নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একবার
আমার এই হাতে রাখো তোমার হাত-
করতলের মাঝে করতল;
রাখো হাত
এই নীল আকাশের নীচে,
এই বকুল গাছকে সাক্ষী মেনে।
অনুভব করছো কী
পৃথিবীর সব ভালবাসা?
না এমন নয়
যারা আছে বসে
আমাদের চারপাশে
জড়াজড়ি করে
শরীরী উত্তাপ মেখে।
আমার হাতে রাখো...
তুমি সেই রুপকথার রাজকুমার
পৃথিবীর বুকে বাঙালি হিসেবে করিয়েছো পরিচয়
আমাদের।
তুমি সেই নেতা
ঘাম,জল,পলিমাটি দিয়ে গড়া।
তুমি সেই নেতা
যে কিনা নীতিহীন নেতৃত্বের ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে
পেয়েছো জনগণের ভালবাসা।
তুমি সেই কিংবদন্তি
যে কিনা মৃত্যুর পরে
আবার এসেছো ফিরে
এই প্রিয়...
অনশন?-খাবেনা তুমি?তাতে কী
নল আছেনা?-ঢেলে দেয় খাবার-
নাক দিয়ে পেটের ভেতর।একবার,
দু\'বার-নাক দিয়ে রক্তের স্রোত-
নাকের ভেতর থকথকে ক্ষত।
তোমার পণ ছিল লৌহকঠিন
আর ছিলে আপসহীন-
হয় মুক্তি
কিম্বা মৃত্যু।
না খেয়ে দিনের পর দিন
মৃত্যু এগিয়ে আসে চতুর পদক্ষেপে
তুমি...
সে যে লাশই হোক না কেন
একদিন মিশে যাবে
সবুজ প্রান্তরে
গলে পচে
কিম্বা ছাই হয়ে।
পেট্রোল বোমায় দগ্ধ লাশ,
হালের চাপাতির এলো পাথারি
কোপানোর ফলে মাটিতে পড়ে থাকা লাশ
কিম্বা আরও পিছিয়ে
হাত-পায়ের রগকাটা লাশ-সারিবদ্ধ হয়
প্রতিবাদ করে-হত্যার বিচার...
আমাদের দিনগুলিতে ব্যবসা ছিল
জম-জমাট।তবে ব্যবসা হতো হাওয়ার
উপর।এর জন্য হাট বসাতে হতো
না।প্রয়োজন ছিলনা দোকান খোলার।
রমারমা ব্যবসা চলতো বাংলাদেশে।
পণ্য ছিল হরেক রকম।
যে যেটা বেচতে চায়-লাভক্ষতি
নির্ভর করতো ব্যবসায়ির গৃহিত
কৌশলের উপর।
কেউ বেচতো ধর্ম-কেউ চেতনা-
কেউ...
এখানে সবাই দর্শক,কিম্বা সবাই খেলোয়াড়
এই খেলা? অতীব চমৎকার-
হা হা হা-
চমৎকার,চমৎকার।
এসো খেলি- দোষারোপ দোষারোপ খেলা,
তুমি;আমি-আমরা সকলে মিলে।
চাপাতির এক কোপে
আমার মুন্ডু ধর হতে আলাদা হয়ে যায়
আর সে সময়
মুন্ডু দোষারোপ করে ধরকে,ধর মুন্ডুকে।
এ...
তুমি যেন রুপকথার ওই রাজহংস,যে
কিনা জল হতে দুধকে করে আলাদা।কিম্বা
রুপকথার জিয়ন কাঠি-যার
যাদুময় স্পর্শে ঘুম ভেঙ্গেছিল ঘুমিয়ে থাকা জাতির।
বাংলার মুসলিম
বাংলার হিন্দু
বাংলার বৌদ্ধ
বাংলার খৃস্টান-দলে দলে
এলো,এক পতাকা তলে,তোমার
মোহন বাঁশীর সুরে।
তুমি ছিলে মানুষ এবং...
বাইগার নদীর জল,দিয়েছিল
তোমায় প্রশ্রয়;তাই যখন তখন
তুমি ডুবে যেতে বাইগারের জলে।
আপন মনে কী ভাবতে, আকাশের পানে চেয়ে?
দোয়েলের শিস অথবা বর্ষার মেঠো
কাদা,সারা অঙ্গে;বাংলা মাতার সকল স্নেহ
তুমি কী একেলা পেতে?
মাতার স্নেহ,সবুজের মায়া,তোমায়
শিখিয়েছিল উদার...
এই মাটির নরম অস্থি থেকে
তৈরী হয়েছো তুমি।তাই তোমার
শরীরে বাংলা মায়ের ঘ্রাণ।
এই জল-জঙ্গলে বেড়ে উঠেছো
বাংলার দামাল ছেলে তুমি।
মা অন্ত প্রাণ।মায়ের দুঃখে
কাঁদে তোমার প্রাণ।তাই যৌবন
বিলিয়ে দিলে শাসকের কারাগারে।
শাসকের লাল চোখ-কে ডরায়?
মায়ের খোকা-...
হায়,কাল কেউটে কী হামাগুড়ি দেয়
না কী দু\'পায়ে দৌড়ায়-
তবে ঘরের ভেতর বাসা বেঁধেছিল।
কাল কেউটের দল
সযত্নে লালিত পালিত হচ্ছিল
সবার অলক্ষ্যে?
বুকটা তার বিশাল ছিল
কত বড়-
ছত্রিশ,না বিয়াল্লিশ?
এতো ছোট?
না তার বুকটা ছিল
আকাশের মতই বিশাল
তাইতো ছোট্ট...
গাঁয়েরও স্বর আছে
শুনতে কী চাও?
তবে ভরা হাটে একবার তুমি যাও।
গাঁয়েরও রঙ আছে
দেখতে কী চাও?
তবে ভরা ফসলের মাঠে
একবার যাও।
গাঁয়েরও ঘ্রাণ আছে
পেতে চাও
শিশির ভেজা পায়ে
শিউলি তলায় যাও।
গাঁয়েরও মায়া আছে
ওই সাঁঝের মতন
যার টানে...
রতন খুব বিরক্ত হয়।বিরক্ত না হবার কোন কারণ নেই।
রোজ রোজ একই ঘটনা।দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জামা পড়া
শুরু করলে চন্দন দৌড়ে আসবে ।বাপের সাথে সেও দোকান
যাবে।আর না নিতে চাইলেই প্রথমে খুন খুন...
দুটি যন্ত্রের দানবীয় সংঘর্ষে
অনেক স্বপ্নের করুণ পরিসমাপ্তি ঘটে।
শোকের বাড়ির কান্না
সে তো পরিবর্তনহীন
বেদনায় নীল।
ধোঁয়াটে কুয়াশার ন্যায় সড়ক দুর্ঘটনা
হারিয়ে যায় স্মৃতির পাতা হতে।
শোক সে তো জীবিতদের তাড়িয়ে মারে।
©somewhere in net ltd.