নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুকান্ত কুমার সাহা

I like to seek knowledge.

সুকান্ত কুমার সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

লালফোন ও আমাদের ভ্রান্তিঃ

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

লালফোন সম্বন্ধে যতটুকু আমি জানি আর বুঝি, তা হল- একটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সর্বদা চালু একটা রাষ্ট্রীয় ফোন সিস্টেম এটা। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ সরাসরি নিজেরদের মধ্যে আদান প্রদান কৃত বার্তা গোপন রাখার কাজে বা নিজেদের আলোচনা যাতে ম্যানুপুলেট না হয় বা শত্রু দেশের হাতে না পড়ে- সেবিষয়ে খেয়াল রেখেই এটা ব্যবহার করে থাকেন। এটাই সরকারী নিয়ম বিশ্বজুড়ে। এমনকি এই ফোনে বিশ্ব নেতারা একে অপরের সাথে সরাসরি কথা বলেন। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বব্যপি বা পারস্পরিক কয়েকটা যুদ্ধও এড়ানো গেছে।



আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা/নেত্রীর পদ দুটিই বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ। তারা যদি মনে করেন, তাদের কোন বিষয়ে সরাসরি কথা বলা উচিত। সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য এই মাধ্যমটাকেই বেছে নেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। আবার এটা তাদের প্রটোকলিক দায়িত্বও বটে।



টেলিফোন সম্পর্কে আমার যতটুকু ধারণা, আর তা হল- এটাতে কল করা হলে, এটা রেসপন্স করছে কিনা তা অপর পাশ থেকে অবশ্যই বোঝা যাবে এবং রিং হলে কলকারী অবশ্যই রিংটোন শুনতে পাবে। যদি ফোনের রিসিভার তোলা থাকে বা লাইন কাটা থাকে তাও বোঝা যাবে। এর কোন ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যদি আমরা টেকনোলজিকে বিশ্বাস করি। আর লাল ফোনের ক্ষেত্রে বিষয়টা তো আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বদা পরীক্ষিত থাকে এটা।



এই লালফোনে আধা ঘণ্টা ধরে কল করা হচ্ছে মানে অপরদিকে রিং হচ্ছে এবং সেই রিংটোন কেউ শুনছে না বা বুঝতে পারছে না- তা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এটা বিরোধীদলীয় নেতার বাসা। আর এখনে তার সরকারী-বেসরকারি স্টাফরা সবসময় থাকেন। আবার লাইন ডিসকানেক্ট বা ফোন রেসপন্স করছে না জেনেও আধঘণ্টা ধরে লোক দেখানোর জন্য লাল ফোনে ফোন করা হচ্ছে এটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ এটাও প্রধানমন্ত্রীর অফিস আর এখানেও আছে পর্যাপ্ত সরকারী–বেসরকারি স্টাফ এবং সবকিছু রেকর্ডেড থাকে এখানে।



তাহলে সমস্যা কোথায়? কোন একপক্ষ থেকে আমরা সম্ভবত এই বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা পেয়েছি।



২৭/১০/২০১৩

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ভাই , ফোন দিসে , কথা হইছে । কাহিনী শেষ । এখন দোয়া করেন মারামারি কাটাকাটি ছাড়াই যেন একটা সমাধান বের হয় আলোচনা থেকে ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: হলে তো ভাল হত !! কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক তো এখনো চলছে !!!
ধন্যবাদ !!!

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

অরিয়ন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী কাওকে ফোন করার পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হবেন ফোনের অপর প্রান্তে কাংখিত ব্যাক্তি প্রস্তুত কিনা, এটাই স্বভাবিক। তানাকরে তিনি নাটক সাজিয়েছেন এবং মিডিয়াতে প্রচার করে বিএনপি নেত্রীকে হেয় করার অপচেষ্টা করেছেন, যা এখন সবার কাছে পরিস্কার। এরকম নিচু মানষিকতার পরিচয় তিনি না দিলে ভাল করতেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: অপরটিও তো হতে পারে !!!
সবাই তো জানতো ফোন আসবে !!!
ধন্যবাদ!

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাটকটা সবাই বোঝে। এতে তিনি আরো নীচে চলে গেলেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: কে যে আসলে কি করলো বোঝা মুশকিল !!!
ধন্যবাদ!

