নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবর্ত

আমি এই ব্লগের নীতিমালা মেনে আমার সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করব

সুব্রত মল্লিক

আমি একজন শিক্ষক...শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়তে লিখতে ভালোবাসি..

সুব্রত মল্লিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুমু বিতর্ক....উৎেস ফিরে আসা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৫

টিএসসির কড়া নিরাপত্তা ভেদ করে তরুণ-তরুণীর চুমু!

উপমহাদেশে হঠাৎ করে জোরেশোরে চুমু বিতর্ক শুরু হয়েছে। আবহমান কাল ধরে চলে আসা সামাজিক মূল্যবোধকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ করে বসেছে নতুন প্রজন্ম। এই চুমু বিতর্ক প্রথমে শুরু হয় ভারতে। গত বছরের শেষের দিকে ভারতের কেরালায় প্রেমিক-প্রমিকাদের হয়রানির প্রতিবাদে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে, সমাজকর্মী থেকে শুরু করে বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষকরা পর্যন্ত একত্রিত হয়ে একে অপরকে চুমু খেয়ে ভালোবাসার ক্ষেত্রে হয়রানির প্রতিবাদ করে। এর পর কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেমিক যুগলকে পুলিশ হয়রানি করলে সন্ধ্যাবেলা কয়েকশ ছেলে-মেয়ে থানার সামনে একত্রিত হয়ে একে অপরকে চুমু খেয়ে পুলিশী হয়রানির প্রতিবাদ জানায়। চুমু হয়ে ওঠে প্রতিবাদের ভাষা। সারা ভারত জুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। চুমুর পক্ষে বিপক্ষে চলতে থাকে বিভিন্ন সাওয়াল। ভারতে চুমু বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আমাদের দেশে নতুন করে শুরু হলো চুমু বিতর্ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র টিএসসিতে থার্টি ফাস্র্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে এক জোড়া তরুণ-তরুণীর প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এবং সাথে ভি চিহ্ন দেখানো ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে চারিদিকে বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিশেষত আমাদের মতো দেশে যেখানে সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ অনেকটাই প্রবল সেখানে এভাবে প্রকাশ্যে একটা প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ এবং তরুণীর প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? এটা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।

নচিকেতার সরকরি কর্মচারি গানে একটা লাইন ছিল এরকম..প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ ঘুষ খাওয়া কখনোই নয়। যাক বিতর্ক চলতে থাক। এবার আমরা একটু চুমুর ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করি। চুমুর ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে বলা যায় বিস্মিতই হলাম। এতদিন জানতাম লিপকিস পশ্চিমা সংস্কৃতি থেকে আমাদের দেশে এসেছে। কিন্তু এখন দেখি ইতিহাস অন্যরকম সাক্ষ্য দিচ্ছে!!!! চুমু ব্যাপারটি ইউরোপিয়ানরা আত্মস্থ করেছে ভারতীয়দের কাছ থেকে! বিশেষত খৃস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে আলেকজান্ডার ভারত দখল করার পর উনি উত্তর পাঞ্জাব থেকে প্রাপ্ত চুমুর সংস্কৃতি ইউরোপে নিয়ে যান এবং এই চুমু ইউরোপে ব্যাপক প্রসার লাভ করে যা এখন পশ্চিমা সংস্কৃতির এক বিশেষ অংশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রাচীন হিন্দু পুঁথিতে প্রথম চুমুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এবং চুমুর ইতিহাস প্রায় ৩৫০০ বছর পুরানো! হিন্দুদের বেদ, বৌদ্ধ মাইথোলজি এবং জৈনদের গ্রন্থে চুমুর অসি্ত্ব পরিলক্ষিত হয়। মহাভারতেও চুমুর অস্তিত্ব দেখা যায়। এমনকি বর্তমানে ইংরেজিতে প্রচলিত কিস শব্দটিরও উৎপত্তি ভারতীয় শব্দ থেকে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানী মিঃ ভন ব্রায়ান্ট জানাচ্ছেন, প্রাচীন ভারতে ব্যবহৃত “busa” or “bosa” শব্দ দুটি কিসের পরিবর্তে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে বহুল প্রচলিত ইংরেজি শব্দ “kiss” এসেছে “kus” শব্দ থেকে যা প্রাচীন উত্তর ভারেত ব্যবহৃত হত। যাই হোক এভাবে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ-তরুণীর প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া ঠিক কি ঠিক না সে বিতর্কে যাব না তবে চুমুর ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে এই উপলব্ধি হলো........ ইতিহাসের গোলকধাঁধায় চুমু কি আবার তার উৎস মুখে ফিরে আসছে!!!!!!!!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চুমু কি মসলা নাকি! যে এই উপমহাদেশেই উৎপত্তি লাভ করে জাহাজে করে ভেসে ভেসে ছড়িয়েছিল! :|| :-< :-<

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.