নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি নেট।
বসে বসে বোরিং লাগছিল। এ চ্যানেলে সে চ্যানেল ঘুরে হয়রান ক্লান্ত। পিয়াসা, একা, মৌ, শেষমেশ পরিমনি! বিরক্ত ধরে গেছে। একটা জিনিস কমন সবার বাসায় মদ মজুদ থাকে। যে যতনে মদ রাখে সে মদের মামলায় ফাঁসে। আহারে জীবন!
যাক সে সব কথা। বসে বসে বোরিং যখন তখন মাথায় এই খেয়াল এলো। বাংলা ছবির কিছুটা হলে অদল বদল মানে মাল একই খালি বোতল পরিবর্তন করলাম আর কি! চলেন কামে লেগে পড়ি বোরিং দূর করি।
বিশাল ড্রয়িং রুমে চৌধুরী সাহেব বসে আছেন। হাতে হাভানা চুরুট। মোবাইল ঘাটছেন। এমন সময় আই টি ইঞ্জিনিয়ার আমাদের নায়ক এর প্রবেশ।
চৌ সা - কি চাই? নাম কি? কি কর?
নায়ক - একসাথে তিন প্রশ্ন! আপনার মেয়েকে চাই। যাকে আমি ভালোবাসি। নাম শাহেদ। আই টি ইঞ্জিনিয়ার।
চৌ সা - খামোশ! বেয়াদব। বামন হয়ে চাঁদে হাত। আমার মেয়ে ভুল করতে পারে আমি নই। জানো, আমার মেয়ে দেশের কোন কসমেটিকস ব্যবহার করে না। লরেল, গুচি, গার্নিয়ার আরও অনেক কিছু ব্যবহার করে। যা বাইরে থেকে আসে। তারপর মাসে দুইবার যায় দুবাই, সিংগাপুর। তুমি ছা পোষা কর্মচারী কয় টাকা বেতন পাও? পারবে এসব যোগাতে।
(টান টান উত্তেজনা)
নায়ক - সব জানি। ও বলেছে, ও আমাকে ভালোবাসে। আমি যেভাবে রাখব সেভাবে থাকতে পারবে কোন অসুবিধা নাই। (ঠান্ডা মাথায় উত্তর) তাছাড়া...
চৌ সা - তাছাড়া... তাছাড়া কি?
(এমন সময় নায়িকা কুতকুতির প্রবেশ)
কুতকুতি - তাছাড়া বাবা আমি ওর বাচ্চার মা হতে চলেছি!
চৌ সা - কি? ( ভীষণ উত্তেজিত ) ঐ হারামি! বাজারে কি কনডম, বড়ি ছিল না? ছিঃ! এখন আমি মুখ দেখাব কি করে? এ সমাজ কি মেনে নেবে?
নায়ক - বিশ্বাস করেন ছিল সবই। সব ব্রান্ড ব্যবহার করেছি কিন্তু কনডম ফেটে গেলে আমার কি করার? আজকাল কিছুতে ভরসা নাই! সব দুই নাম্বার!
চৌ সা - বেড়িয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে। আই সেইড গেট আউট! এই কে আসিছ
এদিকে আয়! এই হারামজাদা কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দে...
(এর মাঝে চৌধুরী সাহেব এর পালিত কুকুরগন হাজির)
নায়ক এর সাথে ডিসুম ডুসুম সেইরম মারপিট।
(নায়িকা কুতকুতির শুধু চিৎকার।উপর তলার এ মাথা থেকে ও মাথা দৌড়ঝাঁপ। আর বলছে, " ও! বাবা ওদের থামতে বলো প্লিজ! ) "
এক সময় নায়কের মাথায় চৌধুরী সাহেব আঘাত করে। নায়ক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। নায়িকা কুতকুতি কে ভেতর রুমে আটকে রাখে।
চৌধুরী সাহেব পুলিশ কে ফোন করে বলে তার বাড়িতে ডাকাত এসেছিল। হাতেনাতে ধরেছে। জলদি আসুন।
যথারীতি পুলিশ হাজির। আধা মরা নায়ক কে পুলিশ ভ্যানে করে নেয়া হয়।থানার ওসি কে চৌধুরী সাহেব মোটা অংকের ক্যাশ দিয়ে বলে দেন " মারাত্মক মামলা যাতে করা হয় যাতে আর বাইরে আসতে না পারে। "
পুলিশ নায়ক কে ইয়াবা রাখা এবং বেঁচার মামলা দেয় তারপর চৌধুরী সাহেব এর বাসায় ভাংচুর ও ক্ষয়ক্ষতি এবং চুরির দায়ে মামলায় অভিযুক্ত করে।
নায়িকা কুতকুতি আস্তে আস্তে শাহেদ কে ভুলতে বসে। আউট অফ সাইট আউট অফ মাইন্ড এই সুত্র মোতাবেক।
এমতাবস্তায় জামিন না পেয়ে নায়ক অস্থির হয়ে পড়ে। তিন মাস মামলা চলার পর আদালত রায় দেয় নায়ক কে পাঁচ বছর এর জেল অনাদায়ে আরও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নায়ক এ রায় শুনে চিৎকার করে বলে " বিশ্বাস করেন! জজ সাহেব আমি নির্দোষ! "
চৌধুরী সাহেব এ খবর শুনে বিশাল পার্টি দেয়। সেখানে নায়িকা কুতকুতির প্রেম পড়ে যায় আরেক যুবক জাবেদ!
ঘটনা এভাবে এগুতে থাকে। প্রেম থেকে জলদি করে বিয়ে। বাসর রাতে জাবেদ রুমে ঢুকার পর কুতকুতির পায়ে পা ঘষার কিছুক্ষণ পর নায়িকার বমি বমি ভাব শুরু হয়।মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়।
ডাক্তার ডাকা হলে জানতে পারে সে গর্ভবর্তী!
জাবেদ - কেমনে? কিছু না করতেই কেমনে? ভাবতে ভাবতে পাগল হয়ে গেল।
নায়িকা তার বাপের বাড়ি চলে আসে। দশ মাস পর নায়িকার বাচ্চা হয়। সবাই খুশী।
ছবি শেষ।
ত্রিভুজ প্রেমের এমন জটিল ধাঁধার ছবিটি দেখতে চোখ রাখুন টিভির পর্দায়। জলদি আসছে। ও ভুলেই গেছিলাম ছবির নাম
" পা ঘষে জাবেদ বাপ হয় শাহেদ! "
হা হা হা.....
আর পুরো ঘটনা টি কাল্পনিক কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী নই । ভালো থাকবেন সকলে।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৫৭
স্প্যানকড বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। কিছু একটা তো চাই। সে যাই হোক ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশের সব কিছু দুই নাম্বার হয়ে গেছে। তবে সব কিছুর জন্য দায়ী চৌধুরী সাহেব।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৮
স্প্যানকড বলেছেন: চৌধুরী সাহেব দের কেউ ধরতে পারে না। তাই সমস্যা বেড়ে গেছে। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৯
হাবিব বলেছেন: আচ্ছা, ঘটনা মিলে গেলেও আপনাকে দায়ী করবো না।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৫
স্প্যানকড বলেছেন: তাই নাকি ! ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ২:০২
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: বাহ ! বোরিংনেস দূর করতে চমৎকার উপায় খুঁজে বের করেছেন। গল্পের চেয়ে গল্পের নায়িকার নামটি বেশী হাস্যকর কুতকুতি
যাইহোক গল্পটি পড়ে না হেসে পারলাম না। ভাল লিখেছেন।
শুভকামনায়,
- দেয়ালিকা বিপাশা