নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবর্ত

আমি এই ব্লগের নীতিমালা মেনে আমার সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করব

সুব্রত মল্লিক

আমি একজন শিক্ষক...শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়তে লিখতে ভালোবাসি..

সুব্রত মল্লিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেক্ষাপট ১৯৬৯ বনাম ২০১৬

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০


১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সশয় ডঃ শামসুজ্জোহা স্যার ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। ছাত্ররা আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করতে মিছিল নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে জড়ো হয়। পাক বাহিনী ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বলে। ছাত্ররা রাজি না হলে ক্যাপ্টেন হাদী গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। শামসুজ্জোহা স্যার ছাত্রদের রক্ষা করতে বুলেটের সামনে নিজের বুক পেতে দেন এবং শহীদ হন। প্রেক্ষাপট ২০১৬ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সিট না পেয়ে হলের বারান্দায় রাত্রিযাপনের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর মোল্লা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। এবার দেখুন এসএম হলের প্রাধ্যাক্ষ গোলাম মোহাম্মদ ভুঁইয়ার বয়ান। ‘ হাফিজুরের বারান্দায় থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নিউমোনিয়া বারান্দায় থাকলেও হতে পারে, রুমে থাকলেও হতে পারে। আর বারান্দায় তো অনেকেই থাকে। তাদের তো কিছু হয়নি। হতে পারে সে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। বাড়ি চলে গেছে এবং সেখানে মারা গেছে।’ কতটা নির্মম মানসিকতার মানুষ হলে এভাবে একটি অকাল মৃত্যু সম্পর্কে অকপটে বলা যায়! শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন মর্যাদা বৃদ্ধি নিয়ে..হায়রে মর্যাদা! মর্যাদা কি আকাশ থেকে আসে এরকম শিক্ষকদের আর যাই হোক মর্যাদার আসনে কেউ কোনদিন বসাবেনা। স্বর্গে গিয়ে হাফিজুরের সাথে ডঃ শামসুজ্জোহা স্যারের সাথে দেখা হলে হাফিজুর অকপটে বলবে স্যার ‘আপনাদের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি ছিল, আর এখন সেখানে নির্মম কসাইয়ের প্রাধান্য!’

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কতটা নির্মম মানসিকতার মানুষ হলে এভাবে একটি অকাল মৃত্যু সম্পর্কে অকপটে বলা যায়!

মর্যাদা কি সার্কুলারে হয়। এটা প্রতিদিনের আচরণ ব্যবহার, বচনে ধিরে ধিরে গড়ে ওঠে !

দুটো ভিন্ন সময়কে খুব ষংক্ষেপে সুন্দর তুলে ধরেছেন। উন্নতি কি কেবলই বড় বড় অট্রলিকায়? চকচকে গাড়িতে? ব্যাংকব্যালেন্সে?
মানবতা মানবিকতা প্রেম, মনুস্যত্ব ইনকুইবেটরে আছে!!!! তারা বাঁচলে প্রকৃত উন্নতি আসবে।

+++

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



পুরো জাতির অবস্হাই এই রকম, এরা তো ভারতীয় নন, আপনার মতোই একজন।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

মিশু মিলন বলেছেন: ‘আপনাদের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি ছিল, আর এখন সেখানে নির্মম কসাইয়ের প্রাধান্য!

একদম সত্য বলেছেন। আজকাল শ্রদ্ধা করার মতো শিক্ষকই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা.......

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নির্মম!
এদের শিক্ষক বলতেও ঘৃণা হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.