নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জমে থাকা শিশির
ঝরে পড়ে
গাল বেয়ে।
বাতাসে নেচে বেড়ানো
কনকনে শীত
স্পর্শ করে শরীরের অনাবৃত অংশ।
ফসলহীন ন্যাড়া মাঠে
ভীড় জমানো
কুয়াশা
-সাদা মেঘের দল
মাটির মায়ায়
মাটির কোলে।
পড়ে থাকা ঝরা পাতা
ফ্যাকাশে,নরম আলো
জুবুথুবু বৃক্ষ
দলছুট শালিক
কুয়াশায় মিশে থাকা বক
এক এক...
আতংক নেমে আসে কুকুরদের মাঝে
আর তারা ভুলে যায় ঘেউ ঘেউ করা,
একের পর এক ফাঁসির
লম্বা মিছিল দেখে
তাদের বোধ-বুদ্ধি পর্যন্ত লোপ পায়।
যদি মৌলবাদ না বুঝতে পারো
যদি জঙ্গীবাদ না বুঝে থাকো
তবে বেশ
বুঝে নাও...
অনেক দিন পর
তারা একসাথে।
সূর্য উদিত হয় আকাশে
আবার ডুবেও যায়।
যমুনায় বয়ে যায়
জল-
সুখের-
দুঃখের।
অনেক দিন পর।
চৈত্রের তৃষিত মাটি সম দেহ
উত্তপ্ত
তৃষ্ণার্ত।
ওষ্ঠে ওষ্ঠ
উন্নত স্তন
কোমল নাভী
জংঘা।
বৃষ্টির কাংখিত ফোঁটা।
শ্রাবণের মেঘ।
অনেক দিন পর
তারা একত্রিত
মিলন পিয়াসী দু\'টি দেহ।
অনেক দিন...
ওরা বলেছিল-আমাদের প্রয়োজন স্বাধীনতার
প্রয়োজন ধর্মটাকে রক্ষা করার
প্রয়োজন শান্তি আর গণতন্ত্রের।
আমরা জোট বাঁধলাম।
ওরা আমাদের দিয়েছিল প্রশিক্ষণ
আর প্রাণঘাতী অস্ত্র।
আমরা পেলাম স্বাধীনতা।
বিনিময়ে ওরা চাইলো আমাদের সম্পদ
এবং তাদের অস্ত্রের দাম।
এখন আমাদের গায়ে সন্ত্রাসীর...
কুয়াশা হুমড়ি খেয়ে পড়ে
সূর্য উঠার আগে
কিম্বা পরে।
কয়েক ঘন্টার জন্য
কয়েক মাসের জন্য।
বাতাসে জমে থাকা হিম
শরীরের অনাবৃত অংশে
খেলা করে।
শিশির জমে যায় চোখের পাপড়িতে
ঝরে পড়ে গালে
গায়ে
জমিতে।
ভেজা পাতা,ভেজা ঘাস,ভেজা গাছ
ভেজা পথ।
কুয়াশা নেমে আসে...
রিভিউ খারিজ।
হয়ে গেলো রায়।
সম্মুখ সমর শেষ হয়েছে অনেক আগে
তবু যুদ্ধ ছিল-নানা ফ্রন্টে।
রিভিউ খারিজ
শেষ হলো মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব।
যারা এই বাংলায় বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের
হত্যা করেছিল
কাপুরুষের মত
এবার তাদের
নাপাক দেহ ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলবে।
সাকা,আলী...
খুব সাবধানে কুয়াশা চেপে বসে
শহরের বুকে।
গাড়ির কাঁচ সাদা হয়ে আসে
ভেতরে যাত্রীর মুখ-বিবর্ণ,ঝাপসা;
এই রাতেই তাকে যেতে হবে তার গন্তব্যে।
ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যাণ্ডের নীরবতা ভেঙ্গে
গর্জে ওঠে হিনোর শক্তিশালী ইঞ্জিন-
আলো হুটোপুটি খেলে কুয়াশার সাথে।।
ক্ষণকাল পর...
