নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্রসন্ন

সপ্রসন্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশভাগ কেন হয়েছিল: প্রথম পর্ব

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৯


[কিছুদিন পরেই হতে যাচ্ছে উপমহাদেশের সবচে আলোচিত রাজনৈতিক ঘটনা দেশভাগের ৭১বছর। কেন হল এই দেশভাগ, তার উত্তরগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি এখানে। পড়েছি ইতিহাসের বই আর অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিদের ভাবনা, তাতে নিজের কিছু পর্যবেক্ষণ যোগ করে ও সাজিয়ে তৈরি করেছি এই লেখাটি]

দেশভাগের সময় আমরা ভারতীয় বা সবাই মিলে এই বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশের নাগরিক, এই পরিচয়টি ছাপিয়ে কেন ধর্মীয় পরিচয়টি প্রধান হয়ে উঠেছিল? আমরা তো ব্রিটিশ শাসনের সময় হিন্দু মুসলিম একত্রেই ছিলাম, তাহলে কোন ব্যাপারটি আমাদের আলাদা করে দিল?

এর কারণকে এক শব্দে বলা যায় বৈষম্য।

দীর্ঘ দুইশ বছরে এই অঞ্চলে ইংরেজদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও তাদের নিজেদের স্বার্থে পর্যায়ক্রমে হিন্দু মুসলিম বৈষম্য এতটাই প্রকট হয়ে ওঠে, যা তাদের জাতীয়তাবাদী (ভারতীয়) পরিচয় ছাপিয়ে সাম্প্রদায়িক ( হিন্দু মুসলিম) পরিচয়কে বড় করে তোলে। ঠিক যেমন পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ছিল চরম অর্থনৈতিক বৈষম্য, যা এক করে দিয়েছিল শোষিত পূর্ব পাকিস্তানিদের আর শাসক ক্ষমতাশালি পশ্চিম পাকিস্তানিদের। একইভাবে সামাজিক,রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক ধরনের বৈষম্য একত্র করে দিয়েছিল ভারতের সকল 'অবহেলিত' মুসলমানদের। বিপরিতভাবে, একত্র হয়ে গিয়েছিল সকল 'সুবিধাপ্রাপ্ত' হিন্দুরা। বাংলায় ছিল প্রকট হিন্দু মুসলিম বৈষম্য আর ব্রিটিশ শাসনের কেন্দ্র বাংলা অঞ্চলটিই মূলত দেশভাগে সবচে বেশি ভূমিকা রাখে। তাই এখানে দেশভাগের কারণ খুঁজে বের করতে বাংলা অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করছি।

ব্যাপারটা আরো সহজভাবে বুঝানো যায় এভাবেঃ A, B, C, D এই চারজনের মধ্যে A, B ধনী। কিন্তু C, D গরিব। কাজেই ধনী A এর সাথে ধনী B এর মধ্যে ঐক্য যতটা সহজে হবে, বাকি দুইজন গরিব মানুষের সাথে তত সহজে হবে না, কারণ গরিবদের স্বার্থ ধনীদের থেকে ভিন্ন। ধনীরা শোষণ করবে, গরিবরা শোষিত হয়।

কাজেই ইংরেজদের দীর্ঘদিনের চালুকৃত বৈষম্যকরণের ফলে এ অঞ্চলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে যে বৈষম্য ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, দুশ বছররের মাথায় এসে তাতে দেখা যায় স্পষ্ট পার্থক্য, যা পরবর্তিতে তাদের নিজ নিজ স্বার্থে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করে তোলে।

যদিও দেশভাগের পেছনে ধর্মীয় কারণকে সবচেয়ে বড় করে দেখা হয়, কিন্তু আসল কারণ ধর্ম নয়। ধর্ম এখানে কেবল একটি "টুল" মাত্র। দেশভাগ কোন দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম, বিপ্লব বা নির্দিষ্ট আদর্শবাদ দ্বারা হয়নি। বরং চেয়ারটেবিলে আলোচনার মাধ্যমে হয়েছিল। দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে নয়, বরং তাদের মনকে ধর্ম দিয়ে প্রভাবিত করে দেশভাগ ত্বরাণ্বিত করা হয়েছিল। সে কথা পরে বলব।

