নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্রসন্ন

সপ্রসন্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সাহিত্য পুরস্কার

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

লেখাটির মূল উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত এবং বর্তমানে প্রচলিত বিখ্যাত কিছু সাহিত্য পুরস্কারের একটি তালিকা তৈরি। লেখাটি তৈরি করতে উদারভাবে অন্তর্জালের সাহায্য নেয়া হয়েছে, কারণ সেটা ছাড়া এই তালিকা করা অসম্ভব!

এই তালিকা একসঙ্গে হাতে পাবার সুবিধা এই,
পুরনো লেখকদের ছাড়াও নতুন লেখকদের মানসম্মত কিছু বই বাছাই করতে এটি সাহায্য করবে, যা আমাদের নতুন ধরনের সাহিত্যরসের সন্ধান দেবে। তাই প্রতিবছর বইমেলায় গেলে নতুন বইয়ের পাশাপাশি এসব পুরস্কারপ্রাপ্ত বই সংগ্রহ করে পড়া উচিত বলে মনে হয়। কারণ বেশিরভাগ পুরস্কারই দেয়া হয় বইমেলায় বই প্রকাশের এক বছর পর। তাই একবছর পাদপ্রদীপের আলোয় না আসা বইগুলোকে পরের বছরের বইমেলার জন্য বাছাই করা যায় অনায়াসে! বইমেলায় গেলে 'কি কিনব/ কি কেনা যায়' এই প্রশ্নের নির্ভরযোগ্য উত্তর হতে পারে এই তালিকাটি।
এখানে কেবল পুরস্কারের তালিকাই তৈরি করা হয়েছে কিন্তু কোন মন্তব্য করা হয়নি। বেশিরভাগ বইয়ের ক্ষেত্রে প্রকাশনীর নাম দেয়া আছে। আর কিছু ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সংক্ষেপে লেখা হয়েছে। হয়তো কিছু পুরস্কারে বা বই নির্বাচনে আমাদের অগোচরে স্বজনপ্রীতি কিংবা মানহীন সিদ্ধান্ত হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা ধরে নিচ্ছি, বইগুলো একটি সাধারন বৈশিষ্ট্য বহন করছে, তা হলঃ পুরস্কারপ্রাপ্তিতে বিবেচিত দেশের সেরা সাহিত্যিকদের বিচার ব্যবস্থাপনা।


প্রতিষ্ঠান বিচারে বাংলাদেশের সাহিত্য পুরস্কারগুলোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়-
সরকারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রবর্তিত পুরস্কারঃ
বাংলা একাডেমি পুরস্কার- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার যা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৬০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে। মূলত একজন লেখকের সমগ্র সাহিত্যকর্মের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
একুশে পদক- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার যা অন্যান্য শাখার পাশাপাশি ‘ভাষা ও সাহিত্য’ ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্যেও দেয়া হয়।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রবর্তিত পুরস্কারঃ
বাংলাদেশে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লেখকদের সাহিত্যকর্মকে পুরস্কৃত করে থাকে। এই সাহিত্য পুরস্কারগুলোকে আবার সময়বিচারে দুইভাগে ভাগ করা যায়।
১. সাম্প্রতিক কালে প্রবর্তিত পুরস্কারঃ এক্ষেত্রে প্রথম সারিতে আছে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই, ব্রাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার, কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার এবং আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া রয়েছে সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার, এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন সাহিত্য পুরস্কার ইত্যাদি পুরস্কার সাম্প্রতিক সময় ধরে দেয়া হয়ে আসছে।
২. অধুনাবিলুপ্ত বা অপ্রচলিত পুরস্কারঃ যেসব পুরস্কার আগে দেয়া হত কিন্তু বর্তমানে দেয়া হয় না সেগুলো এই পর্বে পড়ে। মূলত আলাওল সাহিত্য পুরস্কার,ফিলিপ্স সাহিত্য পুরস্কার ,মুক্তধারা একুশে সাহিত্য পুরস্কার,লেখিকাসংঘ স্বর্ণপদক,অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার,অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রনী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, লেখকশিবির পুরস্কার ইত্যাদি অতীতে সাহিত্যিকদের জন্য ছিল আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার।

জেমকন সাহিত্য পুরস্কার
এটি বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনের সবচেয়ে বড় সম্মাননা।
জেমকন গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান আজকের কাগজ ও কাগজ প্রকাশনী ২০০০ সাল থেকে দিচ্ছে কাগজ সাহিত্য পুরস্কার। ২০০০ থেকে ২০০২ পর্যন্ত প্রথম তিন আসরে কেবল তরুণ লেখকদের পুরস্কার দেয়া হত। পুরস্কার প্রাপ্ত পান্ডুলিপি পরবর্তী বছর কাগজ প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হত। ২০০৩ সাল থেকে বছরের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থকেও পুরস্কৃত করার প্রথা চালু করা হয়। মাঝে ২০০৫ সালে এক বছর পুরস্কারটি দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৭ থেকে এর নাম হয় জেমকন সাহিত্য পুরস্কার। সহযোগিতায় আছে জেমকন গ্রুপের দুই পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউন।

