নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালিখি, পড়তে ও ঘুরতে ভালো লাগে। ফেসবুকঃ facebook.com/SumanGeo

সুমন রহমান

সারাটা জীবন এক উন্মাদ অবিশ্রান্ত বৃষ্টির সঙ্গে রাত কাটাই। অপূর্ব সকালে সে বেহেড মাতাল, আর পায়ে পায়ে কাঁপে তার দিকচক্রবাল; সে আকাশে মাথা দেয়, বিকেলের জঙ্গলে তার ছায়া পড়ে, নাড়ীর ভেতরে সে হাত দিয়ে বের করে আনে প্রমুখ কম্বল। আমি সে যে আমি আমি উত্তাল অন্তর্যামী।

সুমন রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিকার (একটি ছোটোগল্প লেখার প্রয়াস)

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

শ্রাবণের ভারী বর্ষণে তিস্তার দুকুল কানায় কানায় পূর্ণ। তিস্তা পাড়ে মানুষের কোলাহল। কেউ মালকোচা হয়ে মাছ ধরছে, ছোট ছেলেমেয়েরা ঢাপঢুপ খেলছে। আবার পাড় থেকে ডিগবাজী দিয়ে ভরা নদীতে লাফ দিচ্ছে। কেউ জালদিয়ে মাছ ধরছে, কেউ কাপড় কাঁচছে। ময়নাও কাপড় কাচছে; তার ছোট ভাইটি রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে দিয়েছে।

ময়না বার-তের বছরের একটি মেয়ে। এতটুকু বয়সে সংসারের চিন্তা একজন পাক্কা গৃহিনীর মত। বাবা জমসেদ মিয়া একজন ছাকোরবান। অন্যের বাড়িঘরের বেড়া দেওয়া ইত্যকার মেরামতের কাজ করেন। মাঝে মধ্যে অন্যের জমিতে মজদুরীর কাজ করে সংসার নির্বাহ করেন।

ময়না কাপড় কাচছে। মোটা কাঁথা আসমানে তুলে আবার আছার মারছে। আর মুখ থেকে হাহ্ হাহ্ শব্দ নিঃসৃত হচ্ছে। যেন একটা ছন্দময় প্রক্রিয়া। মাছ ধরতে ধরতে ময়নার অনেক কাছেই এসে গেছে শামছুল-চৌকিদার। হ্যাঁ পেশায় একজন চৌকিদার হলেও মাছ ধরাটা তার একটা নেশা। সারারাত সে চৌকিদারি করে, অবশ্য এর মধ্য দিয়েই ঘুমটা ঠিকই হয়ে যায়। দুর থেকে ময়নাকে লক্ষ্য করে বলে-

“ কীরে ময়না, খাটাখাটি করি শরীলটাকে শ্যাষ করি ফ্যালাবু নাকী”?

ময়না বাঁকা চোখে তাকিয়ে আবার কাজে মনযোগ দিয়ে বলে:

“মোর শরীল নিয়া তোমাক অ্যাতো চিন্তা কইরবার নাইগবান্ নায়। মুই ভালোয় আছু। কইত্লা মাছ পাইনেন চাচা?”

“ক্যারে ময়না, তোর খালাতো বইনের বান্ধবীকে বিয়াও করলে বুঝি তোর চাচা হও?” চৌকিদার বলে।

ময়না আবার কাপড় কাচায় নিবৃত্ত হয়। চৌকিদারের প্রশ্নের উত্তরে সে ভাঙ্গা ভাঙ্গা কাক্যে বলে-

“ওটাতো...অনেক...পরের সমন। তোমরাতো মোর চাচায় আছনেন, নাকী?”

চৌকিদার আর এ ব্যাপারে সামনে এগোয় না। সে তার খলই থেকে দুইটা প্রমাণ সাইজের সরপুটি মাছ তুলে ময়নার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,

“নেরে ময়না, সরুয়া থুয়া আন্দিবু। খুব স্বাদ নাগবে।”

: “কই, কইনেন নাতো , কয়টা মাছ পাইনেন?”

: “আগে নে না?”

ময়না হটাৎ খলইটা ঝটকা মেরে নিয়ে তাকায়। দেখেএকদম শুন্য।

“তো কও, মোর পুতি তোমার অ্যাতো দরদ ক্যান?

বাড়িত তিন তিনটা বউ আছে। সবার ভাগে একটা করি দিবার গেইলেও তো তোমার আরও একটা মাছ নাগে”- ময়না ফুসে ফুসে বলে।

চৌকিদার বলে,“তোমার মঙ্গা সংসার আর দেইখপার মোনায় না রে ময়না?”