১৯৪০সালে লাহোর প্রস্তাবে সর্বপ্রথম দ্বিজাতিতত্ত্বের কথা বলা হয়েছে, আর মাত্র সাত বছরের মধ্যেই দুইটি 'জাতি' পেয়েছে তিন খণ্ডে দুইটি দেশ। মাত্র সাত বছরের মধ্যে দেশভাগ বাস্তবে রূপ পেলেও এই চিন্তাটি গড়ে ওঠতে সময় লেগেছে। অনেকদিনের অনেক ঘটনার চূড়ান্ত রূপ দেশভাগ।

একে মোটাদাগে ভাগ করা যায় দুইটি পর্বে। ১৭৫৭সাল থেকে উনিশ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত ছিল বৈষম্য গড়ে ওঠার কাল, আর ১৯০০- ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগ্রহণ ও দেশভাগের চূড়ান্তরূপ প্রদান।

ইংরেজরা ১৭৫৭সালে পলাশির যুদ্ধে জিতে অবসান ঘটায় বাংলার নবাবি শাসনের। তখন এদেশে শাসন ক্ষমতা ছিল মুসলিমদের হাতে, কিন্তু বাংলার অভিজাত, ব্যবসায়িদের বেশিরভাগই ছিল হিন্দু। অর্থাৎ সমাজের উচুতলায় একটা ব্যালেন্সড অবস্থা ছিল।

ইংরেজ আমলে এই ব্যালেন্স ভেঙে সমাজের হিন্দু মুসলিম বৈষম্য প্রকট হয়ে ওঠে। দুশ বছরের মাথায় দেখা যায়, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এই অঞ্চলের মুসলিমরা ছিল অনেক বেশি গরিব, পক্ষান্তরে একই অঞ্চলের অধিবাসি হয়েও হিন্দুরা ছিল অপেক্ষাকৃত ধনি, শিক্ষিত ও প্রভাবশালি। তবে তার মানে এই নয় সকল হিন্দুরা ছিল ধনী আর সকল মুসলিমরা ছিল গরিব। মূলকথা, দেশে ধনী ও শিক্ষিত মানুষের তালিকা করলে দেখা গেল সেখানে হিন্দুদের স্পষ্ট প্রাধান্য। এর পেছনে মুসুলিম, হিন্দু ও ইংরেজ তিনপক্ষেরই দায় রয়েছে। তবে সবচে বড় যে দায়, তা বোধ করি ইতিহাসের চমকপ্রদ ঘটনাপ্রবাহের ঘাতপ্রতিঘাতগুলোর।

১. ইতিহাসের দায়ঃ মোগল শাসনের দুর্বলতায় ও নবাবি শাসনের অবসানে মুসলমানদের আবেগে আঘাত।

১৭৫৭সালে পলাশির যুদ্ধে বাংলার মুসলিম নবাব ক্ষমতা থেকে চ্যুত হবার পর এবং ১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধে মুঘল, অযোধ্যার মুসলিম শাসকরা পরাজিত হবার পর যখন বাংলা বিহার উড়িষ্যার দিওয়ানি লাভ করে, তখন শাসনকেন্দ্রে মুসলিমদের প্রভাব স্তিমিত হয়ে পড়ে। ইতিহাসের নায়ক এখানে ইংরেজরা। আর তার দায় হল ইংরেজ শাসনের প্রতি মুসলিম প্রজাদের আস্থাহীনতা। আবেগের দিক থেকেও মুসলিমরা এ ব্যাপারগুলো মেনে নিতে পারেনি। তার ওপর ইংরেজরা যখন হিন্দুদের নানা সুবিধা দিতে থাকে, সেটা তাদের মনে অবহেলার জন্ম দেয়। তারা সবক্ষেত্রে ইংরেজদের অসহযোগিতা করতে থাকে আর ফলাফলে পিছিয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই, বিপরিত ব্যাপার ঘটে হিন্দুদের ক্ষেত্রে। সেন আমল (৯০০-১২০০) এর দীর্ঘ সাড়ে পাঁচশ বছর পর তারা হিন্দু পুনর্জাগরনের স্বপ্ন দেখে

