![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
John G. Cramer সিয়াটলে University of Washington এর ফিজিক্সের প্রফেসর এমিরেটাস। প্রায় দশ বছর আগে, কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ডে যখন WMAP ডেটা এভেইলেবল হল তখন তিনি বিগ ব্যাং এর শব্দ তৈরির জন্য ম্যাথমেটিকাল ক্যালকুলেশন করেন। তিনি এটা নিয়ে Analog Science Fiction/Fact Magazine এ কলাম লেখন এবং অনলাইনে প্রকাশ করেন যা অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তিনি এরপর CMB (Cosmic Microwave Background) এর উপর ESA এর প্ল্যাংক মিশন এনালাইসিস এর ডেটা সংগ্রহ করেন যেখানে এংগুলার ফ্রিকোয়েন্সি কম্পোনেন্টে বা মাল্টিপোলে CMB এর টেম্পারেচার ভেরিয়েশন এনালাইজ করা হয়েছিল। এই নতুন ফ্রিকোয়েন্সি স্পেক্ট্রাম WMAP এনালাইসিস এর চেয়েও বেশি ফ্রিকোয়েন্সির ছিল। আর তাই এটা বিগ ব্যাং এর আরও ভাল সাউন্ড দেয়। প্লাংক মাল্টিপল স্পেকট্রামটি চিত্রের মত দেখতে। এই ডেটাগুলো থেকে তিনি একটি সিমুলেশন তৈরি করেন।
বিগব্যাং এর সাউন্ড এর সিমুলেশনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এফেক্ট আছে। সেগুলো হল:
১। প্ল্যাংকের মাল্টিপ্লাই পিকড ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রামকে একটি সিংগল সাউন্ড ওয়েভে পরিণত করা হয়েছে। এটা মনরাল, স্টেরিও নয়।
২। প্লাং এনালাইসিস অনুসারে, কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের এমিশন এর পিক ছিল 379,000 বছরে এবং এই পিক এমিশন টাইমের 110,000 বছর আগে ও পরে এর ৬০ শতাংশ ইন্টেনসিটি হারিয়ে ফেলে। সিমুলেশনটিতে ইউনিভার্স এর ইভোল্যুশনের প্রথম 760,000 বছর এর শব্দ দেখানো শোনানো হয় যেখানে সাউন্ডের ইন্টেন্সিটির হ্রাস বৃদ্ধি বোঝা যায়।
৩। ইউনিভার্স প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে অনেকটা ব্রাস ইন্সট্রুমেন্টের মত হচ্ছিল যখন কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন এমিটেড হচ্ছিল। অন্য কথায় বললে, এক্সপেন্ডিং ইউনিভার্স সাউন্ড এর ওয়েভলেংথকে প্রসারিত করছিল আর তার ফলে তার ফ্রিকোয়েন্সি বা কম্পাঙ্ক কমে যাচ্ছিল। এই এফেক্টের জন্য প্রগ্রামটি ইউনিভার্স এর প্রথম ৭৬০ হাজার বছরের এক্সপেনশন ফলো করতে ফ্রিকুয়েন্সিকে সেই অনুযায়ী ধীরে ধীরে কমিয়েছে।
ইউনিভার্স কত দ্রুত এক্সপেন্ড করবে এটা নির্ভর করে কসমোলজিকাল মডেলের উপর। Cramer সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি জিরো কসমোলজিকাল কনস্ট্যান্ট এর flat-space Robertson-Walker metric ব্যবহার করবেন। এই মডেল অনুসারে সময়ের 2/3 পাওয়ার এর সমানুপাতে ইউনিভার্স এর ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পায় (R ~ t2/3)। তাই কসমোলজিকাল ডপলার শিফট ইমপ্লিমেন্টিং এর জন্য সাইন ওয়েভ কম্পোনেন্ট (frequency * time) অনুযায়ী ভ্যারি না করে (frequency * time1/3) অনুযায়ী ভ্যারি করেছে। সিমুলেশনের সাউন্ড ফ্রিকোয়েন্সিকে অবশ্যই একটি বড় ফ্যাক্টর দিয়ে (১ এর পর ২৬টি শূন্য) উপরের দিকে স্কেলিং করা হয়েছে যাতে তা মানুষের কানে শোনার উপযোগী হয়। কারণ সত্যিকারের বিগব্যাং ফ্রিকোয়েন্সির ওয়েভলেংথ ইউনিভার্স এর সাইজের ফ্র্যাকশনের অর্ডারের। যার কারণে এর ফ্রিকোয়েন্সি মানুষের শ্রাব্যতার সীমার অনেক নিচে।
নিচের ভিডিওটিতে তার সেই সিমুলেশনটি দেয়া হয়েছে যেখানে বিগব্যাং হবার পরের ৭৬০ হাজার বছরের সাউন্ডকে ১ মিনিটেরও কম সময়ে শোনা যাবে।
https://www.youtube.com/watch?v=GJyJ8Xjllzk&feature=youtu.be
