নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদার্থবিজ্ঞানীরা বলছেন সাম্প্রতিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তুরস্ক ও রাশিয়া উভয়ই মিথ্যাবাদী

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬



সম্প্রতি রাশিয়ান মিলিটারি জেটের টারকিশ ফোর্স দ্বারা সিরিয়া ও তুরস্কের বর্ডারের আশেপাশে কোথাও ভূমিস্যাৎ হবার পর তুরস্ক ও রাশিয়া দুই দেশ দুরকম কথা বলছে। বেলজিয়ান ইউনিভার্সিটি KU Leuven এর দুজন জ্যোতির্পদার্থবিদ নিউটোনিয়ান মেকানিক্স ব্যবহার করে দেখিয়েছেন যে দু দেশের কারোর কথাই সঠিক নয়।

তুরস্ক বলছে, বিমানটি ১৭ সেকেন্ড তাদের এয়ার স্পেসে ছিল এবং ৫ মিনিটে ১০টি ওয়ার্নিং উপেক্ষা করেছে। এদিকে রাশিয়া বলেছে বিমানটিকে সিরিয়ান এয়ারস্পেসে শুট করা হয়েছে আর এটা কখনই তুরস্কের এয়ারস্পেসে যায় নি। বেলজিয়ান গবেষকদ্বয় ঠিক করলেন তারা ভিডিও ফুটেজ দেখে বের করবেন যে ঠিক কারা সত্য কথা বলছে।

যখন জেটটিকে প্রথম আঘাত করা হল, এটা ভূমির দিকে পতিত হতে শুরু করে। ৩০ সেকেন্ড ধরে পড়ার পর এটা পাহাড়ের গায়ে আঘাত করে। পাইলটটি বিমান আঘাতপ্রাপ্ত হবার সাথে সাথে কনট্রোল হারিয়ে ফেলে এটা ধরে নিলে বিমানটির নিচের দিকের গতি শুধুমাত্র অভিকর্ষজ ত্বরণ বা গ্রাভিটেশনাল একসিলারেশনের উপর নির্ভরশীল। এই একসিলারেশন এর ব্যাকট্র্যাকিং করে তারা হিসাব করলেন প্লেনটি আঘাত পাবার সময় ৪,৫০০ মিটার উপরে উড়ছিল। এটা তুরস্কের কথার সাথে মোটামুটিভাবে মিলে যায়।



তুরস্কের দাবী অনুযায়ী বিমানটি ক্র্যাশ সাইটের ৮ কিলোমিটার দূরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। যদি তাই হয় তবে বিমানটির আদিবেগ থাকার কথা ঘণ্টায় ৯৮০ কিলোমিটার। তুরস্কের অফিশিয়ালরা বলেন তুরস্কের এয়ারস্পেসে ১৭ সেকেন্ড ধরে ২ কিলোমিটার ভ্রমণ করে। কিন্তু যদি বিমানটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৮০ কিলোমিটার হয় তবে এই ২ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে বিমানটির মাত্র ৭ সেকেন্ডের মত লাগার কথা।

আবার বিমানটি যদি এই গতিবেগ নিয়ে চলে তবে ৫ সেকেন্ডে তাদের ৮০ কিলোমিটার ভ্রমণ করার কথা। এই বিস্তৃত পথে জেটটিকে ১০টি ওয়ার্নিং দেয়া বলা যায় প্রায় অসম্ভব। আবার এই ওয়ার্নিংগুলোর সব কটা ৭ সেকেন্ডে ফিট করতে পারে না। সুতরাং তুরস্কের দেয়া হিসাবে একটা বড়সড় গোলমাল দেখা যাচ্ছে।

এবার রাশিয়ার কথায় আসা যাক। রাশিয়া বলছে যে এটা তুরস্কের এয়ারস্পেস ভায়োলেট করেনি কারণ এটা মিসাইল দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হবার পর ৯০ ডিগ্রী ঘুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু হিসাব করলে দেখা যায় মিসাইল দ্বারা আঘাত পাবার পর ৯০ ডিগ্রী ঘুরতে হলে মিসাইলটিকে আরও কয়েকগুণ বেশি ভারি হতে হত। তাই ধরে নেয়াই যায় যে, জেটটি তুরস্কের এয়ারস্পেসকে এভয়েড করার চেষ্টা করে নি।