২. হিন্দুদের দায় (কিংবা সুযোগগ্রহণ)ঃ চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের কারণে হিন্দু জমিদারদের লাভ। অর্থনৈতিক বৈষম্য।

১৭৯৩ সালে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চালু করে এই ব্যবস্থা। এতে বাংলার হিন্দু জমির মালিকরা রাতারাতি সব জমির একমাত্র মালিক হয়ে যায়। তাদের ক্ষমতা ও আভিজাত্য বেড়ে যায় অনেক। আর দরিদ্র মুসলিম কৃষক, কৃষিকাজ করাটা আগে যাদের ছিল ইচ্ছাধীন, হিন্দু জমিদারির আওতায় আসাতে সেই প্রভুর জমিতে কাজ করতে ও জোরপূর্বক কর দিতে তারা বাধ্য হয়।
এদিকে, আগে রাজস্ব আদায়ের যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল, সেখানে মুসলিমদের সরিয়ে দেয় ইংরেজরা। বদলে তারা অনুগত হিন্দুদের নিয়োগ করে উচ্চপদে। সুতরাং অভিজাত মুসলিমরা আর্থিক সংকটে পড়ে যায়।
এটা ছিল হিন্দু-মুসলিম অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রকট হবার একটি সূচনা।
পরবর্তিতে নীল বিদ্রোহের সময় হিন্দু জমিদাররা ইংরেজদের সহযোগি হয়ে ওঠে। তারাও বাংলার গরিব মুসলিম ও হিন্দুদের কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করে।

৩. মুসলিমদের দায়ঃ ফরায়েজি ও তিতুমির আন্দোলনে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণে মুসলিমদের অনীহা। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য।

আপাতভাবে, ফরায়েজি আন্দোলন ও তিতুমিরের আন্দোলন ইংরেজ ও জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে হলেও এর ধর্মীয় প্রভাব ব্যাপক। পূর্ববাংলায় দুদুমিয়ার নেতৃত্বে ১৮১৮-১৮৫৭ পর্যন্ত চলে ফরায়েজি আন্দোলন, ওদিকে পশ্চিম বাংলায় তিতুমিরের নেতৃত্বে ১৮২৭-১৮৩১ পর্যন্ত চলে বিদ্রোহ। এই দুই আন্দোলনে শুদ্ধ মুসলিম হবার ঢেউয়ে বাংলার মুসলমানেরা ধর্মীয় শিক্ষাকে অনেক বেশি আপন করে নিতে থাকে।
অথচ ঠিক এমন সময়েই বাংলার হিন্দুরা শিক্ষিত হতে থাকে আধুনিক শিক্ষায়। এ সময় একে একে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, এংলো হিন্দু কলেজ , সংস্কৃত কলেজ ও বেদান্ত কলেজ। মোটকথা, কলকাতাকেন্দ্রিক শিক্ষাকেন্দ্রে হিন্দুরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে থাকে।
কিন্তু বাংলার অধিকাংশ মুসলিম, যারা গ্রামবাসি ও কৃষক, তারা এ দুইটি আন্দোলনের প্রভাবে যত বেশি ইসলামসংলগ্ন হয়ে পড়ে, ততটাই দূরে সরে যায় ইংরেজি ও আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ থেকে। দিনে দিনে শিক্ষাক্ষেত্রে এই বৈষম্য দুই সম্প্রদায়ের পার্থক্য আরো প্রকট করে তোলে।
এই শতকের শেষার্ধে যখন সৈয়দ আহমদ খান, নওয়াব আবদুল লতিফ প্রমুখ মুসলিমদের মধ্যে ইংরেজ বিদ্বেষ ঘুচিয়ে আধুনিক শিক্ষা প্রবর্তনের চেষ্টা করেন, ততদিনে হিন্দুরা শিক্ষাদীক্ষায় অনেক এগিয়ে গেছে।
লক্ষণীয় মিল হল, মুসলিম ও হিন্দু দুই ধর্মেই এই সময়ে পুনর্জাগরণ লক্ষ্য করা গেছে। হিন্দুধর্মে একেশ্বরবাদি ব্রাহ্মসমাজ গড়ে উঠেছে। ইসলাম ধর্মে অনৈসলামিক আচার ছেড়ে ফরজ পালনে মুসলমানরা উৎসাহী হয়েছে। কিন্তু অমিল হল, হিন্দুরা শিক্ষা গ্রহণে সমাজে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে কিন্তু মুসলমানেরা পারেনি।

