নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গন্তব্যহীন পথিক

শুভদেব ঘোষ

শুভদেব ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবেদন ফি নেওয়া কতটা যৌক্তিক?????

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

শূন্য পদের সংখ্যা হাতে গোনা,সেই তুলনায় চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ঢের বেশি। একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হলে প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায় পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে অনেক গুণ বেশি।আর এই সুযোগ নেন চাকরিদাতারা।
নিয়োগকর্তাদের কাছে বিষয়টা এ রকম চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁরা যাচ্ছেতাই করতেই পারেন, ব্যাংক ড্রাফট-পে-অর্ডার তো সামান্যই!
সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব চাকরির আবেদনেই পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট বাবদ গুনতে হয়
শত শত টাকা।
চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই,ইন্টারভিউ কার্ড কিংবা লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র আসবে কি না,
তারও গ্যারান্টি নেই;
অথচ তার আগেই গুনতে হয় আবেদন ফি!
আর এ টাকা নেওয়া হয় বেকারদের কাছ থেকে, যাঁদের বেশির ভাগেরই আয়ের কোনো পথ নেই।
নিয়োগকর্তারা হয়তো নিয়োগ-সংক্রান্ত খরচ
মেটানোর কথা বলবেন। নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া, উত্তরপত্র মূল্যায়ন প্রভৃতি কাজে খরচ হবে,
এটা স্বাভাবিক।
কিন্তু এ খরচ কেন একজন
বেকারের ঘাড়ে এসে পড়বে???
কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রয়োজনেই যেখানে
নতুন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়,
নিয়োগ- প্রক্রিয়ার সব ব্যয়ও বহন করা উচিত তাদের।নিয়োগ-
সংক্রান্ত ব্যয় মেটানোর জন্য বাজেটও থাকা উচিত
একটি প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠান যদি পুরোটা বহন না–ও করে, সে ক্ষেত্রে আবেদন ফি এমন হওয়া
উচিত, যাতে নিয়োগ-সংক্রান্ত ব্যয়ের অর্ধেক
বহন করবে প্রতিষ্ঠান, অর্ধেক চাকরিপ্রার্থীরা।
তাও না হলে ফি এমন সহনীয় পর্যায়ে রাখা উচিত,
যাতে নিয়োগ-সংক্রান্ত ব্যয় মিটে যায়।বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা,চাকরির আবেদন ফি নিয়োগ-সংক্রান্ত ব্যয়ের তুলনায় ঢের বেশি।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন ফির নামে ব্যাংক
ড্রাফট বা পে-অর্ডার সংগ্রহ করে রীতিমতো
ব্যবসা করে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।একবারে
চাহিদা মাফিক জনবল নিয়োগ না দিয়ে ইচ্ছা করেই বারবার বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান, এতে একই প্রার্থী একই প্রতিষ্ঠানে বারবার ব্যাংক ড্রাফট করছেন।
এমনও হচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করছে, প্রার্থীদের
বাছাইয়ের জন্য ডাকছে না। যেসব চাকরিতে
আবেদন ফি ৩০০ টাকা, সেখানে আবেদন,
আবেদনপত্র পাঠানোসহ আনুষঙ্গিক কাজে কম
করে হলেও ৫০০ টাকা খরচ হয়ে যায়।
একজন বেকার এত টাকা কোত্থেকে দেবেন?????
শুধু ফি দিয়ে কাজ সারলে বাঁচা যেত;আবেদনের
পর বাছাই পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা,ভাইভার জন্য
প্রয়োজনীয় বই কেনা, প্রস্তুতি,পরীক্ষাস্থলে যাওয়া-আসাতেও খরচ হয় প্রচুর।
টাকা না থাকায় অধিকাংশ চাকরিতে আবেদনই করতে পারেন না অনেকেই।
চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে মেধার চেয়ে টাকা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যাঁর টাকা আছে, তিনি সব
প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারছেন।
যাঁর নেই,তিনি পারছেন না। চাকরির আবেদন ফি জোটাতে টাকা
ধারের জন্যও অনেককে দ্বারস্থ হতে হয়
অন্যের।
যেসব বিজ্ঞপ্তিতে পদ বেশি থাকে, তাতেই আবেদন করেন অনেকে।
লোক কম নেওয়া হলে জেনেশুনে আবেদন ফি জলে ফেলতে নারাজ তাঁরা। এভাবেই অনেক চাকরিতে আবেদন করা হয়ে ওঠে না অনেকেরই, কেবল পকেটে প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায়।
চাকরির বিজ্ঞাপনের
মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার নামে চলে চাকরিপ্রার্থীর
টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিযোগিতা।চাকরির
আবেদনের সঙ্গে ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার ও
পোস্টাল অর্ডারের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার পদ্ধতি
বাতিল করা উচিত। এভাবে বেকারদের শোষণ করা রীতিমতো অনৈতিক। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক
অবস্থা উন্নত না হওয়ায় হয়তো বেকারদের ভাতা
দেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু তাঁদের অসহায়ত্বকে পুঁজি
করে ব্যবসা করা অমানবিক।
চাকরি হোক আর না
হোক, অন্তত সবাইকে বিনা ফিতে পরীক্ষা
দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।আর আবেদন ফি
যদি রাখতেই হয়,
তবে তা যেন
সবার গা-সহা হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

