নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুক্লা

শুকলা দাস

আমি শুক্লা।এটা আমার আসল নাম না।তবে এখানে আমি এ নামেই পরিচিত হতে চাই।আমি একটি সরকারি ভারসিটিতে পড়ি।আমি গান শুনতে ভালবাসি।

শুকলা দাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক মহীয়সী বঙ্গজননী

২৭ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮

***উৎসর্গ সকল বাঙালি মা দেরকে।



এই গল্প একজন মায়ের একজন নারীর,কিংবা শুধু নারী নয় মহীয়সী নারী।

অন্য দশজন বাঙালি মায়ের মতই মায়াময় তিনি কিংবা কে জানে হয়তো একটু বেশিই।আপন সন্তানকে তিনি আগলে রেখেছেন সকল কিছু থেকে অপর মাতৃমমতায়।তা রাখবেনই তো-ভেবে চটে উঠবেন হয়তো অনেকে।বলবেন মা ছেলেকে দেখলে কে দেখবে।তারপর ও তিনি আলাদা।তিনি আলাদা সকল মা দের চেয়ে।বয়সের তুলনায় একটু তাড়াতাড়ি ই বিয়ে হয়েছিল তার।কিন্তু যে বয়সে বিধবা হলেন তাকে অতি তাড়াতাড়ি বললেও বুঝানো যাবে না।তার সংসার জীবনের যখন শুরু হই হই তার নতুন জীবনের স্বপ্ন গুলো যখন ডানা মেলতে শুরু করেছে,তার কোল আলোকিত করে যখন প্রথম সন্তান এসেছে,তখন -হ্যা ঠিক তখনই ঝড়ের তান্ডবে বদলে গেল সব।বদলে গেল তার পৃথিবী বদলে গেল তার স্বপ্ন।ঘটনাটা একটু সিনেমাটিক।কিন্তু যার জন্য সত্য তার বড়ই কষ্ট।তার বাড়িতে ডাকাত এল এবং তাদএর অকস্মাৎ গুলিতে প্রান হারালেন তার স্বামী।কতই বয়স তার তখন।অন্য কেউ হয়তো বিয়ে করে আবার নতুন করে গড়ার স্বপ্ন দেখত।কিন্তু তিনি করে গেলেন সংগ্রাম।তার ছেলের মুখের দিকে চেয়ে কিংবা তার মাঝে যার ছায়া সেই নিষ্পাপ সন্তানের স্বর্গীয় পিতার স্মৃতিকে ধরে।একটি স্কুলের মাস্টারি করে সারাদিন ছেলেপেলেদের সাথে ক্যা ক্যা করেও বাড়ি এসে সন্তানকে দিয়ে গেলেন সময়।ভাইদের সহায়তা তিনি পেয়েছেন বটে কিন্তু নিজের ছেলেকে তিনি গড়েছেন সকল পঙ্কিলতার উর্ধে রেখে।স্কুলে গিয়ে গিয়ে স্যারদের কাছে ভিক্ষা চাইলেন বিশেষ কেয়ার।তার সংগ্রাম বৃথা যায়নি।তিরিশ বছরের সাধনায় ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন।ছেলের বৌ নিয়ে তার সুখ যখন আবার উকি দিতে শুরু করেছে তখনই ছেলে চলে গেল উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে।তার এক নাতনীর জন্ম হলো বিদেশে।তার ছেলে নেমেছে নিজেকে আরো উচুতে নিয়ে যাবার সংগ্রামে।আর তিনি এখনো সে মাস্টারি আর ছেলে নাতনীদের ছবি দেখে কাটান আর অপেক্ষা করেন তার ছেলের পথ চেয়ে...........



মহীয়সী এই মায়ের জন্য রইল হাজারো বাঙালি সন্তানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য।সালাম তোমায় বাঙালি জননী।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:১১

মানব মানিক বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এই মহীয়সী মা কে।

শ্রদ্ধা জানাচ্ছি তাঁর সংগ্রামের...

২৭ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮

শুকলা দাস বলেছেন: হুম।এমন জননীদের কোন স্বীকৃতি দেয়া যায় কি?

২| ২৭ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:১৫

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: Click This Link

২৭ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:১৯

শুকলা দাস বলেছেন: আগেই পড়েছি আপনার লেখাটা।পোস্টের অনেক পরে পড়েছি বলে মন্তব্য করিনি।আপনার লেখাটা আরো প্রনবন্ত।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৩০

মানব মানিক বলেছেন: আসলে আমার ছোট্ট মাথাতে বেশী কিছু আসে না । আর লোক দেখানো স্বীকৃতিতে আমি বিশ্বাস করি না। মনের শান্তিটাই আসল ....মাকে যদি মাথার ওপর রাখা যায় এর চেয়ে আর বড় কি হতে পারে ?

ধন্যবাদ শুকলা ।
শুভেচ্ছা রইলো । ভালো লাগলো আপনার লেখা।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৪০

শুকলা দাস বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০৬

কালপুরুষ বলেছেন: সেই মায়ের জন্য মন থেকে শুভ কামনা রইলো। সত্ত্বর যেন তিনি তার সন্তানের দেখা পান। তাঁর মমতা ও আদর যেন সন্তানকে স্পর্শ করে। ভাল থাকুন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫

শুকলা দাস বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:১৬

কিংশুক০০৭ বলেছেন: হাজারো শ্রদ্ধা এই মহীয়সী মায়ের পায়ের নীচে ।

৩১ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:১০

শুকলা দাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:০১

shapon বলেছেন: দিদি এই ঘটনাগুলো আমার মনে হয় কোন এক কারনে সেই ছেলে বনবাসে আছে রামচন্দ্রের মতো।আমার মাঝে মধ্যেই মনে হয় এমন কিছু কারণে আমরা সবাই মমতাময়ী মাকে ছেড়ে দুরে অনেক দুরে আছি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৬

শুকলা দাস বলেছেন: সুন্দর উপলব্দ্ধি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.