৪. ইংরেজদের দায়ঃ পরিকল্পিত শ্রেণিবিভাজনের মাধ্যমে হিন্দুদের রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি। রাজনীতিতে অধিকার আদায়ে বৈষম্য।

বলা হয়েছে, শিক্ষাক্ষেত্রে হিন্দুরা এগিয়ে যায় অনেকখানি। এই শিক্ষিত হওয়য়া কিন্তু সীমাবদ্ধ ছিল কেবলমাত্র হিন্দু মধ্যবিত্ত বাঙ্গালিদের মধ্যে।
ইংরেজরা দেখেছে, চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের পর বাংলায় বেশ কিছু বিদ্রোহ ও আন্দোলনের সূচনা হয়। ১৮০০সালে ফকির ও সন্নাসিরা, তারপর ফরায়েজি আন্দোলন ও তিতুমিরের বিদ্রোহ, ১৮৫৫সালে সাওতাল বিদ্রোহ, ১৮৫৭সালে সিপাহি বিদ্রোহ, অর্ধশতাব্দির বেশি ধরে চলা কৃষকদের নীলবিদ্রোহ...ইত্যাদি প্রত্যেক বিদ্রোহে লক্ষনীয়ভাবে অংশগ্রহণ ছিল নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের। এর সাথে যদি মধ্যবিত্তরা যোগ দেয় তাহলে এখানে হবে ফরাসি বিপ্লবের মতন অলআউট আন্দোলন।
এই মধ্যবিত্ত শ্রেণিটিকে সেইসব সদাসংগ্রামি নিম্নবিত্ত মানুষদের আন্দোলন থেকে আলাদা করতে তাদের জন্য উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করে। সিপাহি বিদ্রোহের পরেই কলকাতা, বোম্বে ও মাদ্রাজে তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইংরেজ অনুগত, সরকারি চাকুরি পেয়ে সুবিধাভোগি একটি বাবুসমাজ তৈরি করে, যা মূলত ভারতের দরিদ্র মানুষদের থেকে জনবিচ্ছিন্ন। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত এই স্পষ্ট পার্থক্যকরণে সমাজে তৈরি হয় পরিকল্পিত একটি শ্রেণিবিভাজন।
পরবর্তিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় শিক্ষিত হিন্দুসমাজে জাগ্রত হয় ভারতীয় জাতীয়তাবোধ। তারা তৈরি করে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, ১৮৮৫ সালে, যাতে ছিল হিন্দু অভিজাতবর্গের প্রাধান্য, কাজেই তা ক্রমে পরিণত হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবিদাওয়া আদায়ের মুখপাত্রে। হিন্দুদের মধ্যে এই রাজনৈতিক সচেতনতার ফলশ্রুতিতে মুসলিমরা নিজেদের আলাদা ভাবতে শুরু করে।

