নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের খোঁজে দেখি তোমায় /বাঁধি সীমাহীন ভালোবাসায়/দাও কিছু সুখের বৃষ্টি / ভিজি আমি /উড়াই দিগন্তের নীলিমায় তোমার নামে / স্বপ্নের এক বিশাল ঘুড়ি।

স্প্যানকড

আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।

স্প্যানকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

জগতের সকল মেয়ে মানুষ হিসেবে বাঁচুক !

১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

ছবি নেট ।

আমাদের সমাজে নারীদের মূল্যায়ন ঠিক কতটা করা হয়? সিধা উত্তর করা হয় না তেমন।

একটা মেয়ে সুন্দরী হলে আমাদের সমাজে দেখা যায় খুব অল্প বয়সেই তার বিয়ের ঘর আসতে শুরু করে।

অনেক মা, বাবা আজকাল ভাবে যা দিন চলছে এর চেয়ে ভালো " জলদি বিয়ে দিয়ে দাও।" পরে চাইলে পড়াশোনা করবে নইলে সংসার ধর্ম পালন করবে। দুই চারটা বাচ্চাকাচ্চা জন্ম দিবে ব্যাস তার নারী জন্ম স্বার্থক !

তেমনি একটা গল্প বলছি, মেয়েটির বাবা সরকারি চাকরিজীবী।মেয়েটি খুব সুন্দরী।নানান পোলাপান তারে বিরক্ত করে প্রেম নিবেদন করে স্কুলে যাওয়ার পথে দাঁড়ায় থাকে ইভটিজিং করে।

মানে মেয়েটাকে মানুষ হিসেবে কেউ দেখছে না। সবাই প্রেমিকা বা নিজের স্ত্রী হিসেবে চাইছে বা দেখছে।মাসের ভেতর একটা দুইটা বিচার বসে।এ মহল্লার বখাটে ছেলে হাত কাইটা রক্ত দিয়া চিঠি দিছে।

মেয়েটা রাজি না হওয়াতে আরও হুমকি দেয়া চলছে ছেলেটা বলছে " দেখি কোন বেশ্যা মাগীর পোলা ওরে বিয়ে করে! "

মেয়েটার বাবা, মা বিরক্ত এবং ভীতিকর অবস্থায় দিন গুজার করতে লাগলো।এ অবস্থায় তারা খুব তোরজোর দিয়ে মেয়ের জন্য পাত্র খোঁজা শুরু করল।মেয়ে যখন সুন্দরী সেজন্য পাত্রের অভাব হতে লাগলো না।অনেকে বিয়ে ভেংগে দিচ্ছে নানান কথা বলে।

বলছে  " মেয়ের চরিত্র ভালো না।ছেলেদের মাথা নষ্ট করে চলছে নানান জনের সাথে প্রেম চলছে ইত্যাদি  "।

এই তড়িঘড়ি তে এক পাত্র আসল অনেক পয়সা পাত্তির মালিক।বাড্ডাতে দুইটা বাড়ি আছে, গাড়ি আছে। ঘটকের কথায় গলে গেল মেয়ে পক্ষ খোঁজখবর ও নিল।দেখল কথা ঠিক।ছেলের পয়সা পাত্তি আছে ভালো। বড়লোক।

তারা জলদি করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিল। মেয়েটি ও ভাবল, যাক বাবা অন্তত এ যন্ত্রণা থেকে বাঁচা যাবে। খুব একটা মানুষ জানাজানি হলো না অনেকটা গোপনে। এক দুই মাস মেয়েটি মহল্লায় আসেনি যদি বখাটে ছেলেটি রাগে কিছু করে।

দুই মাস পর মেয়েটি স্বামী নিয়ে আসে দামী গাড়িতে চড়ে।এ দেখে অনেকে আর তেমন সাহস করে উঠতে পারল না যে বিরক্ত করে। টাকা আছে স্বামীর! মাস্তান বা বখাটে ঠ্যাংগাতে পারে। তাই তেমন শোরগোল হলো না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লাগলো।

কি ভাবছেন? অতঃপর মেয়েটি শান্তি খুঁজে পেল !

না, মোটেও না। মেয়েটি আস্তে আস্তে জানতে পারল ছেলেটি ডাইলখোর ! ডাইলখোর বুঝেন তো! মানে ফেন্সিডিল সেবনকারী।

তারপর দুইটা মামলার আসামি। কয়েক মাস পর পর কোর্টে হাজিরা দেয়। বর্তমানে জামিনে আছে।

এর মধ্যে এলাকায় একটা খুন হলো সে হত্যা মামলার আসামি হলো অবশ্য এইটা ছিল মিথ্যে মামলা। ছেলেটিকে বিপক্ষ রাজনৈতিক দল ফাসিয়ে দিল। ছেলেটি পলাতক!

মেয়েটির জীবন কি থেকে কি হয়ে গেল পুরা তছনছ ! এক সময় মেয়েটি বাবা, মা কে বলে, সে ছেলেটিকে ডিভোর্স দিবে আর ভালো লাগছে না কিছু।

বাবা, মায়ের একটা কথা " একটু মানিয়ে নে।কষ্ট সহ্য কর "
মেয়ে তখন বলল, " আমি তোমাদের মেয়ে কিন্তু আচরণে তা বলছে না তোমরা আমাকে বস্তা ভাবছ! "

এরকম এক পর্যায়ে মেয়েটি সুইসাইড করার চিন্তা করতে লাগল একবার করতে যেয়ে শাশুড়ীর কাছে ধরা পড়ল। তখন তারা মেয়েটিকে মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিল। বলল, এমনিতেই আমরা বিপদে আছি নিজের সন্তান নিয়ে তার উপর আপনার মেয়ের পাগলামি ভালো লাগে না। মেয়েটির বাবা, মা কি আর করবে। হাজার হলেও নিজের মেয়ে বলে কথা।

সমাজ তো নানান কথা বলতে শুরু করল " বেশী বড়লোক দেইখা বিয়া দিছে না এহন দেহ কিমুন লাগে আরও বাজে কথা "!