সুতরাং বিজ্ঞান বলছে, তুরস্ক ও রাশিয়া উভয়েই কিছুটা করে মিথ্যা বলছে।

http://motherboard.vice.com/en_uk/read/belgian-physicists-calculate-that-everyone-is-lying-about-the-downed-russian-jet

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: একে অপরকে দোষ দেওয়ার জন্য মিথ্যার আশ্রয় কমবেশি সবাই নিতে চায়।

এই হিসেব অনুযায়ী, মিথ্যার ভারটা তুরস্কের দিকে বেশি।

ভবিষ্যতে হয়তো আর তথ্য পাওয়া যাবে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:

তুরক্ক ভয়ংকর ভুল করেছে, মানুষকে বিপদের মাঝে টেনে নিয়েছে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিজ্ঞানি কেন গোয়েন্দা? :-B

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: গোয়েন্দাগিরিতে বিজ্ঞানীদের কোন তুলনাই হয়না। সমস্যা হল এরা রিসার্চেই বেশি ইন্টারেস্টেড :D

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বিজ্ঞানী আবার কারও দ্বারা প্রভাবিত হইছে কিনা সেইটার আবার দেখা গেলো কোন একসময় তদন্ত করে সত্য মিথ্যা যাচাই করা হইলো। ;)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: তুরস্কের হিসাবটা আপনি নিজে হাতে কলমে করেও দেখতে পারেন। আর জেটের ভর জেনে ওই স্পিড নিয়ে ৯০ ডিগ্রী ঘোরা সম্ভব কিনা এটাও বলে দেয়া যায়। যাই হোক, পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

মাকড়সাঁ বলেছেন: ইন্টারেস্টিং

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

চলতি নিয়ম বলেছেন: তাইলে সত্য টা কি ?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: আপাতত তাদের কথায় যে গরমিল আছে সেটাই বের করা গেছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দুই পক্ষই যে ভুলভাল ভুজংভাজংয়ে চলছে সেটাই দেখায়ে দিসে..... হাঃ হাঃ

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: :D :D

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: ইন্টারেস্টিং

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পাইলটটি বিমান আঘাতপ্রাপ্ত হবার সাথে সাথে কনট্রোল হারিয়ে ফেলে এটা ধরে নিলে বিমানটির নিচের দিকের গতি শুধুমাত্র অভিকর্ষজ ত্বরণ বা গ্রাভিটেশনাল একসিলারেশনের উপর নির্ভরশীল।

সত্য না, কারন জেট ইঞ্জিন কি বন্ধ হয়ে যায়? মিসাইলের আঘাতে সাধারনত কন্ট্রোল সারফেসের ক্ষতি হয়, তাই নিয়ন্ত্রন থাকে না। কিন্তু ইঞ্জিন চালু থাকলে জেট এক্সজস্ট কোনদিকে মুখ করে আছে তার উপর পতনের গতি নির্ভর করবে।



রস্কের দাবী অনুযায়ী বিমানটি ক্র্যাশ সাইটের ৮ কিলোমিটার দূরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। যদি তাই হয় তবে বিমানটির আদিবেগ থাকার কথা ঘণ্টায় ৯৮০ কিলোমিটার। তুরস্কের অফিশিয়ালরা বলেন তুরস্কের এয়ারস্পেসে ১৭ সেকেন্ড ধরে ২ কিলোমিটার ভ্রমণ করে। কিন্তু যদি বিমানটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৮০ কিলোমিটার হয় তবে এই ২ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে বিমানটির মাত্র ৭ সেকেন্ডের মত লাগার কথা।