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল
সহায়ক জার্নালঃ How a nationalist movement turned communal, Sirajul Islam Chowdhury, 25-08-2017, The Daily Star, লিংক Click This Link

শেষ পর্বে বলব কিছু রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ, যেগুলোর গ্রহণের পটভূমি আসলে উপরের ঘটনাগুলোই।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। এত চেতনবাদীদের আবার সমস্যা।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: চেষ্টা করেছি। আরো কিছু হয়তো বাকি থেকে গেল। অনেক পড়া লাগবে।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক দেশ থাকলে খুব বেশী খারাপ হতো কিনা বুঝতে পারছি না।
সম্ভবত খুব বেশী খারাপ হতো না।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১০

সপ্রসন্ন বলেছেন: হাহা। হলে বুঝা যেত!

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০২

আখেনাটেন বলেছেন: আজকেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় দেখলাম। দালাইলামা বলেছেন, 'দেশ ভাগের জন্য নেহেরুর উচ্চাভিলাস মানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েসই দায়ী'। এই নিয়ে বেশ হৈচৈ চলছে পত্রিকার মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১১

সপ্রসন্ন বলেছেন: খুব ভুল বলেননি। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহও একই দাবি করেছেন।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পরের পর্ব পড়বার অপেক্ষায় রইলাম।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৩

সপ্রসন্ন বলেছেন: অবশ্যই। পড়বেন আশা করি। ধন্যবাদ!

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অবশ্যই। পোস্ট করে সম্ভব হলে ম্যানশন কইরেন। এই কমেন্টে লিংক বা বললে হবে।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫০

সপ্রসন্ন বলেছেন: আচ্ছা ভাই।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫১

সপ্রসন্ন বলেছেন: Click This Link

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ।
মুসলমান কোন মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরী না হওয়া একটা কারণ। যখন তৈরী হয়েছিল, তখন দেরী হয়ে গিয়েছিল অনেক।
এ সবচেয়ে বড় কারণ, আমি মনে করি ফরায়েজি আন্দোলনের হোতারা। তারা মুসলমানদের আধুনিক ও ইংরেজি শিক্ষা থেকে দূরে নিয়ে যায়। এটা পিছিয়ে দেয় মুসলমানদের অনেক বছর। আর সেসময়ে হিন্দু সমাজে বিদ্যাসাগরের মত মানুষ জন্ম নিয়েছিলেন। যারা শিক্ষায় ওদের অনেক এগিয়ে নিয়ে যায়। মুসলিম সমাজে তার মত কেউ এখনও জন্ম নেয়নি।
দেশ ভাগ একদিনে চেয়ার টেবিলে হয়েছে, যেমনটা বললেন, তেমনটা হয়নি। এর শেকড় অনেক গভীর। অনেক দিনের বিভাজন ছিল বলেই, এক দাগে দেশভাগ সম্ভব হয়েছে।
লিখুন। এখন পর্যন্ত নতুন কিছু পেলাম না যা পড়িনি। তবে পাব, আশা করি। এভাবে চর্চা করতে করতেই হয়তো পাওয়া যাবে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩২