ময়না বিষ্ফারিত নেত্রে চৌকিদারের দিকে তাকিয়ে বলে, ও:ও: দুইটা মাছ দিয়া বুঝি মঙ্গা চলি যাইবে?

খলইটা আছার মেরে কাথাটাকে ডেগচির ভরা পানিতে ডুবিয়ে হনহন করে চলে যায় ময়না।

চৌকিদারের বাঁকা ঠোটে একটা রহস্যময় হাসির ঝিলিক। বিড়বিড়ে স্বগোতোক্তি করে-

“মঙ্গা দূর কইরবার একটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত........”

**************

ফুলবানু, কুমীড়ন, নীলু- চৌকিদারের তিন স্ত্রী।

বিকেলবেলার দৃশ্য। ফুলবানু বাছুরের সাথে রীতিমত যুদ্ধ করছে। এই সুযোগে কুমীড়ন গাইয়ের বাট থেকে দুধ দোহন করছে। আর নীলু গামছা দিয়ে মাছি তারাচ্ছে। স্বামী সেবা ধর্ম- এই বোধ তাদের সকল কাজকে সহজ করে তুলেছে। স্বামীকে একগ্লাস গরম দুধ দিয়ে ভালবাসা হাসিল করাটা যে তাদের স্বামীই শিখিয়েছে। প্রত্যেক নারীর কাছে স্বামী সঙ্গ একটু রঙ্গ পরম সুখ।

মুলত, চৌকিদার একজন দক্ষ সংগঠকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যে অসাধ্য কর্ম সাধন করেছে সে জন্য সরকার থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা উচিত ছিল।

সতীনের সম্পর্ক যে দা-কুমড়া হয়ে থাকে চৌকিদারের স্ত্রীদের দেখে তা বোঝা যাবেনা। ভোরবেলায় দেখা যাবে- কেউ উঠোন ঝাড়– দিতে ব্যস্ত, কেউ রান্নার চুলায়, কেউ কাপড় কাঁচায়। বিকেলের পড়ন্ত বেলায় একে অন্যের মাথার উঁকুন দেখা, গল্পগুজব, হাসি ঠাট্টা, খুনসুটি- যেন তারা আপন মায়ের পেটের বোন।

সন্ধা বেলা।

চৌকিদারকে ডিউটিতে যেতে হবে। তাই সে বউদের উদ্দেশে হাঁকিয়ে উঠে,

-“বানু, নীলু, কুমীড়ন- কোনঠে গেলুরে?”

হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে বানু বিশালাকার টর্চ লাইট, কুমীড়ন জুতাজোড়া আর নীলু লাঠি নিয়ে। একটা মুচকি হাসি বউদের দিকে ছুড়ে দিয়ে সে চলে যায় তার কর্ম এলাকায়। একটা মুচকি হাসি কেড়ে নেয় তিনটি হৃদয়। বউয়েরা যারপরনাই খুশি হয়ে খুনসটিতে লিপ্ত হয়-

“তোক দেছে বু......

- থামেক ধাগড়ি

- হি: হি:-”

আধুনিক যুগের ছেলেরা যেন সেই শামছুলের সংস্করণ, মেয়েদের পটাতে তারা কতইনা পটু।

**************

‘আইজ তো শোকরবার, বিকালে মোর সাথে টকি দেইখপার যাইমেন কায়?’ চৌকিদারের প্রস্তাবে বউয়েরা সমস্বরে- “মুই, না-না-মুই।”

তাদের পাড়াপাড়ি দেখে চৌকিদার বলে,

“যায় আগে কইছে তাক নিয়া যাইম। তোমরা আরেকদিন। ওয় ফুলবানু,রেডি থাকিস।”

ফুলবানুর মন আনন্দে ভরে ওঠে। স্বামীর সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাবে। তার স্বামী রাজ্জাকের মত ববিতা কল্পিত ফুলবানুর হাতটি ধরে বলবে- ‘তুমি চাঁদের চেয়ে সুন্দর।’ তখন সে হাত ছেড়ে দিয়ে বলবে- ‘যা খুব দুষ্টু।’ কল্পিত সিনেমা আগেই বাসা বাঁধে ফুলবানুর মনরাজ্যে।