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

সাদা পাখি বলেছেন: খালেদা এখন জামাতের চামচা। জামাত কোন ভাবেই দু নেত্রীর আপস মেনে নিতে পারছে না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আমরা শান্তি চাই !!! আলোচনা চাই !!!
ধন্যবাদ !!!

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রেড টেলিফোন" একটা হট লাইন।
আতিব জরুরি ফোন। রেড টেলিফোনের যে কোন ক্রুটি সমাধানের জন্য সরকারের টেলিফোন সংস্থা BTCL এর একটি বিভাগ রয়েছে যারা ২৪ ঘন্টাই রেডি থাকে। রেড টেলিফোনের একচেঞ্জে কোন ক্রুটি ছিল বলে মনে হয় না, কারন রিং হচ্ছিল। এর মানে সেটটিতেই ত্রুটি ছিল। সাধারনত ল্যান্ডফোনে সেটের কেবল খুলে রাখলেও অপর প্রান্তে রিং হচ্ছে বলে টোন পাওয়া যায়।
যাই হোক গতকালই সবাই জানে রেড ফোনে কল করা হবে। এরপরও বিরোধী নেত্রী ও তার অকর্মন্য দায়িত্ত্বজ্ঞানহীন স্ট্যাফরা ফোন সেটটি চেক করার প্রয়োজন মনে করে নি।

সামান্য একটা ফোন রিসিভ করার যোগ্যতা রাখেনা, এরা আবার দেশ চালাবে!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: হ্যাঁ এটা হট লাইন। তাই রিং না হওয়ার কোন কারণ ছিল না !!!
ধন্যবাদ !!!

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

স্বাধীকার বলেছেন:
ব্যাপক গবেষণার বিষয় অবতারণা করেছেন, কিন্তু আপনার লবন মানসম্মত নয়।

খালেদা জিয়ার ফোন যে ডেড থাকবে সেটা তো বুঝাই যায়। তিনি সেই টেলিফোন যাতে ব্যবহার করতে না পারেন, সেই দৃশ্য আমরা দেখেছি যখন তাকে বাড়ী ছাড়া করা হয়। তখন কোথায় ছিলো আপনাদের এসব পান্তামার্কা যুক্তি? তখন সরকার থেকে কেবল রেড টেলিফোন বন্ধ করা হয়নি, মোবাইল কানেকশন পর্যন্ত জ্যামার ব্যাবহার করে বন্ধ করা হয়েছিলো, যাতে তিনি কোনো নেতাকর্মী বা সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলতে পারেন, সাংবাদিকরা যাতে সেখানের দরজা ভাঙ্গা কিংবা সাজানো নাটকটি সম্পর্কে কোনো প্রমান না রাখতে পারে। সরকারী প্রযোজনায় কেবল বিশিষ্ট ভাদা সাংবাদিক হারামী শ্যামল দত্তকে সেখানে ক্যামেরা দিয়ে পাঠানো হয়েছিলো, যাতে খালেদা জিয়ার চরিত্রহনন করা যায়। শুয়োরলীগের পক্ষে এটা অতি সাধারণ যে, খালেদা জিয়ার ফোনটি ডেড করে দেওয়া হয়েছে বহু আগেই হয়তো।

আম্লীগ সন্ধ্যায় মোবাইলে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের ফটোতোলার জন্য রাখতে পারলে দুপুরে ফোন করার দৃশ্যটি দেখানোর ইচ্ছা হয়নি কেন? তাহলে আমরা বুঝতে পারতাম সত্যটা কি? দুপুরে করেনি, কারন তখন সাংবাদিকরা নিশ্চয় ফোনটির প্রকৃত অবস্থা জানতো। রাতে টিভিতে দেখেছি খালেদা জিয়ার ফোনটি যে ডেড-তা সাংবাদিকদের দিয়ে ফোন করিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে-এর পরও বাকশালী প্রচারণা চলছে। মিথ্যাচার আম্লীগের ১০টাকার চাল,ঘরে ঘরে চাকুরী কিংবা সৌদি বাদশার কেবল হাসিনার সাথে দেখা করার মতোই।

