নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীতে পানি এলো কোথা থেকে?

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫



University of Hawaii এর গবেষকরা পৃথিবীর পানির অরিজিন খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবী করছেন। অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীগণ পৃথিবীতে পানি পৃথিবীর ফরমেশনের সময় থেকে ছিল নাকি কোন ধূমকেতু বা এস্টারয়েড পরে এই গ্রহে পানিকে নিয়ে এসেছে এ বিষয়ে অনিশ্চিত ছিলেন।

ক্যানাডার Baffin Island এর পাথর এনালাইসিস করে গবেষকগণ কিছু বিশ্বাসযোগ্য এভিডেন্স প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছেন যা নেটিভ ওয়াটার হাইপোথিসিজ এর সপক্ষে যায়। পাথরগুলো সরাসরি ম্যান্টল (ক্রাস্টের নিচের ও আউটার কোরের উপরের অংশ) থেকে এসেছে। আর তারা ক্রাস্টের (পৃথিবীর আউটার লেয়ার, ম্যান্টেলের উপরে অবস্থিত) কোন মেটারিয়াল দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয় নি। এই পাথরগুলোতে গবেষকগণ পানির ছোট ড্রপলেটে ট্র্যাপড থাকা গ্লাস ক্রিস্টাল খুঁজে পেয়েছেন। আর এই পানির কম্পোজিশন পৃথিবীতে আজকের পানির কম্পোজিশন একই।

পানি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন নিয়ে গঠিত। হাইড্রোজেনকে ৩টি ফর্মে পাওয়া যায় যাদের আইসোটোপ বলে। এগুলো হল নরমাল হাইড্রোজেন, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম। পানি অক্সিজেন ও ডিউটেরিয়াম দিয়ে তৈরি হলে একে ভারি পানি বা হেভি ওয়াটার বলে।

সোলার সিস্টেমের বিভিন্ন বস্তুর কম্পোজিশন নিয়ে স্টাডি করে রিসার্চাররা আবিষ্কার করেন সেই বস্তুগুলোর প্রত্যেকেরই স্বতন্ত্র নরমাল ওয়াটার- হেভি ওয়াটার রেশিও আছে। ধুমকেতুতে হেভি ওয়াটার-নরমাল ওয়াটার রেশিও অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি।

রিসার্চাররা কমেট বা এস্টারয়েড থিওরি একেবারে বাতিল করে দিচ্ছে না। কিন্তু তারা বলছেন, কিভাবে আমরা আমাদের ওশিন পেলাম এটা ব্যাখ্যা করতে সেই থিওরিগুলো প্রয়োজনীয় না।

গবেষণাটির লিড অথর Dr. Lydia Hallis বলেছেন, "আমরা পৃথিবীর ফরমেশনের পর কোন কমেট বা এস্টারয়েড দ্বারা পৃথিবীরে পানি আসার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না কিন্তু আমাদের ডেটাগুলো সাজেস্ট করে যে, পৃথিবীর ফরমেশনের একেবারে শুরু থেকেই এতে পানি ছিল। তাই পরবর্তীতে ওশিন বা মহাসাগর তৈরির জন্য বাইরে থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পানির কোন প্রয়োজন নেই। আমরা বলতে পারি, আমরা ডিপ ম্যান্টল থেকে যে পানি মেজার করেছি তার কমেট বা এস্টারয়েড দ্বারা পৃথিবীতে আসা প্রায়ই অসম্ভব কারণ কারণ ধুমকেতু বা এস্টারয়েড এত শক্তিশালী হতে পারবে না যে তারা পৃথিবীতে এত দূরত্ব ভেদ করে ডিপ ম্যান্টল অব্দি পৌঁছে যায়। আর পূর্বের রিপোর্ট করা ডেটা বলে যে, সেই পাথরগুলো প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর ধরে কোন কিছু দ্বারা ডিস্টার্বড হয় নি।"