সপ্রসন্ন বলেছেন: মাপ করবেন, 'একদিনে' যে হয়নি তা বলতেই এই লেখার অবতারণা। আর চেয়ার টেবিলে হয়েছে বলতে বুঝিয়েছি, কোন আদর্শবাদের মাধ্যমে গণসংগ্রাম পরিচালিত হয়নি।
আপনার তুলে ধরা উপরোক্ত কারণটি গুরুত্বপূর্ণ। দেশভাগ নিয়ে আপনার কাছ থেকেও নতুন কিছু জানবার আশা করছি। ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি কিন্তু আধুনিক শিক্ষা গ্রহণে মুসলিমদের অনীহার বিষয়ে আপনি যেমন বলেছেন ইতিহাসের এই বিশ্লেষণের সাথে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করি I আধুনিক শিক্ষা গ্রহণে মুসলিমদের অনীহার বিষয়টা এখন যতই ক্রিটিসাইজ করিনা কেন তখন যদি হিন্দু মুসলিম একই সাথে এই ইংরেজি শিক্ষাটা না নিতো তাহলে কিন্তু ইংরেজদের পক্ষে ইংরেজি জন্য একটা পূর্ণ বিকশিত মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণী গঠন করা সম্ভব হোত না I এই মধ্যস্বত্বভোগী কেরানি শ্রেণীটাই কিন্তু ইংরেজদের আরো দেড়শত বছর উপমহাদেশ শাসন করতে সাহায্য করেছিল I আধুনিক শিক্ষা গ্রহণে মুসলিমদের অনীহার বিষয়টাকেই কিন্তু গান্ধীর অহিংস নীতির মতো একটা ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার সুযোগ ছিল উপমহাদেশের নেতাদের I সেটা সফল হবার অসম্ভাবনাও থাকতো বিচ্ছিন্ন সশস্র আন্দোলনের চেয়ে বেশি I কারণ সরাসরি যুদ্ধের সুযোগ সেখানে ইংরেজদের থাকতো না I ১৮১৮-১৮৫৭ বা তার আগের সময়ে কিন্তু ডিভাইড রুল নীতিটা ইংরেজরা সফল ভাবে চিন্তা করেনি I এর পরেই সেটা সফল ভাবে শাসনের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেওছিলো I তাই আমার কেন জানি মনে হয় আধুনিক শিক্ষা গ্রহণে মুসলিমদের অনীহার ব্যাপারে সে সময়ের মুসলিম রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের কৌশল ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন হিসেবে খারাপ ছিল না I ব্যর্থতাটা যতনা প্রয়োগের ততটা কৌশলের ছিলোনা বলেই আমার মনে হয় I তখনকার নেতারা, বিশেষ করে হিন্দু নেতারা মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের অনীহার বিষয়টা জাতীয়তাবাদের আঙ্গিকে দেখলে হয়ত ইংরেজদের আরো একশত বছর আগেই উপমহাদেশ থেকে বিদায় নিয়ে হত I কিন্তু সেটা না করে নব উত্থিত হিন্দু মধ্যবিত্ত শ্রেণী আপনি যেমন বলেছেন তৈরি করে "ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, ১৮৮৫ সালে, যাতে ছিল হিন্দু অভিজাতবর্গের প্রাধান্য, কাজেই তা ক্রমে পরিণত হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবিদাওয়া আদায়ের মুখপাত্রে। হিন্দুদের মধ্যে এই রাজনৈতিক সচেতনতার ফলশ্রুতিতে মুসলিমরা নিজেদের আলাদা ভাবতে শুরু করে।" অবশ্য গান্ধীর মতো একজন নেতাও সে সময় ছিল না সেটাও ঠিক I

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪০

সপ্রসন্ন বলেছেন: হিন্দু মুসলিম একইসাথে যদি আধুনিক শিক্ষা গ্রহণে বিরত থাকত তাহলে এটা ইংরেজবিরোধি জাতীয়তাবাদি আন্দোলন হিসেবে সফল হতেও পারত- আপনার ধারণাটা নতুন ধরণের চিন্তা নিঃসন্দেহে! ভাবনার উদ্রেক আছে।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি গতকাল কলকাতা থেকে ফিরলাম চিকিৎসা নিয়ে। অনেক কিছুই বলার আছে। আপনার পোস্টেই আমি মন্তব্যে আকারে কিছু কিছু ব্যাক্ত করবো যতটা পারি।

আপনার পোস্টটি খুব আগ্রহ সহকারে পড়ছি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪১

সপ্রসন্ন বলেছেন: অবশ্যই বলবেন। আমি অপেক্ষা করছি।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: কষ্ট করে ইতিহাসের কথা সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪১