মোট দুইটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়, যার একটি প্রকাশিত বইয়ের জন্য জেমকন সাহিত্য পুরস্কার, অন্যটি তরুণ লেখকের পান্ডূলিপির তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া বর্তমানে প্রচলিত সাহিত্য পুরস্কারগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রাচীনতর ও পুরস্কারমূল্য বিবেচনায় সর্বোচ্চ।

কাগজ সাহিত্য পুরস্কার-
২০০০ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত নবীন লেখক তালিকায় কাগজ সাহিত্য পুরস্কারগুলো পান যথাক্রমে প্রশান্ত মৃধা, সমীর আহমেদ, জাকির তালুকদার, সাদ কামালী, হুমায়ুন মালিক, সাকিরা পারভীন, সামলা বাণী, মাহবুব মোর্শেদ এবং নাসিমা আনিস।
আর কাগজ সাহিত্য পুরস্কার পান মামুন হুসাইন (২০০৩),শহিদুল জহির (২০০৪), সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (২০০৬)

জেমকন সাহিত্য পুরস্কার-
২০০৭
জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পান সৈয়দ শামসুল হক। হামীম কামরুল হক পান জেমকন তরুন কথাসাহিত্য পুরস্কার।
২০০৮
স্বর্ণবোয়াল নাটকের জন্য সেলিম আল দীন পান জেমকন সাহিত্য পুরস্কার। তপন বাগচী পান জেমকন তরুন কথাসাহিত্য পুরস্কার।।
২০০৯
জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পান নির্মলেন্দু গুণ। শাজান শীলন পান জেমকন তরুন কথাসাহিত্য পুরস্কার।
২০১০
জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ও জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পান কথাসাহিত্যিক ওয়াসি আহমেদ ও এমরান কবির, যথাক্রমে তাদের ‘ত্রিসীমানা’ গল্পগ্রন্থ এবং নিদ্রাগ্রহণ মহাশুন্যে পান্ডুলিপির জন্য।
২০১১
জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ও জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক পারভেজ হোসেন ও মুম রহমান। পারভেজ হোসেনকে তাঁর যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের গ্রন্থের জন্য এবং মুম রহমানকে তাঁর অন্ধকারের গল্পগুচ্ছ নামে গল্পের পাণ্ডুলিপির জন্য এঈ দুটি পুরস্কার দেয়া হয়।
২০১২
জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পান জাকির তালুকদার এবং তরুণ কথাসাহিত্যিক পুরস্কার পান আনিফ রুবেদ। 'পিতৃগণ' গ্রন্থের জন্য জাকির তালুকদার এবং 'মন ও শরীরের গন্ধ' নামে গল্পের পান্ডুলিপির জন্য আনিফ রুবেদকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
২০১৩
কান্নাপর্ব উপন্যাসের জন্য আহমাদ মোস্তফা কামাল পান জেমকন সাহিত্য পুরস্কার। অন্যদিকে পোস্টমাস্টার ও অন্যান্য গল্প পান্ডুলিপির জন্য মেহেদী উল্লাহ পান জেমকন তরুন কথাসাহিত্য পুরস্কার।
২০১৪
প্রবীন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক তার সাবিত্রী উপাখ্যান উপন্যাসটির জন্য পান জেমকন সাহিত্য পুরস্কার, পান্ডুলিপির জন্য জেমকন তরুন কথাসাহিত্য পুরস্কার পান আফসানা বেগম।
২০১৫
এবছর হয় জেমকন সাহিত্য পুরস্কারের যূগপূর্তি। জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পান সালমা বাণী এবং জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পান রুবাইয়াৎ আহমেদ। সালমা বাণীকে তাঁর ‘ইমিগ্রেশন’ উপন্যাসের জন্য এবং রুবাইয়াৎ আহমেদকে তাঁর ‘একজন সাব এডিটরের কতিপয় ছেঁড়াখোঁড়া’ উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির জন্য যথাক্রমে পুরস্কার দুইটি দেওয়া হয়।
২০১৬
এ বছর জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পান কথাসাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের। জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পান মোস্তাফিজ কারিগর। মঈনুল আহসান সাবেরকে তাঁর ‘আব্দুল জলিল যে কারণে মারা গেল' উপন্যাসের জন্য এবং মোস্তাফিজ কারিগরকে 'বস্তুবর্গ' উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কারগুলো যথাক্রমে দেয়া হয়।
২০১৭
মোহাম্মদ রফিককে তার ‘দু’টি গাথাকাব্য’ কাব্যগ্রন্থের জন্য এ বছর পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ বছর ‘তরুণ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে আশরাফ জুয়েল ও মামুন অর রশিদ। আর প্রথমবারের মতো জেমকন পুরস্কারে যুক্ত হওয়া ‘তরুণ কবিতা’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছেন তরুণ কবি নুসরাত নুসিন তার ‘দীর্ঘ স্বরের অনুপ্রাস’ কাব্যগ্রন্থের জন্য।

