নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যাতীত এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

মুহাম্মদ তামিম

মুহাম্মদ তামিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই আলোচনা (থ্রিলার)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:১৭

বই নিয়ে সর্বশেষ লেখাটা লিখেছিলাম করোনার আগে। অনেকদিন পর আবার লিখতে বসলাম। লেখা কিরকম হয় কে জানে? তাই ক্ষমা প্রার্থনার পর্ব আগেই সেরে ফেলি, সীমাবদ্ধতাগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

ইনভ্যাশনের দিন ঘনিয়ে আসছে। যেকোনো সময় জার্মান নাৎসি বাহিনীর পতন আসন্ন। কিন্তু তাদের হাতে আছে ভয়াবহ এক বিষাক্ত গ্যাস যার নাম সোমান। এই গ্যাসের ভয়াবহতা মারত্বক। কিন্তু যুদ্ধে টিকে থাকতে এ গ্যাস ব্যাবহারেও দ্বিধা করবে না হিটলার। আমেরিকা/ব্রিটিশ মিত্রবাহিনীর এক সিক্রেট মিশন নিয়ে আমেরিকান মেডিক্যাল স্পেশালিস্ট মার্ক ম্যাককনেল এবং জার্মান ইহুদী তরুন জোনাস স্টার্ন উড়াল দিলো গল্পে বর্নিত টটেনহাউসেন এর কল্পিত এক ইহুদী ক্যাম্পে যেখানে ইহুদীদের উপর নির্বিচারে চলছে সোমান নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট এবং ট্রায়াল এর নামে অকথ্য নির্যাতন। মিত্রবাহিনীর সিক্রেট মিশন কি নিয়ে? উদ্দেশ্য কি এর? আর এতে মিলিট্যান্ট এর বাইরের লোকেরাই বা কেন? টটেনহাউসেন ক্যাম্প থেকে সোমানের নমুনা জোগাড় করে আনা? নাকি এটা গোটা ক্যাম্প ধ্বংস করে দেওয়ার সুইসাইডাল মিশন? এদিকে ক্যাম্পের বন্দী ইহুদীরা প্রতিমুহুর্তে প্রার্থনা করছে তাদের এই নরকদশা থেকে মুক্তির জন্য। তবে কি তাদেরকে উদ্ধার করাই এই মিশন এর উদ্দ্যেশ্য? নাকি অন্য কিছু? এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে মিশন কমপ্লিট করে রিপোর্ট না করলে মিশনের গোপনীয়তা রক্ষায় রেইড করে উড়িয়ে দেওয়া হবে ক্যাম্প। মুটামটি এই নিয়ে গল্প।

গল্প নিয়ে আলাদাভাবে বলার কিছু নেই। সাধারণ ৫০০+ পাতার থ্রিলার নয় এই বইটি। এর অনেক কিছুই অনেকে নিজেদের সাথে রিলেট করতে পারবেন। লেখার শৈলীতে প্রতিটা চরিত্রকে গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটা চরিত্রের একেবারে ভিতরে একটা ডাইভ দিয়ে আসা যায়। (হাতে গোনা কিছু চরিত্র বাদে।) আর এরকম গহীন লেখনী থেকে অনুবাদেরও একটা ধারণা পাওয়া যায়। একদম যাকে বলে ন্যাচারাল অনুবাদ না হলে এসব বিষয় এভাবে ধরা দেওয়ার কথা না।

গল্পে বর্ণিত কমিউনিকেশন টেকনলজি নিয়ে আমার কিছুটা সন্দেহ আছে। এতে বর্ণিত কিছু টেকনলজি বা রেডিও ট্রান্সমিশন সিস্টেম সে আমলে এক্সিস্ট করতো কি না এই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তবে আমি ভুলও হতে পারি। আর যেহেতু এটা ফিকশন, এইটুকু তেমন একটা সমস্যা না।

তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন্য গল্পে একটা ইন্টারেস্টিং সেকশন আছে।
এই গল্পের প্রতিটা চরিত্রই আপনাকে কনফিউজড করে তুলবে। কারণ চরিত্রগুলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে জেকিল/হাইড স্টাইলে, ভালো মন্দ মিলিয়ে। এতে আমার প্রিয় চরিত্র বিগ্রেডিয়ার ডাফ স্মিথ।
বইটি আপনার পড়া হয়ে থাকলে আপনার পছন্দের চরিত্র কোনটি জানাতে পারেন।


ব্ল্যাক ক্রস
লেখকঃ গ্রেগ আইলস
অনুবাদঃ ইন্তিয়াজ আজাদ
প্রকাশনীঃ চিরকুট

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৪

সোহানী বলেছেন: বইটি পড়িনি, পড়ার আগ্রহ থাকলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.