আবার বিমানটি যদি এই গতিবেগ নিয়ে চলে তবে ৫ সেকেন্ডে তাদের ৮০ কিলোমিটার ভ্রমণ করার কথা। এই বিস্তৃত পথে জেটটিকে ১০টি ওয়ার্নিং দেয়া বলা যায় প্রায় অসম্ভব। আবার এই ওয়ার্নিংগুলোর সব কটা ৭ সেকেন্ডে ফিট করতে পারে না। সুতরাং তুরস্কের দেয়া হিসাবে একটা বড়সড় গোলমাল দেখা যাচ্ছে।

৯৮০ কিমি গতিতে ২ কিলোর মত ভ্রমন করার কথা, হিসেব করে দেখেন। আর এয়ার ডিফেন্সের মুলনীতি অনুসারে রাডারে গতিপথ বুঝে যাবার সাথে সাথেই নিজেদের সীমায় পৌছাবার আগেই ওয়ার্নিইং দেয়া শুরু হয় যাতে এয়ারস্পেস ভায়োলেট না করা হয়। ওয়ার্নিং দেবার ব্যাপারে তুরস্ক সম্ভবত ভুল বলছে না।

এবার রাশিয়ার কথায় আসা যাক। রাশিয়া বলছে যে এটা তুরস্কের এয়ারস্পেস ভায়োলেট করেনি কারণ এটা মিসাইল দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হবার পর ৯০ ডিগ্রী ঘুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু হিসাব করলে দেখা যায় মিসাইল দ্বারা আঘাত পাবার পর ৯০ ডিগ্রী ঘুড়তে হলে তাকে আরও কয়েকগুণ বেশি ভারি হতে হত। আর ভূমি থেকে নিক্ষিপ্ত মিসাইল এর আঘাতে কখনই এই বিমানটির এরকম হবার কথা নয়। তাই ধরে নেয়াই যায় যে, জেটটি তুরস্কের এয়ারস্পেসকে এভয়েড করার চেষ্টা করে নি।

মিসাইলের নিজের একটা ভর বেগ থাকে। ইমপ্যাক্টের পর বিমান ঘুরে যেতেই পারে। গ্রাউন্ড টু এয়ার মিসাইলে কখনোই এমন হবার কথা নয় এই বক্তব্য সত্যি না। কোথায় আঘাত করছে তার উপরও নির্ভর করবে কতটুকু ঘুরবে।"


রাশিয়ার কাছেও তথ্য থাকবার কথা। আমার মনে হয় তুরস্কই মিথ্যা বলছে। আঘাতটা পরিকল্পিত, ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিয়েছে। সম্ভবত আমেরিকার ইশারায়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: ৯৮০ কিমি গতিতে ১৭ সেকেন্ড গেলে ৪.৬৩ কিলোমিটার আসছে।

মিসাইলের ভরবেগ আছে, বিমানটিও ঘুরেছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছে বিমানটির ৯০ ডিগ্রী পর্যন্ত এর ভরবেগ যতটুকু হওয়া দরকার এর ততটা ছিল না। এর চেয়ে কম ছিল।

পাইলটের কনট্রোল হারাবার ঘটনা উচ্চতা নির্ণয়ের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তুরস্কের দাবীর সাথে অসংগতি নেই।

বিমানের উপর আঘাত পরিকল্পিত হতে পারে। কিন্তু হঠাৎ করে আসা বিমানে সঙ্গেসঙ্গে আঘাত করা হবে কিনা সে ব্যাপারে আমেরিকা ইশারা করবে কিভাবে? তুরস্ক আর আমেরিকার মধ্যে ভাল সম্পর্ক আছে কিন্তু সম্ভবত সব সময় তুরস্ক আমেরিকার সব কথা সব সময় মানে না। আমি যতদূর জানি আইসিস জঙ্গি তুরস্কের এক জায়গায় বোমা হামলার আগ পর্যন্ত এরডোগান আমেরিকার বিমানবাহিনী তুরস্কের এয়ারস্পেসে ওড়ার অনুমতি ছিল না, যা তারা অনেক আগে থেকেই চেয়ে আসছিল... কি জানি...