প্রথম আলো বর্ষসেরা বইঃ
১৪১০ বঙ্গাব্দ থেকে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। প্রতি বৎসর একটি সৃজনশীল ও একটি মননশীল বইকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারের মূল্যমান ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে রচয়িতাকে একটি সম্মননা পত্র এবং একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে কেবলমাত্র এই পুরস্কারটি বাংলা সালজুড়ে প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ বই নির্বাচন করে।

১৪১০
• সৃজনশীল শাখাঃ তালাশ-শাহীন আখতার। উপন্যাস। (মাওলা ব্রাদার্স)
• মননশীল শাখাঃ গোলাপ সংগ্রহ- আবদুশ শাকুর। প্রবন্ধসংগ্রহ (মাওলা ব্রাদার্স)
১৪১১
• সৃজনশীল শাখাঃ ‌‌প্রেম ও প্রার্থনার গল্প- সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। গল্পসংগ্রহ। (অন্যপ্রকাশ)
• মননশীল শাখাঃ (যৌথভাবে) ‘পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু দর্শন-যতীন সরকার, আত্মস্মৃতি (জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ)। শতাব্দী পেরিয়ে- হায়দার আকবর খান রনো, আত্মস্মৃতি (তরফদার প্রকাশন)
১৪১২
• সৃজনশীল শাখাঃ আগুনপাখি- হাসান আজিজুল হক, উপন্যাস। (ইত্যাদি)
• মননশীল শাখাঃ হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি- গোলাম মুরশিদ, গবেষণা। (অবসর)
১৪১৩
• সৃজনশীল শাখাঃ ঘরভরতি মানুষ অথবা নৈঃশব্দ্য- আহমাদ মোশ্তফা কামাল (সন্দেশ)
• মননশীল শাখাঃ কুরচি তোমার লাগি-দ্বিজেন শর্মা (উৎস)
১৪১৪
• সৃজনশীল শাখাঃ পাখি বলে- আলতাফ হোসেন, কবিতা। ((দিব্য)
• মননশীল শাখাঃ বাংলাদেশের পাখি- শরীফ খা্ন, গবেষণা। (পাঠসূত্র)
১৪১৫
• সৃজনশীল শাখাঃ আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু-শহীদুল জহির, উপন্যাস। (মাওলা)
• মননশীল শাখাঃ বাংলাদেশের লোকনাটক: বিষয় ও আঙ্গিক-বৈচিত্র্য- সাইমন জাকারিয়া, গবেষণা (বাংলা একাডেমি)
১৪১৬
• সৃজনশীল শাখাঃ দহনকাল- হরিশংকর জলদাস, উপন্যাস। (মাওলা)
• মননশীল শাখাঃ বাংলাদেশের গণসংগীত: বিষয় ও সুরবৈচিত্র্য- সাইম রানা, গবেষণা। (বাংলা একাডেমি)
১৪১৭
• সৃজনশীল শাখাঃ অপৌরুষেয় ১৯৭১- অদিতি ফাল্গুনী, গল্পগ্রন্থ। (শোভাপ্রকাশ)
• মননশীল শাখাঃ কবিতা অকবিতা রবীন্দ্রনাথ- সনৎকুমার সাহা, গবেষণা। (শুদ্ধস্বর)
১৪১৮
• সৃজনশীল শাখা: কালাশনিকভের গোলাপ-ওয়াসি আহমেদ, গল্পগ্রন্থ। (শুদ্ধস্বর)
• মননশীল শাখা: উয়ারী-বটেশ্বর: শেকড়ের সন্ধান-সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান, গবেষণা। (প্রথমা)
১৪১৯
• সৃজনশীল শাখা: ডুবোচর- পারভেজ হোসেন, গল্পসংকলন। (শুদ্ধস্বর)
• মননশীল শাখা: জিম্বাবুয়ে: বোবা পাথর সালানিনি- মঈনুস সুলতান, ভ্রমণকাহিনি। (প্রথমা)
১৪২০
• সৃজনশীল শাখা: আগুন ও ছায়া- রায়হান রাইন, উপন্যাস। (প্রথমা)
• মননশীল শাখা: দেশবিভাগ: ফিরে দেখা-আহমদ রফিক, গবেষণাগ্রন্থ। (অনিন্দ্য)
১৪২১
• সৃজনশীল শাখা: শীতের জ্যোৎস্নাজ্বলা বৃষ্টিরাতে- ইমতিয়ার শামীম, (কথাপ্রকাশ)
• মননশীল শাখাঃ জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রবন্ধ। (সংহতি)
১৪২২
• সৃজনশীল শাখা: খোয়াজ খিজিরেরর সিন্দুক- ফয়জুল ইসলাম, গল্পগ্রন্থ। (সমগ্র প্রকাশন)
•মননশীল শাখাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা- সৈয়দ আবুল মকসুদ, গবেষণা। (প্রথমা)
১৪২৩
• সৃজনশীল শাখা: মোহাম্মদ রফিকের কবিতার বই মানব পদাবলি (বাতিঘর)
•মননশীল শাখাঃ বেগম আকতার কামালের গবেষণাগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথের ব্রহ্মভাবনা (কথাপ্রকাশ)


কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কারঃ
সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে তরুণ কবি ও লেখকদের এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র সাহিত্য পুরস্কার, যার সব কয়টি শাখায় শুধুমাত্র তরুণ লেখকদের পুরস্কার দেয়া হয়। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম ছয়টি আয়োজন দেয়া হয় যৌথভাবে, এইচএসবিসি ব্যাংক এর সাথে, তখন এর নাম ছিল এইচএসবিসি ব্যাংক- কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার। পরবর্তী সাল থেকে এই শিল্প মাসিক পত্রিকাটি আপন নামাঙ্কিত পুরস্কার দিয়ে আসছে।

২০০৮
• মননশীলঃ বাংলাদেশের লোকনাটক, বিষয় ও আঙ্গিক বৈচিত্র্য – সাইমন জাকারিয়া (বাংলা একাডেমি)
• কবিতাঃ শীতের প্রকার- ওবায়েদ আকাশ (অনার্য)

২০০৯
• সৃজনশীল সাহিত্যঃ অন্ধ জাদুকর- আহমাদ মোস্তফা কামাল, (সন্দেশ)
• কবিতাঃ আমি ও বাঘারু – আহমেদ মুনির, (ঐতিহ্য)
• মননশীলঃ একাত্তরের গণহত্যা, রাজধানী থেকে বিয়ানীবাজার- আজিজুল পারভেজ, (ঐতিহ্য)

২০১০
• মুক্তিযুদ্ধঃ সিলেটে যুদ্ধাপরাধ ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র- অপূর্ব শর্মা
• সৃজনশীল সাহিত্যঃ ধূসর স্বপ্নের সাসান্দ্রা- কাজী রাফি
• কবিতাঃ তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না- টোকন ঠাকুর
• মননশীলঃ গল্পের খোঁজে – প্রশান্ত মৃধা

২০১১
• মুক্তিযুদ্ধঃ সোনার পরমতলা- মিজানুর খান (ঐতিহ্য)
• কথাসাহিত্যঃ রাজনটী- স্বকৃত নোমান (ইত্যাদি)
• কবিতাঃ হওয়া না হওয়ার গান- শুভাশিস সিনহা (ইউপিএল)
• মননশীলঃ প্রকৃতি, প্রান্তিকতা ও জাতিসত্তার সাহিত্য- সুমন সাজ্জাদ (আবহমান)

২০১২
• মুক্তিযুদ্ধঃ নক্ষত্রের রাজারবাগ- মোশতাক আহমেদ (নালন্দা)
• সৃজনশীল সাহিত্যঃ দীর্ঘশ্বাসেরা হাওরের জলে ভাসে- মাসুদুল হক (ঘাসফুলনদী)
• কবিতাঃ ভিখিরিও রাজস্থানে যায়- মোশ্তাক আহমাদ দীন (বইপত্র)
• মননশীলঃ করুণ মাল্যবান ও অন্যান্য প্রবন্ধ- পিয়াস মজিদ (শুদ্ধস্বর)

২০১৩
• মুক্তিযুদ্ধঃ মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগরঃ দলিল ও ইতিহাস- রাজিব আহমেদ
• সৃজনশীল সাহিত্যঃ বিতংস- ওয়াহিদা নূর আফজা (আগামি)
• কবিতাঃ একাকী জমিন- মাসুদ পথিক, (রোদেলা)
• মননশীলঃ সমকাল পত্রিকার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা- রবিউল হোসেন, (ঝিনুক)
• শিশুকিশোর সাহিত্যঃ বিলু, কালু আর গিলুর রোমাঞ্চকর অভিযান- মাশুদুল হক (আলেকজান্দ্রিয়া)

২০১৪
• সৃজনশীল সাহিত্যঃ আমি অনিন্দিতা- ফাতিমা রুমি (অঙ্কুর)
• কবিতাঃ বৃষ্টির মাতলামি- সাকিরা পারভীন (ভাষাচিত্র)
• মননশীলঃ পাবনায় ভাষা আন্দোলন- এম আবদুল আলীম (রোদেলা)

২০১৫
• মুক্তিযুদ্ধঃ যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য – সালেক খোকন (ইত্যাদি)
• সৃজনশীল সাহিত্যঃ ধাতব সময়- ইমরান খান (ধ্রুবপদ)
• কবিতাঃ ধানের ধাত্রী- শামীম হোসেন (নদী)
• মননশীলঃ বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক – রঞ্জনা বিশ্বাস (সংবেদ)

২০১৬
• মুক্তিযুদ্ধঃ ভাটকবিতায় মুক্তিযুদ্ধ- হাসান ইকবাল (অয়ন প্রকাশন)
• কথাসাহিত্যঃ ফুলবানু ও অন্যান্য গল্প- রফিক হারিরি (ঐতিহ্য)
• কবিতাঃ ঢেউয়ের ভেতর দাবানল- নওশাদ জামিল (অন্যপ্রকাশ)
• প্রবন্ধ ও গবেষণাঃ কুঠুরির স্বর- তুষার কবি
• শিশুকিশোর সাহিত্যঃ অদ্ভুতুড়ে বইঘর- শরীফুল হাসান (আলেকজান্দ্রিয়া)

