নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নীল বসনের মেয়েটি
নীলাম্বরী;
চলে যায় পাশ দিয়ে
প্রতিদিন
যখন বন্ধ হয় তার কলেজ।
দুপুর বেলায়
আমি দাঁড়িয়ে রই পথের পাশে
তাকে দেখার আশায়।
নীল বসনের মেয়েটি
বেণী দোলায়
দোলায় আমার হৃদয়
ঠিক দুপুর দু\'টায়।
আড় চোখে চায়
উন্নত গ্রীবায়
অদ্ভুদ ভঙ্গিমায়।
আমিও চাই।তবে-ঈশ্বরের পানে
ভক্ত...
বালকের ছিল কোন তাড়া
ছুট দিল কেন তবে
ফুলতলা ছেড়ে
-বালিকারে ফেলে একা;
তাই বুঝি ঝরে ফুল হয়ে মনভোলা।
বালিকা বুঝিবে সে কথা?
বুঝিবে বালকের হৃদয় গাঁথা?
লজ্জা বুঝি দিল ডাক
হাত বাড়িয়ে
তাই কী ছুটিল বালক
ফুলতলা হতে।
কতবার ঝরিল...
আমারও নেশা ছিল
তুমিও-ছিলে নেশার ঘোরে
তাই চোখে চোখ
উত্তাপ ছিল ছোঁয়াতে।
এ কেমন আগুন
যাতে পোড়েনা কিছু
পোড়ে শুধু মন।
আগুনের উত্তাপ ছিল বাতাসে?
তোমার ওষ্ঠে,নাকি শরীরে?
সুর ছিল কী-বেজেছিল কোথাও
হৃৎপিণ্ডের ধক ধক শব্দে।
ছোঁয়াতে ছিল কী তাপ
কেন উঠছিলে...
স্নায়ুতন্ত্রের একপ্রান্ত হতে অপরপ্রান্তে
ছুটে চলে উত্তেজনা
আর বেড়ে চলে
হৃৎস্পন্দন।
তপ্ত শ্বাস খুঁজে পেতে চায়
উত্তপ্ত ধরিত্রী।
ভেজা ঠোঁট খুঁজে নেয়
একজোড়া লালাসিক্ত ওষ্ঠ।
আর ঠিক সেই ক্ষণে
মস্তিষ্কের মাঝে;সময়ের ভগ্নাংশ
তৈরী করে স্বর্গীয় উদ্যান।
একটি সুন্দর চুম্বনের জন্য অপেক্ষা...
আমার হাত যখন স্পর্শ করে
তোমার শরীর
তখন বুঝে নিও, এটা শুধুই স্পর্শ নয়
তোমাকে আমন্ত্রণ জানায়
রমণে।
আমার হাত যখন স্পর্শ করে
তোমার স্তনবৃন্তে
তখন চেয়ে দেখি কী সুন্দরভাবে
পাপড়ি মেলে পুষ্প যেন সচেষ্ট- স্বাগত জানাতে
ভ্রমরকে।
আমার ওষ্ঠ...
সেদিনের সেই তুফানসময় মাঝে
কী খুঁজেছিলে তুমি,আমার দুঠোঁটের ফাঁকে?
বলেছিলে-সিগারেট খেলেই তো পারো
কত জনেই তো খায়
মাঝে মধ্যে টান দিয়ে দেখো।
ঝড়ের পরে সিক্ত দেহ নিয়ে
মিষ্টি হেসে বললাম আমি
-কেন চাও মৃত্যুর কর্কশ হাতছানি?
তুমি বেশ...
যখন রুপান্তরিত হয়
-আচমকা
-অথবা পরিকল্পিতভাবে;
তারপর চলে যায়
দৃষ্টি শক্তির বাহিরে
অথবা শ্রবণ শক্তির বাহিরে
অথবা বাস্তব ব্যাখ্যার বাহিরে
এরপর,শূণ্য
মহাশূণ্য।
আঁধার হতে আঁধারে
আলোক রশ্মি পেরিয়ে
সমস্ত অনুভূতির বাহিরে।
বাস্তবতার সাথে কী সম্পর্ক তার?
