![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন শিক্ষক...শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়তে লিখতে ভালোবাসি..
উপমহাদেশের রাজনীতির ময়দানে হঠাৎ আলোর ঝলকানি হয়ে হাজির হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশুনা করার পর ভারতের আয়কর বিভাগে সরকারি চাকুরে হিসেবে যোগ দেয়া কেজরিওয়াল ধীরে ধীরে সমাজসেবার সাথে জড়িয়ে পড়েন। তবে তার মূল উত্থান হয় ২০১২ সালে সমাজকর্মী আন্না হাজারের নেতৃত্বে ভারতে গড়ে ওঠা দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে। আন্না হাজারের নেতৃত্বে দুর্নীতি বিরোধী লোকপাল বিল পাশ নিয়েই মূলত আন্দোলন শুরু হয় এবং এরপর কেজরিওয়াল ও তার আরো কিছু শুভাকাঙ্খী মিলে আম আদমী পার্টি গঠন করেন। যদিও আন্না হাজারের এতে সায় ছিল না। কিন্তু কেজরিওয়াল তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন এবং ২০১২ সালের দিল্লী বিধান সভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ৭০ টি সিটের মধ্যে ২৮ টি সিট লাভ করে ২য় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে কংগ্রেসের সহায়তায় সরকার গঠন করেন। সরকার গঠিত হওয়ার ৪৯ দিনের মাথায় লোকপাল বিল পাশ করাতে না পারায় হঠাৎ করে তার দল পদত্যাগ করে। হঠাৎ করে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনা ধেয়ে আসে এবং এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় লোকসভা নির্বাচনে, সে নির্বাচনে মোদি ঝড়ের সামনে আম আদমি পার্টি দাঁড়াতে পারেনি। তবে কেজরিওয়াল এবং তাঁর টিম ভুল বুঝতে পারেন এবং জনগনের কাছে হঠকারিতার জন্য ক্ষমা চান। জুলাই থেকে আম আদমি পার্টি প্রচারাণা শুরু করে। কেজরিওয়াল এবং তাঁর টিম মানুষের কাছাকাছি আসতে শুরু করেন। তারা ঘরে ঘরে প্রচারণা শুরু করেন এবং তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলতে থাকেন আগের বার ছিল দুর্বল সরকার, এবার আমাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিন আমরা আপনাদেরকে সুশাসন দিব। তবে এর মধ্যে মোদি-অমিত শাহ জুটি বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন পেছাতে থাকে এবং মোক্ষম সময় হিসেবে প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের সময়টিকে বেছে নেন। তাঁরা বারাক ওবামার ভারত সফর করিয়ে বিজেপির কূটনৈতিক শক্তি এবং মোদির সৌর্য-বীর্যের প্রদর্নন করে ভোটারদের কাছে টানতে চান।
বিজেপির নির্বাচনী কৌশল হিসেবে চারিত্রিক দৃড়তার প্রতীক হিসেবে একসময়ের কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের সহযোগী কিরণ বেদিকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান। এক্ষেত্রে মোদি-শাহ জুটির দাবার চাল উল্টে যায়। কারণ দিল্লীতে ব্যবসায়ী বৈশ্য সমাজের প্রভাব প্রতিপত্তি অনেক বেশি। এবং বিজেপির পক্ষে বৈশ্যদের মধ্য থেকে প্রার্থী হওয়ার মতো কয়েকজন ছিলেন। তাঁরা মনোনীত না হওয়ায় বিরাগভাজন হন। অপরদিকে কেজরিওয়াল নিজেই একজন বৈশ্য ফলে এদিক থেকে কেজরিওয়াল সুবিধা পেয়ে যান। অন্যদিকে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমন করে। কিন্তু কেজরিওয়াল সে পথে পা মাড়ান নি। কেজরিওয়াল ভোটারদের কাছে উন্নয়নের কথা বলেছেন, দুর্নীতি উৎখাতের কথা বলেছেন, সুশাসনের কথা বলেছেন আর নিজেকে আম আদমীর একজন সদস্য হিসেবে উপস্থাপিত করতে সচেষ্ট হয়েছেন। কেজরিওয়ালের শান্ত-সৌম্য অবয়ব এবং ধীশক্তি জনগণের মনে আস্থা জুগিয়েছে। আর তারই জের ধরে মোদি-শাহ জুটির দম্ভ গুড়িয়ে গেছে। আম আদমি পার্টি উপমহাদেশে আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। কেজরিওয়াল জয়ের পর বলেছেন, `যখন সত্যের পথে থাকবেন, দেখবেন দুনিয়ার সকল শক্তি আপনাকে সাহায্য করছে। এই জয় সত্যের এবং ন্যায়ের জয়।' জয়তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ধন্যবাদ দিল্লীর ভোটারদের। আমরা যে কবে একজন কেজরিওয়াল পাব!!!!!!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০২
সুব্রত মল্লিক বলেছেন: ধন্যবাদ, নিলু..অনুপ্রাণিত হলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪
নিলু বলেছেন: কেজরিওালার দিকে দিল্লীর জনগন ঝুকেছে ভাবাবেগ নিয়ে , সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে , তবে আপাতত আশা করছে , এর ভবিষ্যৎ কি তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে , লিখে যান