২০১৭
• কবিতাঃ ‘জুমজুয়াড়ি’- মিজানুর রহমান বেলাল এবং ‘নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ’-হোসনে আরা জাহান
• কথাসাহিত্যেঃ ‘এই বেশ আতঙ্কে আছি’ গ্রন্থের জন্য তাপস রায়
• প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটকে ‘নৃত্যকী’ গ্রন্থের জন্য আলতাফ শাহনেওয়াজ;
• মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্যে ‘মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য’ গ্রন্থের জন্য মামুন সিদ্দিকী
• শিশু-কিশোর সাহিত্য বিভাগে ‘হরিপদ ও গেলিয়েন’ গ্রন্থের জন্য রাজীব হাসান




ব্রাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার
দৈনিক সমকাল পত্রিকার উদ্যোগে এবং ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড-এর আর্থিক সমর্থনে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয় ব্রাক ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার। বাংলা ভাষার লেখক এবং সাহিত্যিকদের অনুপ্রাণিত করার জন্য তাদের উন্নত মানের সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর এ পুরস্কার দেয়া হয়। তিনটি বিভাগে এই পুরুস্কার দেয়া হয় যথাক্রমে-
• কবিতা ও কথা সাহিত্য
• আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ
• হুমায়ুন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক
প্রতিটি শাখার বিজয়ী পুরস্কার হিসেবে পান এক লাখ টাকা। প্রত্যেককে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্রও দেওয়া হয়।

২০১১
• সৈয়দ শামসুল হক
• দ্রাবিড় সৈকত
• হাসান আজিজুল হক
সৈয়দ শামসুল হক কবিতা ও কথাসাহিত্য শ্রেণীতে 'তবু বেঁচে থাকা অপরূপ' কাব্যের জন্য এ পুরস্কারে ভূষিত হন।
হাসান আজিজুল হক তার আত্মজীবনীমূলক স্মৃতিকথা 'উঁকি দিয়ে দিগন্তে'র জন্য আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ভ্রমণ শ্রেণীতে
দ্রাবিড় সৈকত তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'বয়াংসি চরকায় লাঙল কাব্যে'র জন্য তরুণ লেখক শ্রেণীতে এ পুরস্কার পান।
বই তিনটি প্রকাশ করেছে যথাক্রমে শুদ্ধস্বর, ইত্যাদি এবং পাঠক সমাবেশ প্রকাশনী।

২০১২
• আনিসুজ্জামান
• শুভাশিস সিনহা
• বুলবুল চৌধুরী
‘বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও অন্যান্য’ গ্রন্থের জন্য আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
কবিতা ও কথা সাহিত্য শ্রেণিতে বুলবুল চৌধুরী রচিত ও পার্ল থেকে প্রকাশিত 'যে ঘরে লক্ষ্মী থাকে’ এবং
তরুণ সাহিত্যিক শ্রেণিতে শুভাসিষ সিনহা রচিত ও এডর্ন থেকে প্রকাশিত 'কুলিমানুর ঘুম' বইটিকে পুরস্কৃত করা হয়।

২০১৩
• মঈনুল আহসান সাবের
• মাসরুর আরেফিন
• বদরুন নাহার
মঈনুল আহসান সাবের তার ‘এখন পরিমল’ উপন্যাসের জন্য কবিতা ও কথাসাহিত্য শ্রেণিতে,
মাসরুর আরেফিন তার ‘ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র’ গ্রন্থের জন্য প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছেন। তরুণ সাহিত্যিক শ্রেণিতে ‘বৃহস্পতিবার’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন বদরুন নাহার।
বই তিনটি বেরিয়েছে যথাক্রমে অনিন্দ্য প্রকাশ, পাঠক সমাবেশ এবং শুদ্ধস্বর থেকে।

২০১৪
• হরিশংকর জলদাস
• সুস্মিতা ইসলাম
• মুজিব ইরম
সুস্মিতা ইসলাম তার লেখা 'আমার দিনগুলি' নামের আত্মজৈবনিক গ্রন্থের জন্য প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ শাখায় পুরস্কার পান। হরিশংকর জলদাস তার 'প্রতিদ্বন্দ্বী' উপন্যাসের জন্য কবিতা ও কথাসাহিত্য শাখায় পুরস্কার পেয়েছেন।
মুজিব ইরম তার 'কবিবংশ' কাব্যগ্রন্থের জন্য হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার পেয়েছেন।
পুরস্কৃত তিনটি বইয়ের মধ্যে 'আমার দিনগুলি' বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, 'প্রতিদ্বন্দ্বী' মাওলা ব্রাদার্স এবং 'কবিবংশ' ধ্রুবপদ থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