Science এ পাবলিশড হওয়া এই গবেষণাটি আমাদের সোলার সিস্টেম বা সৌরজগতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু দেয়। Dr. Hallis বলেন, "আমাদের গবেষণা সাজেস্ট করে যে পাথুরে বস্তুগুলো পানি নিয়ে গঠিত হয়। আর তাই এরকম অনেক বস্তুই ওয়াটার রিচ হবে বলে আমরা আশা করতে পারি (যেমন আমরা মঙ্গল, চাঁদ ও এস্টারয়েডগুলোতে এটার জন্য নতুন ইমেজ ও ডেটা খুঁজছি।) এই গবেষণাটি দেখায় যে এস্টারয়েড ও কমেটের গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল রিটার্ন মিশনগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ থেকে আমরা তাদের কেমিস্ট্রি স্টাডি করতে পারব ও তারা কখন গঠিত হয়েছে নির্ণয় করতে পারব।"

http://www.sciencemag.org/lookup/doi/10.1126/science.aac4834

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


নতুন কিছু বললেন?
গ্রহের বাহির থেকে কমেটে ফমেটে করে পানি এসেছিল, কোন বোকা বলেছিল?

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: পৃথিবীতে পানি বাইরে থেকে আসতে পারে এই সম্ভাবনা সহজে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এটা নিয়ে অনেক থিওরি আছে। নিশ্চিন্ত হবার জন্য আরও অনেক গবেষণা ও সময় দরকার।

https://en.wikipedia.org/wiki/Origin_of_water_on_Earth

এটা বলায় বোকামির কি আছে বুঝলাম না।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: চাঁদগাজী যা বললেন সেটাই !

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দারুন জিনিস জানা হল।অনুসরনে নিলাম।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৪| ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:১৭

নিয়েল হিমু বলেছেন: পৃথিবীতে বাহির থেকে পানি আসার সম্ভাবনা একদম কম । নাই বল্লেই চলে কারন পদার্থের মৌলিক উপাদানই সব কিছুর মূলে রয়েছে । যেমন এই ব্লগেই কত লক্ষ তথ্য থাকে বাংলায় লেখা কিন্তু মুলে রয়েছে বাংলা ৪৯টি বর্ণমালা তেমন পদার্থের মুলে রয়েছে মৌলিক উপাদান । আর পানি গঠিত হয়েছে দুটি মৌলো নিয়ে অক্সিজেন ও হাইড্রজেন এগুলো পৃথিবীতে ছিলোই । সময়ের ব্যবধানে হাইড্রজেন এবং অক্সিজেন কাছাকাছি এসেছে তৈরি করেছে জলিয়োবাষ্প, জলিয়বাষ্প বিবর্তনের ফলে এসেছে মেঘ , মেঘ বিবর্তিত হয়ে নেমে এসেছে বৃষ্টিতে, যা ঘটেছে প্রথম প্রাণ প্রটোপ্লাজম তৈরী হবারও প্রায় ১০০কোটি বছর আগে ।
এখন প্রশ্ন যদি করেন যে পানিই যেখানে ছিলোনা সেখানে জলিয়োবাষ্প এলো কিভাবে ? তাহলে বলব একটু বিস্তারিত ভাবে "...তখন পৃথিবী উত্তপ্ত ছিলো মৌলিক উপাদান গুলো পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে বের হচ্ছে কেবল মাত্র, এর মধ্যে কার্বনের সংখ্যা বেশী প্রতিটি নতুন কার্বন কণাকে জায়গা দিতে হাইড্রজেন এবং অক্সিজেন কণাকে কাছা-কাছি আসতে হচ্ছে, এভাবে কাছে আসতে আসতে এখন জলিয়বাষ্পের কণা গুলো যত দুরে-দুরে থাকে ততটা দুরে-দুরে চলে এলো, তখন তারা রূপ নিলো জলিয়বাষ্পের তার পর হঠাত্‍ মেঘ বা বৃষ্টির জন্ম দিয়ে দিলো না । এর জন্যও ধাপে-ধাপে সময় নিলো দীর্ঘ্য-দীর্ঘ্য ।

আমার ধারনাটুকু লিখলাম । বৈজ্ঞানিক ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা প্রার্থি । তবেকি আমার ধারনাটা কিন্তু গবেষক দের গবেষণার ঐ অংশটাকে সাপোর্ট করে যেখানে বলা হয়েছে পানি পৃথিবীতে কসমিক সময় থেকেই ছিলো । তবে অন্য রূপে(আমার বিশ্বাস)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.