আমার সামনে দাঁড়িয়ে ঈশ্বর---
৩১/১২/২০১৫
পুরানো বর্ষপঞ্জির ধূলিময় পাতা- ধূসর,মলিন।
ঝকঝকে বর্ষপঞ্জির পাতায়
আটকে থাকে জীবন।
অতীত জীবনের কোলাহল মুখ লুকায় সময়ের গর্ভে
আগামী জীবন অপেক্ষায়রত
সময়ের অসীম সম্ভবনায়।
সময়ের সীমান্তে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে।
৩১/১২/২০১৫
শুক্রবার
ধর্মপ্রাণ মানুষের
আনাগোনা।
বিস্ফোরণ
আর্তনাদ
রক্তস্রোতে মিশে যায় এবাদত।
ধর্ম প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য?
একদল উন্মাদ
পৃথিবীর বুকে রোপণ করে
বিষবৃক্ষ।
মুনাফায় ভেসে যায়
বিবেকবান মানুষের বিবেক
রাষ্ট্রযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে পুতুল সরকার।
২৬/১২/২০১৫
অত্যন্ত সাধারণ একটি গল্প
যেমন তোমরা শুনে থাকো
-আত্মঘাতী বোমা হামলায়
একুশজন নিহত
পনেরো জন আহত।
কেমন করে আচ্ছন্ন হয়
তাদের চিন্তাশক্তি,তাদের মন।
একজন জলজ্যান্ত মানুষ-সে আবার জীবন্ত
বোমা
-ঘুরছে,ফিরছে পৃথিবীর বুকে
নির্দেশ পেলেই নির্ধারিত স্থানে
উড়িয়ে দেবে নিজেকে।
হায়!
কত প্রাণের অযথা...
এক মাকড়সা জাল বুনে
বিভ্রান্তির জাল বুনে,ধীরে ধীরে।
অতীত হতে কুড়িয়ে আনে
বিভ্রান্তি;আর বুনতে থাকে।
মাকড়াসার জাল আমরা চিনি
অতিসূক্ষ্ম,অতি মিহি,
ধুলো বা শিশির পড়লে দেখতে পাই তারে।
যেমনটি দেখা যায় ধানের ক্ষেতের পাশে
চলার সময়ে।
অথবা নির্জন বাড়িতে...
যারা ছিল আদর্শ নিয়ে
যারা কথা বলতো তত্ত্ব নিয়ে
যারা কথা বলতো বিপ্লব নিয়ে
যারা স্বপ্ন দেখাতো শোষণহীন সমাজের
হৃদয়ের আয়নায় তাদের প্রতিবিম্ব আজ উল্টো
-আদর্শহীন
-তত্ত্বহীন
-আমিত্বের অহংকারে পরিপূর্ণ।
যারা চলতো তাদের হাত ধরে
যারা ভাবতো উনারা এসেছেন
আমাদের...
কনকনে ঠান্ডা পথ ভুল করে
শহীদের সংখ্যা বিতর্কের জের ধরে।
রঙিলার রঙ মাখা মুখে
সন্ত্রাসের জলছাপ।
সমাজের গহীন আঁধারে
জঙ্গীদের নিঃশব্দ পদচারণা।
শিরশিরে ভয় নেমে যায়
শিরদাঁড়া বেয়ে।
সবুজের মাঝে লাল
রক্তের দামে কেনা পতাকা।
২৪/১২/২০১৫
আশ্চর্য হয়ে যাই তার বক্তব্য শুনে।
পরদিন লাল হরফে পত্রিকার পাতায় ভেসে
ওঠে
-"পাকি কন্ঠস্বর"।
শীতের সকালে
ফসলের মাঠ যেমন কুয়াশায় আচ্ছন্ন
ঠিক তেমন আচ্ছন্ন
পাকিস্থানপ্রেমী বেজন্মা বাঙালীর হৃদয়।
যারা ত্রিশ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে
এখন বিতর্ক করে,
আর বিতর্ক...
ইতিহাসের রয়েছে অসংখ্য দরজা।
অনেকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে লুকোচুরী খেলে
সেই দরজায়।
প্রতিটি অতীতকে খোদাই করে রাখা হয়
সময়ের বুকে।
প্রেতাত্মা খেলা করে পোড়া হৃদয়ে।
একাত্তরে স্বাধীন হওয়া এই দেশে
আজও অনেকের হৃদয় জুড়ে
পাকিস্থানী প্রেতাত্মার বসবাস।
বাংলাদেশ শব্দটি শহীদের...
©somewhere in net ltd.