২০১৫
• নির্মলেন্দু গুণ
• রাজকুমার সিংহ
• স্বকৃত নোমান
সাহিত্যের ৩টি ক্যাটাগরিতে নির্মলেন্দু গুণ তার ‘রক্ষা করো হে ভৈরব’ উপন্যাসের জন্য কবিতা ও কথাসাহিত্য শ্রেণীতে
রাজকুমার সিংহ তার ‘মৈত্রেয়ী নেই, মৈত্রেয়ী আছে’ গ্রন্থের জন্য প্রবন্ধ, ভ্রমণ ও অনুবাদ শ্রেণীতে
স্বকৃত নোমান তার ‘কালকেউটের সুখ’ গ্রন্থের জন্য ‘হুমায়ুন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক’ পুরস্কার পান।
বই তিনটি প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে প্রিয়মুখ, পালক ও জাগৃতি প্রকাশনী থেকে।

২০১৬
• আহমদ রফিক
• জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
• মাজহার সরকার
আহমদ রফিক তার 'একুশের দিনলিপি' প্রবন্ধগ্রন্থের জন্য 'প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ' শ্রেণিতে এবং জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত তার 'স্বপ্নের সীমানায় পারাপার' গ্রন্থের জন্য 'কবিতা ও কথাসাহিত্য' বিভাগে পুরস্কৃত হন। আর মাজহার সরকার তার 'রাজনীতি' উপন্যাসের জন্য 'হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার' ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হ
বইগুলো ছেপেছে যথাক্রমে মধ্যমা, অন্যপ্রকাশ এবং প্লাটফর্ম প্রকাশনী।


আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সমসাময়িক জীবিত লেখকদের সৃজনপ্রতিভার স্বীকৃতি হিসাবে ২০১১ সালে আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার চালু করা হয়। প্রতি বছর দুটি নির্বাচিত বইয়ের লেখককে পুরস্কার হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ব্যাংকটির স্লোগান, ‘সৃজনশীল সাহিত্যের সহযাত্রী’। প্রতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংস্করণের উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-সাহিত্য, কবিতা, ভ্রমণ কাহিনী ও আত্মজীবনী শাখায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে সেরা দুটি বই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়।

২০১১
‘জলেশ্বরীর দিনপত্রী’বইয়ের জন্য সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং অনূদিত ‘অনন্য জীবনানন্দ’ বইয়ের জন্য ফারুক মঈনউদ্দীন পুরস্কারে ভূষিত হন। বইদুটি যথাক্রমে শুদ্ধস্বর ও প্রথমা থেকে বেরিয়েছে।

২০১২
‘উয়ারী-বটেশ্বর: শেকড়ের সন্ধানে’ বইয়ের জন্য যৌথভাবে পুরস্কার পান লেখক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান। আর ‘বাংলার বৌদ্ধ: ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি’ বইয়ের জন্য পুরস্কৃত হন শিমুল বড়ুয়া। বই দুটি বেরিয়েছে যথাক্রমে প্রথমা ও অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী থেকে।

২০১৩
প্রথমা থেকে প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধে মেজর হায়দার ও তাঁর বিয়োগান্ত বিদায়’ বইয়ের জন্য জহিরুল ইসলামকে পুরস্কার দেওয়া হয়। কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘মধুসূদন: বিচিত্র অনুষঙ্গ’ বইয়ের জন্য পুরস্কৃত করা হয় খসরু পারভেজকে।

২০১৪
ফারুক চৌধুরীর আত্মজীবন কথা নিয়ে রচিত ‘জীবনের বালুকাবেলায়’ ও শাহীন আখতারের ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘ময়ূর সিংহাসন’ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়। দুটি বইই প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন।

২০১৫
সৃজনশীল সাহিত্যর স্বীকৃতি স্বরূপ আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন লেখক অসীম সাহা ও ওয়াসি আহমেদ। আগন্তুক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত 'ম- বর্ণের শোভিত মুকুট' গ্রন্থের জন্য অসীম সাহা এবং প্রথমা প্রকাশন থেকে বের হওয়া 'তলকুঠুরির গান' গ্রন্থের জন্য ওয়াসি আহমেদকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

২০১৬
শাকুর মজিদ এবং খসরু চৌধুরী এ বছর পান এই পুরস্কার। শাকুর মজিদের 'ফেরাউনের গ্রাম' এবং খসরু চৌধুরীর 'সুন্দরবনের বাঘের পিছু পিছু' বই দুটি বেরিয়েছে অন্যপ্রকাশ ও সময় প্রকাশন থেকে।



সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার
সিটি ব্যাংক এনএ'র সহায়তায় ২০০৮ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। ক এবং খ দুইটি শাখায় এই পুরস্কার দেয়া হয়। ক শাখায় প্রবন্ধ, কবিতা, উপন্যাস ও শিশু সাহিত্যে এ পুরস্কার দেয়া হয়। খ শাখায় তরুণ লেখক বা জীবনে প্রথম প্রকাশিত বইয়ের জন্য পুরস্কার নির্বাচত করা হয়। পুরস্কারের মূল্যমান ক শাখায় প্রত্যেক পুরস্কারের জন্য ৩০হাজার টাকা ও খ শাখ্যায় ১০ হাজার টাকা।