সপ্রসন্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: @মলাসইলমুইনা,
ইংরেজি শিক্ষা কতটা জরুরী সেটা আজ বুঝছে সিরিয়ার মত দেশগুলো। প্রত্যেকটিই জঙ্গীঘাটি। শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা একটা জাতিকে জঙ্গী ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না।
তিতুমিরেরা ধর্ম যুদ্ধে নেমেছিল। ওদের শত্রু ছিল ইংরেজদের সাথে হিন্দুরাও। এটা একটা বিশাল দূরত্ব সৃষ্টি করেছিল হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে। ফরায়েজিরা, তিতুমিরেরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়েছিল বটে, কিন্তু তাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল অলীক৷ মুসলিম লীগই তো একসময় তুরস্কের দিকে তাকিয়ে ছিল স্বাধীনতার জন্য। কী হাস্যকর।
ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে বাংলায় যে রেনেসাঁ এসেছিল, তার ভাগিদার ছিল না মুসলিমেরা। তারা ইংরেজি শিক্ষা নেয়নি বলেই।
কংগ্রেসের দোষ কখনোই দিতে পারে না আপনি। সেখানে মুসলিম নেতাও ছিল অনেক। আর তাদের লক্ষ্য ছিল ইংরেজ শাসনের ভেতরে থেকে ইংরেজদের কাছ থেকে দেশের মানুষের অধিকার আদায় করা। তাদের কাছ থেকে আর কতটুকু চান আপনি।
হিন্দু মুসলিম বিরোধ আদি কাল থেকেই ছিল। মুঘল আমলে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। তারা রাজানুকুল্য পায়নি কখনোই। সেখান থেকেই মূলত সাম্প্রদায়িকতার সুত্রপাত। একদিনে কংগ্রেস তৈরী হলো, আর মানুষ সাম্প্রদায়িক হয়ে গেল, এটা ভাবা ঠিক না।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

সপ্রসন্ন বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা মূলত আমাদের এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের বিকাশের স্বরূপ, হিন্দুমুসলিম জনমিতি এবং সুবিধাপ্রাপ্ত ও গ্রহণকারি জনগোষ্ঠির সংখ্যা, শাসকগোষ্ঠির ব্যবহার- অনেক কিছুর ওপরেই নির্ভর করে।
আর কংগ্রেসের নেতারা বিংশ শতাব্দিতে কতটুকু সারা ভারতের "মানুষ' দের অধিকার আদায় করেছে তা কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

অবিশ্বাস, কুসংস্কার আর অশিক্ষায় দেশ ভাগ হয়েছিল।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

সপ্রসন্ন বলেছেন: এগুলো নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: দুষ্টলোকেরা দেশ ভাগ করেছিল।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