এছাড়া Cramer নিজেও ২০, ৫০, ১০০, ২০০ ও ৫০০ সেকেন্ডের .wmv ফাইল তৈরি করেছেন। ওগুলোও দেয়া হল:
http://faculty.washington.edu/jcramer/BigBang/Planck_2013/BBSnd20.wav
http://faculty.washington.edu/jcramer/BigBang/Planck_2013/BBSnd50.wav
http://faculty.washington.edu/jcramer/BigBang/Planck_2013/BBSnd100.wav
http://faculty.washington.edu/jcramer/BigBang/Planck_2013/BBSnd200.wav
http://faculty.washington.edu/jcramer/BigBang/Planck_2013/BBSnd500.wav
http://faculty.washington.edu/jcramer/BBSound_2013.html
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬
স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: সংক্ষেপে লিখতে গিয়ে এই অবস্থা। পরের বার থেকে আপনার উপদেশ স্মরণে রাখব। অনেক ধন্যবাদ।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত ,
বোঝা গেলনা মোটেও । এটা পোষ্টগ্রাজুয়েট লেভেলের ছাত্রদের জন্যে হয়েছে ।
আরণ্যক রাখাল ঠিক বলেছেন ।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮
আমি সোহান !! বলেছেন: বুঝলাম না ভাই আর সহজবোধ্য করে লেখা উচিৎ ছিল ।
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮
দরবেশমুসাফির বলেছেন: এটা খুব মজার বিষয় সন্দেহ নেই। কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকে জায়ঃ
১। Cramer সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি জিরো কসমোলজিকাল কনস্ট্যান্ট এর flat-space Robertson-Walker metric ব্যবহার করবেন।
flat-space Robertson-Walker metric এ কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট ০ ধরা হয়েছে দেখেই বিষয়টি এতটা সহজে করা গেছে বলে আমার মনে হয়। কেননা ০< Λ হলে সাধারনত ক্যালকুলেশন জটিল হয়ে যায়। ১৯৯০ সালের পর থেকেই কিন্তু
Λ= ০ কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাই flat-space Robertson-Walker metric কে এখন আর আগের মত একুরেট ধরা হয় না।
২। সিমুলেশনের সাউন্ড ফ্রিকোয়েন্সিকে অবশ্যই একটি বড় ফ্যাক্টর দিয়ে (১ এর পর ২৬টি শূন্য) উপরের দিকে স্কেলিং করা হয়েছে যাতে তা মানুষের কানে শোনার উপযোগী হয়। কারণ সত্যিকারের বিগব্যাং ফ্রিকোয়েন্সির ওয়েভলেংথ ইউনিভার্স এর সাইজের ফ্র্যাকশনের অর্ডারের। যার কারণে এর ফ্রিকোয়েন্সি মানুষের শ্রাব্যতার সীমার অনেক নিচে।
এই তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আসল সাউন্ড ওয়েভটা মানুষ একচুয়ালি শুনতে পারছে না।
তাই আমার মনে হয় এটা আসলে এসট্যাবলিশড ফ্যাক্ট না। জাস্ট ফান ফ্যাক্ট। সেক্ষেত্রে লেখক "বিগ ব্যাঙ্গের শব্দ" শিরোনাম ব্যবহার না করে "বিগ ব্যাঙ্গের সিমুলেটেড শব্দ" শিরোনাম হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো করতেন মনে হয়।
তারপরও খুবই ইন্টারেস্টিং।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বিগব্যাং বেশ মজাদার একটা টপিক। পড়তে মজাই লাগে এইটা।
তবে আপনার লেখা বেশি কঠিন হয়ে গেছে। আরো ডিটেইলসে ভাল করে বুঝিয়ে বললে ভাল হত। এইটা সম্পর্কে যারা কম জানে, তারাও আগ্রহ নিয়ে জানতে পারতো।
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
জেন রসি বলেছেন: এ ব্যাপারে জানার আগ্রহ আছে। ধন্যবাদ, শেয়ার করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কী বুঝলাম চিন্তা করছি! আরেকটু সহজ ভাষায় লিখুন না| সায়েন্সের ছাত্র হয়েও বুঝিনি, বাকিদের কী হবে ভাবুন| এমনভাবে লেখা উচিৎ যাতে অন্তত ফিফটি পার্সেন্ট পাঠক বুঝতে পারে