![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওয়ার্ম আপ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ভারতের বোলারদের কাছে ১৯০ রানে অলআউট হইছে। তাদের লুঙ্গি খুইলা যায় নাই। উপরন্তু আজকের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কারে হারাইছে।
আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪০ রান করেও ডিফেন্ড করতে পারিনি। অষ্টম উইকেটের ৯৩ রানের পার্টনারশিপ ভাঙতে পারিনি। এখন আমাদের লুঙ্গি নিশ্চয়ই খুলে নাই বা পাইক্কাদের লুঙ্গি পায়জামা হইয়া যায় নাই।
শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩০০+ করার পরেও এই রান ডিফেন্ড করতে পারে নাই যেখানে তাদের বোলিং লাইন আপে মালিঙ্গা, কুলাসেকারা এবং সেকুজির মতো সিনিয়র এবং এক্সপেরিয়েন্সড বোলার ছিলো। আজকেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারছে, তাদেরও লুঙ্গি খোলেনাই নিশ্চয়।
কয়েকদিন আগে সাউথ আফ্রিকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩১ রানের খুব কাছাকাছি গিয়েও শেষ ওভারে ধরা খায় যেখানে ওদের জেনুইন ব্যাটসম্যান তখনও নটআউট ছিলো। তাদের নিশ্চয়ই লুঙ্গি খোলে নাই।
২০১৫ সালে সেই সময়কার শক্তিশালী সাউথ আফ্রিকা মোস্তা এবং মাশরাফির দাপটে ১৬৭ এবং ১৭০ রানে অলআউট হয়, তাদের লুঙ্গি নিশয়ই খুলে যায় নি।
সাউথ আফ্রিকা যখন ভারতকে ৪০০+ রানের টার্গেট দেয় তখন ভারতের লুঙ্গি নিশ্চয়ই খুলে নাই। সেই ম্যাচে ভুবি সেঞ্চুরী করেছিল, তার লুঙ্গির গিট নিশয়ই আগের থেকে তূলনামূলক শক্ত হয়ে যায় নি।
ইংল্যান্ডের মতো দলকে গ্রুপ পর্বে নকআউট করে আমরা যখন কোয়ালিফায়ার পর্বে উঠি তখন নিশ্চয়ই তাদের লুঙ্গি খুলেনাই।
অস্ট্রেলিয়া শেষ কবে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল, এ প্রশ্নের উত্তরে হয়তো গুগল ঘাটা লাগবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার লুঙ্গি তো খুলেনাই।
অথচ আজকে একটা ম্যাচে ৮০ রানে অলআউট হলাম, আমাদের লুঙ্গি খুলে গেছে। সাকিব ক্যাপ্টেন্সির অযোগ্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলার অযোগ্য হয়ে গেছে।
আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে যখন অলআউট হই, তখন আমাদের লুঙ্গি খুলেনাই। বরং তার প্রতিশোধ ঠিকই নিয়েছি, তাও ক্যারিবিয়ানদের ঘরের মাটিতে। যখন ভারতের এ দলের বিপক্ষে ৭৮ রানে অলআউট হই, তখনো আমাদের লুঙ্গি খুলেনি। এর জবাব দিয়েছি ২০১৫ সালের পুরোটা সময় ধরেই। আজকেও ৮০ রানে অলআউট হওয়ার মানে এই না যে আমাদের লুঙ্গি খুলে গেছে। বরং আজকে ২২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রানে অলআউট হওয়া দলটিই কাল বাদে পরশু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বধ করবে। সামনে এর থেকেই ভালো পারফরমেন্স করবে।