আমার আব্বা বলেছেন: দাদা বাবুর দয়া আছে ধন্যবাদ স্যার

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

আমার আব্বা বলেছেন: যেটা সম্ভব না সেটা লিখে লাভ কি স্যার

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

আমার আব্বা বলেছেন: স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষার ফির টাকা কি সরকারী কোষাগারে জমা হয়,জানা আছে আপনার । কোটি কেটি টাকা ভি.সি ,প্র-ভি.সির সকল স্যারদের পকেটে চলেযায় এসকল দেবতা স্যারদের শিক্ষা নিয়ে ব্লগার হয়েছেন।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
চাকুরীর আবেদন পত্রের সাথে ফি নেয়া একবারেই অনুচিত কাজ ।
চাকুরী দাতাদের সামর্থ আছে বলেইতো তারা লোক নিয়োগ দেয়।
যার যত সামর্থ আছে সে তত পরিমান লোকই নিয়োগ দেয় ।
আবেদন ফি না নিয়ে বরং আবেদনকারীদেরকে বেশি করে
আবেদন করার জন্য প্রনোদনামুলক কিছু অর্থ প্রদান করা
যেতে পারে ।

প্রাপ্ত আবেদন হতে সর্ট লিষ্ট করে প্রসপেকটিভ আবেদন কারীর
তালিকা তৈরী করা যেতে পারে । এতে করে তাদের নিয়োগ
প্রক্রিয়াও সহজ হবে । যারা নিয়োগের জন্য আবেদন পত্রের
সাথে ফিস চায় তাদের নিয়োগের বিয়য়ে সামর্থতা নিয়েও প্রশ্ন
জাগতে পারে ।

সরকারী প্রতিষ্ঠান সমুহকে প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো দিয়ে
তৈরী করা হয়েছে জনগনের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এ কর্ম করার তরে।
বেকার মানুষদের অভিবাবকেরা ট্যাক্স দিয়ে যাচ্চেন বিবিধ প্রকারে ।
তার পরেও জনবল নিয়োগের বিষয়ে আবেদনকারীর নিকট হতে
আবেদন ফিস কেন নিতে হবে তা জনগনকে জানাতে হবে খোলাসা করে।
জনবলের নিয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য যে সামান্য কিছু
অর্থের প্রয়োজন তা একটি বিশেষ বাজেট আকারে সরকার বরাদ্ধ
দিতে পারে , কল্যানমুলক ব্যবস্থা হিসাবে এমন বাজেট রাখা হলে
তাতে সকলেরই সন্মতি থাকবে বলে মনে পরে ।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি চাকরির অবেদনের ক্ষেত্রে উন্নত
দেশগুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে ফি লাগে না, লাগলেও নামেমাত্র।
এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় পাবলিক সার্ভিসে
আবেদনের ক্ষেত্রেও শিথীলতা আছে। দেশটিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারি
চাকরিতে জনবল নিয়োগ করে থাকে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন বাবদ ফি নেওয়া হয়
মাত্র ২৫ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ টাকার মত)। পৃথিবীতে
বাংলাদেশই সম্ভবত সরকারি চাকরির আবেদনে এত বেশি
টাকা ফি নেয়া হয় যা খুইই বিরল ঘটনা ।

তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা গেছে, আগে বিসিএসে আবেদন করতে ৫০০ টাকা
ফি লাগলেও পিএসসি ৩৬তম বিসিএস থেকে তা বাড়িয়ে সাতশ’ টাকা করে নিচ্ছে।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্র মতে, ৩৭ তম বিসিএসে
এক হাজার ২২৬ টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এই পদের বিপরীত আবেদন জমা পড়ে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ টি।
প্রতি পদে আবেদনে ফি সাতশ’ টাকা ধরে হিসাব করলে দেখা যায়,
১৭ কোটি চার লাখ ৩৩ হাজার দুইশ’ টাকা চাকরি প্রার্থীদের
পকেট কেটে বের করে নেয়া হয়েছে।

আবেদনের জন্য যোগ্যতা যতই শিথীল করা হোক না কেন
এক হাজার ২২৬ টি শূন্য পদের বাইরেতো আর নিয়োগ তারা
দিতে পারবেনা , অনেককে বাদ দিতেই হবে ।
তাই আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাকে যদি প্রথমেই অারো
কঠীন করা হত তাহলে এত বিপুল পরিমান আবেদন পত্র জমা হত
কিনা সন্দেহ । ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়াটাও আরো অনেক সহজ
ও ব্যয় সাস্রয়ী হত ।

যদিও পিএসসির কথা হল ‘মন্ত্রণালয় কশিনকে পরীক্ষার খরচের জন্য
যে টাকা দেয় তা যতসামন্য। পরীক্ষার কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করেন,
যে পরীক্ষককে দিয়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ণ করানো হয়, ভাইবা বোর্ডে
যাদেরকে নিয়ে আসা হয় তাদেরকে যথাযথ সম্মানি তারা দিতে পারেননা।
তাই কথা হল মাত্র হাজার খানেক পোষ্টের বিপরীতে এত বিশাল পরিমানের
আবেদন পত্র যেন না পড়তে পারে সে বিষয়ে কিছু ভাবনার প্রয়োজন আছে।

বিষয়টি জাতীয় সংসদে তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন অাকারে সংস্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছ
হতে জবাব দানের জন্য নীজ নীজ এলাকার সাংসদের মাধ্যমে প্রচেষ্টা
চালাতে হবে। আমি আমার এলাকার সাংসদকে বলব এ কথা,
অন্যরাও একটু চেষ্টা চালিয়ে দেখতে পারেন তাতে করে
দেশের দরিদ্র বেকারদের কিছু সহায়তা হতে পারে ।

যোগ্যতা অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে দরখাস্ত আহ্বান করার পরে
তার ভিত্তিতেই যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রনয়ন করে
তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদেরকে শুধুমাত্র মৌখিক ইন্টারভিউএর
মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে । লিখিত পরিক্ষার দরকারটা কি,
একজন মাষ্টার ডিগ্রীধারীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য ডেকে এনে
দেখতে হবে তিনি লিখতে পারেন কিনা , এটা তার জন্য
বড় একটা তামাসা ছাড়া আর কি হতে পারে ।

আর মৌখিক ইন্টার ভিউ এই ডিজিটাল যুগে টেলিফোনে
কিংবা ভিডিউ কনফারেন্সের মাধ্যমে করা যেতে পারে,
ফলে বিষয়টি সকলের জন্যই ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ী হবে
টেলিফোনে ইন্টারভিউ বা ভিডিউ কনফারেন্স এখন
রেকর্ড করে রাখা যায় অতি সহজেই । পরে নিয়োগের
বিষয়ে কোন পক্ষ পাতিত্ব কিংবা স্বজনপ্রীতি ধরা
পরেলে বিষয়টি তদন্তকালে ইন্টারভিউ এর সময়
ধারনকৃত তথ্য কাজে লাগানো যাবে ভাল করে,
এতে করে নিয়োগদাতারাও সচেতন হবে
কোন প্রকার ২ নস্বরী কাজের আগে ।।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

জনদরদী বলেছেন: ফিস অযৌক্তিকতার কি আছে সেটা বুঝি না । তবে পরিমানটা নিয়ে কথা হতে পারে ।

১৪ তম বেসকারি শিক্ষক নিবন্ধ-এর ফলাফলে দেখলাম স্কুল-এ পাস ২০(প্রায়) % আর কলেজে ৩৪ (প্রায়) । এত সহজ প্রশ্নে যদি এ অবস্থা হয় তাহলে বিসিএসে না জানি কি হয় !!! আমার মতে যে পরিমান বিসিএস দেয় তার ৬০% -এর বিসিএস দেয়া উচিত নয় ।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