যাই হোক, পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পদার্থ বিজ্ঞান দিয়ে যারা এরো ডাইনামিক্স বুঝতে যাবে তাদের ভাই আমি অপদার্থই বলবো, যদিও এইটাও পদার্থ বিজ্ঞানের মধেয়েই পরে। ওই ১৭ সেকেন্ডে কি বিমানটা ক্লাইম্ব কিংবা ডিসেন্ড করছিলো নাকি এটা ওরা জানে? তাহলে কিন্তু হিসেব অন্যরকম হবে।

আপনি কেবল একটা ফাইটারের কোন কন্ট্রোল সারফেসের একটা চড়ুই দিয়া হিটের পরিনতি কি হইতে পারে তা যদি আপনাকে বোঝাইতে পারতাম তাইলেও হইতো। একটা সামান্য মার্বেলও যদি ৯৮০ কিমি বেগে কোন কন্ট্রোল সারফেসে হিট করে তাইলে ওই ফাইটারের ভবলীলা সাঙ্গ হইতে বাধ্য। ৯০ ডিগ্রী তো কমই, যা ইচ্ছা তাই হইতে পারে ভাই।

https://en.wikipedia.org/wiki/Flight_control_surfaces

উইকির এই আর্টিকেলটাই পড়ে দেখতে পারেন। একটা সারফেসেও যদি কোন ঘাপলা হয় ফাইটারের, তাইলে যে কোন কিছুই হওয়া সম্ভব।

আমেরিকার তুরস্কের এয়ারস্পেস ব্বহারের অনুমতি নাই কিংবা ছিল না এটা ঠিক না। ইনসারলিক এয়ারবেস আমেরিকার একটা শক্ত কৌশলগত ঘাটি।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: এসেন্ডিং বা ডিসেন্ডিং এর জন্য তেমন পরিবর্তন হবার কথা না। ম্যাপে যেরকম দেখানো হয়েছে, ভেতরের কনট্রোল কোন কারণে হারালেও এরকম শার্প চেঞ্জ হবার কথা না। ম্যাপের ছবি বলছে বিমানটি কার্ভড লাইনে যাচ্ছিল। মিসাইল দিয়ে আঘাতের পর এটা একেবারে ৯০ডিগ্রী ঘুড়ে স্ট্রেইট লাইনে গেছে। ভেতরের কোন সমস্যার কারণে হঠাৎ গতি পরিবর্তিত হয়ে এরকম সরল রেখায় বিমানতি ঘুরে যাবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। যদি কিছু হতে হয় তবে বাইরে থেকে অনেক বেশি এক্সটারনাল ফোর্সের কারণে হতে পারে। কিন্তু মিসাইলের ভরবেগ, বিমানের ভরবেগ এর তুলনায় অনেক কম ছিল। এত কম ভরবেগের কিছু এরকম পরিবর্তন করতে পারে না।



আর এখন ইনসারলিক এয়ারবেস আমেরিকার একটা শক্ত ঘাটি কিন্তু সেটা ২০ জুলাই সুরুকে আই এস এর হাম্লার পর এরডোগানের ওবামাকে ফোন দেয়ার পর। এর আগে আমেরিকার বিমানকে ২০০০ কিমি অতিক্রম করেই সিরিয়া, ইরাকে আসতে হত। এই নিউজ রিপোর্টটি তো তাই বলে।

http://www.theguardian.com/world/2015/jul/24/us-deal-turkey-isis-incirlik-airbase-erdogan-obama

১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: কে যে কার বিরুদ্ধে কেন যুদ্ধ করতে চায় , আর এই যুদ্ধ কইরা কত লাভ আর কত লস হইতেছে , মানুষের কত ক্ষতি হইতেছে !

সেটা খুব অদ্ভুত !