ফার্স্ট অফ অল, দিস ম্যাচ ইজ জাস্ট এ প্র্যাকটিস ম্যাচ, আই রিপিট প্র্যাকটিস .. ১৪ জনের দলের এক প্রকার আনঅফিশিয়াল ম্যাচ বলা যায়। হতাশ হওয়ার কিছুই নাই। সেকেন্ডলি, খেলাটা ক্রিকেট। যেকোনো কিছুই হতে পারে। বিশেষ করে যখন কোনো টিম নতুন একটা গেইম প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামে, সেক্ষেত্রে সিচুয়েশন কিছুটা টাফই হয়ে যায়। যেমন আমাদের মোস্তার যখন অভিষেক হয়, তখন তার কাটারে ভারত সহ সাউথ আফ্রিকা, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডর নামিদামী ব্যাটসম্যানরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। কারণ সেটা ছিলো তাদের কাছে অনেকটা নতুন। আবার রাবাদা অভিষেকেই বাংলাদেশের যা অবস্থা করছিলো, তারপরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৌম্য রীতিমতো রাবাদার নাকের জল চোখের জল এক করে ফেলেছিলো। আর চলতি বছরে ওকিফ আর ন্যাথান লিওনের কীর্তি আশাকরি সবাই জানে। ওকিফ আর লিওনের পরও সিরিজটি ভারত জিতে নিয়েছিল। এরকমই হয় যখন কোনো দল নতুন গেইম প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামে। গেইম প্ল্যান ইউনিক হলে এবং পুরোপুরি ইফেক্টিভ হলে প্রতিপক্ষের ভরাডুবি নিশিত। কিন্তু এই ভরাডুবিতে সব শেষ হয় না। বরং এ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভরাডুবি হওয়া দলটি আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি।
এবার আসি সাকিবের ক্যাপ্টেন্সিতে
ক্যাপ্টেন্সি খারাপ কারোরই হয় না। সমস্যাটা হলো একজন তথাকথিত বাজে ক্যাপ্টেন তার প্ল্যানিং এ সফল না বা গেইম প্ল্যান সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন না। যেমন অনেকের মতে রিয়াদ সাকিবের থেকে ভালো ক্যাপ্টেন (বিপিএল হইতে প্রমানিত)। এটার মানে হলো, গেইম প্ল্যানিং বাস্তবায়নে রিয়াদ সাকিবের থেকে তুলনামূলক ভালো। এখন গেইম প্ল্যান সবসময়ই যে শতভাগ বাস্তবায়ন হবে, এমন কোনো কথা নেই। যেমন মাশরাফিও মাঝে মাঝে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। মাশরাফির অধীনে পাকিস্তানের কাছে ৩৪০ করার পরও হারি।এর মানে তো এই না ম্যাশের ক্যাপ্টেনসি বাজে হয়ে গেছে। আবার ২০১৫ সালে ধোনির অধীনে ভারতের ওয়ানডে পারফরমেন্সকে উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়। কিন্তু ভারতের " বোতল " ফ্যানরা তো ধোনির ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে তো প্রশ্ন তোলেনি জাস্ট সমালোচনা করেছে, যেটা করা উচিত ছিলো। কিন্তু আমরা রীতিমতো সাকিবের কল্লা চেয়ে বসেছি।
প্র্যাকটিস টুর্নামেন্ট বা ট্রাইনেশানের অফিশিয়াল ম্যাচগুলোতে তো ভালো
করেছে টাইগাররা। আসল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে টাইগাররা ভালো করবে। শুধু দলটার উপর একটু আস্থা রাখতে হবে।নিঃসন্দেহে এটি দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওয়ানডে দল। এর প্রমাণ হলো গত আড়াই বছরের পারফরমেন্স প্লাস ম্যাশের নেতৃত্ব।
সবশেষে একটা কথা। দলের সমালোচনা করুন,অদ্ভুত মন্তব্য এবং ভবিষ্যৎবাণী নয়। এই দলটি বিভিন্ন সময় আপনার যুক্তিহীন সমালোচনা এবং মন্তব্যের জবাব পারফরমেন্স দিয়েই দিয়েছে। ইনশাআল্লাহ এবারও তার ব্যাতিক্রম হবে না।
©somewhere in net ltd.