![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রচণ্ড রোদে পুড়ছে পুরো রংপুর বিভাগ। মেঘমুক্ত আকাশ থেকে রাগী সুর্যটা যেন আগুন ঢালছে সারাদিন। তীব্র গরম আর গা জ্বলা রোদ্দুরে জর্জড়িত মানুষ, প্রাণীকূল, পুড়ছে ক্ষেতের ফসল। ঘরে বাইরে কোথাও নেই দু’দণ্ড স্বস্তি। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলিসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রী ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রচণ্ড রোদের কারণে নেহায়েত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের অধিকাংশ সময়ই রাস্তাঘাট থাকছে ফাঁকা। রিকশা, অটোরিকশার দেখা মিলছে কদাচিত্। রংপুর মহানগরীর মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলোতেও ভিড় নেই। বাইরে বের হলেই যেন আগুনের হল্কা গায়ে লাগছে। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না কেউ। সকাল ৭টা থেকে বাড়তে শুরু করে রোদের তীব্রতা। তাপদাহ অব্যাহত থাকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অফিসগামী মানুষ, শ্রমিক, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বিশেষ করে শিশুরা প্রচণ্ড গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে রাস্তার পাশে রিকশা রেখে চালক গাছের ছায়ায় বসে জিরিয়ে নিচ্ছেন, ফুটপাতের দোকান থেকে শরবত কিনে খাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমে ডাব, তরমুজ, শশা, খিরা, আঁখের রসের চাহিদাও বেড়ে গেছে। রিকশাচালক মফিজ উদ্দিন জানান, প্রচণ্ড রোদে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। একটু রিকশা চালালেই শরীর দিয়ে দর দর করে ঘাম ঝরছে। বার বার গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। তীব্র রোদের কারণে যাত্রী নেই বললেই চলে।
এদিকে তীব্র গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্যানের বাতাস থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী। প্রচণ্ড গরমে সর্দিজ্বর, মাথা ধরা, বমি, ডায়রিয়াসহ নানারকম পেটের পিড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অতিরিক্ত ঘাম ঝরার কারণে শরীর থেকে লবণ বেরিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
কল্লোল পথিক বলেছেন:
ভয়াবহ অবস্থা!