২০০৮
উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ, কবিতায় আল মাহমুদ, কিশোর উপন্যাসে ইমদাদুল হক মিলন, প্রবন্ধে ফজলুল আলম, প্রচ্ছদ শাখায় কাইয়ুম চৌধুরী

২০০৯
প্রবন্ধে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কবিতায় সৈয়দ শামসুল হক, উপন্যাসে আনিসুল হক, শিশুসাহিত্যে মুনতাসীর মামুন, স্মৃতিকথায় নির্মলেন্দু গুণ

২০১০
উপন্যাসে রাবেয়া খাতুন, প্রবন্ধে মফিদুল হক, কবিতায় কামাল চৌধুরী, শিশুসাহিত্যে কাইজার চৌধুরী এবং ছোটগল্পে নাসরীন জাহান

২০১১
শিশুতোষ উপন্যাস আঁখি এবং আমরা ক’জন-এর জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন জাফর ইকবাল। এ ছাড়া উপন্যাসে নূরজাহান-এর জন্য ইমদাদুল হক মিলন এবং কবিতায় শুধু একটাই পা গ্রন্থের জন্য আফজাল হোসেন পুরস্কার পান। তরুণ লেখক শাখায় কেউ খুঁজেছিলো আলো উপন্যাসের জন্য ইসরাত জাহান এবং ওগো মোর দেহ প্রভু কবিতার বইয়ের জন্য আদিত্য শাহীন পুরস্কার পান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লুৎফর রহমান।

২০১২
'ক' শাখায় উপন্যাসে প্রথমা থেকে প্রকাশিত 'রামগোলাম' গ্রন্থের জন্য হরিশংকর জলদাস, প্রবন্ধে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত 'জারি গানের আসরে বিষাদ সিন্ধু' গ্রন্থের জন্য যৌথভাবে সাইমন জাকারিয়া ও নাজনীন মর্তুজা, কবিতায় অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত 'কবিতাপুর' গ্রন্থের জন্য শাহাবুদ্দীন নাগরী, শিশুসাহিত্যে (যৌথভাবে) অনন্যা থেকে প্রকাশিত 'ইতিহাস স্যার' গ্রন্থের জন্য লুৎফর রহমান রিটন ও 'মানিকের লাল কাঁকড়া' গ্রন্থের জন্য আনজীর লিটন এবং শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদ শাখায় 'ইতিহাস স্যার' গ্রন্থের জন্য আফজাল হোসেন এই পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া জীবনের প্রথম বই ক্যাটাগরিতে 'খ' শাখায় কবিতায় 'সোনেলা রোদের সাঁকো' গ্রন্থের জন্য মাজহার সরকার সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।

২০১৩
'ক' শাখায় প্রবন্ধে পুরস্কার পেয়েছেন অন্বেষা থেকে প্রকাশিত 'রাষ্ট্রতন্ত্রে সমাজদ্রোহিতা' প্রবন্ধগ্রন্থের জন্য ইমেরিটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কবিতায় বিভাস থেকে প্রকাশিত 'যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর এই বাংলাদেশ' কাব্যগ্রন্থের জন্য মুহম্মদ নূরুল হুদা, উপন্যাসে অবসর থেকে প্রকাশিত 'দূরবর্তিনী'-এর জন্য বরেন চক্রবর্তী এবং শিশুসাহিত্যে শব্দশৈলী থেকে প্রকাশিত শিশুতোষগ্রন্থ 'কোনালের বাবাবন্ধু ও অন্যান্য গল্প'-এর জন্য আমীরুল ইসলাম। 'খ' শাখায় কবিতায় অনন্যা থেকে প্রকাশিত 'আমার আকাশে বৃষ্টি' কাব্যগ্রন্থের জন্য মৃত্তিকা গুণ এবং উপন্যাসে সূচীপত্র থেকে প্রকাশিত উপন্যাস 'শাশুড়িপুরাণ'-এর জন্য আশা নাজনীন পুরস্কার পেয়েছেন।

২০১৪
ক শাখায় প্রথমা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত চাবিকাঠির খোজে:নতুন আলোকে জীবনান্দের বনলতা সেন প্রবন্ধের জন্য ড. আকবর আলী খান, ম প্রকাশ থেকে প্রকাশিত “এই ফুলটির অন্তত দশ-দশটি প্রেমপত্র পাওয়ার কথা” কবিতার জন্য আসাদ চৌধুরীর, দিব্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত “আখলাকের ফিরে আসা” উপন্যাসের জন্য মঈনুল আহসান সাবের এবং বিদ্যাপ্রকাশ থেকে “পথভ্রষ্ট ঘূর্নির কৃষ্ণ গহ্বর” উপন্যাসের জন্য মোহিত কামাল, বাংলা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত “জৈন্তাবনে কালো জাদু” শিশু সাহিত্যে আলি ইমাম,মিজান পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত “সময় কাটুক ছড়ার সাথে” শিশু সাহিত্যে মাহবুবা চৌধুরী।
খ শাখায় তরুন লেখক ক্যাটাগরিতে অর্বাক প্রকাশনি প্রকাশিত “ভাঙ্গা শামুকের বয়:সন্ধি” কাব্য গ্রন্থের জন্য মহিম সন্নাসী এবং আফসার ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত “ফেরার কোনো পথ নাই” উপন্যাসের জন্য রাতুল হাসান এ পরুন্কার পান।