শুভদেব ঘোষ বলেছেন: অনেকের মতে-
এত লিখালিখি করার সময় মানুষ
কখন পায়?????
কি হয় লিখালিখি করে????
খেয়ে-দেয়ে যাদের কাজ নাই তারাই কেবল
এ নিয়ে পড়ে থাকে।
ব্যক্তিজীবনে আসলে যারা খুব হতাশ,যারা
তেমন কিছু করতে পারছেন না তাদের
একমাত্র কাজ হলো এসে
লিখালিখি।
নাহ! গুটি-কয়েক মানুষকে বাদ দিলে
অনেকেই গঠন-মূলক যে লিখাগুলো
লিখে থাকেন বা লিখার চেষ্টা করে
যাচ্ছেন তাদের
অনেকের খেয়ে-দেয়ে অনেক কাজ থাকে।
এরপরও লিখেন,
লিখতে থাকেন এবং
লিখার জন্য অনেক পড়াশোনাও
করে থাকেন।
এমন না যে উনাদের হাতে
অনেক সময় থাকে,
উনাদের কোন ব্যক্তিগত কাজ
থাকে না বা উনারা
নিজেদের জীবন নিয়ে অসুখী।আবার এমনটিও
নয় যে উনাদের বছরের ৩৬৫ দিন লিখার মত
ইচ্ছা থাকে।
কিন্তু তারপরও লিখেন, লিখার চেষ্টা করেন।
অনেকের কাছে এটা নিজের চিন্তার
বহিঃপ্রকাশ, অনেকের কাছে
লিখালিখির হাতেখড়ি,
অনেকের কাছে প্রতিবাদের ভাষা,অনেকের
কাছে একটা প্যাশন,
একটা ভালো লিখা লিখতে
পারার আনন্দ।
খেয়ে-দেয়ে যাদের কাজ থাকে না এমন
কিছু মানুষের হাত ধরেই
৫২, ৬৯,৭১ এসেছে।
সকাল থেকে বিকাল অব্দি চাকুরী,
অর্থ-বিত্তের চিন্তা,
সুন্দর বাড়ি, গাড়ি কিংবা বৈষয়িক চিন্তা
যাদের কাছে ছিল অপ্রতুল তাদের
প্রচেষ্টাতেই ঘটে যায় বড়
কোন বিপ্লব বা নতুন কোন সূচনা পরিবর্তনের

নিজের প্রতিদিনকার কোন একটা শখকে
কিংবা ৬ ঘন্টার ঘুম থেকে ১ ঘন্টার ঘুমকে
বিয়োগ দিয়ে নতুবা নিজের ক্লান্তিপূর্ণ
পরিশ্রমকে কিছুক্ষনের জন্য সরিয়ে রেখে
লিখালিখি করে থাকেন অনেকে।
যাদের কাছে এই লিখালিখি
করা মানেই সময় নষ্ট, অর্থহীন ব্যাপার-
স্যাপার তাদের অনেককেই খুঁজে পাওয়া
যাবে নিজেদের অর্ধেক সময় ব্যয় করে
থাকেন বড় কোন শপিংমলে বা জন্মদিনের
পার্টিতে অথবা হয়তো নিজের ভবিষ্যৎ আরও
বেশী নিরাপদ করার কাজে।
অনেক কষ্টে উপার্জিত জীবিকার তাগিদে
টাকা আয় করা মানুষগুলোও মাঝে মাঝে
চেষ্টা করে থাকেন কিছু টাকা বাঁচিয়ে,
একটু আনন্দ পাওয়ার।
সবারই এমন কিছু জায়গা থাকে,
অনেকের কাছে লিখালিখি করা এমনটি
আনন্দের বা অন্যের জন্য কিছু করতে
পারা,কিছু জানাতে পারা আত্মতৃপ্তির।
যারা নিয়মিত লিখালিখি করে থাকেন
ফেসবুকে কিংবা অন্য যে কোন
মাধ্যমে কোন ধরণের লেনদেন ছাড়াই তাদের
অনেকেই কিন্তু নিজেদের প্রতিদিনকার
কাজের তালিকা থেকে তেমনি কোন একটা
প্রিয় কাজকে বাদ দিয়ে সময় বের করে
নিয়ে লিখে চলেছেন নিয়মিত। হয়তো লিখে
যাবেন আরও!
শুভকামনা তাদের সকলের জন্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.