নাটক করতে গিয়ে ধরা খাওয়া আম্লী-গের ছুপা হিসাবে আপনাকে বেশী বেশী আয়োডিন খাওয়ার অনুরোধ করছি। নুন্যতম কমনসেন্স থাকলে আপনি বুঝতেন যে, প্রধানমন্ত্রী ফোন করবে-আর সেখানে সাংবাদিক রাখবেনা আম্লীগ- যারা কিনা ঢাকার বিলবোর্ড দখলকারী মিথ্যাপ্রচারনায় চ্যাম্পিয়ন। মির্জা ফকরুল কথা বলেছেন তখনো সাংবাদিকদের সেখানে থেকে সেটা প্রচার করতে দেখেছি। আর বার বার লাল টেলিফোনে চেষ্টা করলো আম্লীগ, কিন্তু সাংবাদিক থাকলো না-এটা পৃথিবীর ১০ম আশ্চার্যের বিষয়। নাটকের পরিচালক সবাই হতে পারেনা, তাই ট্রলিবয় কর্তৃক পরিচালিত নাটক সবাই বুঝে ফেলে। আপনিও সহজেই ধরতে পারতেন, কিন্তু ঐ যে বললাম লবন খাওয়ার কথা, সেটা মানসম্মত হলে ঠিকই বুঝতেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: স্বাধিকার নিকের সাথে কিন্তু কমেন্টের মিল নেই !!! আমি কোন কছুই লুকোয়নি !!!

আপনাকে ধন্যবাদ!
আসুন আমরা সবাই সত্য জানি !!!

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:






২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ!
আসুন আমরা সবাই সত্য জানি !!!

৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: অবশেষে এটার সমাধান হল !
Click This Link

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

স্বাধীকার বলেছেন: সুকান্ত দা,

আমি যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকি, সরি আছি।

দেখলেন তো কিভাবে আম্লীগ মিথ্যাচার করে, শেষে এভাবে ধরা খেলো। বিগত পাচঁটি বছর এভাবেই আম্লীগ মিথ্যাচার করেছে। বার বার বলার পরও প্রধানমন্ত্রী বলছেন তিনি রিং করছেন এবং রিংটোন শুনছেন-সেখানেই কিন্তু খালেদা জিয়া বলছেন কিভাবে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন।

টেলিফোন সংক্রান্ত সার কথা হলোঃ
আলোচনা নয়, কেবল হরতাল প্রত্যাহারের জন্যই প্রধানমন্ত্রী ফোনটি করেছিলেন। কিন্তু চালাকি করতে গিয়েও সফল হননি। প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিবেন আলোচনার জন্য, কিন্তু তিনি বারবার হরতালকেই প্রধান্য দিয়েছেন। তারপরও এই টেলিসংলাপকে ইতিবাচক হিসাবে দেখতে চাই, গণতন্ত্রের স্বার্থে।

---------সাধারণ বিষয় গুলো একটু চিন্তা করলেই নিজেই যেখানে উত্তরপান, সেখানে আপনাদের মতো যুক্তিবাদী ব্লগার যখন বুঝতে চায়না, তখন হতাশ হই, ভাবি তাহলে কি আমরা যুক্তি আশা করবো হেফাজতিদের কাছ থেকে? আপনার একটা পছন্দ থাকতে পারে, আমারো থাকতে পারে-কিন্তু সত্যকে আপনিও ভালবাসেন, আমি ভালবাসি। আসুন সত্যকেই নিয়েই আমরা একমত হই। টেলিফোনের বিষয়টি এভাবেই মিথ্যাচার হবে-সেটা আমি বুঝেছিলাম, কিন্তু আপনারা কেবল দলীয় চিন্তায় এরকম পোস্ট দিয়েছিলেন কেবল খালেদা জিয়াকে ছোট করতে! কিন্তু দেখুন আমরা কিন্তু পোস্ট দিইনি, কারণ এটার চাইতে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন, টেলিফোন ডেড নিয়েই ক্যাচাঁলে থাকলে আলোচনার কি হবে?

ভালো থাকবেন, আপনার জন্য শুভ কামনা।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ !!!
সত্য প্রকাশিত হোক সবসময় !!!
সত্য ও মিথ্যা'র লড়াইয়ে মিথ্যা পরাজিত হোক !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.