২০১৫
প্রবন্ধে সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত শামসুজ্জামান খান-এর ‘রাষ্ট্র ধর্ম ও সংস্কৃতি’, উপন্যাসে অনন্যা থেকে প্রকাশিত ইমদাদুল হক মিলন-এর ‘সাড়ে তিন হাত ভূমি’, শিশুসাহিত্যে (যৌথভাবে) অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে প্রকাশিত মোশতাক আহমেদ-এর ‘হিমালয়ে রিবিট’, সময় থেকে প্রকাশিত আলম তালুকদার-এর ‘হাওয়া আর রোদের ছড়া’, কবিতায় কুঁড়েঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত রেজাউদ্দিন স্টালিন এর ‘বায়োডাটা’ পুরস্কার পেয়েছে।

২০১৬
২০১৬ সালে পুরষ্কার পেয়েছেন ‘ক’ শাখায়: প্রবন্ধ, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা শাখায় যৌথভাবে চন্দ্রাবতী থেকে প্রকাশিত আবুল মাল আবদুল মুহিতের ‘সোনালি দিনগুলি’ এবং জার্নিম্যান থেকে মুনতাসীর মামুনের ‘ঢাকায় খাল পোল ও নদীর চিত্রকর’, উপন্যাসে কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত সেলিনা হোসেন এর ‘নিঃসঙ্গতার মুখর সময়’, শিশুসাহিত্যে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত আসলাম সানীর ‘নির্বাচিত ১০০ ছড়া’, কবিতায় যৌথভাবে সময় থেকে প্রকাশিত পিয়াস মজিদ-এর ‘কবিকে নিয়ে কবিতা’ ও চৈতন্য থেকে প্রকাশিত মুজিব ইরম এর ‘শ্রীহট্টকীর্তন’ পুরস্কার পেয়েছে। ‘খ’ শাখায় (জীবনের প্রথম বই ক্যাটাগরিতে): জনান্তিক থেকে প্রকাশিত এহসান হাফিজ এর ‘এ ও সে ও’ পুরস্কার পেয়েছে।

২০১৭
প্রবন্ধে অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘উনিশ শতকে পূর্ববঙ্গে ব্রাহ্ম আন্দোলন’ গ্রন্থের জন্য মুনতাসীর মামুন, কবিতায় যৌথভাবে আবিষ্কার থেকে প্রকাশিত ‘জো’ গ্রন্থের জন্য হাবীবুল্লাহ সিরাজী, জার্নিম্যান থেকে প্রকাশিত ‘সাত দেশের কবিতা’ গ্রন্থের জন্য মুহাম্মদ সামাদ, শিশুসাহিত্যে কিশোর উপন্যাসে ‘হাশেম খানের ছবির গল্প মধুবক’ গ্রন্থের জন্য হাশেম খান, ছড়ায় চন্দ্রাবতি থেকে প্রকাশিত ‘লাল জেব্রার ম্যাজিক’ গ্রন্থের জন্য লুৎফর রহমান রিটন, উপন্যাসে যৌথভাবে প্রথমা থেকে প্রকাশিত ‘প্রিয় এই পৃথিবী ছেড়ে’ গ্রন্থের জন্য আনিসুল হক, কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘ডুগডুগির আসর’ গ্রন্থের জন্য প্রশান্ত মৃধা। তরুণ লেখক ক্যাটাগরিতে (জীবনের প্রথম বই) সময় থেকে প্রকাশিত ‘প্রকাশকনামা ও হুমায়ূন আহমেদ’ গ্রন্থের জন্য ফরিদ আহমেদ, কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘মেঘ ও বাবার কিছু কথা’ গ্রন্থের জন্য দ্বিতীয় সৈয়দ হক ও অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘নীল ফড়িং কাব্য’ গ্রন্থের জন্য শানারেই দেবী শানু।





মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই প্রয়াশসাধ্য মুল্যবান তথ্য সম্বলিত পোষ্ট ।
এই মুল্যবান লিখাটির জন্য রইল প্রাণডালা অভিনন্দন ।
লিখাটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা নিবেন ।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।
ধন্যবাদ সপ্রসন্ন ভাই

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটী কয়েকদিন আগে দিলে বিরাট কাজে লাগতো ।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

সপ্রসন্ন বলেছেন: ড. এম আলী জনাব,
আপনার উপকারে লাগলেই আমার প্রয়াস সার্থক। অনেক ধন্যবাদ এবং
ভাল থাকবেন!

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: উম্মে সায়মা আপু, আপনাকেও ধন্যবাদ! তথ্যগুলো হালনাগাদ করারও চেষ্টা করব।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪১

সপ্রসন্ন বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই,
আসলে সময় পাইনি আমি, পরে দেবার জন্য দুঃখিত।
তবে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে আশা রাখি।
ভাল রইবেন!

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

শরীফুর রায়হান বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.