![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০,৪২৯ বর্গমাইলব্যাপী প্যালেস্টাইন দেশটি ছিল অটোমান খেলাফতের অধীন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এরা ছিল বৃটেন বিরোধী জোটে। তখন যুদ্ধ জয়ে প্যালেস্টিনিয়ানদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭ সালে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে এই ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে বলে আশ্বাস দেন যা ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা হিসেবে পরিচিত। যেহেতু আরবরা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই তারা ধরে নেয়। কিন্তু এর মাঝে যে মহা ধোকাটি লুকিয়ে ছিল তা তারা বুঝতে পারেনি। বৃটিশ শাসনের শুরু থেকে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের প্রয়োজনে দুর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করতে সক্ষম হন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান। ফলে আনন্দিত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন কি ধরনের পুরস্কার তিনি চান? উত্তর ছিল অর্থ নয় আমার স্বজাতির জন্য এক টুকরো ভূমি আর তা হবে প্যালেস্টাইন। ফলে প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় বৃটেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর বৃটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে। মূলত এই সময়টিই প্যালেস্টাইনকে আরব শূন্য করার জন্য ভালোভাবে কাজে লাগায় ইহুদি বলয় দ্বারা প্রভাবিত ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি।
বৃটিশরা একদিকে ইহুদিদের জন্য খুলে দেয় প্যালেস্টাইনের দরজা, অন্যদিকে বৃটিশ বাহিনীর সহযোগিতায় ইহুদিরা প্যালেস্টিনিয়ানদের বিতাড়িত করে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য গড়ে তোলে অনেক প্রশিক্ষিত গোপন সন্ত্রাসী সংগঠন৷ তার মধ্যে তিনটি প্রধান সংগঠন ছিল হাগানাহ, ইরগুন ও স্ট্যার্ন গ্যাং যারা হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ আর ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির মাধ্যমে নিরীহ প্যালেস্টিনিয়ানদের বাধ্য করে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর গণহত্যার কথা যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারিত হচ্ছিল তখন পরিস্থিতকে নিজেদের অনুকূলে আনার জন্য গুপ্ত সংগঠন হাগানাহ বেছে নেয় আত্মহনন পন্থা৷ ১৯৪০ সালে এসএস প্যাটৃয়া নামক একটি জাহাজকে হাইফা বন্দরে তারা উড়িয়ে দিয়ে ২৭৬ জন ইহুদিকে হত্যা করে। ১৯৪২ সালে আরেকটি জাহাজকে উড়িয়ে ৭৬৯ জন ইহুদিকে হত্যা করে৷ উভয় জাহাজে করে ইহুদিরা প্যালেস্টাইনে আসছিল আর বৃটিশরা সামরিক কৌশলগত কারণে জাহাজ দুটিকে প্যালেস্টাইনের বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছিল না৷ হাগানাহ এভাবে ইহুদিদের হত্যা করে বিশ্ব জনমতকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করলো৷ পাশাপাশি ইহুদিদের বসতি স্থাপন ও আরবদের উচ্ছেদকরণ চলতে থাকে খুব দ্রুত৷ এর ফলে ২০ লাখ বসতির মধ্যে বহিরাগত ইহুদির সংখ্যা দাড়ালো ৫ লাখ ৪০ হাজার৷ এ সময়ই ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইঙ্গ-মার্কিন চাপে জাতিসংঘে ভোট গ্রহণ হয় তাতে ৩৩টি রাষ্ট্র পক্ষে, ১৩টি বিরুদ্ধে এবং ১০টি ভোট দানে বিরত থাকে৷ প্রস্তাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ হয়েও ইহুদিরা পেল ভূমির ৫৭% আর প্যালেস্টিনিয়ানরা পেল ৪৩% তবে প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্রটির উত্তর-পশ্চিম
সীমানা ছিল অনির্ধারিত ফলে ভবিষ্যতে ইহুদিরা সীমানা বাড়াতে পারে। ফলে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা চূড়ান্ত হলেও উপেক্ষিত থেকে যায় প্যালেস্টাইন। জাতিসংঘের মাধ্যমে পাস হয়ে যায় একটি অবৈধ ও অযৌক্তিক প্রস্তাব। প্রহসনের নাটকে জিতে গিয়ে ইহুদিরা হয়ে ওঠে আরো হিংস্র। তারা হত্যা সন্ত্রাসের পাশাপাশি প্যালেস্টিনিয়ানদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশে রাতে তাদের ফোন লাইন,
বিদ্যুত্ লাইন কাটা, বাড়িঘরে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জোর করে জমি দখল এবং বিভিন্নভাবে নারী নির্যাতন করে মৃত্যু বিভীষিকা সৃষ্টি করতে লাগলো৷ ফলে লাখ লাখ আরব বাধ্য হলো দেশ ত্যাগ করতে৷ এরপরই ১৯৪৮ সালের ১২ মে রাত ১২টা এক মিনিটে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা করলো ইহুদিরা। ১০ মিনিটের ভেতর যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিল, অতঃপর সোভিয়েত ইউনিয়ন-বৃটেন।
উপরিউক্ত প্রেক্ষাপটে যদি চিন্তা করি, বাংলাদেশে এখনও "হিন্দু"র সংখ্যা ১ কোটি প্লাস, এর মধ্য থেকে আপাতত ৩০ লাখকে ইন্ডিয়ায় পার্সেল করা যেতে পারে। সেই শূন্য স্থানে আমাদের রোহিঙ্গা ভাইদেরকে দিয়ে ফিলাপ করি। হিন্দুদেরসম্পত্তি রোহিঙ্গা ভাইদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হবে।
রোহিঙ্গা ভাইয়েরা আমাদের ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসারে অনেক ভূমিকা রাখবে। ইয়াবা বিজনেসকে তারা শিল্পে পরিণত করতে পারবে। ছিনতাই ব্যবসায়, জমিদখল ইত্যাদি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তারা ইতিমধ্যেই অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। এক কথায় শতভাগ পাশ।
রোহিঙ্গাদের ওপর মায়ানমারের চালানো গণহত্যা নিঃসন্দেহে বর্বর। মানুষ হিসেবে রোহিঙ্গারা সেই গণহত্যা থেকে মুক্তি পাক, এই দোয়া করি। এর জন্য জাতিসংঘকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কার্যকর পদক্ষেপের মূল বিষয়টি হবে মায়ানমার। সব ঠেকা বাংলাদেশের কেন! বাংলাদেশ তো আর সব রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে পারবে না। কিছুসংখ্যককে আশ্রয় দিলেও গণহত্যা যে বন্ধ হবে, তার নিশ্চয়তাই বা কি?
দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে, জাতিসংঘ পারলে আলাদা রোহিঙ্গা রাজ্যের ব্যবস্থা করুক। কিন্তু, জাতিসংঘ মোটেই রোহিঙ্গা সমস্যা মেটানোতে আগ্রহী না; বরং বাংলাদেশকেও সেই সমস্যার মধ্যে ঠেলে দিতে আগ্রহী। এমনিতেও আমাদের রোহিঙ্গা অভিজ্ঞতা ভালো না। আর রোহিংগা রা প্রচন্ড রকম অকৃতজ্ঞ । তারা এদেশে এসে অবৈধ ভাবে থাকে । বিডিআর ক্যাম্পে হামলা চালায় । হুদাই খাল কেটে কুমির আনার কোনো মানেই হয় না।
প্রথমত, তারা কখনোই মায়ানমারে ফিরে যাবে না। অর্থনৈতিকভাবে তারা বাংলাদেশের জন্য সম্পদ হিসেবেও গণ বিষয়টা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিরই, তাছাড়া, তারা যে-বিএনপির পার্মানেন্ট
ভোটার....সেটাতো আছেই।
দ্বিতীয়ত পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে এমনিতেই বাংলাদেশ ঝামেলায় আছে। রোহিঙ্গা ঢুকতে দিলে সেই ঝামেলা মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়াবে। সীমান্তে অস্থিতিশীলতা মানে দেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে সবসময়ই দৌঁড়ের ওপর থাকা। তাই, তাদেরকে মায়ানমার থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে পূনর্বাসন করার বিন্দুমাত্র যুক্তি নেই। ও আই সি কি এখন কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনা ? শুধুমাত্র বাংলাদেশ এই সমস্যার দায়িত্ব নেবে? মায়ানমার এর সাথে তো ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলোর বর্ডার আছে। ওইসব দেশকে তো কেও বলে না বর্ডার খুলে দাও.....
তাছাড়া, সম্প্রতি, রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা অর্গানাইজেশন প্রধান হাফিজের সাথে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার একজন অফিসারের এবং ইরাক থেকে একজন আইএস জঙ্গি নেতার ফোনকল রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। উক্ত ফোন কলের ভাষ্য থেকে পরিস্কার প্রমাণ পাওয়া যায় পাকিস্তান এবং আইএস মিলে আরসাকে দিয়ে মায়ানমার টহল ছাউনিতে আক্রমণ করে মায়ানমারের ১২ জন পুলিশ এবং সেনা সদস্যকে হত্যা করে!।
এই হত্যার মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমণ করার জন্য মায়ানমার সরকারকে আমন্ত্রণ করা,এবং সাধারণ রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর এই আক্রমণ আমন্ত্রণের মূল উদ্দেশ্য হলো এই আক্রমণের ফলে তারা যেনো বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
বাংলাদেশে প্রবেশের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ইরাক সিরিয়াতে আইএস এর ঘাঁটি দুর্বল হওয়াতে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা জুড়ে তাদের নতুন একটি শক্ত ঘাঁটি গড়া। এই গোটা প্রক্রিয়ার পেছনে পাকিস্তান সরাসরি জড়িত।
তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে এই কয়েকদিনে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের মাধ্যমে, এই তিন লাখ সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে মিশে অন্তত কয়েক হাজার জঙ্গিও বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ওদিকে আজকের খবর হলো বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা যেন আর মায়ানমার ফিরতে না পারে সেজন্য মায়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে 'ল্যান্ড মাইন' বসাচ্ছে মায়ানমার সরকার। পাকিস্তান আর চীনের সরাসরি সহায়তা পাওয়ায় কাজ গুলো করছে তারা বিনা বাধাতেই।
ভারত ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মায়ানমারের জনপ্রিয় সংবাদপত্র মিজিমা।
(সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন)
নিঃসন্দেহে বোঝা যায় এই ইস্যুটি মূলত ইন্টারন্যাশনাল রাজনৈতিক দাবা অংশ যার সাথে অনেকের অনেক স্বার্থ জড়িয়ে আছে।
©somewhere in net ltd.