**************

রাত ৮:০০ টায় শো শেষে গরুর গাড়ীতে করে বাড়ী ফিরতে থাকে তারা। গ্রামের রাস্তা; আটটা বাজতেই সুনসান নীরবতায় আচ্ছন্ন। হটাৎ গরুর গাড়ীর গতিরোধ করে হাতে লাঠি নিয়ে মুখে গামছা পেচানো কিছু লোক। অত:পর চৌকিদারকে বেঁধে ফুলবানুকে মুখে চাপা দিয়ে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যায় দু:স্কৃতকারীরা। ছটফট করতে থাকে ফুলবানু। সে হয়তো বাঁচাও-বাঁচাও করে চিৎকার করতে চাইছে। তার স্বামীও যে নিরুপায়। সিনেমা আর বাস্তবতা তো এক না। ফুলবানু ববিতা না, চৌকিদারও রাজ্জাক না। দড়ি ছিড়ে স্ত্রীকে বাঁচানোর শক্তি তার নেই। আহত গাড়োয়ান চৌকিদারের দড়ি খুলে দিয়ে বলে-

“তোমাক নাগে নাইতো ব্যাহে।”

চৌকিদার কোমড়ে হাত দিয়ে ই: উ: করতে করতে বলে-

“পাজরে দুইটা কিল নাগছে।”

গাড়োয়ান দেখে-চৌকিদার কাঁদছে। সে সবাক নয়নে তার চোখের দিকে তাকিয়ে কী যেন পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছে। পুরুষ আবার কাঁদে নাকি? পুরুষ মানুষের কান্না হয়তো বা আগে কখনো সে দেখেনি। চৌকিদার রিক্ত হস্তে বাড়ি ফেরে। ট্রাজেডির আদ্যোপান্ত খুলে বলে স্ত্রীদের সামনে।

গাড়োয়ানও চৌকিদারের বর্ণনার সাথে সুর মিলায়:

“হ্যাঁ ভাবী, মুই আর তোমাক কী খুলি কইম, অ্যামন ঘটনা জেবনে দ্যাখো নাই। সারা গাও মাথায় কালো কাপড়, চোখগুলা ডিপডিপ করে জ্বলে......”

চৌকিদারের স্ত্রীদ্বয় আৎকে উঠে।

দিন যায়, সপ্তাহ গড়ায়, মাস আসে। একসময় সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।

**************

শামছুল চৌকিদারের হাতে মাছ ধরার জাল, কোমরে খলুই বাঁধা। ভরা যৌবনের তিস্তা আকুল হয়ে তাকে যেন ডাকছে। সে আহ্বানে সাড়া দিতেই তড়িঘড়ি সে বেরিয়ে পড়ে তিস্তার উদ্দেশ্যে। ঘাটে সেই একই দৃশ্য। ছোট ছেলেমেয়েদের হইহল্লা, দৌড়ঝাপ, ঢাপঢুপ; শুধু ময়না নেই। মাছ মারা হলোনা। ময়নার বাড়ি যায় চৌকিদার।

হু: হু: গলা খাকারি দিয়ে বলে-

“ময়না-ঘরত আছিস নাকি?”

বলতে বলতে ঘড়ে ঢুকে পড়ে চৌকিদার।

: “ছেকো, ছেকো, তোমরা করছেন কী?” ময়না ঘৃণা, ভয় আর লজ্জায় হতভম্ব।

- “কী হইচেরে ময়না?”

“না কয়া যে মাইন্ষের ঘরত ঢোকা যায় না, এটা কি জানেন না?”

“ মাইন্ষে আবার কায় রে? তুইতো মোর বউ। বউয়ের কাছত যখন তখন আসিম, রাইতোত, দেনত, সউগসময়। অ্যাটে কার কী যায় আইসেরে!”

ময়নার মাথায় যেন বাজ পড়ে। সে ডানামেলা বয়সটার সঙ্গে বউ কথাটার পরিচয় করিয়ে দিতে চায়নি। চোখে মুখে তার ঘৃণাভাব ফুটে ওঠে। সে তিক্ত স্বরে বলে-

“এইগ্লা তোমরা কী কন, তোমরা মোর সম্পর্কে চাচা, বয়সে বড়, এটা কোনোদিন হবান্নয়।”

“হবান্নয় কীরে, হবান্নয় কী? রাইতে যখন তুলি নিয়া য্যায়া সারারাইত থুয়া সকালে দিয়া যাইম তখন গ্রামের লোকেরায় তো বিয়াও দিয়া দেবে?”