এদিকে ছয় মাস হতে চলল মেয়েটির স্বামীর কোন খোঁজ নেই। শেষমেশ মেয়েটি জানতে পারল ছেলেটি দালাল মারফত ইটালি চলে গেছে।

মেয়েটির সাথে যোগাযোগ হলো অনেক দিন পর। মেয়েটি আবেগে কাঁদল নীরবে। সমস্যা হলো, ছেলেটি কবে দেশে আসবে তার নেই ঠিক। কাগজ এর ব্যাপার আবার এদিকে মামলা!

শেষমেশ মেয়েটির পরিবার মেয়েটিকে বলে ডিভোর্স দিতে ছেলেটিকে।মেয়েটি তাই করে। 

বর্তমানে মেয়েটি আবার বিয়ে করেছে। যাকে বিয়ে করেছে তিনি একজন শিক্ষক।বয়স পঁয়তাল্লিশ।এক সন্তানের বাবা। স্ত্রী গত !

মেয়েটি এখন আর তেমন হাসে না।মাথা নত করে মহল্লায় আসা যাওয়া করে। কেউ আর প্রেম নিবেদন করে না। হাত কেটে কেউ চিঠি লিখে না। আসলে জীবন অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। মনে রাখবেন ভাত কাপড় এর অভাবে মেয়ে মরে না, মরে সঠিক পরিচর্চা আর মানুষের অভাবে ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হায়রে জীবন। ভাল্লাগে না এসব শুনলে

১১ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

স্প্যানকড বলেছেন: শুনতে হয় আপু কিচ্ছু করার নেই। এই জীবন! আমারও ভালো লাগেনা এসব। সাবধানে থাকবেন।

২| ১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



পুরো বাংলাদেশে মেয়ে কি ১'টাই জন্ম নিয়েছিলো? আপনি যখন চাচ্ছেন, কবি হয়ে যাচ্ছেন, যখন ইচ্ছা সমাজ-বিজ্ঞানী হয়ে যাচ্ছেন, বাকী থাকছে কোনটা কোনটা ?

১১ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

স্প্যানকড বলেছেন: আমি একটা মেয়ের জীবনের কথা বলেছি এমন বহু মেয়ে আছে। মেয়েটি আমার পরিচিত। আমি কি কোথাও বলেছি, গোটা দেশে একটা মেয়ে জন্ম নিয়েছিলো ? হা হা হা বাকিতো আছে মেলাকিছু এই ধরেন প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার ! অবশ্য সে ইচ্ছে মাটিচাপা "শারমিন রীমা " হত্যার পর। ওর স্বামী নাকি ছিল ইইঞ্জিনিয়ার! ভাবা যায়! ভালো থাকবেন মুরুব্বি ।

৩| ১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

জটিল ভাই বলেছেন: জীবনের গল্প........

১১ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

স্প্যানকড বলেছেন: হুম, আসলে জীবন যে কত কি শিখিয়ে দেয় আর বলে আমরা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারি না। ভালো থাকবেন।

৪| ১১ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আমাদের সমাজে সুন্দরী হলেও সমস্যা, অসুন্দরী হলেও সমস্যা।

নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস
ওপারে সর্বসুখ
আমার বিশ্বাস!

১১ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

স্প্যানকড বলেছেন: নারী হলেই মনে হয় বেশী সমস্যা !

৫| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: স্থানঃ গুলশান-২।
ফুটপাত দিয়ে এক মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে। কমপক্ষে দশ জন লোক অতি কুৎসিতভাবে তাকিয়ে আছে। যারা কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে আছে আমি তাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি! এইভাবে তাকিয়ে থাকার মানে কি? তাকিয়ে থাকা লোক গুলো সবাই বিভিন্ন বয়সের।
তাকিয়ে থাকা অবস্থায়'ই তিনজনকে প্রশ্ন করলাম, এই রকম কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে আছেন কেন ভাই? লজ্জা করে না? এই মেয়েটি কি আপনার পরিচিত? নাকি আপনার মা আর বোনের সাথে মেয়েটির চেহারার মিল আছে, এই জন্য তাকিয়ে আছেন? ঠিক আছে তাকিয়ে থাকুন কিন্তু এত কুৎসিত ভাবে কেন? এই শিক্ষা কি আপনার মা বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন?
যে তিনজন কে প্রশ্ন করলাম এদের মধ্যে দুইজন খুব লজ্জিত হলো। কিন্তু একজন আমাকে প্লাটা প্রশ্ন করলো- তোর বাপের কি? ঠিক তখন কলারটা ধরলাম, তারপর ঠাস ঠাস দুইটা দিলাম। এবং বললাম, আশা করি বাকি জীবনে আর এরকম কুৎসিত ভাবে কোনো মেয়ের দিকে তাকাবি না।

৬| ১২ ই মে, ২০২১ রাত ১১:১১

স্প্যানকড বলেছেন: এরকম পুরুষ এর সংখ্যা বেশী ! কয়জন রে মারবেন? তবে আপনার সাহস আছে। উন্নত বিশ্বে সমুদ্র সৈকতে মেয়েরা যে স্বল্প কাপড়ে থাকে তারপরও কোন পুরুষ অসভ্যের মতো তাকিয়ে থাকে না। আসলে শিক্ষার অভাব বা স্বভাব বলা যেতে পারে। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.