নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যাতীত এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

মুহাম্মদ তামিম

মুহাম্মদ তামিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিন নম্বর পজিশন নাকি আট?

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬




ভারতের বিরাট কোহলি, নিউজিল্যান্ডের উইলিয়ামসন, অস্ট্রেলিয়ার স্মিথ, সাউথ আফ্রিকার ডি ভিলিয়ার্স, ইংল্যান্ডের রুট, শ্রীলঙ্কার মেন্ডিস.....প্রত্যেক দলেরই একজন ক্লাসি তিন নম্বর ব্যাটসম্যান আছে। আমাদের দলের ক্ষেত্রে এই পজিশনে কয়জন ব্যাটসম্যান খেলছে, তার সঠিক সংখ্যাটা অধিকাংশ মানুষই জানেনা। না জানাটাই স্বাভাবিক। কারণ তিন নম্বর পজিশনে এখন পর্যন্ত কোনো ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান আমরা প্রডিউস করতে পারি নাই। আর ব্যাটসম্যানরাও এই পজিশনে অনেকটা আন্ডারপ্রেসারে থাকে। যার কারণে তিন নম্বর পজিশনে সেরকম ভাবে থিতু হতে পারে নি।

এবার আসি ফিনিসারের প্রসঙ্গে। ভারতের ধোনি, (পান্ডিয়াও আস্তে আস্তে এই লাইনে নিজেকে বিল্ড আপ করছে) সাউথ আফ্রিকার মিলার, নিউজিল্যান্ডের ব্রুম; নীশাম, ইংল্যান্ডের বাটলার; আলি, শ্রীলঙ্কার পেরারা....সব দলেরই ভালো একজন ফিনিশার আছে। আমাদেরও ফিনিশার আছে। তবে, তদের কেউই অন্যান্য দলের ফিনিশারদের মতো দায়িত্ব নিয়ে খেলে না।

তিন নম্বর ব্যাটসম্যান এবং ফিনিশার দুটিতেই আমাদের দূর্বলতা অথচ এই দুইটি জায়গায় আলো ছড়াতে পারতেন নাসির। কিন্তু তার ভাগ্য ঠিক করেছিল অন্যকিছু।

নাসিরকে তিন নম্বর পজিশনের ভাবার জন্য অনেকে হয়তো অসন্তুষ্ট হবেন। কিন্তু আমি নাসিরকে তিন নম্বর পজিশনের জন্য পারফেক্ট বলিনি। বলেছি সম্ভাবনা ছিলো। নিয়মিত ভালো করলে হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশনও পেতে পারতেন।

আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত শীর্ষ ১০০ জন ওডিআই র্রাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারের তালিকায় ১৭ তে অবস্থান করছেন নাসির হোসেন। এছাড়া ব্যাটিংয়ে নাসিরের অবস্থান ৫৭ নম্বর। যেখানে সাব্বিরের অবস্থান ৬৫ নম্বর। আর বোলিংয়ে নাসির হোসেন আছেন সাকিবের পরে ৬৬ নম্বরে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত র্রাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারে ১০ এ উঠে এসেছিলেন নাসির হোসেন।

'নাসিরকে কেন বাদ পড়লেন? ' এইটা যেমন একটা প্রশ্ন, তেমনি 'নাসিরকে কোন যুক্তিতে দলে রাখা হবে' সেইটাও একটা ফ্যাক্ট। অর্থাৎ নাসিরের পারফরমেন্স। অভিষেকের সময়ে নাসির ব্যাট করতেন ৫ থেকে ৬ নম্বর পজিশনে এবং বাস্তবে নাসির সেই রকমেরই ব্যাটসম্যান। ঘরোয়াতেও নাসির ৫ থেকে ৬ এ ব্যাট করেন। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় দলে নাসিরের পজিশন ৮ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে। একটা জিনিস কখনো কেউ চিন্তা করে দেখিনি, যে নাসিরের ব্যাটিং অর্ডারে এতোটা ডিমোশন আসলো কিভাবে? উত্তরটা খুবই সোজা। নাসিরের ধারাবাহিকতার অভাব এবং রিয়াদের তূলনামূলক ধারাবাহিকতায় এমনটি হয়েছে। সর্বসাকুল্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরী, ২০১২ এশিয়া কাপের দুর্দান্ত পার্ফরমেন্স এবং তুকতাক ফিফটি ....এরপর কয়েকটি ম্যাচে ফিনিশ করে দেয়া ছাড়া নাসিরের আর তেমন কোনো পারফরমেন্স নেই। ওয়ানডেতে নাসিরের সর্বশেষ ফিফটি সম্ভবত সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে (২০১৫)।

টি টোয়েন্টিতে নাসিরের পারফরমেন্স আরো নাজেহাল। এই কারণে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের আগে নাসিরের জায়গায় রিয়াদকে খেলানোর প্ল্যান করা হয় যা মুটামুটি সফল প্ল্যান ছিলো। অন্তত টি টোয়েন্টিতে নাসিরের চেয়ে রিয়াদ বেস্ট ফিনিশার। এরপর প্রায় এক বছর পরে যখন আমরা ওয়ানডে খেলি, তখন মোসাদ্দেক স্কোয়াডে চলে আসায় অফিসিয়ালি নাসির দল থেকে বাদ যায়। আর টেস্টে সাব্বির ধারাবাহিক হওয়ায় ফাইনালি নাসির দল থেকে বাদ যায়।

এখন কথা, নাসির ৫ থেকে ৬ পজিশনের জন্য পারফেক্ট ব্যাটসম্যান ছিলো। বর্তমানে সে ৮ নম্বর ব্যাটসম্যান। তাই, দলে তার প্রয়োজনীয়তা থেকে সবচেয়ে বড় বিষয় দলে তার অবদানের কার্যকারিতা। বেসিকালি ঘরোয়া ক্রিকেটে নাসির ভালো করেছে ব্যাটিংয়ে। অথচ জনগণ নাসিরের কাছ থেকে বোলিংয়ে ব্রেক থ্রু আশা করে। (how funny)

দলে যদি নাসির নিয়মিত হতে চায়, তাকে তার ব্যাটিং পজিশনে প্রমোশন পেতে হবে। আরো বেশী ব্যাটিং করতে হবে। বিরাট কোহলি অভিষেকের সময় ৫ থেকে ৭ এ ব্যাট করতেন। বর্তমানে তিন নম্বর পজিশনে নিয়মিত জায়গাটা সে অর্জন করে নিয়েছে। নাসিরকেও সেটা পুনরায় অর্জন করে নিতে হবে। কারণ তুকতাক ফিনিশিং আর ক্যাচ ধরে দলে থাকার দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। কারণ এসব দায়িত্ব পালনের জন্য আরও ভালো খেলোয়াড় দলে আছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.