ময়না ভয়ে কঁকিয়ে ওঠে।

“আর শুন্! চাচা আসলে কইস, মুই আসছিনু। সন্ধায় দেখা করবে।”

শাসিয়ে চলে যায় চৌকিদার।

ময়না এক নিমেষে তাকিয়ে থাকে অদুরের তিস্তার দিকে। হয়তো দুঃখের সমীকরণ মেলাতে চেষ্টা করছে। তিস্তাও ভাঙে, সেও ভাঙে। তিস্তা ভাঙলে বলে সর্বনাশা, আর সে না ভাঙলে সহ্য করতে হবে সর্বনাশী অপবাদ। আদৌ কী সে অপবাদ সহ্য করতে পারবে। জানেনা সে। তাই দাপটের কাছে নত হয়ে সে হয় পবিত্রা, গঙ্গাজল।

***************

আজ উঠোন ঝাড়– দিচ্ছে কুমীড়ন, কাপড় কাঁচছে নীলু, দুরে গাই বাছুরকে খাবার জল দিচ্ছে ময়না। ঘর থেকে বের হয়েই জোড়ে হাঁক দেয় শামুছ চৌকিদার:

“কোনঠেরে ময়না, বন্দুকটা নিয়া আয়।”

নতুন বধু ময়না বন্দুকটা নিয়ে আসে। তারপর ঐ চিরচেনা মুচকী হাসি দিয়ে শিকারের উদ্দেশ্যে রওনা হন চৌকিদার।

কী ব্যাপার, চৌকিদার কি মাছ ধরা ছেড়ে দিলো? চৌকিদারতো সেলিব্রিটি না। হলে হয়তো সাংবাদিকের এরকম প্রশ্নের উত্তরে বলত-

“অনেকদিন তো মাছ ধরলাম, এবার রুচীর বৈচিত্র আনলাম বৈকি।”

তখন কয়টা পাখি শিকার করল সে খবরও বিশ্ব জানত; সাথে জানত নতুন কোন রমনী শিকার।

তাহলে মাছ শিকার কী গরলভেল, মূলে ময়না? আর ফুলবানুর ? সত্যি! অতি সাধারণ মানুষের শুভ্র নিখাদ মুখের কদর্য রূপটি বড়ই বিভৎস ।



(পাদটিকা : রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত গল্পটির কিছু শব্দ-

খাটাখাটি করি - পরিশ্রম করে

শরীলটাকে শ্যাষ করি-শরীরকে শেষ করে

ফ্যালাবু - ফেলবে

মোর শরীল নিয়া - আমার শরীর নিয়ে

তোমাক - আপনাকে

কইরবার নাইগবান্ নায় - করতে হবে না

মুই ভালোয় আছু - আমি ভালো আছি

কইত্লা মাছ পাইনেন - কতগুলো মাছ পেলেন

বইনের - বোনের

সমন - সমন্ধ

আছনেন - ছিলেন

সরুয়া থুয়া আন্দিবু - ঝোল রেখে রান্না করবে

নাগবে - লাগবে

কইনেন - বললেন

পুতি - প্রতি

বাড়িত - বাড়িতে

মঙ্গা – অভাব

দেইখপার মোনায় না - দেখতে ইচ্ছে করেনা

কোনঠে গেলুওে - কোথায় গেলে

তোক দেছে বু - আপনাকে দিয়েছে বুবু

থামেক - থাম

ধাগড়ি - অপশব্দ

যায় আগে কইছে তাক নিয়া যাইম - যে আগে বলেছে তাকে নিয়ে যাব

ছেকো, ছেকো - ছিঁ ছিঁ

সউগসময় - সবসময়

অ্যাটে - এতে

হবান্নয় - হবার নয়

কইস - বলিস )





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১০

আহসান২০২০ বলেছেন: হুম চৌকিদার ব্যাটায় বিশাল পাজি।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৫

সুমন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

অশুভ বলেছেন: ভালো হয়েছে। প্রথম ভালো লাগা দিয়ে গেলাম।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৭

সুমন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

শুভ্র শৈশব বলেছেন: সুন্দর গল্প। বর্ণনাও চমৎকার। কিন্তু, "ফুলবানুর অপহরণ সবই সাজানো পরিকল্পনা।" কেন? বুঝলাম না!

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

সুমন রহমান বলেছেন: ফুলবানুর অপহরণ সবই সাজানো পরিকল্পনা। কেন? এটাইতো রহস্য । আমারও প্রশ্ন, কেন এমন ঘটে?

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটা ভালোই| ফুলবানুর কি হয়েছে সেটা না বললেই ভাল হত| পাঠককে চিন্তা করার জায়গা দেয়া উচিৎ

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

সুমন রহমান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, একটি লাইনই রহস্যকে প্রকাশ করছে। ধন্যবাদ । দেখি লাইনটাকে কী করা যায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.