নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন আবিষ্কৃত প্রাচীন নক্ষত্রগুলো খুলে দেবে পূর্বের মহাবিশ্বে সম্পর্কে জানার দরজা

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩



এস্ট্রোনোমারদের একটি ইন্টারন্যাশনাল টিম সম্প্রতি মিল্কিওয়ের কিছু প্রাচীনতম নক্ষত্র আবিষ্কার করেছে। তারা একেবারে প্রথম দিকের মহাবিশ্বের অনেক এলিমেন্ট সম্পর্কেও জানতে সক্ষম হয়েছেন।


এই নক্ষত্রগুলো সেকেন্ড জেনারেশন নক্ষত্রের অংশ। এগুলো মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে আবিষ্কৃত হয়েছে। বিগব্যাং এর পর ২০০ মিলিয়ন বছর পর এদের জীবনের শুরু হয়েছিল। গবেষকরা মনে করেন Nature জার্নালে প্রকাশিত তাদের এই গবেষণাটি মহাবিশ্বের খুবই প্রথম দিকের নক্ষত্রের জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে আমাদের নির্দেশনা দেবে।


প্রথম দিকের নক্ষত্রগুলো ছিল বিশাল আকৃতির। এদের ভর ছিল আমাদের সূর্যের চেয়ে ভরে ১০০০ গুণ বেশি। ধারণা করা হয়, এরা যখন তাদের জীবনের অন্তিমকালে চলে যায় তখন এরা হাইপারনোভা এক্সপ্লোশনে বিষ্ফোরিত হয়। যা আমাদের আজকের দেখা সুপারনোভা এর চেয়ে ১০গুণ বেশি শক্তিশালী। প্রথম জেনারেশনের নক্ষত্রগুলোকে এখন পর্যন্ত সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয় নি। কিন্তু এস্ট্রোনোমাররা আশা করছেন ২০১৮ সালে James Webb Space Telescope (JWST) কাজ শুরু করলে তারা সেগুলোকে দেখতে পারবেন।


সেকেন্ড জেনারেশনের নক্ষত্রগুলো মেতাল-পুওর (metal-poor) হয়। অর্থাৎ এদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন থাকে কিন্তু খুবই সামান্য পরিমাণে ভারি এলিমেন্ট (মেটাল বা ধাতু বোঝানো হচ্ছে) থাকে। কোন স্টারে যত বেশি মেটাল থাকে তা তত দ্রুত গঠিত হয় এবং তত ছোট হয়।


বিগব্যাং এর পর, মহাবিশ্ব কেবল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম নিয়ে গঠিত হয়েছিল। একারণেই ফার্স্ট জেনারেশন স্টারগুলো এত বড় ছিল। আমাদের শরীরের কার্বন, বাতাসের অক্সিজেন সহ মহাবিশ্বে পাওয়া যাওয়া সকল ভারি এলিমেন্ট তৈরি হয়েছে নক্ষত্রের প্রথম দুটি জেনারেশনের স্টারগুলোর দ্বারা।


এই আবিষ্কারটি এত সহজে হয় নি। মিল্কিওয়েতে মিলিয়ন মিলিয়ন নক্ষত্র রয়েছে। আর তাই দলটিকে এই কঠিন কাজটি সহজে করার জন্য একটি স্ট্র্যাটেজি এপলাই করতে হয়েছে।


যেহেতু মেটাল-পুওর স্টারগুলো অন্যান্য নক্ষত্রদের থেকে একটু বেশি নীলচে হয়, তাই রিসার্চারগণ অস্ট্রেলিয়া এর ANU SkyMapper telescope দ্বারা ১৪০০০ টি প্রমিসিং স্টার নির্বাচন করে নেন। পরবর্তীতে এদের থেকে মাত্র ২৩টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের দ্বারা আরও বেশি ডিটেইলে স্টাডি করা হয়।


Cambridge’s Institute of Astronomy এর গবেষক এবং গবেষণাটির কো-অথর Dr Andrew Casey বলেন, "আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে প্রচুর নক্ষত্র রয়েছে। সেখান থেকে এই রেয়ার নক্ষত্রগুলোকে খুঁজে বের করা খড়ের গাদায় সুঁই খোঁজার মতই কুব কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা সঠিক পদ্ধতিতেই এই নক্ষত্রগুলোকে নির্বাচন করেছি। এটা অনেকটা সমস্ত খড়ের গাদাকে পুড়িয়ে দিয়ে ম্যাগুনেটের সাহায্যে সুঁই বের করে নিয়ে আসার মতই কাজ।"


প্রথম দিকের নক্ষত্রগুলো থেকে যে এলিমেন্টগুলো বের হয় তা একটি কেমিকেল সিগনেচার হিসেবে কাজ করে যা এখনও নক্ষত্রগুলতে বিদ্যমান।


Casey বলেন, "এই গবেষণাটি নিশ্চিন্ত করে যে, আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে প্রাচীন নক্ষত্র আছে। এই নক্ষত্রগুলোতে ইমপ্রিন্টেডঃ থাকা কেমিকেল সিগনেচারগুলো আমাদের মহাবিশ্বের সেই সময় সম্পর্কে বলে যেখানে আর যাওয়া সম্ভব না। সম্ভবত মহাবিশ্ব আগে এখনকার চেয়ে অনেক অন্যরকম ছিল। কিন্তু কতটুকু ভিন্ন ছিল এটা জানতে আমাদের আরও বড় খড়ের গাদায় আরও সুঁই খুজতে হবে।"

http://www.nature.com/nature/journal/vaop/ncurrent/full/nature15747.html

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো নিউজ :)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: পড়লাম, কিন্তু বুঝলাম কম। আরেকটু ডিটেইলস হলে ভালো হত।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: ধন্যবাদ। রেফারেন্স লিংকে ডিটেইলস পাবেন।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। :)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

দরবেশমুসাফির বলেছেন: অসাধারন। মহাবিশ্বের অরিজিন নিয়ে নতুন কোন তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: মহাবিশ্বের অরিজিন না, প্রাচীন মহাবিশ্বের পরিবেশ। ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ভালো তথ্য ।যদিও বুঝতে একটু হিমিশিম খেতে হচ্ছে ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: একসময় খুব জানতে ইচ্ছে করতো এই বিষয়ে ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: এখন আর ইচ্ছা নেই?

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মহাবিশ্বের রহস্য জানার আরেকটি উপায় পাওয়া গেল নাকি?

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: একটা ইতিহাস জানার উপায় জানা গেল আর কি

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

সামিদুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগলো। এ বিষয়ে আমার আগে থেকেই জানার আগ্রহ ছিল। ধন্য বাদ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.