সপ্রসন্ন বলেছেন: লল

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

ching বলেছেন: ইতিহাস জেনে ভালো লাগল সাথে লাইক

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

সপ্রসন্ন বলেছেন: লাইক লাইক

১৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আরণ্যক রাখাল, স্যরি আমার কথাটা হয়তো খুব ক্লিয়ার হয়নি I আমি যেটাকে আফটার ম্যাথ হিসেবে ভেবেছি সেটাকেই আপনি কারণ ভেবে মন্তব্যটা করেছেন মনে হচ্ছে I দেখুন আমি বলেছি একটা স্পেসিফিক সময়ে মুসলিমদের ইংরেজিকে না গ্রহণ করার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তটা জাতীয়তাবাদী একটা আন্দোলন হিসেবে সফল হতে পারতো যদি হিন্দুরাও সেই আন্দোলনে যোগদিত I জিন্নাহ সাহেবও যে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন সেটা আমি জানি I শুরুতে হিন্দু মুসলিম কেউই আলাদা হিসেবে কংগ্রেসকে দেখেনি I একটা জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গড়ে না ওঠার ব্যর্থতাই ইংরেজদের ডিভাইড এন্ড রুল নীতি কার্যকর করতে সাহায্য করেছিল যার কথা লেখক বলেছেন I তার ফলাফল হিসেবেই ক্রমশ কংগ্রেস হিন্দুদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে পরে আর মুসলিম লীগের উত্থান হয়েছে মুসলিমদের যারা কংগ্রেসের সমর্থক ছিল তাদের দিয়েই I ইংরেজি কখনো শিখতে হবে না বা অনন্য ভাষা শিখতে হবে না সে ধরণের কিছু কিন্তু আমি বলিনি |একটা রাফ হিসেবে হচ্ছে ইরেজ শাসনের ২০০ বছরে ২৪০ -৩৫০ ট্রিলিয়ন পাউন্ড ভারত থেকে (তখন অখণ্ড ভারত ছিল বলে এই হিসাবটা বললাম ) ইংল্যান্ডে পাচার হয়েছে I এই পাচারকৃত অর্থের বেশিরভাগই থামানো যেত যদি কিন্তু ইংরেজি বিরোধী আন্দোলনটাকে একটা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে পরিণত করা যেত ১৮৫৭ সালের আগেই I আর থাইল্যান্ড কখনো ইংরেজ বা অন্যদের কলোনি ছিলোনা I তাতে কি তাদের এখনকার উন্নয়ন থেমে গিয়েছে ? ভারতীয়রা হাজার বছর আগে থেকেই আরবদের সাথে বাণিজ্য করতো I মানুষ নিজেদের উন্নয়নে নিজেরাই পথ খুঁজে নিতে পারে ইতিহাস সেটাই বলে I তখন ইংরেজি না শিখলেও সেটা উন্নয়নে বাধা হত বলে আমি মনে করিনা I এখনোতো আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষইতো ইংরেজি বলতে পারেনা তাতে কি দেশের কাজ থেমে গেছে ? জাপান চীনের বেশিরভাগ মানুষই ইংরেজি বলতে পারে না তাতে তাদের উন্নয়নের গায়ে কোনো আঁচড় লাগে নি I উল্টোটাও সত্যি কিন্তু I ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডের বেশির ভাগ মানুষই চাইনিজ বা জাপানিজ জানে না তাতে ব্যবসা বাণিজ্যতো থেমে নেই এই সব দেশের মধ্যে I ইংরেজি না শেখার আন্দোলনটা যদি এক সাথে করা যেত জাতীয়তাবাদের আন্দোলন হিসেবে আর ভারত যদি ইংরেজ দখল মুক্ত করা যেত ১৯৪৭ সালের একশ বছর আগেই তাহলে আমাদের অবস্থা আরো অনেক ভালো ত্যাক্ত সেটাই আমি বলতে চেয়েছিলম্ I তুরস্কের সমর্থন চেয়েছিলো মুসলিমরা এই কথাগুলো পুরোই অপ্রয়োজনীয় লাগলো আমার মন্তব্যের উত্তরে I

১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: @মলাসইলমুইনা,
আপনিও আমাকে ভুলভাবে নিয়েছেন। আমি ভাষার কথা বলিনি। ইংরেজি না জানলে সে আমলে অন্তত রাজানুকূল্য পাওয়া যেত না। যেটা ঘটেছে মুসলিমদের সাথে। যখন মুসলিম শাসন এদেশে ছিল, তখন ফার্সি ভাষার ছিল জয়জয়কার। লক্ষ্য করে দেখবেন, অনেক হিন্দুও ফার্সি শিখেছিল সেসময়ে, যাতে তারা রাজদরবারে মুন্সির চাকরি পায়।
ইংরেজি না শেখায় মুসলমানেরা সরকারি চাকরিতে ছিল খুব কম। ভেবে দেখুন তো বঙ্কিমের আমলে কজন মুসলমান মাজিস্ট্রেট ছিলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.