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: অনেক সময় এক যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আরেক যুদ্ধ শুরু করা লাগে ;)

১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: তুরষ্ক কার ইশারায় কাজ করছে !! আসলে কে যে ভুল করছে - খুবই ধোঁয়াশে ব্যাপার -- । মূলত মানুষ মরছে, মানুষই গৃহহীন হচ্ছে, মানুষই নিরাপত্তাহীনতা আর ঝুঁকির ভিতর আছে -- আর কর্তারা যুদ্ধের ডামামা বাজাচ্ছে -- ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: তা যা বলেছেন। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হা। খবরটা নজরে এসেছিলো। হিসেবের ধরন গ্রহনযোগ্য হলেও এই বিজ্ঞানীরা হয়তো ফাইটারের(এসইউ) এরো-মেকানিজম সম্পর্কটি কষতে চাইছেন না। আর ভূমি থেকে নিক্ষিপ্ত মানে ? এটা কি এফ-১৬ থেকে এয়র-টু-এয়র ছিলো না ??

তবে কিছুটা করে মিথ্যা তো থাকবেই ! হাহ হা।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: হুম। এফ-১৬ থেকে এয়ার টু এয়ার ছিল। এক জায়গায় এরকম লাইন লেখা ছিল বলে এটা লিখেছিলাম। এডিট করে দিচ্ছি। আমার মনে হয় না ফাইটারের মেকানিজম তার আঘাতের পর গতিতে তেমন কোন পরিবর্তন আনতে পারত এক্ষেত্রে। যদি বিমান কনট্রোল হারালেও এত বেগ নিয়ে এভাবে হঠাৎ ৯০ ডিগ্রী টার্ন করতে পারার কথা না। এটা কেবল এক্সটারনাল ফোর্স দ্বারাই সম্ভব। যাই হোক, পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

কোলড বলেছেন: Turkey didn't just wake up one fine morning and decided to shoot down the SU-24. Frequent warning was given to Russia for the past 2 months for not flying too close to Turkish border and bomb Turkmen rebels in the area who are not ISIS and who are ethnic kin of Turks.

Turkey did the right thing. Russia always tested other countries air defence and this time they got the medicine.

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: thanks for reading this article.

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং পোস্ট। তবে মিসাইলের তথ্য সাধারণত গোপন রাখা হয়। যেমন এর প্রকৃত ওজন, স্বাভাবিক গতিবেগ, আর্মিং সিকোয়েন্সে গেলে এর গতিবেগের কি পরিবর্তন হয় ইত্যাদি। কোন বিজ্ঞানীর এগুলো জানার কথা নয়। যদি না তাদের সরাসরি কোন গোয়েন্দা সংস্থার খুব উচ্চ পদের ক্লিয়ারেন্স থাকে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: এটা হিসাব করার জন্য মিসাইলের তেমন নিখুঁত ওজন, গতিবেগ জানার দরকার নেই। এর ওয়েট আর ভেলোসিটি আছে তার ম্যাক্সিমামটা নিয়ে ম্যাক্সিমাম মোমেন্টাম নিয়ে হিসাব করলেও সেই মোমেন্টাম জেট এর মোমেন্টাম এর থেকে অনেক কমই থাকবে।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

প্রামানিক বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং ঘটনা।

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
অফটপিক:
চিরকালই রাশান অস্ত্র মার্কিন অস্ত্রের কাছে মার খেয়ে যাচ্ছে। আগেও সাইড ওয়াইন্ডার বা স্প্যারো দিয়ে রাশান মিগ ফেলে দেয়া হয়েছে। অবশ্য তখন রাশিয়া নিজে মার খায়নি। Tom Cat, Eagle, Falcon, এমনকি Blackbird SR 71 পর্যন্ত dog fight এ রাশিয়ার বিমানকে হারিয়ে দিতো। সাদ্দাম হোসেন যখন স্কাড মারতো, সৌদী আকাশে মার্কিন প্যাট্রিয়ট উড়ে গিয়ে সেগুলো ফেলে দিতো। এখন তো RIM 162 আর Javlin এর যুগ। NATO'র সবচে ওঁচা তুরস্কও খোদ রাশিয়াকেই আঘাত করে। হায় রাশিয়া! এক নখদন্তহীন বৃদ্ধ সিংহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.