দূর আকাশের পানে চেয়ে
ভাবি তারে,
সময় দূরত্বে
মা আমার হারিয়ে গিয়েছে।
কত কাছে ছিলে
আজ কতদূরে!
নীরবে,নিঃশব্দে
আমি ডাকি তারে-
বিরহী বাতাস যেমন কাঁদে
নিস্তরঙ্গ জলাশয়ের সাথে।
মা আমার ,পাও শুনতে
এই যে তোমায় ডেকে মরি-মা মা বলে।
কোন অলৌকিক...
প্রতিবার আমি যখন টিনপট্টিতে আসি
সময় আমায় পিছুটান দেয়
আমার পদক্ষেপ ধীর হয়ে যায়
মনটা ছুট দেয় ঘড়ির কাঁটার উল্টো রাস্তায়।
কড়া নাড়তাম
দরজায় হাসিমুখে তিনি
-ও মা,জামাই এসেছো
এসো,ঘরে এসো।
সময় আমায় পিছুটান দেয়
আর বলে
এইতো সেদিন
সেদিনও তো...
আমার হয়তো পাষাণ হৃদয়
তাই ফ্রান্সে যখন জঙ্গী হামলা হয়
আমার হৃদয় ব্যথিত হয়না।
আমি হয়তো অলীক জ্ঞানী-
তবে আমার জ্ঞান ভাণ্ডারের সম্পদ
মানুষের কোনই উপকারে আসেনা।
যে জ্ঞান মানুষের উপকারে আসেনা
তা থাকাও যা,না থাকাও...
হেমন্তের
সকাল যেন সকাল নয়
যেন কোন এক চিত্রশিল্পীর ক্যানভাস
যেখানে খোঁজ করলে,মিলে যায়
স্থির জালাশয়
ভালবাসায় আচ্ছন্ন
ফসলের ক্ষেত
স্থির কুয়াশা
দূরদিগন্ত-ঝাপসা।
এর মাঝেই ছুটে আসে দোয়েল
শিস দিতে দিতে।
ফিঙ্গেদ্বয় চুপচাপ
যেন সৃষ্টির অপেক্ষায়,
স্থির দাঁড়িয়ে থাকা কানিবক,ঝরে পড়া শিউলি,
পানকৌড়ি,
ভেজা...
সে আসবে জানি
সহস্র শতাব্দী পার হয়ে
মহাকর্ষের শক্তি পাশ কাটিয়ে
অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাব এড়িয়ে।
সে আসবে জানি
আহ্নিক গতি
বার্ষিক গতি
ছন্দে ফিরিয়ে আনতে।
সে আসবে সবুজ শ্যামল ফসলের ক্ষেতে
হেমন্তের জ্যোৎস্নায় ডুবে যেতে
সোনা আলোয় ফসলের পরিপক্ক হেলানো...
বিষণ্ণ কিম্বা নিঃসঙ্গ
এক ফিঙ্গে
একাকী, নিরব;
শালিকের শোরগোল
ব্যাস্ত
একদল।
বিকেলের সোনা রোদ
পরম আবেগে
পরশ বুলায়
পরিপক্ক ধানের শীষের গায়।
মাঠের পর মাঠ-কৃষকের অপেক্ষায় দন্ডায়মান
ফসল।
কৃষকের হাসি?-অকৃত্রিম
আর,চাতালের মালিকের চতুর হাসির
অপেক্ষায়
আগামীদিন।
১২/১১/২০১৫
আকাশের নীচে
ধর্মালয়টি ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল
আর,শেষ বিকেলের রোদ
তার গায়ে খেলা করছিল,
আমি এবং আমার সাথি তাই দেখছিলাম, বসে বসে।
সে বলা শুরু করলো-চারপাশে যা কিছু সবই মায়া;
মৃত্যুর পরে যে জগত তাই আসল
আমি যদি...
©somewhere in net ltd.