকে জানেন না তেমন পোকা খাওয়ার অভ্যাস নাই বলেই আমাদের পোকা খাদ্য হিসাবে ভাবতে খারাপ লাগে।
মানুষ অভ্যাসের দাস। প্রয়োজনে হয় তো অন্য জাতির মতন মাছ মাংস ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ার জন্যও মানুষ প্রস্তুত হয়ে যাবে।
লোকাস্টের আক্রমণ এক ভয়াবহ ব্যাপার। ওদের যদি আটক করে ফেলা যায় তাহলে কয়েক টন প্রোডাক্ট পাওয়া যাবে মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.